হযবরল-য় যেমন বুড়ো পাশে এসে ঠ্যাং ঝুলিয়ে বসে ফিসফিস্ করে বলেছিল, “একটি চমৎকার গল্প বলব। দাঁড়াও একটু ভেবে নি”, ঠিক ওইভাবে ইন্দ্রনীল আমাদের বলেছিলে, "তোমাদের চমৎকার আকাশ দেখাব। দাঁড়াও একটু খেয়ে নি।" ক্যাম্পিঙে গেছিলাম। কোথায়, তাও ঠিক মনে পড়ছে না। মার্থাজ ভিনিয়ার্ডের কাছে কোন একটা ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড হবে। বস্টন থেকে ইন্দ্রনীল আর বর্ণালী, নিউ জার্সি থেকে আমি আর পুষ্পল। অনুব্রতও ছিল কি?
ইন্দ্রনীল বস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে ফিজিক্সে পিএইচডি শেষ করব-করব করছে। সক-ডট-কালচার-ডট-বেঙ্গলি ইউজনেটে চমৎকার সব গল্প লিখছে। আকাশ দেখা শখ। একটা টেলিস্কোপ আছে। সেটা সে নিয়ে এসেছে। রাতে আমাদের আকাশ চেনাবে। এসব ক্ষেত্রে যা হয়, পৌঁছতে দেরি হয়েছে। রান্না চাপাতে গিয়ে খেয়াল হল বাতি আনা হয়নি। গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রান্না হল। খাওয়ার পরে ইন্দ্রনীল রাতকা প্রাইম অ্যাট্রাকশন হিসেবে খাপ থেকে বের করল টেলিস্কোপ। নল-টল লাগিয়ে তার দৈর্ঘ্য হবে ফুট তিন সাড়ে-তিন। আমরা চনমন করছি। এর আগে টেলিস্কোপ দেখেছি একবারই। ১৯৮৫ সালে। হ্যালির ধুমকেতু যখন ভিজিট করছিল। স্কুলে পড়ি। এক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা (স্কাই ওয়াচার অ্যাসোসিয়েশন?) ধুমকেতু দেখানোর বন্দোবস্ত করেছিল করুণাময়ী হাউজিং-এর ছাতে। লাইন করে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে "ওই দেখ হ্যালি"-ও করেছিলাম। সত্যের খাতিরে এও বলে রাখা ভাল, কিছু দেখতে পাইনি। বরাদ্দ সাড়ে সাত সেকেন্ডের মধ্যে ফোকাস-টোকাস করে কিছু দেখা অসম্ভব ছিল। কাজেই ইন্দ্রনীলই ভরসা।
কাহিনী ক্লাইম্যাক্সে প্রায় পৌঁচেছে। ইন্দ্রনীল, যার ডাকনাম আইডিজি, টেলিস্কোপ ইনস্টলেশন প্রায় কমপ্লিট করে এনেছে। এমন সময় ব্যাগট্যাগ হাতড়ে সে ঘোষণা করল যে সবই এনেছে, শুধু লেন্সটি বাদে। আমরা হতবাক। কেএলপিডির উদাহরণ এর থেকে ভাল রিয়্যাল লাইফে আর পাইনি। এত অবাক হয়ে গেছিলাম যে আইডিজিকে গালাগাল করার কথাও মনে আসেনি।
লেন্সবিহীন টেলিস্কোপ আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল। আমরা পরিকল্পনা করতে শুরু করলাম বাংলা ওয়েবজিন নিয়ে। সেটা ছিয়ানব্বই সাল।
গল্পটা আরেকটু আগে থেকে শুরু করা উচিত।
ইন্টারনেটের আদিযুগে যখন গ্র্যাফিকাল ব্রাউজার আসেনি, তখন আড্ডা চলত ইন্টারনেট রিলে চ্যাটে। পরবর্তীকালের চ্যাটরুমের বাবা বলা যায়। এ ছাড়া ছিল ইউজনেট গ্রুপ। যেমন অন্যতম আদি ভারতীয় গ্রুপ ছিল সক-ডট-কালচার-ডট-ইন্ডিয়ান। সক মানে সোশালের ছোট ফর্ম। লেখা হত soc.culture.indian. আমাদের মতন হতভাগ্য, আড্ডাবাজ ছাত্ররা গুলতানি করত এই গ্রুপে। আমি ঢুকেছি ৯৩-৯৪ সালে। এ গ্রুপ তার আগে থেকে চলছে। ইন্ডিয়ান গ্রুপ তো, তাই বিবিধের মাঝে মিলন-মহান। পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ - সব সেখানে কলবল করে। সব বলতে আশি শতাংশই বাপে-খেদানো-মায়ে-তাড়ানো ছাত্রছাত্রীর দল। বা যারা সবে চাকরিতে ঢুকেছে, গা থেকে ছাত্র-ছাত্র গন্ধ তখনও যায়নি। অপ্রতিম মনে হচ্ছে তেমনই সদ্য-চাকুরে ছিল। আর সঙ্গে এসে পড়তেন গুটিকয়েক টেকনোলজি-স্যাভি চাকুরে। একজন ছিলেন সুতপাদি, পদবী ভুলে গেছি। ছিলেন সমীর ভট্টাচার্য।
এমন অবস্থায় কথা উঠল, বাঙালিদের জন্যে একটা গ্রুপ থাকা উচিত। আমরা কি হেলায় নাগেরে নাচাইনি ইত্যাদি। বাঙালি মানে রাজনৈতিক সীমানা পেরোন বাঙালি। কারণ তখন soc.culture.indian-এর মতন soc.culture.bangladesh-ও ছিল। বাঙালিরা একযোগে বললে, হয়ে যাক। গ্রুপ কর বললেই তো আর হয়ে যায় না। ইউজনেট কর্তৃপক্ষকে একটা আরএফসি জমা দিতে হয় গ্রুপের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে। তারপরে তারা একটা ভোট করেন। অপ্রতিম সেই আরএফসি লিখল। শুধু লিখলই না, চমৎকার লিখল। তারপরে ভোটাভুটি হল ইমেলে। তার জোরে একদিন চালু হয়ে গেল soc.culture.bengali বা SCB.
এসসিবি তো রমরমিয়ে চলছে। কিন্তু সে সবই ইংরিজি হরফে বাংলা। খুব সিরিয়াস আলোচনা থেকে ছ্যাবলামি সবই বাংলিশে। আইডিজি বাংলিশেই চমৎকার সব ছোটগল্প, উপন্যাস-টুপন্যাস লিখছে। আর খুব বেশি সাহিত্যকর্ম চোখে পড়েনি। এমতাবস্থায় যা হয়, এসসিবির লোকেদের মধ্যে ব্যক্তিগত জীবনেও দেখাসাক্ষাৎ হতে লাগল। কেউ একজন বলল একটা বাংলা ওয়েবজিন করলে হয়। কথাটা অনেকের মনে ধরল। অনেকে বলতে বস্টনে আইডিজি, নিউ জার্সিতে আমি আর অনুব্রত, ওহায়োতে অর্ণব-শ্রাবণী, টেক্সাসে পারমিতা। অপ্রতিম, যে কিনা এসসিবি-র অন্যতম হোতা, সে এসব ধাষ্টামোতে নেই।
বড় সমস্যা সম্পাদক কে হবে। সবাই 'পহেলে আপ' করছে। আমার সঙ্গে তখন সমীরদার মেল-টেল চালাচালি হত খুবই, কিন্তু দেখা হয়নি। কিন্তু সব থেকে বেশি ঘনিষ্ঠতা আইডিজির। আইডিজিই প্রস্তাব করল সমীরদা সম্পাদক হোন। এর থেকে ভাল সমাধান আর হয় না। তবে মুশকিল হল, তখনও অব্দি আমরা কেউই সমীরদাকে চোখে দেখিনি। ছবিও নয়। সমীরদা কি তাহলে কারুর ছদ্মনাম? নাকি কোন গুপ্ত সংস্থা? তখন ভারতীয় নিউজগ্রুপে 'জয় মহারাজ' বলে খুব রহস্যজনক একজন লোক ছিল। কেউ বলে সে সাহেব, আসল নাম জে স্টিভেনস। তার নিজের একটা ফ্যান গ্রুপ ছিল। সে গ্রুপ নাকি সে নিজে খুলে, নিজেই চালাত। সব মিলিয়ে-মিশিয়ে বেশ গোলমেলে লোক। আইডিজি বলল, সমীরদাই জয় মহারাজ নয় তো?
একবার অর্ণব-শ্রাবণী নিউ জার্সি বেড়াতে এল। সেখান থেকে আমরা আর বস্টন থেকে আইডিজি-বর্ণালী নিউ ইয়র্কের ক্যাটস্কিল মাউন্টেনে ক্যাম্পিং করতে গেলাম। কীসব ভুজুং-ভাজুং দিয়ে শ্রাবণী শেষ অব্দি সমীরদাকে রাজী করালো আমাদের সঙ্গে ক্যাম্পিঙে যেতে। সমীরদা একটা সদ্য-কেনা দোতলা টেন্ট নিয়ে ক্যাম্পিঙে এলেন। আমার মনে পড়ছে না ক্যাম্পে না তার-আগেই সমীরদা, মূলতঃ আইডিজির প্ররোচনায়, পরবাস সম্পাদনায় রাজী হয়েছিলেন। মনে হয় আগেই।
ক্যাম্পিং থেকে ফেরার পথে একটা চীনে দোকানে লাঞ্চ খেতে খেতে অনেক নাম আলোচনা হয়ে, শেষ পর্যন্ত ‘পরবাস’, 'মৃত্তিকা' আর 'পৃথিবী' শর্ট-লিস্টেড হল। 'পৃথিবী' কেটে গেল কেননা ব্যাপারটা 'দেশ' নামের লাইনে, কিন্তু আরও বড়। তখনও অব্দি 'দেশ' পত্রিকার ওপর আমাদের শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালবাসা ছিল। এই প্রসঙ্গে বলি, এক দীর্ঘ আলোচনা চলেছিল যে পরবাসের চরিত্র কীরকম হবে? বেশ ভারভার্তিক সাহিত্য-পত্রিকা, নাকি দেশ পত্রিকার মতন সাময়িকপত্রের ফ্লেভার - সঙ্গে নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় যেমন পাদটীকায় ডুডল, কার্টুন থাকে - সেরকম? সে প্রশ্নের কোন বিশেষ মীমাংসা হয়েছিল বলে মনে হয় না।
বোঝা যাচ্ছিল না, তাই দুরকম ব্যবস্থাই ছিল |
অর্ণব আর শ্রাবণী তখন ওহাইয়ো স্টেটে পিএইচডি শেষ করার নামে ফুলটাইম পরবাসের কাজ করে। তাদের ল্যাবের স্ক্যানার, ফুলটাইম না হলে, পার্টটাইম পরবাসের কাজ করে। ল্যাবের কম্পিউটারে ফোটোশপও ব্যস্ত থাকে পরবাসের কাজে। আর কারুর কাছে স্ক্যানার ছিল না। কাজেই আর্টওয়ার্ক স্ক্যান করতে হলে অ্যামেরিকার পোস্টাল ডিপার্টমেন্টের শরণাপন্ন হতে হত, কলম্বাসে অর্ণব-শ্রাবণীর কাজে পৌঁছে দেবার জন্যে। তারা স্ক্যান করে সেগুলো এফটিপি করে সার্ভারে তুলত। প্রথম সংখ্যার পরে আমি একদিন সন্ধ্যেবেলা আপিসের পরে একশো মাইল ড্রাইভ করে বার্কলে গিয়ে আশি ডলার দিয়ে একটা সেকেন্ড-হ্যান্ড স্ক্যানার কিনে আনলাম। স্মার্টফোন দূর-অস্ত, মোবাইল ফোনেরও নামগন্ধ নেই। বাড়িতে মোডেম দিয়ে ইন্টারনেটে কানেক্ট করতে হয়। বিচিত্র সুরে গান গেয়ে সেই মোডেম ইন্টারনেটে কানেক্ট করলেও সেই কানেকশনের স্পিড আর ব্যান্ডউইডথ এমন যে মনে হত এর চেয়ে হেঁটে গিয়ে দিয়ে আসলে তাড়াতাড়ি পৌঁছবে। একটা সাধারণ ছবি আপলোড করতে সময় লাগত চার-পাঁচ মিনিট। কাজেই সবাই যতটা পারে অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুততর কানেকশন ব্যবহার করে নিচ্ছি। ততদিনে সমীরদা Parabaas, Inc. নামে কোম্পানি রেজিস্টার করে ফেলেছেন, পারমিতা parabaas.com ডোমেন রেজিস্টার করেছে তৎকালীন একমাত্র ডোমেন রেজিস্ট্রার Network Solution থেকে। একটা সার্ভারও ভাড়া করা হয়েছে। যদ্দুর মনে পড়ে সবই সমীরদার ক্রেডিট কার্ডে। উদয়াস্ত বাংলিশ লেখার কাজ চলছে। সে যজ্ঞের মূল হোতা অর্ণব, শ্রাবণী আর সমীরদা। পারমিতা করছে আইট্র্যান্স অপারেশন। আমি এইচটিএমএল লিখছি। আইডিজি সর্বত্র। এগুলো গোদা বিভাজন। আসলে সবাই প্রায় সবকিছুই করছে। এছাড়াও অনুব্রত আর ইন্দ্রাণীও ছিলেন তবে ওনাদের ইনভলভমেন্ট কিছুটা কম ছিল বলেই মনে পড়ছে।
যদিও প্রথমেই ঠিক হয়েছিল সম্পাদক হিসেবে সমীরদার ভেটো পাওয়ার থাকবে, কিন্তু কোন কারণে সমীরদা সে অধিকার প্রয়োগে এতটাই কুণ্ঠিত ছিলেন যে পরবাসের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক উপায়ে নেওয়া হত। আর তা নিতে গিয়ে সে এক কেলেংকারি ব্যাপার। সমীরদা ছাড়া আর সবাই কর্পোরেটের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ। অতএব কাজের থেকে তর্ক আর ঝগড়াই বেশি হত। নামকরণ থেকে শুরু করে নামের লেটারিং কীরকম হবে, ওয়েবসাইটে ফ্রেম ব্যবহার হবে কিনা - সব ব্যাপারেই তোলঘড়িমাত। প্রথম সংখ্যার লোগো আইডিজি করেছিল। খুব তক্কাতক্কি হল সে নিয়ে। আইডিজি নিজেই বলল, কীরকম দড়িতে-টাঙানো কাপড়ের মতন দেখতে লাগছে। আমাদের এসসিবি-র বন্ধু কাজী মনিরুজ্জামান পরবাসের লেটারিং আর লোগো করে দিয়েছিলেন। ততদিনে আইডিজির কভারের লোগো বাছাই হয়ে যাওয়ায় স্থির হল প্রথম সংখ্যায় আইডিজির করা লোগোই যাবে আর পরের সংখ্যায় মনিরের। আজ চব্বিশ বছর ধরে মনিরের সেই লোগোই কায়েম আছে। চেয়েচিন্তে লেখা জোগাড় চলল। আইডিজি একটা ধারাবাহিক উপন্যাস, একটা গল্প আর একটা অনুবাদ নাবিয়ে ভিনু মানকাড-সম আলরাউন্ড পার্ফরম্যান্স না দিলে সংখ্যার কী গতি হত কে জানে! ব্যাঙ্গালোরের রঞ্জন ঘোষালের সঙ্গে চাক্ষুষ নয়, কিন্তু চ্যাটরুমে আলাপ হয়েছিল। রঞ্জনদা লেখা দিলেন। অনুব্রত তার এক বন্ধুর থেকে লেখা আনল - নাম চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। অর্ণব লেখা দিল। বন্ধুবান্ধবদের থেকে চেয়েচিন্তে লেখা জোগাড় হল। সৌম্য দাশগুপ্ত প্রবাসী হবার আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত কবি। অংকুর সাহাও। সমীরদার বন্ধু অমিতাভ সেন লেখা দিলেন। চিরন্তন দাশগুপ্ত, রোহন ওবেরয়, মনিরুজ্জামান, সায়ন ভট্টাচার্য, ফৈজ কবীর - এনারা আমাদের কারুর-না-কারুর পরিচিত, বন্ধু। লেখা দিলেন সবাই। সমীরদাও লিখলেন প্রবন্ধ 'বড়ুর লৌকিক দেবতা'। সমীরদার হাতে-গোনা লেখার একটা।
১৯৯৭-এর মে মাসে আমি নিউ জার্সি থেকে ঠাঁইবদল করে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে এলাম। তার পরের মাসে চুপি-চুপি বেরিয়ে গেল পরবাস। পৃথিবীর ইতিহাসে এর আগে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে এত ফিজিসিস্ট, এত ইঞ্জিনিয়ার, এত পিএইচডি লাগেনি - এ আমি হলফ করে বলতে পারি। স্থির হয়েছিল প্রতি দু'মাসে একটা পরবাস বেরোবে। তারপরে মান-অভিমান, মন-কষাকষি, কাজের চাপ - সব মিলিয়ে একে একে সবাই খসে পড়েছে। সপ্তম সংখ্যা ছিল বিশেষ নাটক সংখ্যা। সেই সংখ্যায় কাজই আমার শেষ। সমীরদা শুধু পরবাস চালিয়ে গেছেন তাইই নয়, পরবাসের আজ যা নামগান - সবই ওনার হাতে। নেপথ্যে আইডিজি, অর্ণব, শ্রাবণী - এরা সাহায্য করেছে। আর করেছে, ও করছে কলকাতার রাজীব। সমীরদার কাছে শুনেছি এছাড়াও অনেকেই প্রথম দিন থেকে আজ অব্দি নেপথ্যে ওনার সঙ্গে কাজ করে গেছে ও যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁরা যাকে বলে নাম-প্রকাশে-অনিচ্ছুক।
পরবাসের বয়েস তাহলে ২৪। অ্যাডাল্ট হয়ে ভোটের বয়েস পেরিয়ে প্রায় বিয়ের যুগ্যি হতে চলল। টগবগে যৌবনের পরবাস পড়তে ভাল লাগে। আরও ভাল লাগে যখন দেখি প্রথম পরবাস সংখ্যার লেখক-শিল্পীরা সর্বশেষ পরবাসের সূচীপত্রেও রয়েছেন। আর তারচেয়েও ভাল লাগে যখন দেখি নতুন-পুরনো লেখকের লেখায় ভর্তি প্রতিটা পরবাস। সিকি শতাব্দীর দোরগোড়ায় এবার একটা 'সেরা পরবাস' হোক তাহলে।