Click below to read comments on other sections:
|
Feedbacks on Ketaki Kushari Dyson's and Sandhya Bhattacharya's memoirs
Feedback on Bhaswati Ghosh's translation in Shakti Chattopadhyay Section
নিরুপম চক্রবর্তীর দু'টি কবিতা
নিরুপম বাবুর কবিতা লেখার একটা বিশেষ ভাষা ও ভঙ্গি আছে. ভাষা চিনে নেওয়া সহজ--গুরুচণ্ডালি. কিন্তু ভঙ্গি খুঁজে নেওয়া ততো সহজ নয়. অর্থবহতা খুঁজতেও মাঝে-মাঝে মাথা চুলকোতে হয়. রেফারেন্স- গুলো চটপট চলে আসে--যেমন প্রথম কবিতায় 'বিনোদিনীর' থেটার, ডিরোজিও, বিদ্যেসাগর ইত্যাদি। কিন্তু সবের শেষে জেগে থাকে এক উচ্চ হাসি. রবীন্দ্রনাথ 'শেষের কবিতা'-য় যা বলেছেন 'হাই-ক্লাস'। এক উচ্চকিত হাসি - যা নিরুপম-বাবুর পদ্য এবং গদ্য দুটোতেই সমানভাবে বিদ্যমান. একেবারে 'হাই -ক্লাস'!
রাহুল রায় (মে ২০১৮; ba...@bu...)
এখনকার আন্তর্জালে লেখালেখির ওপরে
প্রায় দুই দশক আগে পরবাসের জন্ম। কিন্তু বাণিজ্যিক বাংলা সাহিত্য এই সবে প্রিন্ট মাধ্যমের রক্ষণশীলতার বাইরে বেরিয়ে ওয়েব ওয়ার্ল্ডে টলোমলো পা রাখছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ওয়েবে বাংলা সাহিত্যর বিস্তৃতি ও মূল্যায়ন যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন বাংলা সাহিত্যের বর্ষাকাল। ব্যাঙের ছাতার মত অগুন্তি গ্রুপ, স্কুল ম্যাগাজিনে ছাপা যায়না এমন সব জঘন্য লেখা, নির্বিচার বানান ভুল, র ড়’র আদ্যশ্রাদ্ধ, তাও লোকে পড়ে... ভাল এন্টারটেনমেন্ট... টাইম পাস হিন্দি সিনেমার মত। অধিকাংশ পোস্টদাতাই মনে করেন বিমূর্ততার অছিলা করে কিছু পরষ্পর সম্পর্কহীন অক্ষর সাজিয়ে দিলেই কবিতা দাঁড়িয়ে যায়, অর্থোদ্ধারের দায় পাঠকের। গদ্য লিখতে গেলে অবশ্য ফাঁকিবাজিটা ধরা পড়ে যায়। দুই একজন নতুন কবি-লেখক মন দিয়ে লেখেন না এমন নয়। ব্যস, ওই পর্যন্তই। তারাও প্রতিষ্ঠা পেলে আর লিখবেন না। আসলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।
সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য গল্পসাহিত্যর একটা ফরম্যাটকে বিস্তর জনপ্রিয় করে তুলেছে, সেটা হল অণুগল্প। এই প্রসঙ্গে অণুগল্প নিয়ে ক’টা কথা বলি। বিশেষজ্ঞদের মতে একখানা সিগারেটের জ্বলে ফিল্টার পর্যন্ত পৌঁছনর আগেই অণুগল্পর ফুরিয়ে যাওয়া উচিত। মানে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যস্ত পাঠকের মেধা ও স্মৃতির ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি না হওয়াই ভাল। কেবল মাত্র দৈর্ঘে ছোটো হলেই কি সেই গল্পকে অণুগল্প বলা যায়? একখানা ছোটো গল্পকে নটে গাছের মত মুড়িয়ে আড়াই তিনশো শব্দর মধ্যে এনে ফেলতে পারলেই, অণুগল্প রেডি? এই ভুলটা প্রায়শই ঘটতে দেখি। বিন্দুতে সিন্ধু দেখার আয়োজন না থাকলে কোনো গল্পই অণুগল্প হয়ে ওঠে না। তাছাড়া আর যে গুণগুলি অণুগল্পকে বিশিষ্ট করে সেগুলি হলঃ
১) অণুগল্পর লেখককে নির্দয় হতে হয়, আঁতিপাঁতি করে খুঁজলেও যেন গল্পে প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি শব্দ পাওয়া না যায়।
২) ঘটন-অঘটন সর্বদাই গল্পকে মূল স্রোতের অভিমুখে ঠেলে দেবে।
৩) গল্প হবে মেদহীন। পাঠক পড়ার সময় ক্লান্তি বোধ করবেন না। বরং শেষটুকু জানার জন্য অস্থির এবং উদগ্রীব হয়ে থাকবেন।
৪) যুক্তিগ্রাহ্যতা অণুগল্পের একটি বিশেষ গুণ।
৫) শেষের ট্যুইস্টটি জরুরী, কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে অনিবার্য পরিসমাপ্তি বাকি থেকে যায়। যেমন গল্পের শেষে রাজপুত্র রাজকন্যার মিল হয়ে যাবার পরও বলতে হয় – তারা অনন্তকাল সুখে শান্তিতে ঘরকন্না করতে থাকল।
আর একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হল আর্কাইভিং, যা পরবাস সুষ্ঠু এবং নিয়মিতভাবে করে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্কাইভিং কার্যত অসম্ভব। ইচ্ছে হলেই লেখা দেওয়াল থেকে মুছে দেওয়া যায়। তাই জনগণ যথেচ্ছ লেখেন। কোনটা “মন ছুঁয়ে যায়”, কোনোটা গালি খায়। কিন্তু সবই তাৎক্ষণিক। তাই লেখার নির্মাণ নিয়ে বেশি ভাবনার অবসর নেই। এটা একটা বড় সমস্যা। ফর একজাম্পল, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহিত্যিক মাল্টি থ্রেড গল্পর আলোচনা শুরু করলে পালটি খাবেন। থ্রেড হ্যান্ডলিং-এর রকমফেরের কথা ছেড়েই দিলাম। অ্যাবস্ট্রাকসান কী বস্তু জিজ্ঞেস করলে হাঁ করে থাকবেন। ম্যাজিক রিয়ালিটি ইত্যাদির কথা তুললে পাতি ভ্যানিস হয়ে যাবেন।
এঁরা কাফকা ক্লাবের মেম্বারশিপ নেবেন কিন্তু জগদীশ গুপ্ত, সতীনাথ ভাদুড়ী রমেশ সেনের গল্প খুঁজে পড়বেন না। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার পর্যায়-বিভাজন নিয়ে কথা উঠলে দরজা খুলে দৌড় দেবেন। রবি ঠাকুরের পর সোজা শক্তি-সুনীল, জয় গোঁসাই। বড়জোর জীবনানন্দ। এমন নয় যে ওয়েবজিনের লেখকরা অত্যন্ত সৎ এবং সতর্ক। তাঁরাও আধুনিক সমাজেই বাস করেন। কী লিখব, কীভাবে লিখব, কতখানি লিখব আর কতটা পাঠকের জন্যে ছেড়ে রাখব সেটা শেখার জিনিষ। লেখক পাঠক দুজনে মিলে একটা গল্প গড়ে তোলেন। লেখক সজ্ঞানে পাঠক অজান্তে। অন্য এক্সট্রিমটা আরো মারাত্মক। বিনির্মাণ ও নিরীক্ষার নামে একদল সবজান্তা লেখক কবি যথেচ্ছাচার করছেন। ওয়েবে সেগুলোরও দর্শন পাওয়া যায়। গালি-গালাজ যৌনগন্ধী শব্দ ব্যবহার করে পাঠককে চমকে দিতে চাইছেন। শক থেরাপি আর কী! ভাষা নিয়ে আমার শুচিবায়ু নেই। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া অপশব্দ প্রয়োগে যথেষ্ট আপত্তি আছে।
মানুষের ধৈর্য কমছে। মানুষ সাহিত্য পড়ছে কম। ধর্ম আর রাজনীতির ইস্তাহার পড়ছে বেশি। আমরা একটা অশান্ত হিংস্র সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সুস্থ সাহিত্য মানুষকে নিরাময় করুক, সে সহিষ্ণু হোক। ছেলে মেয়েরা প্রেমে পড়ুক, বুড়োরা রসিক হোক। সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুত্বর প্ল্যাটফর্ম। লেখালেখি সংযোগ বাড়াক, বন্ধুত্ব বাড়াক। আমি তার সাহিত্যমূল্য বিচার করার কে? সে দায়িত্ব না’হয় ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাকুক। আমার এই চিঠি শুধুমাত্র মানুষের ঘুমিয়ে থাকা সুকুমার বৃত্তিকে নাড়া দিয়ে জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টা। মানুষ বেশি করে সাহিত্য পড়লে সব কিছু অন্যরকম হয়ে যাবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই যদিও, ছাদে ফুলগাছ লাগালেও সেটা সম্ভব। সোজা কথায় মনের প্রসার দরকার। যদি কোনো জাদু করে সেটা করা যেত!
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (মে ২০১৮; smuk...@gmai...)
আপনাদের চিঠিপত্র বিভাগে শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের লেখাটা পড়ে এত ভাল লাগল যে আমার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার না করে পারলাম না। এমন সময়োচিত ও সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য ওঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। যদি এই লেখার ব্যাপারে কোন রেটিং দেওয়ার ব্যবস্থা থাকত তাহলে আমি ওঁকে দশে দশ দিতাম।
আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল পরবাসের ফুল টিমের জন্য।
রূপা মন্ডল (মে ২০১৮; rupa.mond...@gmai...)
সাম্য দত্তর ঐতিহাসিক গল্প কাকামণি
ভালো লাগল। বিশেষ করে গল্পের ভেতর গল্পটাকে লুকিয়ে রাখার জন্য।
চিরন্তন কুন্ডু (মে ২০১৮; cku..@gmai...)
মলয় সরকার-এর গল্প ফ্যান
মলয় সরকারের লেখা "ফ্যান" গল্পটি বেশ ভালো লাগলো। স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে সামান্য শখ পূরণের স্বপ্নও কখনো কখনো যেন গলার কাঁটা হয়ে যায়। তবু তারা স্বপ্ন দেখে... সুদিন আসবে নিশ্চয়ই। আর সেই স্বপ্ন নিয়েই তাদের বেঁচে থাকা সমস্ত প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে। যা জীবনের কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়।
রূপা মন্ডল (মে ২০১৮; rupa.mond...@gmai...)
ঐশী রায়ের ঐতিহাসিক গল্প বিজয়া
অগ্নিযুগের কাহিনী তুলে আনার জন্য লেখিকাকে ধন্যবাদ। তাঁর কলম ইতিহাসের প্রণম্য চরিত্রদের জীবন্ত করে তুলেছে। একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য হল - মাস্টারদা নিজেও নাগারখানা পাহাড়ের যুদ্ধে পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অনন্ত সিংহ তাঁর 'অগ্নিগর্ভ চট্টগ্রাম' বইয়ে এ কথা জানিয়েছেন।
চিরন্তন কুন্ডু (এপ্রিল ২০১৮; cku..@gmai...)
মুরাদুল ইসলামের গল্প তকদির
মুরাদুল ইসলামের গল্প পাঠ একটা অন্য ধরনের এক্সপেরিয়েন্স। গল্প বলার ভঙ্গি স্বকীয়। ওনার গল্প পরবাসে আগে পড়েছি, মনে হয়েছে কতকটা Kafkaesque। কিন্তু এই গল্পটির অবয়ব দেখে মনে হল উনি গল্প বলার স্টাইল-এর ওপর আরও কাজ করছেন। লম্বা বাক্য, ছেদ চিহ্নর বিকল্প প্রয়োগ গল্পের গঠনে নতুনত্ব এনেছে। গল্প শেষ হবার পর মনে হয় গল্পের মূল বক্তব্যটি যতটুকু সরাসরি বলা হয়েছে তাছাড়াও অন্য এবং বেশি কিছু। গল্পটি কি বলতে চাইল আমাদের মানবিক বোধগুলিকে সমাজ গলা টিপে মারছে? জানি না। কী কন্টেক্সটে লেখক গল্পটি স্থাপন করেছেন তার ওপর নির্ভর করে। তবে মনে হল গল্পের মূল চরিত্রটি আসলে একটি রূপক।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৮; smuk...@gmai...)
দিবাকর ভট্টাচার্যের গল্প অকম্মা
অসাধারণ লেখা। যাদু বাস্তবের সঙ্গে ঠিক কতখানি ভালবাসা মেশালে চোখে জল আসে, দিবাকর ভট্টাচার্য্য মশায় যথার্থ জানতেন। আধুনিক পরিকাঠামো, বুদ্ধিদীপ্ত মিতকথন... তীরের ফলার মত তীক্ষ্ণ গল্পটি বুকের মধ্যে এসে বিঁধে যায়।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৮; smuk...@gmai...)
পরবাস অনলাইন ম্যাগাজিনের লেখাগুলি বরাবরই খুব উন্নত মানের হয়। তবে এবারে পরবাস ৭০-এ দিবাকর ভট্টাচার্যের লেখা "অকম্মা" বেশ ভালো লেগেছে। গল্পটি পড়তে পড়তে একটি বাড়ির ছবি বার বার ভেসে উঠছিলো মনে, লেখকের বর্ণনা এখানেই সঠিক।
রূপা (এপ্রিল ২০১৮; rupa.mondal.we...@gma...)
দেবাশিস দাসের গল্প বাঁশির করুণ ডাক বেয়ে
দেবাশিস দাস নতুন লিখছেন। তাঁর লেখার হাতটি ভালো। পরবাস ৭০ এ তাঁর গল্পটি বেশ লাগলো। বোস্টনের বদলে বস্টন লিখলেই কি একটু ভালো হতো না? সম্পাদক মশাই কী বলেন?
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৮; nchakr...@gmai...)
বোস্টনের বদলে বস্টন লিখলেই কি একটু ভালো হতো (হোত?) কিনা সে-ব্যাপারে সম্পাদকের বিশেষ কোনো মতামত নেই। বিশেষ করে বিদেশী শব্দের বানান কাদের উচ্চারণ অনুযায়ী হওয়া উচিত সেটা পরিষ্কার নয়। এই সুযোগে একটা ব্যক্তিগত অনুযোগ জানিয়ে রাখি। নিজের অজ্ঞতা-হেতু অনেক বাংলা লেখায় বিদেশী লেখকদের, বিশেষ করে ফরাসি বা স্প্যানিশদের, বাংলায় লেখা নাম দেখে তাঁদের ব্যাপারে আরো একটু জানার আশায় যখন একটু অন্যত্র খোঁজ করতে যাই তখন (যেমন, ফরাসি বা স্প্যানিশ উচ্চারণ অনুযায়ী লেখা, সন্দেহ করি) বাংলা নাম দেখে রোমান হরফে তার বানান যে কী হতে পারে তার আভাস পেতে অসুবিধে হয়! সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে মনে হয় বানানগুলো অতটা খাঁটি বিদেশী উচ্চারণ-অনুযায়ী না হলেই বরং সুবিধে হত। (নামের পাশে বন্ধনীর মধ্যে রোমান হরফে লিখলেও সুবিধে হত।) -- সম্পাদক।
এই গল্পটা আবার সেই চিরন্তন প্রশ্নটাকেই মনের মধ্যে উসকে দিল – ‘সখী, ভালবাসা কারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়?’ ত্যাগ-তিতিক্ষা-অন্তহীন দুঃখের মধ্যেই কি ভালবাসার উত্তরণ? প্রেম-ভালবাসা কোন স্বর্গীয় স্তরে উন্নীত হলে বিচ্ছেদ-ব্যথাতুর একজন মানুষ নিজেকে এক নিঃসীম নিঃসঙ্গতায় আবদ্ধ করে ধীরে ধীরে ক্ষইয়ে ফেলে ৷ হৃদয়ের সিংহাসনে কোনও এক ব্যক্তিবিশেষের অধিষ্ঠান কি চিরকালীন? ‘তোমার আসন শূন্য আজি’৷ এই শূন্য আসনে কি অন্য কাউকে বসানো যায় না কখনই? জীবনের প্রথম প্রেমে (স্বভাবতঃই যা সাধারণত কৈশোরেই ঘটে) আবেগে উদ্বেল এক পাগলকরা ভাললাগা মানুষকে গ্রাস করে৷ সময়ের সাথে সাথে তা যদি সার্থক পরিণতি লাভ করে তার থেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না৷ কিন্তু প্রায়শঃই দেখা যায় প্রেমের ব্যর্থ পরিণতিতে মানুষ নিজেকে একটা খোলসের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলে বাকি জীবনটা একটা স্ব-আরোপিত নির্বাসনে থেকে নিজস্ব ব্যক্তিসত্তাকে ধ্বংস করে ফেলে৷ কিন্তু এটা কেন হয়? মনের গভীরে ঠিক কোন স্তর থেকে উৎসারিত এক বোধের কারণে মানুষ শুধুমাত্র অতীত স্মৃতিকে সম্বল করে চলমান জীবনের পারিপার্শ্বিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখে বাকি জীবনটা চরম উদাসীনতায় কাটিয়ে দেয়৷ হৃদয় চুরির কি এতটাই শাস্তি প্রাপ্য? ভুক্তভোগী এবং মনস্তাত্ত্বিরা হয়তো এর উত্তর দিতে পারবেন ৷ প্রেম তো এক স্বর্গীয় অনুভূতি – চারপাশের জীবনের নানা বর্ণ-গন্ধ-রঙ-রূপ-রস থেকেই তো তা রসদ সংগ্রহ করে৷ অথচ ব্যর্থ প্রেমের পরিণতিতে এই বর্ণময় জীবন এক লহমায় কেমন বর্ণহীন হয়ে যায়! গিবন সমাজ হয়তো পরিত্যক্ত, ব্যর্থ গিবনকে আর সমাজে ফিরিয়ে নেয় না৷ তাই সে নিরুপায়৷ কিন্তু তার মধ্যেও যে জীবনে ফেরার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা বিদ্যমান তা আমরা এই গল্পেই দেখেছি৷ কিন্তু বিবর্তনের ধারায় মানুষ এক উন্নততর জীব৷ মানুষের মস্তিস্কের কাজ-কর্ম, চিন্তাধারা সহজাত প্রবৃত্তির গণ্ডি ছাড়িয়ে হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত ব্যাপ্ত৷ পৃথিবীজোড়া উন্নততর মনুষ্যসমাজ তারই ফলশ্রুতি৷ তবে কেন মনুষ্যসমাজেও এমনটা ঘটে? তবে কি বিচ্ছেদের দূরত্ব এবং তার করুণ পরিণতিই ভালবাসাকে মহান করে? গল্পে-সাহিত্যে এই প্রবণতা আমরা বার বার দেখেছি৷ তবে কি প্রেমের সার্থক পরিণতিতে, প্রাত্যহিকতার গ্লানি লেগে ভালবাসার উজ্জ্বল রঙ ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে? তবে কি ভালবেসে ‘সব পেয়েছির দেশ’-এ পৌঁছনো সম্ভব নয় - ধন্দটা থেকেই গেল!
এবার লেখকের সম্পর্কে দু-একটা কথা না বললেই নয়৷ গল্পের আঙ্গিকে প্রসঙ্গান্তরে যাওয়ার সাবলীলতায় লেখক মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন৷ আমেরিকার বোস্টন থেকে গল্পের নায়িকাকে যে অনায়াস দক্ষতায় তিনি আসামের মরিয়ানির জঙ্গলে এনে ফেলেছেন তাতে গল্পের এক অনবদ্য প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে - কোথাও এটাকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হয়নি৷ মরিয়ানির রেল জনপদের কাছে নায়িকার দাদুর পুরনো বাড়ি এবং তৎসংলগ্ন এলাকার যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তা পাঠক হিসেবে কল্পনায় দেখে নিতে একটুও অসুবিধে হয় না৷ বোস্টননিবাসী হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির স্কলার নায়িকা যখন দাদুর পুরনো ভিটে পরিদর্শনে যাচ্ছেন তখন লেখক তাকে যে সাজে সাজিয়েছেন তা বাঙালিয়ানায় এতটাই সম্পৃক্ত যে এত বছর পরেও বৃদ্ধ খোকনবাবু নায়িকার মধ্যে তার মায়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি কল্পনা করে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন এবং পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ জানান৷ এই গল্পের মর্মে রয়েছে এক অব্যক্ত, অনুচ্চারিত প্রেমের স্মৃতিকে আঁকড়ে প্রিয়জনের আশায় অপেক্ষার প্রহর গোনা এবং শেষ পর্যন্ত ক্ষীণ আশার প্রদীপ দপ্ করে জ্বলে উঠেই নিভে যাওয়া – যা পাঠকের মনকে ব্যথাতুর করে৷ পাঠকের আবার জানতে ইচ্ছে করে – বাঁশির সুর কি শুধুই করুণ, শুধুই বিয়োগান্তক?
মানস মনি মণ্ডল (এপ্রিল ২০১৮, manas_...@yahoo...)
সৌম্যেন ভট্টাচার্য্যর “উদযাপন” ও “হিমশৈল” দুখানা সাংঘাতিক অণুগল্প। উপস্থাপনার নৈপুণ্যে দুটো গল্পই হিমশৈল, যতখানি বলা হয়েছে, না-বলা তার থেকে অনেক বেশি। অবশ্য অনুমানের যথেষ্ট মশলা মজুত। ভাল লাগল।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (এপ্রিল ২০১৮; smukh...@gmai...)
নিরুপম চক্রবর্তীর দু'টি কবিতা
বরাবরের মতোই খুব ভালো। নিরুপমবাবুর লেখায় আবেগ ও মনীষার নিখুঁত মিশ্রণটি বড়ো মোহময়।
অতনু দে (এপ্রিল ২০১৮; mya...@gmai...)
পিউ দাশের গল্প মোরগ
অসামান্য লেখাটি। তীব্র অনুভূতিটা গলার কাছে দলা পাকিয়ে রইলো।
অতনু দে (এপ্রিল ২০১৮; mya...@gmai...)
দীপঙ্কর চৌধুরী, গার্গী চৌধুরী, ও রাজীব চক্রবর্তীর নেয়া সাক্ষাৎকার—অধ্যাপক অমলকুমার মুখোপাধ্যায়
A brilliant work. Although I was a student of Chemistry, I interacted With Prof Mukhopadhyay mostly after I left Presidency. I have read several articles written by him and also heard him on Television on several occasions. On the basis of those experiences, I reject the part of this writing where it has reflected the present attitude of Prof. Mukhopadhyay regarding Marxism and the existence of God.
I suspect that the opinions of the Professor has been oversimplified in the present write-up. It requires a thorough review.
Dinabandhu Bhattacharyya (এপ্রিল ২০১৮; dinu195...@gma...)
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের গল্প বিসর্জন
চমৎকার লেখা। শেষের চমকটা একেবারে নিখুঁত। শীর্ষেন্দু ঘরানার সমাপ্তি।
অতনু দে (এপ্রিল ২০১৮; myat...@gma...)
সুনন্দন চক্রবর্তীর কবিতাগুচ্ছ
চমৎকার লাগলো সুনন্দন চক্রবর্তীর কবিতাগুচ্ছ: রচনাগুলি নিবিড় বিশ্বাসে স্থিত, প্রকাশভঙ্গীর দক্ষতায় উজ্জ্বল।
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৮; nchakr...@gma...)
ভবভূতি ভট্টাচার্যর গ্রন্থ-সমালোচনা
ভবভূতিজীর গ্রন্থ-সমালোচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নানান স্বল্পপরিচিত অথচ অতীব আকর্ষণীয় গ্রন্থের সন্ধান দেওয়া ও তাদের মনোজ্ঞ বিবরণ পরিবেশন। জনাব ভট্টাচার্য পরবাস ৭০এও সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন।
নিরুপম চক্রবর্তী (এপ্রিল ২০১৮; nchakr...@gma...)
(পরবাস-৭০, ৩১ মার্চ - এপ্রিল ২০১৮)