Click below to read comments on other sections:
|
উত্তম বিশ্বাসের 'মড়কের মাছি' গল্পটি পড়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। বুচি, গোপা, সুমিত্রারা যেন একই রূপকের প্রতিভূ। গল্পের প্লট বুননের ক্ষেত্রে মি.বিশ্বাস বেশ চমক ও মুন্সিয়ানার স্বাক্ষর রেখেছেন। আরও এমন গল্প উপহার পাওয়ার আশায় থাকলাম।
মহঃ আজাহারুল ইসলাম (২১শে সেপ্টেম্বর ২০২০; kabita14...@gmail...)
উত্তমবাবুর "মড়কের মাছি" ছোট গল্পটি পড়লাম। সমকালীন বাংলা সাহিত্যে এমন ব্যঞ্জনাধর্মী লেখা খুব একটা চোখে পড়েনি। দোষে গুণে গোবর্ধন চরিত্রটি ভীষণই সময় উপযোগী হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাংলা সাহিত্য যখন ভূত-ভূতুড়েতে ভর্তি হয়ে উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে উত্তমবাবুর লেখাটি নতুন বার্তা দেয় বইকি। এমন লেখা প্রকাশ করার জন্য পরবাসকে ধন্যবাদ জানাই। লেখককে দেবার কিছু নেই, তার কাছ থেকে রয়েছে শুধু পাবার প্রত্যাশা।
ড. রাজীব সরকার (২৫শে জুলাই ২০২০; rajibsarkar...@gmail...)
মৃত্যুদীর্ণ পাণ্ডুর পৃথিবীর বর্ণবৈভবহীন দিকচক্রবালে যেন সাতরঙা রামধনুর বর্ণালী বাহারে এক ছটাক রঙের কোলাজ নিয়ে হাজির হল 'মড়কের মাছি' ছোটগল্পখানি। এই বর্ণহীন ফ্যাকাসে পৃথিবীর মহামড়কের মাঝেও আলোচ্য গল্পখানি যেন শুধু প্রাণের বীজ বপন করে গেল।
ছোটগল্প যদি কখনো নায়ক ও ভিলেনের অস্তিত্বকে স্বীকার করে থাকে তবে আমরা ধরে নিতে পারি, আলোচ্য গল্পে যথাক্রমে এ দুয়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে গোবর্ধন ও সময়। গোবর্ধন প্রকৃত অর্থেই সুদক্ষ ও সুচারু এক জীবনশিল্পী। এই মৃত্যুকীর্ণ মহামারীর মাঝেও জীবনের নব নব নির্মাণে নির্বিকার এক ক্লান্তিহীন কারিগর সে। কিন্তু বড়ই মন্দ ভাগ্য তার! অন্যের অনুর্বরা ক্ষেত্রকে ফুলে-ফসলে ভরিয়ে তুললেও আপনার ছোট্ট উর্বরা ভূমিকে ফলবতী করে তুলতে একেবারেই ব্যর্থকাম হয় বেচারা। তবু তার পথচলা থেমে যায়নি, এখানেই তার যা কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব, যা কিছু ক্ষতবিক্ষত হওয়া; আর এইখানেই সে নায়।
অস্থির সময় পৃথিবীর প্রাণকণাকে কীভাবে শুষে নেয় তারই মূর্তিমান প্রতীক যেন নাদন-মার্কা ষাঁড়টি। তার কাজই হল বকনাদের অতি উর্বর কর্ষিত জরায়ুজ ভূমিতে প্রাণের বীজ নিরন্তর বপন করে চলা। কিন্তু আজকের পৃথিবী বড়ই বন্ধ্যা। তাই গোবর্ধনের বকনা কিম্বা মহাপুঙ্গব ষাঁড় জীবনের মহামিলনের সম্মিলনী সুরের তানে মুখর হতে পারে না। প্রকৃতির স্বতঃস্ফূর্ততাকে বাইরের তাড়নায় সঞ্চালিত করতে গেলেই প্রাণের স্বাভাবিক আনন্দের ছন্দপতন অনিবার্য হয়ে পড়ে, আর সেই সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে উঠেছে গোবর্ধনের বকনা ও ষাঁড়ের কষ্টকল্পিত মিলনের মধ্য দিয়ে। একসময় বাঁধভাঙা অধৈর্যে খেজুরের ছড় দিয়ে বকনাটার পিঠের ওপর ছপাছপ ঘা-কতক বাড়ি কষিয়ে দিয়েও কাঙ্ক্ষিত কোন ফল পায় না গোবর্ধন। কেননা জীবনের সমগ্র কর্ষিত ক্ষেত্রটাই যে আগাছা জঞ্জালে ভরে উঠেছে। গল্পে সুমিত্রার জীবনসাধনা যেন এই আগাছা চাষেরই সাধনা। তাই তো বিগত দুবছর যাবৎ তার স্বামী বিপুল বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও সে পুত্রবতী হয়েছে। সুমিত্রার এহেন সন্তান তথাকথিত সমাজমানসে যে আগাছারই সামিল। আর সেই পরগাছা ফলের মালিক বোধকরি গোবর্ধন! এখানেই এ গল্পের বহুমাত্রিকতা।
জীবন যেন তার স্বাভাবিক গতিতেই নিরবচ্ছিন্ন এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। তাই গোবর্ধন যেমন এই বন্ধ্যা সময়ের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চায়নি তেমনি সুমিত্রাও সুদূর প্রবাসে কর্মরত স্বামী বিপুলের ভরসায় না থেকে জীবনের হাটে দিব্যি বিকিকিনির কাজ করে গেছে। সবলের সামর্থ্যকে সে সঠিক সময়ে লুফে নিতে সক্ষম হয়েছে। চাকভাঙা মধু আহরণকারিণীর ন্যায় গোবর্ধনের পৌরুষত্বে খোঁচা দিয়ে তাকে তাতিয়ে তুলে আপনার কাজটুকুও সঠিক সময়ে হাসিল করে নিয়েছে সে। সুমিত্রার ফুল-ফলহীন কুমড়োর ক্ষেত যেন আসলে বন্ধ্যা সময়েরই প্রতীক, যাকে সুজলা সুফলা করে তোলার দায়িত্ব একমাত্র গোবর্ধনের মত লোকদের উপরই ন্যস্ত থাকে সারাজীবন।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (১২ই জুলাই ২০২০; biswas...@gmail...)
১) আপনি বললেন বর্ণপরিচয় বইতে ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা স্বাক্ষর আছে, কিন্তু আমরা তো ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় দেখি। ২) 'চন্দ' (কর্মকার) পদবীর উৎস বলতে পারেন?
সৌমাল্য চন্দ (১২ই সেপ্টেম্বর ২০২০; Soumalyachand1...@gmai...)
লেখকের উত্তরঃ
প্রথমেই জানাই 'বর্ণপরিচয়ে' বিদ্যাসাগর 'শর্ম্মা' স্বাক্ষর করেছেন, 'বন্দ্যোপাধ্যায়' নয়।
'চন্দ' পদবি প্রধানত কায়স্থদের মধ্যেই প্রচলিত। তবে কর্মকার, গন্ধবণিক, তন্তুবায়, বৈশ্যকপালী, মালী, মোদক, সূত্রধর, সুবর্ণবণিক, নমঃশূদ্র জাতির মধ্যেও এর প্রচলন আছে। নীহার রঞ্জন রায় 'বাঙালির ইতিহাসে' জানিয়েছেন বৌদ্ধধর্মের অবক্ষয়ের পরে বাংলায় বহু মানুষ পুরানো ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিতে ফিরে আসেন এবং তাঁদের নামের শেষ অংশকে পদবি হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। দত্ত পাল ভদ্র মিত্র রুদ্র ইত্যাদির মতো চন্দ এবং চন্দ্র উপাধি এভাবেই এসেছে।
জীবন বয়ে চলে। ফেলে রেখে যায় স্মৃতি। সময়ের সাথে সাথে সব স্মৃতি ফিকে হয়ে যায় না। মনের কুঠুরিতে কোনো কোনো স্মৃতি থেকে যায় চির অমলিন। লেখাটা মন ছুঁয়ে গেল।
পীযূষ কান্তি দাস (৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০; pijushkanti...@gmail...)
সুরমা ঘটক সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। এটা ছিল তার সম্পর্কে আমার পড়া সবচে তথ্যবহুল লেখা।
সালিম আওয়াল (৩০শে আগস্ট ২০২০; kaitorpro...@gmail...)
লেখাটি এককথায় অসাধারণ। মহাভারত পড়ে এবং তারপর ধারাবাহিক দেখে এইগুলি বারবার মনে হয়েছিল৷ তবে আমাদের সমাজে মহাভারতে পান্ডব পক্ষকে এবং কৃষ্ণকে সবদিন ভালো প্রতিপন্ন করা হয়েছে ৷
সরোজ পাত্র (১৫ই আগস্ট ২০২০; sarojpatra...@gmail...)
Being an admirer of Romantic Literature, Hugo's novel The Hunchback of Notre Dame always was close to my heart.. Like millions worldwide who out of faith or out of love of architecture and history have loved the Notre Dame Church, I was deeply pained when the destructive fire damaged the monument. More pained by the visuals on electronic media. But as I read this article by Subhomoy Roy, my heart is at peace. His beautiful article oozes love and emotion for the monument and for the great Victor Hugo, whose genius has immortalised the Notre Dame Church through his novel. Truly, the author has touched upon the pulse which reveals how human history and art, civilization and culture are preserved in a timeless architecture like the Notre Dame Church, and in case of its damage or destruction, through the classic by Hugo. Subhomoy Roy through a rich tapestry of words has paid his tribute to the immortality of the Notre Dame Church guaranteed by Hugo's classic.
Dr Debayan Deb Barman (2nd August 2020; debayandeb...@gmail...)
অসাধারণ। ভীষণ ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ।
জোছনা লাহিড়ী (৩১শে জুলাই ২০২০; jachnalahiri...@gmail...)
কবি বেই দাও এখন কোন দেশে বাস করেন?
জয়ন্ত ঘোষ (৩১শে জুলাই ২০২০; jghosh...@gmail...)
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের গল্প মানেই সে এক অন্য কথা। আগের সংখ্যাতেও ওনার বেশ কিছু লেখা আমার পড়া হয়ে গেছে। আর আজ বলতে এতটুকু দ্বিধা নেই সেদিন যখন প্রুফরিডিং এর জন্য নিজের লেখার লিঙ্ক মেইলে পেলাম, তখন চোখে পড়তেই কিছু লেখা পড়ে ফেলেছিলাম আর তাতে ছিল এই গল্পটাও: “সু - কে অনি”--সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়।
সেদিনই মাথায় গেঁথে গেছে গল্পটা। আজ আবার নিয়ে বসলাম। এত সুন্দর গল্পের গতি আর প্রতিটা চরিত্র এত উজ্জ্বল। মীনাক্ষীকে খুব ভালো লাগল। আর অবশ্যই প্রিয় এ গল্পের মুখ্য চরিত্র দুটো। অনির্বাণ ও সু-র এই নীরব প্রেমকাহিনী পড়তে গিয়ে আরেকবার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হলো, ভালোবাসা সত্যিই মরে না...হতে পারে অপ্রকাশিতই হয়তো থেকে যাবে চিরটা কাল, তবু “ভালোবাসি” বলা যায়...
কী অদ্ভুত এ গল্পের শেষটাও...
“মেয়েটা যেন সেলিম আলির পাখি, নিয়মমাফিক পরিভ্রমণ সাঙ্গ করে আবার চেনা জায়গায় ফিরে এসেছে।..."
দুটি চেনাজানা মানুষের আবার নতুন করে চেনার শুরু হলো এ গল্পের শেষে এসে...
এই গল্পে “দ্য ফল অফ আ স্প্যারো” সালিম আলি-র বইটির কথা জানলাম। পাখি বিশারদ সেই সেলিম আলি, যাকে নিয়ে প্রথম জেনেছি রূপঙ্করদার লেখা পড়ে। রূপঙ্কর সরকার। তাই এই গল্পটা পড়ার পর, রূপঙ্করদাকে জিজ্ঞেসও করলাম, উনি পাখি বিশারদ ছিলেন, কত পাখি নিয়ে জানতেন, তবে অটোবায়োগ্রাফিতে শুধু স্প্যারোর উল্ল্যেখ কি কোনও বিশেষ কিছু বোঝাতে...উত্তরে জেনেছি প্রথম যে পাখিটি উনি মেরেছিলেন, তা স্প্যারো ভেবে ভুল করেছিলেন।
সত্যি কত কিছু অজানা থেকে যায়, আর এটাও আশ্চর্য যে, কোথা থেকে কিভাবে সব লিঙ্কড হয়ে যায়। এখানে যেমন পাখির সাথে সুচরিতা...
গল্পটা খুব প্রিয় হয়ে রইল। আপনার আরো গল্প আসুক। এ এক পাঠকের তরফ থেকে আবদার ও অনুরোধ রইল।
ঝর্না বিশ্বাস (২৯শে জুলাই ২০২০; jharna...@gmail...)
চমৎকার! আমি অশীতিপর বৃদ্ধ। হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি যে 'বুড়ো হওয়া সহজ কর্ম নয়।' মুস্কিল হচ্ছে - আমাদের মতো দীর্ঘজীবী বুড়োদের যম-ও তুলে নিয়ে যেতে চায় না। আমরা যমের অরুচি!
সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় (২৯শে জুলাই ২০২০; banerjee...@gmail...)
বেশ ভালো লেখা হয়েছে, ইন্টারনেটে পাওয়া অন্য লেখাগুলোর থেকে। তবে কবির লেখা বিভিন্ন রচনা সংকলন ও কিছু কবিতার বিষয়বস্তু তার ভাব ও প্রকৃতি নিয়ে যদি আলোচনাটি হতো তবে আরো ভালো হতো।
ধন্যবাদ আলোচনাটি করার জন্য।
শোভন ঘোষ (২৮শে জুলাই ২০২০; shovon...@gmail...)
এই লেখাটি আমার বেশ ভালো লাগল।
দেবাশিস মুখার্জী (৬ই জুলাই ২০২০; debashismukherjee...@gmail...)
প্রথমেই আমি লেখিকার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ ওনার আগের গল্প 'সম্ভবামি' পড়ে অভিভূত হয়ে আমি যে চিঠি লিখেছিলাম, তার সূত্রেই 'ঋণ' গল্পটি পাঠককে উপহার দিয়েছেন বলে আমার মনে হল, অথচ আমি গল্পটি এতদিন পড়িনি!
আবারো গল্পটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে চিঠি লিখতে বসা। গল্পটা পড়ে মনটা আনন্দে ভরে গেল। এত সাবলীল লিখনশৈলী, পাঠককে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা এক কথায় অনবদ্য।
বৃদ্ধ বিমল দাশগুপ্তর স্বাধীন ভারতবর্ষের অনাচার দেখে যে আক্ষেপ, কানাইলাল ভট্টাচার্যের গুরু সুনীল চ্যাটার্জীকেও সেই একই আক্ষেপ করতে শুনেছিলেন আমাদের পিতৃস্থানীয় মানুষজন, তিনি আন্দামান থেকে ফিরে আসার পর।
ঘটনাচক্রে আজ শহীদ কানাইলাল ভট্টাচার্যের ৯০তম আত্মবলিদান দিবস ছিল। সকালে জয়নগর-মজিলপুরে প্রতি বছরের মতো কিছু অনুষ্ঠানও হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশজুড়ে অনাচার আরও বেড়ে চলেছে...
লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গল্পটির জন্য এবং অনুরোধ রইল আরও লেখার।
দেবযানী (২৭শে জুলাই ২০২০; ahiri...@gmail...)
I am a regular reader of your lit. magazine. The contents of each and every issue of the magazine are really great and illuminating. I have loved this translation of Das's poetry by Clinton B. Silly. I wish you could add a system of 'Print', 'Share' or 'Email' just after every content. It would be great if we can print our favourite writings.
Mohammad Akbar Hosain (27th July 2020; arhosain...@yahoo...)
অপূর্ব গল্প এক “জাদুওয়ালা”। ভাষা ও লেখনীর গুণে সেই নীল রঙা ছেঁড়া পঞ্জাবি পরা লোকটাকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। ও শেষের বর্ণনাতে আবারও সত্যি হলো ভালোবাসা সত্যিই মরে না। প্রচুর ধন্যবাদ অতনু দত্ত-কে এত সুন্দর একটি গল্পের জন্য।
ধন্যবাদ রাহুল মজুমদার, আপনার অলঙ্করণে গল্পের এক জীবন্ত রূপ ধরা পড়েছে।
ঝর্না বিশ্বাস (১৭ই জুলাই ২০২০; jharna...@gmail...)
খুব মনোজ্ঞ আর রসোত্তীর্ণ হয়েছে প্রবন্ধটি। আলোচ্য 'শজারুর কাঁটা' সত্যিই একটা আশ্চর্যজনক উপন্যাস, বাংলা গোয়েন্দা-সাহিত্যে একটি মাইলস্টোন বিশেষ। শরদিন্দু-পুত্র শান্তনুবাবু একটি সাক্ষাৎকারে সঙ্গতকারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে শরদিন্দুর গল্প প্রায় চিত্রানুগ, যা পরিচালকের চিত্রনাট্য লেখার কাজটা যথেষ্ট সহজ করে দেয়। তবু তাঁর গল্পের উপর তৈরি ছায়াছবিগুলো প্রায়ই নিম্নমানের হয় কেন?
পল্লব কুমার চট্টোপাধ্যায় (১৬ই জুলাই ২০২০; chatterpk@yahoo...)
দারুন। এখনকার সময়ে এই কবিতা এক অভিনব অনুভূতি।
গোবিন্দ সরকার (১৬ই জুলাই ২০২০; gsarkar...@gmail...)
“পরবাস” ৭৯ প্রকাশিত হলো...“সম্পাদকীয়” দিয়েই শুরু করলাম। জানলাম “পরবাস” পূর্ণ করল তার তেইশটি বছর।
এতদিন একটানা এত ভালো কন্টেন্ট নিয়ে “পরবাস”-এর এগিয়ে চলা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমারও “পরবাস” এর সাথে পরিচয় প্রায় দশ বছর... মাঝে একটু বিরতি ছিল, তবুও সাইটটিকে ভুলিনি। এ শুধু আমি কেন, একবার এখানে যারা এসেছেন, পড়েছেন বা লিখেছেন তাঁরা এখানকারই একজন হয়ে যান। তখন থেকেই এই সাইট আমার সবার থেকে অন্যরকম লাগত। বিভাগেও বৈচিত্র্য, বৈচিত্র্য আছে লেখাতেও। সাথে যে গ্রাফিক্সগুলো দেওয়া হয় তা অতুলনীয়। পুরোপুরি বলতে গেলে এর সাথে যুক্ত থাকা কিছু মানুষের সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসা, যত্ন ও পরিশ্রমের ফল এই “পরবাস” যে প্রতি সংখ্যায় তার মাধুর্য একই ভাবে বজায় রেখেছে।
“পরবাস” তেইশ বছরে পড়ল জেনে আর্কাইভ খুঁজে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম তার প্রথম সংখ্যাটি, যেখানে “মজলিশ” বিভাগে পড়লাম শ্রদ্ধেয় রঞ্জন ঘোষালের “দ্বারে দ্বারে দ্রুম”। পড়লাম চন্দ্রবিন্দু পরিবারের চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের গল্প “অ্যামিবার কান্ড”। তখন বিভাগ সংখ্যা ছিল কত কম, এবং তাতে লেখাও ছিল অল্প। কিন্তু পড়তে গিয়েই বুঝতে পারলাম “পরবাস”-এর তখনও কন্টেন্ট কত সিলেক্টিভ ও দামী ছিল।
ইচ্ছে আছে পরবর্তী “পরবাস” বেরোনোর আগে পুরনো আরো কিছু সংখ্যা পড়ব। বাকি আছে এ সংখ্যাটাও পড়ার। অল্প অল্প করে পড়ছি। জানছি “পরবাস”-কে আরো কাছ থেকে।
আর এখানকার আরেকটা জিনিস ভালো লাগে, সে পরবাস থেকে পাওয়া চিঠিই হোক বা সম্পাদকীয়... যা বলার স্ট্রেট, তাতে কোনও রাখঢাক নেই। ভালো হলে ভালো, খারাপ তা খারাপই।
আমি নিজেই অনেক কিছু শিখেছি “পরবাস” থেকে। থ্যাংকিউ পরবাস, এই প্রবাসে “পরবাস” আমার খুব কাছের হয়ে আছে আর থাকবেও।
ঝর্না বিশ্বাস (১৫ই জুলাই ২০২০; jharna...@gmail...)
Very interesting information can be collated from this article. Very well written. Very interesting read indeed. Thanks,
Sunando Mazumdar (15th July 2020; sunando...@gmail...)
খুবই সাবলীল ভঙ্গিতে লেখা একটা সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী। লেখকের লেখার হাতটি বেশ সুন্দর। ওনার আরো লেখা এই পত্রিকাতে দেখতে চাই।
তপন ব্যানার্জী (১২ই জুলাই ২০২০; tbanerjee...@gmail...)
ভীষণ, ভীষণ ভালো। বক্তব্যে এবং ফর্ম্যাটে। পাঠক হিসেবে বারবার ঋদ্ধ হই কবির কবিতা ও গদ্যে।
প্রণব বসু রায় (১৪ই জুলাই ২০২০; p.pra...@gmail...)
অসাধ্য সাধন। বিষ্ণু দের পর কতজন পেরেছেন? অনুজ কবিদের কাছে শিক্ষনীয় এই প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ জানাই কবিকে।
তৃণাঞ্জন চক্রবর্তী (১৩ই জুলাই ২০২০; tricha...@yahoo...)
অদ্ভুত সুন্দর লেখা। নিরুপমবাবুর লেখায়, যেটা আমাকে আশ্চর্য করে, সেটা হল, ধ্রুপদী কবিতার আশ্রয়ে, সমসময়কে ধরার সাবলীলতা। এই তিনটি কবিতায়, ভিলানেলের গীতল ছন্দের মধ্যে, কী আশ্চর্য কৌশলে একটা হাড়হিম আতঙ্ক ও বিপন্নতার আবহ তৈরি হল, সেটা অবাক করার মতোই বিষয়। প্রথম কবিতায়, যদিও কখনও প্রকট করা হয়নি, “ভিলানেলে”র থেকে “ভিলা” শব্দটিকে তুলে এনে, তাকেই একটা প্রস্থানভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হল কি? বাবুদের বাগানবাড়ি, একটি পাথরের পরী, তার ডানায় রক্তের দাগ, তার উড়ে যাবার আকুতি—একইসঙ্গে একটা গথিক আর সুররিয়াল আবহের জন্ম দিল। এবং, তার পাশাপাশি, এক নিষ্ঠুর, কোল্ড ব্লাডেড বিদ্রূপের চাবুক। ককতো-র ছবির কথা মনে পড়ে। বা, লত্রিয়ামোঁর “মালদোরোর”। এই অসহায়তার বোধ, এবং তার পাশাপাশি, মানুষের অহেতুক অহংকারের প্রতি কষাঘাত, বাকি লেখার মধ্যেও চারিয়ে গেছে। এ এক আশ্চর্য হাহাকারের কবিতা, এক বিস্ফারিত চীৎকার।
সৌভ চট্টোপাধ্যায় (১৩ই জুলাই ২০২০; souva...@gmail...)
অসাধারণ তিনখানি ভিলানেল কবিতা পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। এই কঠিন সময়ের এক অপূর্ব প্রকাশ একটু অন্য ছন্দে, নতুন ভাবে। ভীষণ ভালো লাগল।
দেবালয় চক্রবর্তী (১৩ই জুলাই ২০২০; deba...@gmail...)
নিরুপমের কবিতার প্রধান সম্পদ তার ভাষা, সেই ভাষা এখানে অটুট রয়েছে নানা সংজ্ঞায়, নানান অলঙ্করণে। ছন্দ আছে, আবার নেই। বিষয় অতীত বর্তমান নিয়ে - এসেছে রক্তাক্ত পরীর ডানার বেশে বর্তমানের করোনা । ছদ্মবেশের আড়ালে তাকে অতিমারী বলে চেনা যায়। সার্থক আধুনিক কবিতার স্তবকগুলি। সাধুবাদ জানাই কবিকে।
রাহুল রায় (১২ই জুলাই ২০২০; bapi...@bu...)
অনবদ্য ভিলানেল। এই ১৯ লাইনের structured form-এ কবিতা লেখা সহজ নয় জানি। বিশেষত: শেষ চার পংক্তি। যা কিনা এক সুগন্ধি আতরের মত ছড়িয়ে পড়ল অস্তিত্ব জুড়ে। করোনা আবহে আহত পরী এবং বুভুক্ষু সাপ একসঙ্গে এসেছে। কেন জানি না মনে পড়ল এক 'ঘুমন্ত পরীর' কথা, যে সমস্ত বাগানে দাগ রেখে যায়!
দেবাশিস দাস (১২ই জুলাই ২০২০; debashisdas...@gmail...)
আর্যা ভট্টাচার্যর কবিতা তিনটি ভালো লাগলো। দ্বিতীয় কবিতাটির শেষ পংক্তিটির প্রমিত প্রয়োগ রসোত্তীর্ণ হয়েছে। ক্রন্দসী শব্দটির প্ৰকৃত অর্থ দিকচক্র। এখানে বোধহয় আকাশ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
নিরুপম চক্রবর্তী (১৪ই জুলাই ২০২০; nchak...@gmail...)
বাংলা ভাষায় ভিলানেল চর্চা হয়েছে খুবই কম। বিষ্ণু দের একটি কবিতা, যার নামও ভিলানেল ('দিনের পাপড়িতে রাতের রাঙা ফুলে') ছাড়া কোনো উল্লেখযোগ্য উদাহরণ চট করে মনে করা শক্ত। এই পটভূমিতে এটা সুসংবাদ যে দত্তাত্রেয় দত্তর মতো ক্ষমতাশালী সনেট লেখক অবশেষে এই গ্রাম্য পদ্যরীতিকেও স্বীকার করতে সম্মত হয়েছেন। পরবাসের বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত তিনটি ভিলানেলই চমৎকার ভাবে উৎরে গেছে। প্রথমটির সুগভীর আত্নসমীক্ষা, দ্বিতীয়টির করোনাকালীন দুঃসময়ের পরিহাসঘন ধারাবিবরণী এবং তৃতীয়টির সুচারু স্মৃতিমন্থন আলোড়িত করে গেল। আশা করি এর পরে এরকম আরও রচনা পরবাসের পৃষ্ঠায় দেখতে পাবো।
নিরুপম চক্রবর্তী (১৪ই জুলাই ২০২০; nchak...@gmail...)
গল্পটি আমার বেশ ভাল লেগেছে। লেখকের কাছে আরও এরকম গল্প আগামী দিনে পাব এই আশা রাখি।
বিপুল জ্যোতি গুপ্ত (১৩ই জুলাই ২০২০; bipuljyoti...@yahoo...)
খুব ভালো লাগল। মেয়েকেও পড়াব। লীলা মজুমদারের লেখার আমেজ পেলাম আমি। ছোটদের লেখা এত যুক্তি চায় না সবসময়। তারা বিশ্বাস করতে ভালোবাসে। যেমন আমার মেয়ে ( ১০ বছর) "হলদে পাখির পালক" পড়ে বলেছিল যে ভুলো কুকুর ওই বাচ্চাটা হয়ে গেছিল হলদে পাখির পালক খেয়ে আর বাচ্চাটা ভাইয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যে ও ফিরে এলো... এ থেকে সন্দেহের কোনোই অবকাশ নেই। ঝগডুর গল্প গুলো সব সত্যি, রুমুর সব কল্পনা, সব বিশ্বাস সত্যি। ওটা পুরোটাই সত্যি গল্প। ছোটবেলায় আমারও তাই মনে হত। আর ওর কথা শুনে আমিও আবার বিশ্বাস ফিরে পেলাম। রূপসা তার লেখায় সেই সহজ সরল জীবনের সহজ বিশ্বাসটুকু ফিরিয়ে দিলেন যেন। রেশ রয়ে গেল। ওনার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
মৌপিয়া মুখোপাধ্যায় (১৩ই জুলাই ২০২০; moupia...@gmail...)
রাহুল রায়ের রচনাটি ভালো লাগলো। ভারতবর্ষের চিপকো আন্দোলন এই ট্রি হাগার পদ্ধতিতে গঠিত হয়েছিল এবং এর পুরোভাগে ছিলেন বেশ কিছু মহিলা। আর পারস্পরিক দ্বন্দ্বে ভরা প্রত্যাশাগুলির মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে যখন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তখন তার সর্বোত্তম সমাধান পাওয়া যেতে পারে গণিতজ্ঞ ভিলফ্রেদো প্যারিটোর চরণে শরণ নিলে! তিনি জানিয়ে গেছেন এক্ষেত্রে প্রত্যাশাগুলির একাধিক অপ্টিমাম ট্রেড অফ অবশ্যই সম্ভব। রাহুলবাবু অবশ্য সৌরশক্তির প্রত্যাশাটিকে ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়েছেন! প্যারিটো সাহেব নির্ঘাৎ একটা মধ্যপন্থা খুঁজতে বলতেন!
নিরুপম চক্রবর্তী (১২ই জুলাই ২০২০; nchak...@gmail...)
অসাধারণ লেখা। গল্পের মধ্যে একটা বাস্তব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং বর্তমানের এই বাস্তব সমস্যার প্রতিকার যে এভাবেও হতে পারে লেখক তা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন
ডা. পঙ্কজ কান্তি সরকার (১২ই জুলাই ২০২০; pankoj...@gmail...)
শ্রীযুক্ত অংকুর সাহাকে অনেক ধন্যবাদ। মার্ক্স এঙ্গেলসের লেখাপত্র এবং জীবনের সঙ্গে কিছু পরিচয় থাকলেও মোজেসের সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। হয়তো ধর্মযাজক হওয়ার কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁকে প্রান্তিক করা হয়েছে। আপনার প্রকাশভঙ্গিও চমৎকার। লেখাটি দরকারি।
রঞ্জন রায় (১২ই জুলাই ২০২০; ranjanr...@gmail...)
(পরবাস-৭৯, ৯ জুলাই, ২০২০)