উইঢিপি
গাছটি যতদিন বেঁচে থাকবে খুব কাছে থেকেও
উইঢিপি হাত বাড়িয়ে ছোঁবে না তার ক্ষয়ের সম্ভার
সমগ্র জীবন জুড়েই গাছটি দেখে
রত্নাকর নয় ছায়ার আসনে বসে আছেন
রত্নাকরের রূপান্তর
বসে থাকতে থাকতে যদি ঝিম ধরে যায় পিঠে
শুয়েও পড়তে হয়
চোখের তারা উদ্বাহু হয়ে ছোটে আকাশের তারার দিকে,
মেঘের মফস্বলে জ্বলে আর নেভে ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু
ফুলের আগুন যে মাটি ছুঁলেই অঙ্গার হয়ে যায়
সে-কথা ভুলে গেলেও কি চলে?
হিমের নীচে শুয়ে দেহ অসাড় হয়ে এলে
নীরব রাতে উইঢিপিরাও এগিয়ে এসে কড়া নাড়ে
শরীরের শীতলতায়
বাল্মীকির চোখ তখনো খোলা
টুকরো
পোড়ো মন্দির বাঁশঝাড় আর গভীর বনের ব্যাহত
রোদের ভেতর দৃষ্টির আত্মীয় হয়ে উড়ে যায়
হলুদ উদ্বেল ডানা, তেমনই,
অনেক ঘুম ঘুমেরই ভেতর ছুঁয়ে থাকে
অন্য দেশের কাঁটাতার
পাশ ফিরতে যাবো যেই, খোঁচা
বালিশটিকে টানতে গেলেই পর্দাফাঁই
বালিশের একটা দিক এদিকে তো আরেকটা ওদিকে
সুন্দর বনেরও এ-দিক ও-দিক আছে
একটা বাঘ পায়ের ছাপের গণনায় দু-প্রান্তে দুটো হয়ে বাঁচছে
আমার কচি পা দুটো একটা মায়ের বুকে, আরেকটা বাবার
আমাকে অখণ্ড রাখতে মা-বাবা দুজনেই এক ফুঁয়ে
আলোটা নিভিয়ে দিলেন
(পরবাস-৮২, ১৪ এপ্রিল, ২০২১)