দৃশ্যায়নে কুয়াশার খোঁজে নদীকে বলেছি,
শীত এনে দাও
কোমর বেঁকিয়ে যেতে যেতে
নদী হেসে বলেছিল, সমুদ্র যাত্রায় বড় বেশি কোলাহল
তুমি বৃষ্টির বালিকাবেলা টুকে লেখ
কীভাবে কুয়াশা ভাসে জীবনের গোপন খাতায়
সমুদ্র যাত্রার পথে সে নদী যা বলে গেল চিবুক ভাসিয়ে প্রাণপণ –
সে কথা কি শ্রাবণের ক্রিয়াপদে থাকে!
আমি না জানলেও হয়ত তা জানে চিলেকোঠা
এই ভেবে অপেক্ষাকে ছুটি দিয়ে গার্হস্থ্য যাপন বাজি রাখি
দেখি, রোপণের ঠোঁট ছোঁয়াছুঁয়ি আর রিমঝিমে
চিলেকোঠা ভেসে যাচ্ছে তীব্র কুয়াশায় –
আগাছাবিহীন।
কুয়াশা যাপন - ৭ প্রচ্ছদে রেখেছ তুমি বাদামি ইশারা
হয়ত আদর শব্দে ভরে যাবে উৎসর্গের পাতা
দুপুরেই থাকবে জানি ঘনিষ্ঠ বিছানা দৃশ্য
অথচ তারপরেও
অবুঝ পাঠক আমি, উপন্যাস পড়ব ভাবলে
ছোট গল্প ফেলে,
ফিরতি ডাউন ট্রেনে জানালা সোহাগী ফিরে যাব
সুতপার চায়ের দোকানে - এলোমেলো পাঠে।
(পরবাস-৮২, ১৪ এপ্রিল, ২০২১)