• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৪ | অক্টোবর ২০২১ | গল্প
    Share
  • পৃষ্ঠাপুরাণের গল্প নয়তো কাগজকলমের এক অলীক কথামালা : দিবাকর ভট্টাচার্য


    নেক অনেক কাল আগে একদেশে এক বৃদ্ধ মানুষ ছিলেন। তিনি সারাদিন ধরে পড়াশোনা আর লেখালিখি করতেন। উনি ছিলেন বিরাট কবি ও দার্শনিক। তাঁর লেখা পড়ে সবাই জীবনের এক আশ্চর্য আলো দেখতে পেত। তিনি তাঁর লেখায় তিনি জীবনের সত্যকে চিনতে আর জানতে পথ দেখাতেন।

    সেই দেশেই ছিল এক রাজা। আর ছিল সেই রাজার ভয়ে কাঁপতে থাকা কিছু মন্ত্রী-সান্ত্রীরা। কারণ ওই রাজার কথাই ছিল সমস্ত বিচারবুদ্ধি ভালো-মন্দ উচিত-অনুচিত সবার উপরে। অর্থাৎ ওই রাজার কথাই শেষ সত্য। আর এর অন্যথা কিছুই ওই রাজা সহ্য করত না। তাই ওই বৃদ্ধ কবির সমস্ত লেখাপত্র রাজা ধ্বংস করেছিল। এবং শেষ পর্যন্ত ওঁকে হত্যা করেছিল।

    এ কোনো গল্পকথা নয়। সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার উপর নানা মুখের নানান কথা মিশে গিয়ে আশ্চর্য পুরাণকথার মতোই এক বৃত্তান্ত তৈরি করেছে।

    এর ভিতরেই ফুটে উঠল আরেক কাহিনী। সুদূরকল্পিত। অলীক কথামালার মতো। কাগজ আর কলমকে নিয়ে। এবার আমরা সেই কথামালার জগতে আসছি।


    "দ্যাখো — আমাদের দিকে তাকিয়ে দ্যাখো — আমরা কেমন ধবধবে সাদা — ঝকঝকে সুন্দর দেখতে। আর তোমরা কি কুচ্ছিত — সারা গায়ে কালো দাগে ভর্তি — চোখ মেলে তাকাতেই ঘেন্না লাগে" — টেবিলের উপরে রাখা সাদা কাগজগুল বলছিল পাশে রাখা সদ্য লেখা কাগজের পৃষ্ঠাগুলোকে।

    ঘটনাটা বহুকাল আগের। এক বৃদ্ধ মানুষের লেখাপড়ার ঘর। ওই ঘরে বসেই দিনরাত এক করে চলে তার পড়াশোনা আর লেখাজোকা। তাই টেবিলের একধারে রাখা সাদা কাগজের বান্ডিল থেকে একটার পর একটা কাগজ টেনে নিয়ে কালো কালিতে খসখস কীসব লিখে চলেছেন তিনি । আর লেখার পর সেই কাগজগুলো জমা হচ্ছিল টেবিলের আরেক পাশটাতে। টেবিলের আরেকদিকে থাকা সাদা কাগজগুলো বলেছিল এই কথাগুলো। পাশে রাখা লেখা কাগজগুলোর দিকে তাকিয়ে। কোনো এক নিঝুম মধ্যরাতে। বাতিদানের কমিয়ে রাখা আবছা আলোয়। লেখা কাগজগুলো এই কথার কোনো উত্তর না দিয়ে নিশ্চুপ হয়েই ছিল।

    লেখা কাগজের উপর রাখা ছিল কবির প্রিয় কলমটা। সেদিকে তাকিয়ে সাদা কাগজগুলো আবার বলে উঠল — "ওই হতচ্ছাড়া কলমটা! ওই যত নষ্টের গোড়া! ও যেন মুখিয়ে আছে কখন আমাদের ধরে ধরে নোংরা করবে। আর আমাদের মালিক এই মানুষটিও তেমনি। দিন নেই রাত নেই ওই কলমটাকে নিয়ে আমাদের এত সুন্দর চেহারা এইভাবে কুচ্ছিত করে দিচ্ছেন।"

    এইবার কলমটি খুব গম্ভীরভাবে উত্তর দিল — "তোমরা যা বললে সে কথা আর কখনো মুখে এনো না। আমাদের মালিক হলেন এক বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক। তাঁর জগৎজোড়া খ্যাতি। তিনি তোমাদের নোংরা করছেন না। তোমাদের উপর কিছু অক্ষর রেখে যাচ্ছেন। ওই অক্ষরগুলো তোমাদের অমর করে রাখবে। ওনার হাতের লেখা বুক পেতে নিলে তোমরাই ভাগ্যবান হবে।"

    এই কথাগুলো বোঝার মত মন ওই সাদা কাগজগুলোর ছিল না। তাই তারা নিজেদের মধ্যে গজগজ করে বলতে থাকল — "দরকার নেই আমাদের অমন ভাগ্যবান আর অমর হয়ে। আমাদের যেমনটি সুন্দর আছি তেমনটিই থাকতে দাও।"


    *

    এর কিছুদিন বাদে এক ভোররাতে শুরু হোলো তুমুল ঝড় আর বৃষ্টি। চারদিক যেন এক মহা দুর্যোগে ভেসে যাওয়ার অবস্থা। তেমনি অবস্থা ওই বৃদ্ধের বাড়িতেও। তাঁর ঘরের ছাদ দিয়ে ওই বৃষ্টির দাপটে ঝরঝর করে জল পড়তে লাগল। জানালার পাল্লাগুলো ওই ভয়ঙ্কর ঝড়ে বারবার আছড়ে পড়তে লাগল। উনি কোনোক্রমে ওঁর বইপত্র আর লেখা কাগজগুলো দুহাতে সরাতে থাকলেন। সেই দেখে সাদা কাগজগুলো বলে উঠল — "একি! একি! আমাদের সরানো হবে না? আমরা যে জলে ভিজে শেষ হয়ে যাচ্ছি!" কিন্তু ওই বৃদ্ধ কবির কোনো দিকেই কোনো হুঁস ছিল না। তাঁর ঘরের সবকিছুই ঝড়জলে তছনছ হচ্ছিল। আর উনি কেবল ওঁর বই আর লেখাগুলো দুহাতে আগলে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলেন।

    "বুঝলাম — এতদিনে বুঝলাম — আমাদের এই সুন্দর চেহারার কোনো দাম নেই আমাদের মালিকের কাছে — আসলে আমাদের গায়ে তো ওঁর কোনো লেখা রাখা নেই — তাই আমরা নষ্ট হয়ে গেলেও ওঁর কিচ্ছু যায় আসে না।" — সাদা কাগজগুলো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এই কথাগুলো নিজেদের মধ্যে বলতে লাগল কিন্তু ওদের সমস্ত কথাই যেন ওই প্রবল বৃষ্টির আওয়াজে ঢেকে যাচ্ছিল সেই সময়ে।

    *

    এরপর কেটে গেল আরো কিছুকাল। এক মধ্যরাতে যখন কবি একমনে লিখে যাচ্ছেন তখন তাঁর ঘরের দরজায় বাইরে থেকে কারা যেন ধাক্কা দিতে লাগল। কর্কশ গলায় বলতে থাকল — "দরজা খোলো! দরজা খোলো!" কবি দরজা খুলতেই ঘরে এসে ঢুকল তিনজন ষণ্ডা গোছের লোক। পোশাকে বোঝা যাচ্ছিল যে তারা রাজার সেপাই। তাদের একজন কবির টেবিলের কাছে গিয়ে ওই কাগজগুলো তুলে নিল। কবি চেঁচিয়ে উঠে বললেন — "একি করছ?" তাদের অন্য দুজন সঙ্গে সঙ্গে কবিকে জোর করে চেপে ধরল। আর তৃতীয় জন তার লেখা কাগজপত্রগুলো এক জায়গায় জড়ো করে আগুন লাগিয়ে দিল। ওদের মধ্যে যে সর্দার গোছের লোকটা সে বলল — "দেখতে পাচ্ছ তো কি হোলো! এরপর যদি ফের লেখো তাহলে ওই লেখাগুলোর সঙ্গে তোমাকেও এইভাবে যমের দুয়ারে পাঠানো হবে! রাজার হুকুম। মনে থাকে যেন।" বলে তারা যেভাবে এসেছিল সেইভাবেই হুড়মুড়িয়ে চলে গেল। কবি নিশ্চুপে বসে রইলেন ওই পোড়া কাগজের স্তূপের দিকে তাকিয়ে। টেবিলের অন্য ধারে রাখা সাদা কাগজগুলো নিজেদের মধ্যে ফিসফিসিয়ে বলে উঠল — "খুব জোর বেঁচে গেলাম। ভাগ্যিস আমাদের গায়ে ওইরকম কোনো লেখা নেই। তাহলে তো আমরাও মরতাম ওই ভাবে আগুনে পুড়ে।"

    *

    এই ঘটনার পর ওই বৃদ্ধ কবি রোজই তাঁর লেখার টেবিলের সামনে বসে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতেন। একবর্ণও লিখতেন না। সাদা কাগজগুলো নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত — "যাক! বাঁচা গেল। আমাদের পক্ষে খুব ভালো হোলো। এরপর আর আমাদের উপর কলম দিয়ে আঁচড় কাটতে আসবে না। প্রাণের মায়া আছে না?"

    কিন্তু সাদা কাগজের এই স্বস্তি বেশিদিন রইল না। কয়েকদিন বাদেই ওই কবি যেন পাগলের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন ওই সাদা কাগজগুলোকে নিয়ে। নাওয়া খাওয়া ভুলে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লিখে যেতে লাগলেন পাতার পর পাতা। সাদা কাগজগুলো খুব দুঃখ করে বলতে লাগল — "হায়! হায়! আমাদের আর এই মানুষটার হাত থাকে পরিত্রাণ নেই!" কবি এইভাবে রাতের পর রাত জেগে যখন লিখে যাচ্ছিলেন, তখন, হঠাৎই এক মাঝরাতে, ঠিক আগের মতোই একটা ঘটনা ঘটল। এবার আর দরজা ধাক্কিয়ে নয়, সরাসরি দরজা ভেঙে বাইরে থেকে কবির ঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল তিন চারটি লোক। অবশ্যই তারা রাজার সেপাই। তাদের মধ্যে যে সর্দার গোছের লোকটা বলে উঠল — "রাজামশাই ঠিকই বলেছেন! বারণ করা সত্ত্বেও এই লোকটা সমানে লিখে যাচ্ছে রাজার আদেশ অমান্য করে।" বৃদ্ধকবি কিছু বলে ওঠার আগেই তাকে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলল বাকি সেপাইরা। সর্দার গোছের লোকটা চিৎকার করে বলে উঠল — "দে সব কাগজে আগুন লাগিয়ে!"

    কথাটা শুনে সাদা কাগজগুলো খুব খুসি হয়ে ভাবল যে এবারেও আগের বারের মতোই শুধু লেখা কাগজপত্রগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ওরা দেখল সেপাইগুলো এবারে আর কোনো বাছবিচার না করে লেখা না-লেখা সমস্ত কাগজগুলোকে একসাথে জড়ো করে মেঝেয় ফেলে আগুন লাগিয়ে দিল। সাদা কাগজগুলো প্রাণপণে চিৎকার করে বলতে লাগল — "আমাদের পোড়াচ্ছো কেন? আমাদের গায়ে তো কিছু লেখা নেই! আমরা তো নির্দোষ!" তাদের ওই আর্তনাদ কারোর কানে গেল না। সাদা কাগজগুলো লেখা কাগজগুলোর সাথেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকল। সর্দার গোছের লোকটা তখন বৃদ্ধ কবিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠল —"দ্যাখো! ভালো করে দ্যাখো! সব পুড়ছে! তোমার সব লেখাপত্তর বরাবরের মতো খতম! এরপর কাল সকালে তোমারও এক‌ই গতি হবে!" বলে হো হো করে হেসে উঠল। বৃদ্ধ কবি খুব শান্ত গলায় উত্তর দিলেন — "লেখাপত্র কোনো দিন ধ্বংস হয় না — অক্ষর কখনো পোড়ে না।" কবির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সেপাইটি বলে উঠল — "সে কি কথা? এই তো সব পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনেই।" কবি আগের মতোই শান্তকন্ঠে উত্তর দিলেন — "ওরা কেউ ধ্বংস হয় না — ওদের আগুনে ফেললে ওরা আকাশের নক্ষত্র হয়ে যায়। সেই আকাশটাকে অবশ্য তোমরা দেখতে পাও না।" এই কথা শুনে ওদের মধ্যে একটা সেপাই অবাক হয়ে তাদের সর্দারকে বলল — "সেকি ওস্তাদ! তাহলে কি হবে?" সর্দারটা বলল — "দ্যাখ কি হয়" বলেই একটা কালো কাপড় দিয়ে বৃদ্ধ কবির মাথাটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দিল। তারপর ওই বৃদ্ধ কবিকে উদ্দেশ্য করে বলল — "এবারে দুচোখ মেলে তোমার আকাশের তারা গোনো।" বলেই হো হো করে হাসতে লাগল। সর্দারের দেখা দেখি সেই অন্য সেপাইগুলোও তখন হ্যা হ্যা করে হাসতে লাগল। সর্দারটা হঠাৎ খুব গম্ভীর হয়ে বলে উঠল — "শোনো। অনেক বাজে বকবকানি হয়েছে। এইবার এই বেয়াড়া লোকটাকে রাজার প্রাসাদে নিয়ে চলো। কাল ভোরেই ওকে খতম করা হবে।"

    এরপর ওই ঘরটি পড়ে রইল অন্ধকারে। লেখা আর না-লেখা সমস্ত কাগজের ছাই একাকার হয়ে উড়তে লাগল সেই অন্ধকারে। এর মাঝে একটি সাদা কাগজের পাতা (যেটা আশ্চর্যভাবে রয়ে গিয়েছিল ঘরের কোণে রাখা আলমারিটার মাথায়) হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় উড়ে এসে পড়ল টেবিলে পড়ে থাকা কলমটির পাশটিতে।

    কলমটি সেটা দেখে বলল — "কি ব্যাপার? তুমি? হঠাৎ আমার এত কাছাকাছি চলে এলে যে?"

    সাদা কাগজটা খুব আস্তে করে কলমটিকে বলল — "একটা কথা বলব?"

    কলমটি বলল — "বলো।"

    সাদা কাগজটা বলল — "তুমি আমার উপরে এসে কিছু লিখে দাও না। কিছু কথা। যা তোমার মনে হয়।"

    কলমটি কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলল — "সেটাই তো আমি করতে পারি না। আমার নিজের থেকে তোমার উপর একটি আঁচড় কাটার ক্ষমতাও নেই। যদি না কেউ আমাকে ব্যবহার করে।"

    তারপর একটু থেমে বলল — "কিন্তু তোমার হঠাৎ একথা মনে হচ্ছে কেন? আমার কালির দাগ তো অসহ্য ছিল তোমার কাছে। তা এখন হঠাৎ তোমার এমন ইচ্ছে হোলো কেন?"

    সাদা কাগজটি খুব আস্তে করে বলে উঠল — "আসলে কদিন ধরে একটা কথাই শুধু মনে হচ্ছে — এতো কাণ্ডের মধ্যে‌ও আমি বেঁচে র‌ইলাম কী কারণে।" তারপর একটু চুপ করে থেকে আবার বলল — "মনে হয় কিছু অক্ষরের ছোঁয়া পেতে হবে বলে।"

    কলমটি বলল — "বুঝেছি। তোমার মনে একটা বাসনা জেগেছে। অমরত্বের বাসনা।"

    সাদাকাগজটি বলল — "তার মানে?"

    কলমটি এবার খুব ভারী গলায় বলল — "কবি বলে গেলেন যে ওঁর লেখা কাগজ কখনো ধ্বংস হয় না — তাকে আগুন পোড়াতে গেলে সেই সব অক্ষর আকাশের নক্ষত্র হয়ে যায়। সেই শুনেই তোমারও ওইভাবে অমর হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে।"

    তারপর একটু থেমে কলমটি যেন নিজের মনেই বলতে থাকল — "কিন্তু সেই কবি তো আর নেই। তাই অপেক্ষা করতে হবে। কতকাল কে জানে। আবার যখন কেউ আসবেন। ওঁর মতো। যিনি কলমকে তুলি আর তলোয়ারের মতো ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ততদিন আমরা কেউই থাকব না। নতুন যুগে নতুন কাগজকলমে আবার লেখা হবে। নতুনভাবে।"

    এইবার সাদাকাগজটি খুব গাঢ় কন্ঠে বলল — "তুমি যখন বলছো তখন নিশ্চয়ই তাই হবে। ভবিষ্যতে। কিন্তু আমি কিন্তু সেই ভবিষ্যতের কবির অক্ষরগুলোকে ধরে রাখার জন্যেই যে শুধু রয়ে গেলাম তা নয়। আমি রয়ে গেলাম সবার জন্য। পণ্ডিত মূর্খ কবি অকবি জ্ঞানী নির্বোধ সব্বাইকার জন্য। যারাই কলম নিয়ে আসবে আমার কাছে। আমার বিশ্বাস সমস্ত অক্ষর‌ই একটা ঠাঁই চায়। সব শব্দ‌ই কোনো না কোনো জায়গায় আশ্রয় খোঁজে। সব কথাই কোনো ঘরের দোরের সামনে এসে দাঁড়ায়। সে হতে পারে প্রবল কিংবা তুচ্ছ। আমি সবার জন্যই আমার পিঠটা পেতে দাঁড়াব। বলব আমি ব‌ইতে এসেছি তোমার ভার। আমি পৃষ্ঠা। সেই হবে আমার একমাত্র পরিচয়। আর সেই জন্যেই আমি রয়ে গেলাম এত কিছুর পরেও।

    অলীক কথামালাটি এইভাবে এখানেই শেষ হয়ে গেল।

    রয়ে গেল পৃষ্ঠার জন্মবৃত্তান্ত — পুরাণকথার মতো রত্নাবলী হয়ে।




    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণ: রাহুল মজুমদার
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments