ড. রতনলাল ব্রহ্মচারী (১৯৩২-২০১৮) ছিলেন সেই বিরল ব্যক্তিত্বদের একজন যিনি সাধারণভাবে উৎসাহী ছিলেন প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনে আর সেই কারণেই তাঁর অবাধ বিচরণ ছিল বিজ্ঞানের নানা শাখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি এস সি পড়বার সময় তিনি পদার্থবিদ্যার দিগপুরুষ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর স্নেহচ্ছায়ায় আসেন। দুর্ভাগ্যবশত, এম এস সি পড়তে শুরু করবার আগেই দেশভাগের ফলে তিনি সপরিবারে ভারতে চলে আসতে বাধ্য হন। ফলে, একদিকে বিঘ্নিত হয় ড. ব্রহ্মচারীর উচ্চ শিক্ষার সম্ভাবনা ও অন্যদিকে তাঁদের সইতে হয় তীব্র আর্থিক সমস্যা। অধ্যাপক বসু তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ওঁর সঙ্গে কিছুদিন গবেষণা করবার পর অধ্যাপক বসুর আনুকূল্যে তীক্ষ্ণধী ও প্রবল পরিশ্রমী ঐ তরুণ তিন বছর জার্মানীতে গবেষণা করতে যান। সেই সময়, উনি পদার্থবিদ্যায় বেশ কয়েকটি গবেষণা-পত্র প্রকাশ করেন। দেশে ফেরবার পর অধ্যাপক বসুরই ব্যবস্থায় তাঁর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিট্যুট-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশের সঙ্গে পরিচয় হয়। নবীন গবেষকটির বিজ্ঞান-বিষয়ক গভীর চিন্তাভাবনায় মুগ্ধ হয়ে অধ্যাপক মহলানবীশ তাঁকে সুযোগ দিলেন সেখানকার জীববিদ্যা বিভাগে নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে গবেষণা করবার জন্য। এভাবেই ১৯৫৭ সালে ড. ব্রহ্মচারীর যাত্রা শুরু হল জীববিদ্যায় সফল গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার।
জীববিদ্যার নানা শাখায় তাঁর অপার উৎসাহের প্রমাণ রয়েছে ড. ব্রহ্মচারীর প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলির বিষয়-বৈচিত্র্যে। ভ্রূণতত্ত্ব ছিল ড. ব্রহ্মচারীর অন্যতম প্রিয় বিষয়। ভূমধ্যসাগরীয় অমেরুদণ্ডী প্রাণীর ভ্রূণের বিকাশ বিষয়ে গবেষণার সময় তিনি ইওরোপের বিভিন্ন মেরিন বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে, জন্তুদের আচার ব্যবহার পর্যবেক্ষণেও ড. ব্রহ্মচারী বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। সত্তরের দশকে একাধিকবার আফ্রিকা সফরের সময় সেখানকার ‘পাহাড়ি গরিলার’ খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে তিনি গবেষণা করেছেন। অবশ্য, ড. ব্রহ্মচারীর আফ্রিকা সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সিংহ নিয়ে গবেষণা কারণ ওঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল বাঘ-সিংহ-জাতীয় প্রাণীর আচরণ পর্যবেক্ষণে। ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বর্ন ফ্রি’ চলচ্চিত্রটির কল্যাণে আমরা ‘এলসা’ নামের সিংহী ও তার পালক-পিতামাতা জর্জ ও জয় অ্যাডামসনদের নাম ও কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। এই দম্পতি ছিলেন ড. ব্রহ্মচারীর বন্ধু ও অনেকবার আফ্রিকায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে সিংহের আচার-আচরণ নিয়ে উনি গবেষণা করেছেন। মনে পড়ে, ছাত্রাবস্থায় খবরের কাগজে সেইসব খবর আমরা খুব কৌতূহল নিয়ে পড়তাম।
১৯৮০ সাল নাগাদ ড. ব্রহ্মচারী আগ্রহী হন প্রাণীজগতে ‘ফেরোমন’-এর ভূমিকা নিয়ে। ‘ফেরোমন’ বলতে বোঝায় কোনো প্রাণীর দেহ-নিঃসৃত রাসায়নিক যৌগ যা তার দেহের বাইরে কাজ ক’রে সেই প্রজাতির অন্য প্রাণীর আচার-ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কীট-পতঙ্গ থেকে শুরু করে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে ‘ফেরোমন’ ব্যবহার করে; যেমন, বিপদসংকেত জানাতে, খাদ্যের পথ-নির্দেশক হিসেবে, প্রজননের জন্য, নিজের নিজের এলাকা চিহ্নিত করবার জন্য ইত্যাদি। বাঘ যে নিজের এলাকা চিহ্নিত করবার জন্য বিশেষ গন্ধযুক্ত, প্রস্রাবের মতো এক তরল (মার্কিং ফ্লুইড) গাছপালা ইত্যাদির ওপর ছিটিয়ে দেয় সেই ঘটনা যে-সমস্ত বিজ্ঞানীরা প্রথম লক্ষ্য করেন ড. ব্রহ্মচারী ছিলেন তাঁদের একজন। প্রতিটি প্রাণীর – এক্ষেত্রে বাঘের - দেহ-নিঃসৃত এই তরল সেই প্রাণীটির নিজস্ব পরিচিতি বহন করে। বাঘের ‘ফেরোমন’ নিয়ে গবেষণার জন্য ড. ব্রহ্মচারী মধ্যপ্রদেশ থেকে লেপার্ড-এর বাচ্চা এনে কলকাতার শহরতলীতে এক ছোট প্রাণী-উদ্যানে রাখেন। সেই সময়ও খবরের কাগজে ওঁর এই অভিনব আগ্রহ নিয়ে লেখালেখি হয়।
১৯৮১ সালে আমি যখন এম এস সি পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করছি ও নানাজায়গায় খোঁজখবর করছি পি এইচ ডি করবার জন্য, একদিন অদম্য উৎসাহ নিয়ে এক বন্ধুকে সঙ্গী করে ড. ব্রহ্মচারীর কাছে পি এইচ ডি করবার আবেদন নিয়ে দেখা করতে চলে গেলাম। আমার আবেদন শুনে কোনো ভণিতা ছাড়া প্রথমেই উনি বলে দিয়েছিলেন যে কোনো ছাত্রকে উনি পি এইচ ডি করাবেন না – ওঁর ভয় হল যে ‘মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমাকে দিয়ে যে সে থিসিসটি লিখিয়ে নেবে না, তার নিশ্চয়তা কী?’ সদ্য নকশাল আন্দোলনের ঝড় সামলে ওঠা পশ্চিমবঙ্গের কোন শিক্ষাবিদের এহেন দুশ্চিন্তা হ’লে তা নিয়ে পরিহাস করা কঠিন ছিল। আমি তখন অন্তত ওঁর সঙ্গে কিছুদিন শুধুমাত্র অভিজ্ঞতা লাভের জন্য গবেষণা করতে চাইলাম ও উনি তাতে রাজি হ’লেন।
ড. ব্রহ্মচারীর ল্যাবরেটরিতে কিছু কিছু গবেষণাপত্র পড়া ও কয়েকটি ‘পরীক্ষা পদ্ধতি’ শেখা দিয়ে আমার গবেষণা জীবনের হাতেখড়ি হ’ল। সেই সময় একদিন উনি বলেছিলেন যে পশুশালায় বাঘের খাঁচার কাছে গেলে আমরা যে একটা বোঁটকা গন্ধ পাই সেটি হ’ল বাঘের ঐ মার্কিং ফ্লুইড-এর পুরনো অবস্থার গন্ধ কিন্তু টাটকা অবস্থায় তাতে বাসমতী চালের গন্ধ থাকে। তখন, বাঘের ‘ফেরোমন’-এর ওপর গবেষণা ছাড়া আরেকটি বিষয় নিয়ে ড. ব্রহ্মচারী ভাবনাচিন্তা করছিলেন। জন্তু-জানোয়াররা যে তাদের নিজের ক্ষতস্থান বারবার চাটে তা দেখে ড. ব্রহ্মচারী স্থির করেন যে তাদের থুতুতে যে সমস্ত প্রোটিন থাকে তার মধ্যে কোনো-কোনোটির ক্ষত সারানোর ক্ষমতা আছে কিনা তা উনি পরীক্ষা করে দেখবেন। সেই কাজের জন্য প্রয়োজন থুতুতে বর্তমান প্রোটিনগুলোকে আলাদা করা। শুরুতে, আমরা নিজেদের থুতু নিয়েই ক্রোমাটোগ্রাফি করে প্রোটিনগুলো আলাদা করবার চেষ্টা করছিলাম। একদিন একটি মজার ব্যাপার হল। পায়ের পাতায় সামান্য কেটে যাওয়ায় সেদিন আমি সেই ক্ষতে ব্যান্ড-এইড লাগিয়ে ল্যাবরেটরিতে গিয়েছি ও সেদিকে নজর পড়তে ড. ব্রহ্মচারী জানতে চাইলেন পায়ে কী হয়েছে। যেই বলেছি যে কেটে গিয়েছে উনি রীতিমতো গম্ভীর মুখে এক অননুকরণীয় ভঙ্গীতে বলে উঠলেন ‘চাটো, চাটো’! মুহূর্তে আমি নিজের সেই সম্ভাব্য মূর্তিটি কল্পনা করে হতভম্ব হয়ে কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থেকে তাড়াতাড়ি ওঁর সামনে থেকে পালিয়ে বাঁচলাম! আসলে, ড. ব্রহ্মচারীর আচরণে-কথাবার্তায় একরকম সারল্য ছিল। মনে আছে, একদিন ওঁর এক সহকর্মীর স্ত্রী রান্না করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছেন খবর পেয়ে উনি খুব বিমর্ষ ছিলেন। হঠাৎ আমাকে বললেন, ‘চা খেয়োনা। ভাত-ডাল রাঁধতে তো আগুনের কাছে যেতেই হবে। বিপদের সম্ভাবনা যতোটা কমানো যায়!’
যাহোক, এর অল্প সময়ের মধ্যে আমার রেজাল্ট বেরলো ও পোস্ট এম এস সি-তে ভর্তি হবার সুযোগ পেলাম বলে সেই পর্বে আমার গবেষণার সমাপ্তি হ’ল। যথাকালে, ড. ব্রহ্মচারী, ড. জ্যোতির্ময় দত্ত (বোস ইন্সটিট্যুট) ও ড. মৌসুমী পোদ্দার সরকার (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) বাঘের এই মার্কিং ফ্লুইড-এর রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে দেখেন যে তাতে যে 2-acetyl-1-pyroline (2AP) নামের যৌগটি থাকে তা হ’ল ঐ বিশেষ গন্ধের উৎস ও সেই একই যৌগ বাসমতীর মতো সুগন্ধি চালেও থাকে। এই বাঘ নিয়ে গবেষণার কাজে ড. ব্রহ্মচারীকে বারবার নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অবশেষে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আনুকূল্যে তিনি ও তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা সেই গবেষণাটি সম্পূর্ণ করতে সমর্থ হন।
এই মার্কিং ফ্লুইড নিয়ে গবেষণায় ড. ব্রহ্মচারীর পর্যবেক্ষণ যে শুধু বাঘ নিয়ে ছিল তাই নয়। তিনি সিংহ, চিতা, লেপার্ড ইত্যাদি নানা প্রাণীর এই মার্কিং ফ্লুইড ছিটিয়ে দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বিশদ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। আবার, এই ব্যাপারে এই সব প্রাণীদের স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে এবং বন্য ও আবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে আচরণের পার্থক্যও উনি সমান উৎসাহে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
সারাজীবন ড. ব্রহ্মচারী জীববিদ্যা বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন। তাঁর গবেষণায় একদিকে যেমন ছিল পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অন্যদিকে তেমন ছিল অত্যাধুনিক নিরীক্ষণ-পদ্ধতির প্রয়োগে জীবজগতের নানা অজানা তথ্যের আবরণ উন্মোচনের প্রচেষ্টা। তাই, ওঁর প্রকাশিত গবেষণা-পত্রের বিষয়-বৈচিত্র্য ও গবেষণার গভীরতা এককথায় বিস্ময়কর।
আমি যখন মুম্বাইয়ের টি আই এফ আর-এ কর্মরত, ড. ব্রহ্মচারী কয়েকবার সেখানে আসেন। সমুদ্রের ধারে বিশাল বাগানের মধ্যে ছবির মতো আমাদের ইন্সটিট্যুট, যেখানে গবেষণার অগাধ সুযোগ ইত্যাদি দেখে উনি শিশুর মতো হেসে আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি তো তপস্যা করবার সুযোগ পেয়েছ হে!’ দ্বিতীয়বার যখন এলেন, উনি এক অতীব চমৎকার বক্তৃতা দিয়েছিলেন। ভ্রূণের বিকাশ বিষয়ে বলতে গিয়ে উনি কোষ-বিভাজনের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা বর্ণনা করছিলেন। ‘স্টেশনারি ফেজ’-এ কোষটিতে যে বিভাজন-সংক্রান্ত কোনো অগ্রগতি হয়না ও তাকে যেন কেউ থামতে বলেছে এমনটি বোঝাতে উনি একটি পা মাটি থেকে তুলে ও হাত দু’টি অনুভূমিক ক’রে বলে ওঠেন ‘তিষ্ঠ’! লেকচার হল-এ উপস্থিত সকলে এই ভঙ্গী দেখে একটু অবাক হলেন বটে কিন্তু নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে বিজ্ঞান বিষয়ে ওঁর মতো অমন প্রাণবন্ত আলোচনা করার ক্ষমতা খুব বেশী বিজ্ঞানীর থাকেনা। সেদিন উনি বাঘের ‘ফেরোমন’-এ ও বাসমতী চালের সুগন্ধে যে একই যৌগ থাকে সেই আবিষ্কারের আলোচনাও করেছিলেন। অনুষ্ঠান-শেষে শেষোক্ত বিষয়ে সহ-গবেষকদের সঙ্গে ওঁর বাংলায় লেখা একটি পাতলা বই উনি আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। বইটি এখন হাতের কাছে নেই কিন্তু মনে আছে যে তাতে উনি মুগডাল গরম করলে তাতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে যে একটি সুগন্ধি যৌগ তৈরী হয় তার পরিচয় দিয়েছিলেন।
ড. ব্রহ্মচারী সম্বন্ধে যেখানে যা লেখা প্রকাশিত হয়েছে তাতে দু’টি বিষয়ের উল্লেখ থাকে - এক হ’ল বিজ্ঞান-সাধনা ছিল ওঁর ধ্যান-জ্ঞান আর দুই হ’ল ওঁর অতীব সরল জীবনযাত্রার কথা। অবাক লাগে যখন পড়ি যে গবেষণার জন্য ওঁর চোদ্দবার আফ্রিকা সফরের সম্পূর্ণ খরচ উনি নিজে বহন করেছিলেন। গবেষণা-পত্র প্রকাশ করা ছাড়া জীবজন্তুর আচরণ-বিধি ও তাদের সংরক্ষণের ওপর তাঁর গবেষক জীবনের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে ড. ব্রহ্মচারী ইংরেজি ও বাংলায় বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন। বাংলায় বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯২ সালে উনি রবীন্দ্র পুরস্কার পান। অন্যদিকে, ২০০৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওঁকে D. Sc. প্রদান করা হয়।
ড. ব্রহ্মচারীর সংস্পর্শে যাঁরাই এসেছেন তাঁরা নির্দ্বিধায় উল্লেখ করবেন যে বিজ্ঞান গবেষণায় উনি নিজে যে শুধু নিবেদিত-প্রাণ ছিলেন তাই নয়, অন্য অনেককে উনি সেই বিষয়ে উদ্দীপিত করেছেন ওঁর সহজ অথচ প্রাণবন্ত বিজ্ঞান-আলোচনার মাধ্যমে। ছাত্রছাত্রীদের ছোট থেকেই বিজ্ঞান-মনস্ক করার জন্য ড. ব্রহ্মচারী সায়েন্স ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ড. ব্রহ্মচারী যে শুধু বিজ্ঞান সাধনায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন তাই নয়, চিকিৎসা-বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য মরণোত্তর দেহদানও করে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞানের পূজারী, প্রচারবিমুখ এই বিরল ব্যক্তিত্বের উত্তরাধিকার হয়ে রইল তাঁর গবেষণা-লব্ধ ফলাফল ও তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত কিছু নবীন ও প্রবীণ বিজ্ঞানী।
অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Ratan_Lal_Brahmachary
Dr Silanjan Bhattacharya (http://www.sanctuaryasia.com/people/in-remembrance/10796-prof-ratan-lal-brahmachary.html)
(পরবাস-৭৫, ৩০ জুন ২০১৯)