কালের নিয়মে তাঁকে ফিরে যেতে হলো
মাটি আর জলের কাছে;
যে গভীর শুশ্রূষার তল থেকে
তিনি তুলে আনতেন চেতনার ধ্বনিময় কণা
প্রজ্ঞার আলো আর হৃদয়ের বাতাসে
জারিত করে ছড়িয়ে দিতেন
পাতায় পাতায়, দুর্যোগের রাতে
পাতার ফানুসে তামসী আকাশে
ভাসিয়ে দিতেন বিবেকের বাতি
তুফান আর বিদ্যুতের ঊর্ধ্বে উঠে
আকাশপ্রদীপের ভরসা-বলয়;
ঝঞ্ঝাহীন আটপৌরে দিনে
উড়ে আসতো ঝরা পাতার অক্ষর
অমল হাওয়ায় ভেসে...
সবচেয়ে হিংস্র প্লাবনে
আর সব বৃক্ষ মাথা নোয়ালেও
তাঁর স্থিতধী শিকড় টলে নি
সবল প্রশাখা ধরে রেখেছিলো
সততা, ন্যায় আর ভালোবাসার
যাবতীয় নীড়;
তুমুল তমসার অন্ধ প্রান্তরে
চক্ষুষ্মান যে কজন, হয়ত খনন
করে যাবে তাঁর ফেলে যাওয়া
পাদমূলভূমি, বীজের সন্ধানে
সন্ততির গচ্ছিত স্বপ্ন
মাটি আর জলের গভীরে।
(পরবাস-৮৩, ১০ জুলাই, ২০২১)