তোমার ঠোঁটের মর্জি-মাফিক ফুলগুলো সব
গুনে-গেঁথেই জ্যোৎস্না ছড়ায় নির্ধারিত মেঘ-পাঁজরে
শীতের রাতে। অন্যদিকে – তুমিও জানো –
সমান্তরাল জানলা ছোঁয়ার ইচ্ছেগুলো প্রকট হলে
সেই প্রহরেই কল্পনাতে বৃষ্টি নামে বালিশ জুড়ে মধ্যরাতে
এই বিছানায়।
তার মানে কি জ্যোৎস্নারাতও বৃষ্টিমুখর হতেই পারে প্রেমের টানে –
পথিক যদি পথ না হারায় অন্য ছলের ঝাপসা খেলায়!
ঠিকই জানি তুমি বলবে, চৌমাথাতে হাইওয়েরা মিশতে পারে দিনের শেষে
কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয় জানলা খোলার আদিম খেলায়।
এ সব ভেবে এই ইদানীং - যা তুমি চাও –
পাতাল পথে নির্ধারিত মেট্রোরেলেই জ্যোৎস্না খুঁজি –-
কুয়াশানীল জানলা ভুলে।কুয়াশা যাপন - ৯ অতীতে আঙুল রেখে সাঁকোতে জটিল হলে মন
কর্তব্য ছড়িয়ে রাখো দিকে-দিকে তুমি হে জীবন
মোমের আলোয় হাসো, সন্ধ্যা্য় ইশারা বেশি-কম
কুয়াশা ছেটানো ভোরে দূরত্বে শেখাও সরগম
শীতের উঠোনে যদি নির্জন পাথরে রাখি ক্রোধ
পাঁজরে চড়ুই হাঁটে ঋতুও ফিরিয়ে নেয় রোদ
তাই কি দুপুর জুড়ে শীতেও বারিষ - ঝমঝম
কুয়াশা আড়াল থেকে অনন্ত শেখায় সরগম
বাতিল টিকিট আমি কবেই ফুরিয়ে গেছে দাম
বালিশে চাদরে তাই ধূসর হয়েছে ডাকনাম
পুরোনো কাগজ ঘেঁটে কখনও পড়লে মনে সম
কুয়াশা পাহাড়ে হাসে শেখায় প্রকৃত সরগম।