দীপকের সাথে বহুদিন পরে দেখা শিয়ালদহ স্টেশনে। শীতের এক বৃষ্টি-বিঘ্নিত বিকেলে কল্যাণী লোকাল থেকে শিয়ালদহ নেমেছি। জনঅরণ্যে কখনো ঝুড়িতে কখনো বস্তাতে ধাক্কা খেতে খেতে স্টেশন থেকে বাইরে যাবার জন্য শম্বুকগতিতে এগোচ্ছি। যত না লোক বাইরে যাচ্ছে তার থেকে বেশি লোক ডাউনট্রেন ধরতে হুড়োহুড়ি করে স্টেশনের ভিতরে ঢুকছে। আমি চিন্তা করতে করতে এগোচ্ছি যে বাইরে বেরিয়েই আবার আমায় ভবনীপুরের বাস ধরতে হবে। বাস ধরার আগে স্টেশন চত্বরে বসা ফেরিওয়ালার থেকে বাড়ির জন্য আপেল, কলা কেনাও দরকার। এখানে কিছুটা সস্তায় পাওয়া যায়। শীতকালে সন্ধ্যেটা ঝুপ করে নেমে যায়। ট্রেনের কামরা আর প্লাটফর্মের টিনের শেডের ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম। সাড়ে পাঁচটায় আকাশ অন্ধকার। প্লাটফর্মের সব আলো জ্বলে উঠেছে।
আলোকিত প্লাটফর্মে গুঁতোগুঁতি করে বেরোচ্ছি, হঠাৎ পিছন থেকে কেউ জামা ধরে টানল। মুখ ফিরিয়ে দেখি দীপক। কতদিন পরে দেখা হলো। প্রায় সেই একই রকমের দেখতে রয়ে গেছে ও। সেই মাথা ভর্তি কোঁকড়ানো চুল, সরু গোঁফ, জোড়া ভুরু, ঠোঁটগুলো একটু মোটা আর নাকের ওপর একটা ছোট লালচে তিল, যেটা নাকি বহু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাতেও ঠিক হয়নি। সাদা জামা সাদা প্যান্ট পরা দীপক খুব একটা মোটাসোটা হয়নি। হাজার মানুষের ভিড়ে হয়তো আলাদা করে চেনা যাবে না, কিন্তু সামনে দাঁড়ালেই একটা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আছে দীপকের। মুখের কোণে তেমনি হাসিটি লেগে আছে, ঠিক কলেজে যেমনটি দেখেছিলাম। নাহ, খুব একটা বদলায়নি ও।
“কিরে কোথা থেকে ফিরছিস? আমি বেশ কিছুক্ষণ ধরে ফলো করে তাড়াতাড়ি হেঁটে তোকে ধরলাম।” দীপক জিজ্ঞাসা করল।
“কল্যাণীতে পড়াচ্ছি এখন। কলকাতা থেকে ডেলি পাসেঞ্জারি করি। এমনিই গত পাঁচ বছর ধরে চলছে। যাতায়াতের প্রচুর ধকল। তোর কি খবর?”
“আমি রেল কোম্পানির ড্রাইভার। ছ-বছর হলো জয়েন করেছি। তারপর ট্রেনিং নিয়ে প্রথমে এসিস্টেন্ট ড্রাইভার, তার পর সবে ড্রাইভার হয়েছি। লোকাল ট্রেন চালাই। এই শিয়ালদহতেই পোস্টিং হয়েছে চার মাস আগে। রেলের কোয়ার্টারেই থাকি।”
দীপক চিরকালই বুদ্ধিমান ছেলে। কলেজে থাকতেই ও চাকরির কোচিং নিত। সরকারি চাকরিতে ঠিক ঢুকে গেছে। আমি খুশিই হলাম। স্টেশনেই একটা রেস্টুরেন্টে বসে একথা-ওকথার পর যে প্রশ্নটা মনের ভিতর খোঁচা দিচ্ছিল সেটাই জিজ্ঞাসা করে ফেললাম।
"কিরে রত্নাকেই বিয়ে করেছিলি তো?" আসলে কলেজে ওর আর রত্নার সম্পর্কটা এতটাই আলোচ্য বিষয় ছিল যে এতদিন পরে ওর সঙ্গে দেখা হলে ওটা জিজ্ঞাসা না করে থাকতে পারলাম না।
একটু লজ্জা-লজ্জা মুখে ও মাথা নাড়ল। হাঁ বা না সেই মাথা নাড়ানো দেখে বোঝা গেল না। কেমন যেন একটা ধোঁয়াশায় রাখল ও। দীপক যেন এ ব্যাপারে কিছু কথা বলতে উৎসাহী নয়। সেই দেখে আমিও আর ও প্রসঙ্গ তুললাম না। আরো কিছুক্ষণ কথার পর আমরা নিজেদের গন্তব্যে চলে গেলাম।
ছাব্বিশে জানুয়ারি কলেজে পতাকা উত্তোলনে যেতে হবে। সকাল সকাল শিয়ালদহ স্টেশনে এসে দেখি ফাঁকা স্টেশন। এমন বড় একটা দেখা যায় না। আজ ছুটির দিন। কল্যাণী লোকাল সকাল আটটা দশে। কলেজে সকাল সাড়ে দশটায় পতাকা উত্তোলন। আমি পার্ট টাইম শিক্ষক। প্রিন্সিপালকে খুশি করতে আজ ছুটির দিনেও এতটা পথ পেরিয়ে কলেজে চলেছি।
আজ ট্রেন অন্য দিনের তুলনায় কম চলছে। হাতে দশ মিনিট সময় আছে। আস্তে আস্তে হাঁটছি ট্রেনের সামনের বগিতে বসব বলে। তাকিয়ে দেখি অধিকাংশ সিটই আজ ফাঁকা।
সময় আছে বলে প্রথম কামরায় না বসে দরজাটার সামনেই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছি। জানি ঢুকলেই বসার জায়গা পাব। নেহাত কৌতূহলের বসে ড্রাইভারের কেবিনে মুখ বাড়িয়ে দেখি দীপক আজ এই ট্রেনের ড্রাইভার। ও আমাকে দেখতে পেয়েছে।
“আয় এখানেই চলে আয়।" দীপক আমাকে ড্রাইভার কেবিনে ডেকে নিল। আরেকজন অবাঙালি কমবয়সি ছেলে দেখলাম ওর সাথে কেবিনের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে। পরিচয় করিয়ে দিল ওর আর-এক ড্রাইভার বন্ধু সুনীলের সাথে। শুনলাম সুনীল দমদম স্টেশনে নেমে যাবে। ড্রাইভার সুনীলের সাথে। সিগন্যাল সবুজ হবার আগে দীপক বলল, "শোন, ড্রাইভারের কেবিনে যাওয়া কিন্তু বেআইনি কাজ। তবে অনেকেই বন্ধুবান্ধব নিয়ে যায়। মাঝে মাঝে রেলের সাহেবরাও ওঠে। তোকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। তবে বাই চান্স জিজ্ঞাসা করলে বলবি- স্টাফ। বাকি আমি ম্যানেজ করে দেব।”
আমার একটু ভয় ভয় করছে। বললাম, "কি দরকার রে রিস্ক নিয়ে যাওয়ার। ফাঁকা ট্রেন তো। নেমে আমি বরং পিছনের কামরায় চলে যাই।”
“তুই চিরকালই ভীতু রয়ে গেলি।” দীপক আমাকে ধমকে উঠল। আমি একটু ইতস্তত বোধ করে ড্রাইভার কেবিনেই রয়ে গেলাম।
ছোট কেবিনের ভিতরে একটা বেশ বড় কাঠের বাক্সো, ওদের কথায় টুল বক্স। ওতে লেখালেখির খাতা, টিফিন, জল ও কিছু অন্যান্য জিনিস থাকে। পিছনের দেওয়ালে আটকানো একটি বসার সিট যেটিকে আবার ভাঁজ করে দেওয়ালের সাথেই হুক দিয়ে বেঁধে তুলে রাখা যায়। বসার জায়গার সত্যি অভাব কেবিনের ভিতর। দীপক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ট্রামের হ্যান্ডেলের মতো দেখতে জিনিসটাকে ঘুরিয়ে ট্রেন চালাচ্ছে। মাঝে মাঝে দূরে লোককে লাইন পারাপার করতে দেখলেই হর্ন দিচ্ছে। প্রায় তিপান্ন কিলোমিটার পথ আমরা দেড় ঘন্টায় অতিক্রম করব। আমি নির্লজ্জের মতো সেই হ্যান্ডেলবিহীন কাঠের সিটে পড়ে যাবার ভয়ে কাঠের মতো বসে আছি আর ওরা দুজন দাঁড়িয়ে আছে আর মাঝে মাঝে দু-একটা কথা বলছে। বুঝতে পারলাম যে আমি থাকাতে ওরা স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারছে না। দমদম স্টেশনে সুনীল নেমে যেতেই দীপক কথা শুরু করল।
“সেদিন রত্নার কথা জিজ্ঞাসা করছিলি না?" দীপক ট্রেন চালাতে চালাতে কথা শুরু করল।
“হ্যাঁ, কেমন আছে রে ও?”
"ভালোই আছে নিশ্চয়ই। আমাদের বিয়ে হবার একবছর পর ও আমাকে ছেড়ে অন্য একজনের সাথে চলে যায়। মাত্র দুবছর আগে ডিভোর্স পেয়েছি। এই মেয়ে জাতটার প্রতিই আমার ঘেন্না ধরে গেল রে।” দীপকের দীর্ঘশ্বাস শুনলাম।
"সরি দীপক, আমি কিছুই জানতাম না। তোর মনে অজান্তে আঘাত দিয়ে ফেলেছি।” আমি ক্ষমা চাইলাম।
“তোর আর কি দোষ। তুই তো জানতিস না। আমাদের চার বছরের মেলামেশার পর বিয়ে। আর বিয়ের একবছরের মধ্যে ও আমার ঘর ছেড়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে গেল। ডিভোর্সের মামলায় কারণ হিসেবে আমাকে ইমপোটেন্ট বলল। মেয়েদের আমি আর বিশ্বাস করি না।”
দীপক আর রত্নার প্রেম কলেজের ফার্স্ট ইয়ার থেকেই। আমরা যখন সব ক্লাসমেটদের সাথে পরিচয়ই করে উঠতে পারিনি তখন ওদের প্রেম শুরু হয়ে গেছে। সবাই জানত ওদের বিয়ে হবে। ওদের জুটিটাও বেশ জমেছিল। যেন একে অপরের পরিপূরক ছিল ওরা। মানিকজোড়ের মতো সবজায়গায় একসাথে ঘুরত। আমাদের সাথে ক্যান্টিনেও চুটিয়ে আড্ডা মারত। আমরা যারা মেয়েবন্ধু জোটাতে পারিনি, তারা, ওদের পিছনে লাগতাম বটে তবে আবার মনে মনে ওদের বেশ পছন্দও করতাম। সেবার কলেজ ফেস্টে ওরা দুজনে অনেক রিহার্সাল করে একটা দূর্দান্ত শ্রুতিনাটিকা পরিবেশন করল। আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কলেজের পর দীপক চাকরির চেষ্টা করছিল আর আমি মাস্টার্স করতে দিল্লির জে এন ইউ-তে চলে এলাম। সেই শেষ ওর সঙ্গে দেখা।
ওদের বিয়ের দুঃখজনক পরিণতি আর দীপকের হতাশা আমার মনটাকে ভীষণ ভারাক্রান্ত করে দিল। আমি মনমরা হয়ে বসে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সামনেই দুটো সমান্তরাল লাইন চলে গেছে। দেখে মনে হলো দীপক আর রত্না যেন পাশাপাশি চলেছে, কিন্তু পরস্পরের সাথে মিলিত হতে পারছে না। দূরে তাকালে মনে হয় দুটো লাইন একসাথে মিলে গেছে কিন্তু সেটা তো দৃষ্টিভ্রম। ভৌতবিজ্ঞানে দুটি সমান্তরাল লাইনের অনন্তে মিলিত হবার কথা মনে পড়ে গেল।
ট্রেন একটার পর একটা স্টেশন পেরিয়ে যাচ্ছে। এক মিনিটের স্টপেজ হয় লোকাল ট্রেনে। আজ তেমন ভিড় না থাকায় স্টেশনগুলোকে পুরো দেখা যাচ্ছে। অন্যদিন এত মানুষের ভিড় থাকে যে মানুষের কালো মাথা, ট্রেনে চড়া আর নামার হুড়োহুড়ি ছাড়া আর কিছু নজরে পড়ে না। অনেক লোকই ট্রেন কোন স্টেশনে থামবে বা গ্যালপিং ট্রেন কিনা জিজ্ঞাসা করতে ড্রাইভার কেবিনে উঁকি দিচ্ছে আর দৌড়ে কামরায় উঠতে যাচ্ছে।
টিটাগড় স্টেশন থেকে ব্যারাকপুর প্রায় আট-ন’ মিনিট লাগে। স্টেশন ছেড়ে মিনিট খানেক যেতেই দেখা গেল বহু দূরে গোলাপি বিন্দুর মতো কিছু যেন লাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছে। এত দূর থেকে আমাদের দিকে আসছে, না আমাদের থেকে দূরে যাচ্ছে বোঝা যায় না। আকাশে কালচে মেঘ সকালের সূর্যকে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছে। সূর্য ঢাকা পড়ায় হঠাৎ যেন ঠান্ডাটা বেশি লাগতে শুরু করলো। আমি মাফলারটা গলায় ভালো করে জড়িয়ে নিলাম।
দীপক হর্ন দেওয়া শুরু করলো। তীব্র হর্নের শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যাবার জোগাড়। ট্রেন প্রায় তিরিশ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে। দূরের বিন্দুটি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। বোঝা গেল গোলাপি সালোয়ার আর কালো কামিজ পরা একটি মেয়ে ট্রেনের দিকে পিছন ফিরে লাইন দিয়ে দৌড়োচ্ছে। ঠিক এমনি একটা ড্রেস রত্না খুব পরতে ভালোবাসত। প্রায়ই পরত ওটা। গোলাপি সালোয়ার, কালো কামিজ আর সাদা ওড়না পরা খোলা চুলের ফুটফুটে সাদা রত্নাকে দেখে আমরা দীপককে সত্যিই হিংসে করতাম।
“সুইসাইড করতে চাইছে মেয়েটা, বুঝলি।" দীপক আমার দিকে না তাকিয়ে ট্রেন চালাতে চালাতে বলল।
“না, না, তুই আরো হর্ন মার। বার বার মার। ও নিশ্চয়ই লাইনের পাশে নেমে যাবে।” আমি উত্তেজিত হয়ে বলি। উত্তেজনায় আমার বুক ধড়াস ধড়াস করতে শুরু হয়েছে। বুকের ভিতরের ড্রাম পেটার আওয়াজটা আমি যেন স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি।
“দীপক, ট্রেন থামা। ব্রেক মার। নাহলে ও চাপা পড়ে যাবে।” আমি চিৎকার করে বলে উঠি।
মেয়েটা প্রায় একশো মিটার দূরে। লাইন দিয়ে দৌড়োচ্ছে। পিছনে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত এগিয়ে আসছে। হর্নের আওয়াজ ওর কানে পৌঁছোচ্ছে না, এমন হতে পারে না। ও দৌড়ের গতিটা বাড়িয়ে দিয়েছে। দুটি লাইনের মাঝখান দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে দৌড়াচ্ছে। পিছন থেকে দেখে কমবয়সি মেয়েই মনে হয়।। সাদা ওড়নাটা কোমরে বাঁধা।
“দীপক প্লিজ স্টপ দা ট্রেন। আই সে স্টপ দা ট্রেন।”
“লাইনের ওপর দিয়ে হাঁটা অপরাধ। লাইনটা রেলের। ট্রেন চলাচলের লাইনে হাঁটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। আর ও তো মরতে এসেছে। ওকে ওর ইচ্ছা পূরণ হতে দে।” দীপক হাসছে। ও পাগল হয়ে গেছে।
আমি দীপককে ধাক্কা মারলাম।” কি করছিস দীপক। এটা তুই কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার করতে যাচ্ছিস। তুই মেয়েটার ড্রেসটা লক্ষ করেছিস?”
“চুপ করে বস। নাহলে আই উইল কিক ইউ আউট অফ দা রানিং ট্রেন।" দীপকের চোখগুলো যেন জ্বলে উঠল।
“আমি সাডেন ব্রেক দিলে ট্রেন লাইন থেকে ডিরেল হবে। অনেক লোক আঘাত পাবে। কেউ মরেও যেতে পারে। আমি অফিসিয়ালি ট্রেন থামাতে পারি না।” দীপক রাগে হিসহিস করে বলল।
“তুই মানবিকতা হারিয়েছিস দীপক। ঠান্ডা মাথায় মার্ডার করতে যাচ্ছিস। একটা মেয়েকে বাঁচা ভাই। জাস্ট স্টপ দা ট্রেন।”
মেয়েটার প্রায় পঞ্চাশ ফুট পেছনে ট্রেনরূপী মৃত্যুদূত ধীরগতিতে এগিয়ে আসছে। আমি দরজা দিয়ে জোর করে মাথা বাড়িয়ে চিৎকার করছি “সরে যান, সরে যান।”
"সরল না তো। ওর ভাগ্যে আজ মৃত্যু নাচছে। রত্না আমাকে যেদিন ছেড়ে চলে গেল, আমিও এমনি লাইনে মরতে এসেছিলাম। কিন্তু পারিনি। আমার সাহস হয়নি শেষ পর্যন্ত।” দীপক হা হা করে হাসছে। ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
ট্রেন চলল তার আইনি বৈধ পথ দিয়ে, সেখানে কারুর চলে আসা মানেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী। আর বেআইনি জিনিস সরকার বরদাস্ত করে না।
আমি চোখ বন্ধ করলাম।
(পরবাস-৮৫, ১০ জানুয়ারি, ২০২২)