ISSN 1563-8685




সম্পাদকীয়

আটাত্তরতম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে দীপঙ্কর ঘোষের আঁকা শুধু একটি ছবি দিয়ে করোনা পরিস্থিতির প্রারম্ভিক অবস্থা বোঝাবার চেষ্টা হয়েছিল। পুরো এক বছর পরে মনে হচ্ছে সেই ছবি এখনো প্রযোজ্য। আগের সংখ্যাতে দীপঙ্কর ঘোষের আর একটি ছবি ভারতে বেশ কয়েক মাস আগে পরিযায়ীদের দুর্দশা ফুটিয়ে তুলেছিল। তখন আশা ছিল ওরকম ছবি ভবিষ্যতের অবস্থা বোঝাতে আর দরকার হবে না। কিন্তু ইদানীং মুম্বই, দিল্লী ইত্যাদি শহরে সংক্রমণের হার যে-ভাবে বাড়ছে, মনে হচ্ছে সে আশাও মিথ্যে। তাহলে কি এই এক বছরে অবস্থার কোনো উন্নতিই হয়নি?

তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি উপযুক্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন রেকর্ড কম সময়ে, ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলি সেগুলো ব্যাপক হারে (প্রয়োজনের তুলনায় যদিও এখনো কম) উৎপাদনের ব্যবস্থাও করেছে। এর পরের কাজ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ও সমাজের নেতাদের উপর। তাঁরা কম বেশি নিরাশ করে চলেছেন। জনসাধারণের দায়ও কম নয় এই ভাইরাসের প্রতিরোধী ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্যে। এখন নিজের পরিচিত বা তাদের পরিচিত করোনা-আক্রান্ত কাউকে জানা খুবই স্বাভাবিক।

আগের সংখ্যাতে মিহির সেনগুপ্তের 'কালসন্ধ্যা' উপন্যাসটি শেষ হয়েছিল, এই সংখ্যাতে শেষ হচ্ছে অঞ্জলি দাশের 'অন্তর্জাল'। কাজেই নতুন অপ্রকাশিত উপন্যাস বা উপন্যাসিকা পাঠাতে অনুরোধ করছি।

তবু স্বাভাবিক নিয়মে নতুন বাংলা বছর এসে গেল। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। কেউ অসুস্থ থাকলে তাঁর আশু নিরাময় কামনা করি। বাকিরা যেন নিরাপদে ও সুস্থ থাকেন। ভ্যাকসিন ও ভাইরাসের দৌড়ে ভ্যাকসিনকে জেতানোর দায় আমাদের সকলের উপর।






(পরবাস-৮২, ১৪ এপ্রিল, ২০২১)