অর্ধেক জানলায় মেঘ জমে অন্ধকার হয়ে আছে
প্যাট্রিক নামের একটি কর্মহীন যুবক ইঁদুর
ভুল করে ভাবল, রাত হল বুঝি। এসময়
নিরাপদে প্রাত্যহিক খাদ্যের সন্ধানে যাওয়া যায়।
গরাদের ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে ঝুড়িতে সাজানো
গৃহস্থের আপেল ও নাসপাতি, কুরে খেলে
দাঁতের আরাম হবে, পেটও ভরবে যথারীতি।
সন্তর্পণে টেনে-হিঁচড়ে গর্তের সুমুখে
দু’-একটি সুস্বাদু ফল যদি এনে ফেলা যায়
বুড়ো বাপ, নখদন্তহীন, মহানন্দে পাগলে খাবে।
সেই শখ করে নাম রেখেছিল ছেলের - প্যাট্রিক
ভেবেছিল ছেলে বড় হয়ে প্যারিস লণ্ডন যাবে
সাহেবদের সঙ্গে উঠবে-বসবে, কথা বলবে ফটর-ফটর
বাপেদের কত সাধ থাকে... আহা, কত সাধ থাকে!
কিছু পূর্ণ হয়, কিছু প্যাঁচা ঠোঁটে করে উড়ে যায়...
এইসব ভাবছিল স্বপ্নাতুর বেচারি প্যাট্রিক।
আচম্বিতে বিকেলের মেঘ ভেঙে জোর বৃষ্টি এল
উঠোন ভাসিয়ে দিয়ে, এমন জলের তোড়
ভেসে গেল... হায়, ভেসে গেল প্যাট্রিক ইঁদুর!
হাবুডুবু খেতে খেতে গৃহস্থের আবাসন থেকে বহুদূর...
জল ঢুকছে গর্তে, প্যাট্রিকের কানা বাপ, স্থবির মূষিক
ডেকে যায় – কোথা গেলি বাছা মোর, প্যাট্রিক, প্যাট্রিক…