• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৪ | অক্টোবর ২০২১ | ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
    Share
  • আমার প্রিয় শহর কিয়োতো : ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা


    মার প্রথম জাপান যাত্রা ১৯৮৩-তে। সেইসময়ই কিয়োতোর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা ও প্রেম। আমার দূরপাল্লার ভ্রমণও এই প্রথম। গেছিলাম দুই কন্যা (৪ ও ৬)নিয়ে একটা মেডিকেল মিটিং-এ। রাজধানী টোকিও-তে প্রথম নামলাম। যেমন ভেবেছিলাম, বেশ ঝকঝকে আধুনিক শহর। ভিড়ও খুব, কিন্তু সবাই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলে। বাসে, রেলে, বাজারঘাটে চেঁচামেচি নেই। শুধু সব জায়গায় জাপানী লেখার জন্য যাতায়াতে বেশ মুশকিল বোধ হয়। যাইহোক, এয়ারপোর্ট থেকে মার্সিডিজ ট্যাক্সিতে সাদা দস্তানা পরা চালক আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেল।




    জেন উপাসক ও রক গার্ডেন

    কিছুক্ষণের মধ্যেই জাপানী সততার পরিচয় পেলাম। আমার স্বামী ট্যাক্সিতে মানিব্যাগটা ফেলে এসেছিলেন—টাকাকড়ি, পাসপোর্ট সবসুদ্ধু। হোটেলের কর্মচারীরা যতক্ষণে ট্যাক্সি কোম্পানিদের ফোন করছিল, ততক্ষণে আমাদের ড্রাইভার মানিব্যাগ নিয়ে হোটেলে ফিরে এসেছিলেন। সবকিছু ফিরে পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু ড্রাইভার ভদ্রলোক কোনো পুরস্কারই নিতে চাইলেন না। জাপানে কাউকে কোনোরকম টিপস দেওয়া মানা। ওরা তাতে অপমান বোধ করে। তাই শুধু কোমর ঝুঁকিয়ে আন্তরিক আরিগাতো (ধন্যবাদ) জানালাম।




    'সাগর', মাঝে নুড়ির পাহাড়

    দুদিন টোকিওয়ে আমাদের জাপানী বন্ধুদের সঙ্গে দেখাটেখা করে আমরা কিয়োতো চললাম। মিটিংটা সেখানেই ছিল। কিয়োতো টোকিওর তুলনায় অনেক পুরোনো, ঐতিহাসিক রাজধানী। সবদেশেই আমার নতুনের চেয়ে পুরোনো রাজধানীগুলি বেশি ভালো লাগে। যেমন, তেহরানের তুলনায় ইস্ফাহান বা ইয়াঙ্গনের চেয়ে মান্দালয়। পুরাকালের রাজধানী ছাড়াও কিয়োতো জেন (zen) বুদ্ধধর্মের প্রধান কেন্দ্র। সমস্ত শহরটা প্রায় দুহাজার বৌদ্ধ ও শিণ্টো মন্দিরে ভর্তি। এইসব মন্দিরগুলি ছিমছাম, বাহুল্যবর্জিত, নীরব ও অন্তর্মুখী। এখানে ঢুকলেই মন শান্ত হয়ে যায়।

    এইসব মন্দিরগুলি বেশিরভাগই সাত-আট শতাব্দীতে তৈরি, আগাগোড়া কাঠের কারুকার্যে ভরা। এই একই শহরে কুড়িটি UNESCO স্বীকৃত World Heritage Site আছে। এতগুলি একসঙ্গে আর কোনো শহরে দেখা যায় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমারুরাও এই শহরে বোমা ফেলেনি। কাঠের মন্দির বলে অনেকগুলোই পুরোনো সময় আগুনে ধ্বংস হয়েছিল। আবার যত্ন করে সেগুলো গড়েও তোলা হয়েছে। এখনো মন্দিরের কোণে কোণে বিরাট জল ভর্তি গামলা দেখা যায়।

    টোকিও থেকে কিয়োতো প্রায় দুশো ত্রিশ মাইল। আমরা জাপানের বিখ্যাত বুলেট ট্রেন-এ (শিনকাইশেন) গেছিলাম। ট্রেন থামে ঠিক কাঁটায় কাঁটায়। প্লাটফর্মের মেঝের উপর গাড়ির কোচের নম্বর লেখা, গাড়ি দাঁড়ায় ঠিক তার সামনে। ঝকঝকে পরিষ্কার ভিড়হীন গাড়ি বেশ আরামে বসে দুঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম। শুধু ঝড়ের বেগে চলে বলে জানলা দিয়ে বাইরের কিছু দেখা যায় না, ট্রেনযাত্রার ওই মজাটা পেলাম না।




    বিখ্যাত 'বুলেট' ট্রেন

    কিয়োতোয় চার-পাঁচ দিন ছিলাম। অনেক মন্দির প্যাগোডা দেখেছি, সবগুলো এখন আর মনে নেই। তবে কয়েকটি বিখ্যাত জায়গার বিবরণ দিলাম, যেটুকু মনে আছে।




    বারান্দায় সার দিয়ে ১০০১টি প্রার্থনার লন্ঠন

    ‘দাইতো-কু-জি’ কিয়োতোর একটু বাইরে বিরাট মন্দির কমপ্লেক্স। মনে আছে মন্দিরের লম্বা বারান্দায় সার দিয়ে ১০০১টি প্রার্থনার লন্ঠন। একটু দূরেই ছোট্ট শহর নারা। সেখানে এক শিন্তো দেবতা সাদা হরিণ চড়ে এসে রাজধানীর পত্তন করেন। সেইথেকে প্রায় ১০০০ হরিণ (বাদামি রঙের, সাদা নয় কিন্তু) এখানে চরে বেড়ায়। ট্যুরিস্টদের প্রিয়, আমার মেয়েদেরও।




    নারা-য় মৃগদাব

    জাপানীদের নিয়মানুবর্তিতা বিখ্যাত। রাস্তায়, বাজারে হোটেলের লবিতে মেশিনে পয়সা ফেললেই খোলাখুলি বরফ-ঠান্ডা বিয়ার পাওয়া যায়। আমি অবাক হয়ে আমার জাপানী বন্ধুকে জিগ্যেস করলাম, ‘তাহলে টিন-এজার ছেলেমেয়েরাও সহজেই বিয়ার কিনতে পারে?’ বন্ধু আরও অবাক হয়ে বললেন, ‘কেন? ওটা তো বেআইনি, সবাই জানে!’ ব্যাস, আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।

    আরও কয়েকটা জায়গা একটু-আধটু মনে আছে। শোগান-দের বিখ্যাত ‘নিজো’ দুর্গ, বৃহত্তম ‘হেইয়ান’ শিন্তো মন্দির, ‘বিওদো-ইন’ বৌদ্ধ মন্দিরে বিরাট ব্রোঞ্জ বুদ্ধমূর্তি ও ঘণ্টা, ইত্যাদি।




    বিওদো-ইন-- বৌদ্ধ মন্দির

    জাপানে থাকাকালীন আমি কয়েকটা জাপানী কথা শিখেছিলাম। একটা খুব দরকারি কথা হল ‘ধন্যবাদ’ বা ‘আরিগাতো গোজাই মাশতা’। আমি মেয়েদেরও শেখাবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওরা একবার শুনেই তার ইংরেজি তর্জমা করে নিল—‘অ্যালিগেটর মাস্টার্ড’। খুব তাড়াতাড়ি বললে অনেকটা জাপানীর মতোই শোনায়।




    বিওদো-ইন’ মন্দিরে বিরাট ঘণ্টা

    আধুনিক কিয়োতো পদযাত্রীর ভিড়ে ভর্তি। অফিস সময়ে রাস্তা, বাস, ট্রেন সব জায়গায় ভিড়। সবাই গোমড়া মুখে, মাথা গোঁজ করে কাজে চলেছে। কারুর দাঁড়িয়ে কথা বলবার সময় নেই। তবু এরই মধ্যে আমি দেখেছি অফিসযাত্রীরা এক মিনিট দাঁড়িয়ে আমার মেয়েদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন, কিংবা হেসে নিজের ভাষায় কিছু বললেন। আমার মেয়েরাও কিছু না বুঝেই একগাল হেসে কোমর ঝুঁকিয়ে বলে দিল ‘অ্যালিগেটর মাসটার্ড’! ব্যাস, সবাই খুশি।

    ‘কিংকা-কু-জি’ বোধহয় সবথেকে প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় মন্দির। পনেরো শতাব্দীতে তৈরি মন্দিরের উপরের সৌধটি পুরো খাঁটি সোনার পাত দিয়ে মোড়া। ১৯৫০ সালে একটা বিরাট আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছিল কিন্ত তিল তিল করে সব ঠিক আগের মতো মেরামত করে ফেলেছে। সব মন্দিরের মতোই এখানেও চারদিকে ছড়ানো জাপানী বাগান—সুন্দর করে ছাঁটা ফুলের গাছ, নরম শ্যাওলা-ঢাকা জমি, ছোট্ট পাথুরে ঝরনা, উপরে কারুকার্য-ভরা পুল। এককোণে ছবির মতো সুন্দর চা-কুটির, যেখানে কিমোনো পরিহিত চা-অনুরাগীরা পুরোনো ঐতিহ্য অনুযায়ী জাপানী সবুজ চা তৈরি ও পান করতে করতে বাগানের শোভা উপভোগ করেন।




    ছবির মতো সুন্দর চা-কুটির

    জাপানে আমাদের বন্ধু ও নিমন্ত্রণকর্তারা খুব আদর-আপ্যায়ন করেছিলেন। ওঁদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আমার মেয়েদের বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল। জাপানী রেস্টুরেন্টে মেঝেয় বসে নীচু টেবিলে খাওয়া হয়। পা ঝুলিয়ে বসার জন্য টেবিল ও মেঝের নীচে বেশ খানিকটা খোলা জায়গা থাকে। বাচ্চাদের লুকোচুরি খেলার প্রিয় জায়গা। আমি বড়োদের কোনো শাসন করতে দেখিনি। ওঁরা বাচ্চাদের খুব প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন।




    রেস্টুরেন্ট-এর টেবিলের নীচ-ই হচ্ছে লুকোচুরি খেলার পক্ষে সবচেয়ে ভালো

    একদিন, পুরোনো শহরে বেড়াতে বেড়াতে একটা গলির মধ্যে ছোট্ট রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লাম। সবকিছু তো জাপানীতে লেখা, কেউ ইংরেজিও জানে না। আমরা মেনুর ছবি দেখে সুকিয়াকি অর্ডার করলাম। আমার চার বছরের মেয়ে চপস্টিক সামলাতে পারছিল না, রেস্টুরেন্টের কর্ত্রী তাকে নিজের কোলে বসিয়ে খাইয়ে দিলেন। চেক যখন এল, আমরা তো পড়তেই পারি না, পকেট খালি করে সব টাকাপয়সা দুহাতে বাড়িয়ে দিলাম, আর ভদ্রমহিলা গুনে গুনে ঠিকমতো পয়সা নিয়ে নিলেন। সেদিনের খাওয়া এখনো আমার মেয়েদের মনে আছে।

    রোয়ান-জি মন্দির কিয়োতোর সবথেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জেন বৌদ্ধ মন্দির (এবং আমার প্রিয়)। এই মন্দিরের বাগান আপনি হয়তো অনেক গাইড বইয়ের ছবিতে দেখে থাকবেন।

    এখানে সবুজ বাগানের বদলে রুক্ষ, শুষ্ক পাথুরে বাগান। কিন্তু যেমন তেমন ছড়ানো নয়। একটা বিরাট চতুর্ভুজ আকার জমি শুধুমাত্র ছোটো ছোটো সমান সাইজের পাথরে ভরা। এই শুকনো সমুদ্রে রোজ কাঁটা দিয়ে যত্ন করে ঢেউয়ের মতো দাগ কাটা হয়। আর পাথুরে সমুদ্রে দ্বীপের মতো পনেরোটি বড়ো পাথরের স্তূপ। যেকোনো জায়গা থেকে আপনি বড়োজোর চোদ্দটি স্তূপ দেখতে পাবেন কিন্তু পনেরোটি একসঙ্গে দেখতে হলে আপনার চাই দিব্যদৃষ্টি।


    রিওয়ান-জি মন্দিরে পাথর-বাগান (stone garden)

    এই বাগানে কোথাও সবুজের ছোঁয়া নেই। কিন্তু আছে এক অদ্ভুত শান্তি। সমস্ত মন্দিরটা বাহুল্যবর্জিত, নির্জন, শান্ত। ধ্যান ও উপাসনা করার পক্ষে আদর্শ পরিবেশ। এই মন্দিরে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল ভিক্ষুদের বানানো নিরামিষ লাঞ্চ খাওয়ার। অনেকগুলো পদ ছিল, এত অভিনব স্বাদের যে আমিষের কথা মনেও পড়েনি।



     
    ইকেবানা, ও মাইকো (গেইশা) নাচ

    কিয়োতোয় গেলে পুরোনো শহরের ‘গিওন কর্নার’ বলে একটি জায়গা দেখতে ভুলবেন না। এখানে পুরাকালের ঐতিহাসিক জাপানের উদাহরণ পাবেন। ইট বাঁধানো, সরু, আঁকাবাঁকা রাস্তায় দেখবেন কিমোনোসজ্জিত মহিলারা টুকটুক করে চলেছেন নিজেদের কাজে। (জাপানে অন্য কোথাও কিমোনো পরা মহিলা বা পুরুষ দেখা যায় না।) এইখানে চা অনুষ্ঠানের জন্য আছে চা কুটির, আছে ফুল সাজানোর আর্ট স্কুল (ইকেবানা)। যেমন তেমন করে ফুলদানিতে ফুল গুঁজে দিলেই হল না। জাপানীদের মতে সবকিছুরই আর্ট আছে। চা, ফুল, বাগান সবকিছুই জীবনকে সুন্দর ও সুস্থ রাখে।

    ‘গিওন কর্নারে’ প্রতিদিন একটা শো হয় যেখানে নানারকম নাচগান, অভিনয় ইত্যদি মঞ্চস্থ হয়। বিদেশীদের জন্য ইংরেজিতে সব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এটা ট্যুরিস্টদের মস্ত সুবিধে। জাপানী ‘গেইশা’দের কথা সবাই জানেন। এঁরা সস্তার দেহপসারিণী নন। খুব উঁচুদরের গাইয়ে, বাজিয়ে এবং অন্য সব রকম আর্ট পটীয়সী। এসবের জন্য তাঁদের রীতিমতো স্কুলে তালিম নিতে হয়। ‘গিওন কর্নারে’ আপনি ছাত্রী-গেইশাদের (এদের বলে ‘মাইকো’) নাচ দেখতে পাবেন, কিংবা জাপানী দেশীয় বাজনা ‘কোটো’ (অনেকটা সরোদের মতো ও প্রায় এক হাজার বছর পুরোনো) বাজিয়ে গান শুনতে পাবেন।

    গিওন কর্নারে আমরা দেখেছিলাম নানারকম মঞ্চাভিনয়--

    ‘গিগোকু’ এক ধরনের মুখোশ পরে নাচ। সপ্তম শতাব্দী থেকে চলে আসছে। বেশিরভাগই পশুপাখির মুখোশ কিন্তু আমি একটা গরুড় মুখোশও দেখলাম। এর তাৎপর্য কি তা জানি না। এ ছাড়াও আছে বিখ্যাত ‘নো’ ড্রামা এবং সঙ্গে ছোটো একক অঙ্কের ‘কিয়োজেন’ অভিনয়, এগুলো এখনো খুব জনপ্রিয়, টিভিতে প্রায়ই দেখায়।



     
    গিগোকু, মুখোশ নাচ ও কিয়োজন অভিনয়

    জাপানীদের আতিথেয়তা অতুলনীয়। কিন্তু একটা জিনিশ খেয়াল করেছি, এরা অতিথিদের নিজেদের বাড়িতে নেমন্তন্ন করে না বা নিজেরা রেঁধে খাওয়ায় না। ওদের ধারণা যে নিজেদের বাড়ি বা রান্না অতি সাধারণ ও মাননীয় অতিথিদের আপ্যায়নের উপযুক্ত নয়। অতএব সব খানাপিনা হোটেল রেস্টুরেন্টেই সারা হয়। কিন্তু আমাদের জাপানী বন্ধুরা আমেরিকায় সবসময় আমাদের বাড়ি আসত, আমার রান্না খেত, তাই জাপানেও এরা আমাদের বাড়ি নিয়ে গেছিল। এটা আমাদের ভাগ্য, সাধারণ ট্যুরিস্টদের কপালে জোটে না। কাগজের দেওয়াল দেওয়া ছোট্ট ফ্ল্যাট (বড়ো শহরে বাড়ির দাম আকাশছোঁয়া।) কিন্তু ওই ছোট্ট জায়গাতেই আমার বন্ধু গৃহস্বামী যত্ন করে জাপানী প্রথায় সবুজ চা করে খাওয়ালেন ও গৃহিণী সুন্দর কোটো বাজিয়ে শোনালেন। আমিও এই সুযোগে একটু বাজিয়ে নিলাম।






    আমিও এই সুযোগে একটু কোটো বাজিয়ে নিলাম

    কিয়োতোয় গেছিলাম গ্রীষ্মকালে। বন্ধুদের মতে সবচেয়ে উত্তম সময় বসন্তকাল, যখন সারি সারি চেরি, বা প্লাম গাছগুলি হালকা গোলাপি ফুলে ভর্তি হয়ে যায়, তাই নিয়ে কতই না কাব্য করা হয়েছে, কতশত ছবি ছাপা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আরেকটি সুন্দর সময় হল হেমন্তকালে যখন মেপল ও অন্যান্য গাছের পাতা ঝরার আগে রঙে রঙিন হয়ে যায়।

    তা নাই-বা হোক, গ্রীষ্মকালেই আমি কিয়োতোর রূপে মুগ্ধ। বড়ো শহর হলেও কিয়োতোর এমন একটা আধ্যাত্মিক রূপ আছে যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। এইজন্যই কিয়োতো আমার প্রিয় শহর। এখানে বার বার যাওয়া যায়, নতুন দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখা যায় কিংবা চুপচাপ বসে থাকা যায় পাথর-বাগানের পাশে। আর কোথায় পাবেন এমন নির্জন সাধনার অবসর?




    অলংকরণ (Artwork) : ছবিঃ লেখিকা
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)