লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামীর জন্ম-১৯৫১। মূলত গল্পকার, কবিতা ও প্রবন্ধও লিখে থাকেন। লেখেন কম। প্রকাশিত উপন্যাস ‘তফসিল’ এবং সরস গল্প-সংকলন ‘দ্রৌপদী ও পঞ্চপতির উপাখ্যান’। ‘অন্য বর্তিকা’ নামের একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকার পূর্বতন প্রধান সম্পাদক। বর্তমানে ‘এবং জলঘড়ি’ চতুর্মাসিক পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক। ভালো লাগার বিষয় – প্রাণীজগৎ, বিজ্ঞান-বিষয়ক সাহিত্য, জীবনীসাহিত্য।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
চিরন্তন কুন্ডু কলকাতায় থাকেন।
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৭৬ সালে হুগলি জেলার ছোটচৌঘরায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পেশায় তিনি একজন চাকুরিজীবি। লিটিল ম্যাগে লিখে লেখালিখির শুরু। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়, পুরুলিয়া থেকে প্রকাশিত টুকলু পত্রিকায়। তারপর থেকে অজস্র গল্প নানা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে মিশতে, মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াতে তাঁর ভাল লাগে। সেই সব মানুষজন—যাদের আমরা দেখেও দেখি না, যাদের জীবনযাপন নেতান্তই অকিঞ্চিতকর বলে হেলাফেলা করি—তাদেরই গল্প বলেন অনিরুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত দুটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে–-মশাট ইস্টিশনের মার্টিন রেল (পরশপাথর) ও মা বিশালাক্ষ্মীর নৌকা (সোপান)।
প্রিয়াংশু ব্যানার্জ্জী হুগলীর উত্তরপাড়ায় থাকে, সবে ক্লাস ইলেভেন-এ উঠল। পড়াশোনা, খেলাধুলো, সবই ভালো লাগে। কিন্তু এই করোনাকালে ছবি আঁকাই ওর প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওর ছবির ব্যাপারে আপনারা কেউ আগ্রহী হলে পরবাসের মাধ্যমে প্রিয়াংশুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- খেলা চলে, শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত এবং ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
আর্যা ভট্টাচার্যের পড়াশোনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি। বহুবছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। শখঃ দেশভ্রমণ ও ভাষা শিক্ষা। প্রতিবিম্ব, চট্টগ্রাম-বার্তা, পূর্ব-পশ্চিম, সুবর্ণরেখা, আবহমান, ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে বা প্রকাশের মুখে।
উস্রি দে কলকাতায় থাকেন।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন--কর্কট রোগ বিশেষজ্ঞ; সহ অধ্যাপক, চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাপেল হিল। নাটকের দল--ক্যারোলিনা লিটল থিয়েটার ওয়ার্কশপ, উদ্দেশ্য--অভিবাসী অভিজ্ঞতার ওপর মৌলিক নাটক রচনা ও অভিনয়।
নিয়মিত লেখক--দেশ, আনন্দবাজার, সানন্দা, পরবাস, নতুন কৃত্তিবাস এবং বিভিন্ন অণুপত্রিকা ও পূজাবার্ষিকী।
প্রকাশিত বই: ১) চোর ও অন্যান্য নাটিকা (প্রতিভাস), ২) তালপাতার দ্বীপ (উপন্যাস, আনন্দ), ৩) মাঝবয়েস (কবিতা সংকলন, প্রতিভাস), ৪) কবরখানার চাবি (গল্প সংকলন, প্রতিভাস), ৫) মনের বাগান (উপন্যাস, আনন্দ), ৬) আয়নার ভেতরে (উপন্যাস, প্রতিভাস), ৭) ক্যানসার একটি রোগের নাম নয় (প্রবন্ধ সংকলন, প্রতিভাস), ৮) তৃণা ফিরে এসো (উপন্যাস, আনন্দ)।
গান্ধর্বিকা ভট্টাচার্য --
দক্ষিণ কোলকাতায় জন্ম, পড়াশোনা। পেশায় আইনজীবী। N.U.J.S. থেকে এলএল.বি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম করে বর্তমানে আবার কোলকাতায়। শখ আছে জাপানী শেখার, ভালো সিনেমা দেখার আর বই পড়ার।
দত্তাত্রেয় দত্ত অবসৃত অধ্যাপক ও নির্দল নাট্যনির্দেশক । সাহিত্যজগতে প্রবেশ সতেরো বছর বয়সে কবি ও সম্পাদক হিসেবে । সনেট-গ্রন্থ 'নৈঃশব্দ্যের নীচে', অনুবাদ-কাব্যগ্রন্থ 'পরকীয়া' । Macbeth ও Twelfth Night নাটকের অনুবাদ গ্রন্থায়িত । এছাড়া ইংরেজি ও বাংলায় সাহিত্য ও নাট্যবিষয়ক নানা আলোচনাগ্রন্থ আছে।
ঝর্ণা বিশ্বাসঃ পেশা শিক্ষকতা। বর্তমানে মুম্বই প্রবাসী।
সুপূর্ণা সিংহ বেঙ্গালুরুতে রমন রিসার্চ ইন্সটিট্যুটে অধ্যাপিকা। মেয়ে রোশনির জন্মের পর উনি ছোটোদের জন্য বই তৈরি আর চিত্রকলার মাধ্যমে সহজে অংক ও বিজ্ঞান শেখানোতে উৎসাহী হন। বেঙ্গালুরুর ডেকান হেরাল্ড ছাড়াও যন্তর-মন্তর, জ্ঞান ও বিজ্ঞান, রেসোনান্স ইত্যাদি পত্রিকাইয় সাধারণের জন্য বিজ্ঞান-ভিত্তিক লেখা বেরিয়েছে। চোদ্দো-পনেরো বছর বয়েসে উনি ওঁর মা
পূর্ণিমা সিংহ-এর সঙ্গে দু-একটি বইয়ের প্রচ্ছদ করেছিলেন। পরবাসে প্রকাশিত ওঁর লেখা ও আঁকা 'বাঘা নামে বাঘটি' এখন একলব্য পাবলিশার থেকে 'Little Bagha' রূপে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছে ও ভারতের নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
দেবাশিস গোস্বামী গণিতের অধ্যাপক ও গবেষক। অবসরে অল্পবিস্তর লেখালিখি ও ছবি আঁকার চেষ্টা করে থাকেন। কবিতা, অনুবাদ ও টুকিটাকি নিবন্ধ দু একটি লিটল ম্যাগাজিনে ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি। ২০২০ বইমেলায় দিবাকর ভট্টাচর্যের 'গল্প সংগ্রহ' প্রকাশিত হয়েছে।
দীপঙ্কর ঘোষ কোনদিন ছবি আঁকা শেখেননি গুরুর পাঠশালায় । ছবি লেখেন মনের আনন্দে। ছোটবেলা থেকে।
স্ট্যাটিসটিক্স, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনা করে জীবিকা জগতের গুরু দায়িত্বে থেমে যায় সেই শখ!
অবসর জীবনে আবার ধরেছেন পেন্সিল তুলি। পোর্ট্রেট বানান চারকোল পেন্সিলে। কখনো বা ছবিতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রং, এমনকি কাপের তলানিতে পড়ে থাকা কফি।
ওনার নিজের কথায়:
ইচ্ছে পূরণ হয়না কোন লেখায়,
শব্দগুলো খেই হারিয়ে মনের মাঝে কাঁদে।
কলম ছোটে ব্যর্থ সরল রেখায়,
ছন্দকে তাই বন্দি করি তুলির টানের ফাঁদে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তাঁর।
দেবদত্ত জোয়ারদার কলকাতায় থাকেন। ভাষাবিষয়ে আগ্রহী।
দেবারতি মিত্রের জন্ম ১২ এপ্রিল, ১৯৪৬ কলকাতায়। বাবা অজিতকুমার মিত্র, মা গীতা মিত্র। দেবারতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্বামী কবি ও গদ্যকার মণীন্দ্র গুপ্ত। দেবারতির প্রথম কবিতার বই 'অন্ধস্কুলে ঘন্টা বাজে'। তাঁর অন্যান্য বইগুলি হল -- আমার পুতুল, যুবকের স্নান, ভূতেরা ও খুকি, তুন্নুর কম্পিউটার, খোঁপা ভরে আছে তারার ধুলোয়, জঙ্গলে কাটুল, মুজবত পাহাড়ে হাওয়া দিয়েছে। গদ্যের বই 'জীবনের অন্যান্য ও কবিতা' এবং 'ভ্রমণাধিক ভ্রমর'।
১৯৬৯ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০২ সালে তিনি জাতীয় কবি নির্বাচিত হন।
দেবায়ন চৌধুরী-- পেশা- অধ্যাপনা। কবিতার বই- যা কিছু আজ ব্যক্তিগত। সম্পাদিত গ্রন্থ- দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১, কোচবিহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, কোচবিহারের রাণী নিরুপমা দেবীর নির্বাচিত রচনা। যৌথভাবে সম্পাদিত গ্রন্থ- কোচবিহার ইতিহাস ও সাহিত্য, সাধক কবি রামপ্রসাদ। অণুগল্পের ই-বুক-- এমনি বহে ধারা।
Joseph Samuel is a theoretical physicist working at the Raman Research Institute. In his own words: I have an interest in music and literature. My favourite poets are John Donne, Sylvia Plath and W.H. Auden. I do not normally write poetry. But in the early days of the pandemic, an Auden poem kept ringing in my ears and I woke up early to write the poem below. It was scrubbed and polished later.
শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা ও অল্পবিস্তর লেখালেখির নেশা আছে কনকজ্যোতি রায়ের। ইতিমধ্যে কিছু কবিতা ও প্রবন্ধ--তথ্যকেন্দ্র, ইরাবতী, সময়, আরম্ভ, কিশলয়,অবেক্ষণ, কবিতা লহরী, নবপ্রভাত, মাধুকরী, শিক্ষা ও সাহিত্য প্রভৃতি পত্রিকায় স্থান পেয়েছে।
প্রদীপ দাশশর্মা-র জন্ম ১৯৪৩ (ফরিদপুর অধুনা বাংলাদেশ)-এ। কর্মজীবনের সূত্রপাত অধ্যাপনায়। পদ্যে-গদ্যে তাঁর লেখা ঢের অন্যরকম। কলকাতা, এক্ষণ, গল্পকবিতা, পরিচয়, উলুখড়, নন্দন, দীধিতি, কবিকণ্ঠ, কবিসম্মেলন, কবিতা প্রতিমাসে, একালের রক্তকরবী, মানসলোক পত্রিকাদি তাঁর লেখভূমি। ২০০১-এ মৃদঙ্গার সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৩-এ কালকূট পুরস্কার প্রাপ্তি। তাঁর গবেষণাধর্মী বিবিধ প্রবন্ধ বিদ্বজ্জনের মনোযোগের কারণ। প্রকাশিত উপন্যাস
নীল হাওয়ার সমুদ্রে। সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি কাব্যগ্রন্থ
গাধা, রান্নাঘর।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র। প্রকাশিত
গ্রন্থ : 'ডাইনি ও অন্যান্য গল্প', 'মায়াতোরঙ্গ' এবং 'কলোনিয়াল কলকাতার ফুটবলঃ স্বরূপের সন্ধান' (অনুবাদ; প্রবন্ধ)।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
পেশায় শিক্ষিকা ফাল্গুনী ঘোষ বীরভূমের বাসিন্দা। প্রবন্ধ জাতীয় লেখালিখির সুত্রপাত ছাত্রাবস্থা থেকেই। প্রথম প্রকাশিত বই একটি প্রবন্ধ সংকলন, ‘প্রবন্ধে চেতনা ও চিন্তাচর্চা’। পরবর্তীতে রম্যরচনা ও অন্যান্য গল্প লেখালিখি করছেন। বিভিন্ন ওয়েবজিন ও প্রিন্টেড ম্যগাজিনে লেখেন। ২০১৯ কলকাতা বইমেলায় সৃষ্টিসুখ প্রকাশনী থেকে তাঁর প্রকাশিত রম্য গদ্য সংকলন ‘বকবকম’। লোকজ সংস্কৃতি, লোকজীবনের উপর আগ্রহ থেকেই একটু অন্যধরনের গল্প লেখার প্রচেষ্টা তাঁর। সম্প্রতি একটু অন্যধারার লেখালিখির প্রতি আগ্রহ রাখছেন।
দিলশাদ চৌধুরী। জন্ম ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে। ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে। কাজ করছেন অনুবাদ, অণুগল্প এবং ছোটগল্প নিয়ে।
হীরক সেনগুপ্তের লেখাপড়া স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজবিজ্ঞান। অবসর বিনোদন বইপড়া, গান, ডুডুলস । ভালোবাসেন ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ।
লুনা রাহনুমার বইপড়া আর কবিতা লেখার খুব নেশা ছিল কলেজে পড়ার সময় থেকেই। বাংলাদেশে একটি পাক্ষিক পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন বছর খানেক। তারপর ঢাকায় একটি দৈনিকে ছয় মাস কাজ করার পর স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস আরম্ভ করেন ২০০৬ সাল থেকে। দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আবার লেখালেখি শুরু করেছেন। একপর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দুইটি। "ভালোবেসে এঁকে দিলাম অবহেলার মানচিত্র" (১৯৯৮), "ফু" (২০২০), দুটোই বিশাকা প্রকাশনী, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। লেখার শুরু কবিতা দিয়ে হলেও বর্তমানে বেশ কিছু অণুগল্প, গল্প, ও ধারাবাহিক গল্প প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি অনলাইন সাহিত্য ম্যাগাজিনে। কর্মজীবনে তিনি একজন পে-রোল একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করছেন ইউকেতে।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় (জন্ম: ১৯৬৩) দীর্ঘদিন যাবৎ তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য তথ্যচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে 'গগনেন্দ্রনাথ' (ইন্ডিয়ান প্যানোরামা), 'পথের পাঁচালী - এ লিভিং রেসোনান্স', 'নবনীতা দেব সেন', স্ট্রিংস অব মেলোডি - ওস্তাদ আলি আকবর খান' প্রভৃতি। কিশোর বয়স থেকেই লেখালিখিতে ঝোঁক ছিল। তিনি আনন্দবাজার, যুগান্তর, আজকাল সহ বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। তাঁর ছবি নিয়ে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল আর্ট গ্যালারী ও কলকাতার নন্দনে রেট্রোসপেকটিভ হয়েছে। গুয়াংঝাউ, এডিনবার্গ, সিনেমা পেনিশে (প্যারিস), ঢাকা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তুর্কমেনিস্তানের আসগামাৎ চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবিকে 'Merit Plague' দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে।
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় অস্থি-বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, কলকাতায় থাকেন। করোনা-কালে লেখালিখির শুরু।
কল্লোল রায়, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। পেশায় ইঞ্জিনীয়ার, কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রজেক্ট সাইটে ঘুরে বেড়াতে হয়। কিন্তু সময় পেলেই ড্রইং খাতা পেন্সিল টেনে নিয়ে আঁকিবুঁকি করা নেশা। ইলাস্ট্রেশন, কার্টুন, ক্যারিকেচার এবং অল্পবিস্তর ছোট গল্প লেখালেখি করা শখ। বোম্বেডাক পত্রিকার কয়েকটি সংখ্যায় ও অন্য ম্যাগাজিনে ইলাস্ট্রেশন করেছেন এবং ওঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। রং তুলির সাথে সাথে ডিজিটাল মাধ্যমে ছবি আঁকা নিয়ে নিরন্তর বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলেছেন।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। প্রকাশিত বই 'তৃণা ফিরে এসো', 'মনের বাগান', 'আয়নার ভিতরে' প্রভৃতি।
মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
হৃদি কুন্ডু কলকাতায় থাকে। হ্যারি পটার আর গণ্ডালুর ভক্ত। ভবিষ্যতে লাইব্রেরিয়ান হবে বলে ঠিক ছিল (তাতে নাকি গল্পের বই পড়ার খুব সুবিধে হবে), এখন একটু দোটানায় আছে কারণ মনে হচ্ছে গাড়ি করে আইসক্রিম বিক্রি করাটাও মন্দ নয়।
হৃদির আর এক শখ ডিজাইন করা। এদিক-ওদিক থেকে হৃদি শোনে যে বাঙালিদের নাকি 'ডিজাইন'-বোধটা একটু কম। তার একটা বিহিত করার জন্যেই
খাতার পাতায় হৃদি কিছু ডিজাইন করেছে। আপাতত শুধু পোশাকের। আপনারাও দেখতে
পারেন চাইলে।
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী-র জন্ম উত্তর কলকাতায়। বড় হয়ে ওঠা উত্তর শহরতলীর এক সরকারি আবাসনে। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরণের বই পড়তে ভালোবাসেন এবং সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়িও তখন থেকেই।বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর। গল্প প্রথম ছাপা হয় উত্তরপাড়া থেকে প্রকাশিত "নিজস্ব" মাসিক পত্রিকায়। এরপর গল্প প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকা, আনন্দমেলা, তথ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। ভালোবাসেন গাছপালা ও বন জঙ্গল।
------>
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, মননশীল প্রবন্ধ ও অনুবাদ সব বিষয়েই নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কলম সাবলীল। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আই. এ. এস.। প্রায় ২৫টি উপন্যাস ও দেড়শ গল্প এখনো পর্যন্ত লিখেছেন। কলকাতা নিবাসী।
শুভ্রা বসু কলকাতায় থাকেন। 'বাংলায় ছন্দবৈচিত্র্য'-র ওপরে গবেষণা করে দিল্লীর মিরান্ডা হাউস থেকে পিএইচ-ডি। পরে দিল্লী, কলাম্বিয়া (নিউ ইয়র্ক) ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। কলকাতা ও দিল্লীর পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ করেছেন।
নূপুর রায়চৌধুরী কলকাতার বোস ইন্সটিট্যুটে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে UCLA-তে প্রথমে এবং এখন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বায়োমেডিকাল সায়েন্স-এ গবেষণা করছেন। গান ও সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা, তাঁর প্রিয়।
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম পুরুলিয়ার মৌতোড় গ্রামে। ১১ ফাল্গুন ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ। কবিতা ও গল্প
দুই-ই লেখেন। ছোটোদের ভুবনেও ভালোবাসেন থাকতে। প্রথম শিশু-কিশোর গল্পটি
দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত 'পাতাহরপ' পত্রিকায় প্রকাশিত।
রাজর্ষি চট্টোপাধ্যায় আধুনিক চিত্রশিল্পী, টেরাকটাতেও কাজ করেন। কলকাতার গবর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট আক্সন্ড ক্র্যাফ্ট থেকে ১৯৯৬ সালে স্নাতক। সাম্প্রতিক কাজে 'ফ্যান্টাসি'র ছোঁয়া পাওয়া যায়।
বাসব রায় বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজবাটিতে বেসরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক৷
প্রদোষ ভট্টাচার্য প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ কলেজ, তারপর প্রেসিডেন্সী কলেজ, এবং বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক। প্রাণপুরুষঃ সঙ্গীতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যে হেমেন্দ্রকুমার রায়, যাঁদের নিয়েই বেশিরভাগ লেখা। (দুজনের মধ্যেই 'হেম' আছে!)
পূর্বিতা পুরকায়স্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। দীর্ঘ পনের বছর পরে আবার কবিতা লেখা শুরু করেছেন। কলকাতা ও গুয়াহাটির কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনে সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল); "ছত্তিশগড়ের চালচিত্র (সুন্দরবন প্রকাশন); নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
রাজদীপ রায়ে জন্ম আটের দশকে। তখন এই জাতকের সামনে ছিল দীঘল একটি করবীগাছ, ছাদে একা পুড়ে যাওয়া এন্টেনা, যৌথ পরিবারের অলিগলি। বিজ্ঞাপনে মোড়া একটি দশকের মধ্যে দিয়ে কেটেছে শৈশব। শিল্পাঞ্চলের দূষণ তাকে বিচ্ছিন্ন করেছে; ঠেসে দিয়েছে বুকের ভিতর— একইসঙ্গে বিষণ্ণ ফুসফুস আর জন্মস্থানের মায়াবী শিকড়, গেরস্থালি। এইসবেরই ফসল কয়েকটি কবিতার বই। এছাড়া কাজ বলতে, ভুলক্রমে ছেলে-মেয়েদের পড়াতে গিয়ে, নিজে বেশি করে পড়া ও তাদের থেকে শেখবার চেষ্টা করা। 'বোধশব্দ' লিটল ম্যাগাজিনের সুখদুঃখে জড়িত।
পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রপ্তানিকারক সংস্থায় কর্মরত এবং তাঁর শখ কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ রচনা করা। তাঁর লেখা দেশে বিদেশে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
রূপসা দাশগুপ্তের আমেরিকায় প্রায় দশ বছর বসবাস, বহরমপুরে জন্ম। গত ৭ বছর থেকে অল্পবিস্তর মনোযোগ দিয়ে লেখালেখি, কিছু ওয়েব পত্রিকা ও কলকাতার কিছু পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হয়েছে। সাহিত্যে বরাবর আগ্রহ ছিল, বিঞ্জানের স্নাতক হয়েও সেই ভালোবাসা থেকে যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্যপাঠ। আবৃত্তি ও আঁকার শখ আছে।
ড. সাধন কুমার পাত্র: জন্ম বাঁকুড়া জেলার কাদড়া গ্রামে। পেশায় অধ্যাপক। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ., এম.ফিল., ও পিএইচ.ডি.। কবিতা, গল্প, উপন্যাস লেখা তার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থ – ফুলমনি (উপন্যাস), কারক-প্রকরণ, কাব্যভেদবিমর্ষঃ ও সহজ অনুবাদ-শিক্ষক। এছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন।
শ্রীতমা মাইতি মেদিনীপুরে থাকেন। ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতকস্তরেপড়ছেন। ছবি আঁকা, বই পড়া ইত্যাদি অনেক বিষয়ে খুব কৌতূহলী ও ফলে পড়াশোনা করেন বিস্তর।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সাগরিকা দাস। আজন্মকাল এই শহরের বাসিন্দা। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা। স্কুলে পড়ার সময় থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে লেখালেখি শুরু (কাউকে দেখানোর সাহস হয়নি)। গত দুবছর আগে হঠাৎই একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রথম প্রকাশিত লেখা। তারপর থেকে 'দেশ', 'আনন্দবাজার পত্রিকা' সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও লিটলম্যাগে টুকটাক লেখালেখি চলছে।
ড. সজল কুমার মাইতি প্রায় দ্বিশতাব্দী প্রাচীন 'হুগলী মহসীন কলেজ'-এর বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। এ্রর আগে দার্জিলিং সরকারি কলেজ ও কলকাতার গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশ-এ বহু বছর পাঠ দানের অভিজ্ঞতা আছে। তেত্রিশ বছরের অধিক কাল শিক্ষকতা কাজে রত। বহু বছর সাহিত্য চর্চায় লিপ্ত থাকলেও লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ সিনিয়র সিটিজেন হওয়ার পর। যদিও বিষয়ের গবেষক হিসেবে গবেষণামূলক বহু লেখা বিভিন্ন নামী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সাহিত্যের আঙিনায় লেখক হিসেবে নবাগত। লেখার বিষয় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। ভ্রমণ অতি প্রিয় হবি। লেখকের কিছু গল্প, কবিতা দেশের ও বিদেশের আন্তর্জাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে স্ত্রী কন্যা সহ ছোট্ট পরিবারের আবাসস্থল কলকাতার সল্টলেক নগরী। পেশার বাইরে ও কিছু সমাজ সেবামূলক কাজে যুক্ত।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের বাল্যজীবন একেবারে অন্যরকম। মধুপুরে (এখনকার ঝাড়খণ্ডে) দাদুর (ব্রিটিশ আমলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে ইংরেজি, সংস্কৃত আর অঙ্ক শিখেছেন। বারো বছর বয়েস অবধি কোনো ইস্কুলে যাননি। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ, পুনের ফার্গুসন কলেজ, দিল্লীর আইআইটি, এবং আমেরিকার রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। ছেলেবেলার স্বাধীনতা ও বিচরণক্ষেত্র ছিল অবাধ -- মধুপুরের আদিবাসী ও সাধারণ লোকজনেদের সঙ্গে। সেইসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর বই
Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India ২০১৮-সালে প্রকাশিত হয়েছে।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
সুস্মিতা ঘোষের জন্ম উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা অবিভক্ত পশ্চিম দিনাজপুরে। বালুরঘাট কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। বর্তমানে নিজের শহর বালুরঘাটেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত।
সুগত মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তিবিদ্যায় প্রশিক্ষিত হয়ে অনতিঅধিক তিনদশক প্রাসঙ্গিক পেশায় যুক্ত। নানা বিষয়ের পল্লবগ্রাহী পাঠক তবে তার মধ্যে সমকালীন ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সমাজের ফুটন্ত কটাহের বিষয়ে সমধিক আগ্রহী। কবিতার একজন অশিক্ষিত গুণগ্রাহী। গড়পড়তা স্বাক্ষর মানুষের মতো কবিতা লিখবার ঝোঁকের কদাচিৎ শিকার, যদিও সৃষ্টিগুলি কবিতা হয়ে ওঠে কিনা এ ব্যাপারে তাঁরও অনেকের যুক্তিগ্রাহ্য সংশয় আছে। ছন্দ মেলানো লেখার প্রবণতা সবিশেষ।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সম্প্রতি আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
শাম্ভবী ঘোষ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্কুল অফ ইকোলজি এন্ড এনভায়রনমেণ্টাল স্টাডিস' বিভাগে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চা এবং ডিজিটাল ও প্রিণ্ট উভয় মাধ্যমেই নিয়মিত লেখালেখি করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ অনুবাদের কাজ করছেন। এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রকাশিত কবিতার বই 'A Stranger's Conversation' (Authorspress, 2014).
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, শিবপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। তেত্রিশ বছর মুম্বাইতে বসবাস। বাণিজ্যিক অবাণিজ্যিক পত্র পত্রিকা নির্বিচারে লেখালিখি। প্রকাশিত
গল্প সংকলন: রূপকথা ট্রাভেলস।
সুজিত বসু তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করে পি এইচ ডি প্রাপ্ত হন মস্কো থেকে। দেশে ফিরে তিনি কর্মরত
হন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার শাখা অফিস আমেদাবাদের অন্তরীক্ষ উপযোগ কেন্দ্রে। সেখানে তিনি তিন দশক কর্মরত ছিলেন। অবসরের পরেও দু বছর তিনি সাম্মানিক অধ্যাপক ছিলেন প্রথমে ওই কেন্দ্রে ও পরে ইন্দাস বিশ্ব বিদ্যালয়ে। তাঁর কাজ ছিল কৃত্রিম উপগ্রহ প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে ব্যবহারিক গবেষণা যার মূল বিষয় ছিল আবহবিদ্যা ও সমুদ্রবিজ্ঞান।
তবে বিজ্ঞান যদি তাঁর পেশা হয়ে থাকে তাহলে কবিতা তাঁর নেশা। তাঁর দুটি কবিতার বই আছে।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
শুভময় রায় (জন্ম: ১৯৬৪) আজন্ম কলকাতাবাসী। মৌলানা আজাদ কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জনপালন কৃত্যক (নির্বাহী)-তে আট বছর চাকরির পরে ২০০২ থেকে অনুবাদই পেশা। বাংলা ইংরেজি, ফরাসি, উর্দু এবং হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যের উৎসাহী ছাত্র ও আগ্রহী পাঠক।
সুদীপ সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে পোস্ট-গ্রাজুয়েট। তারপর ডব্লিউ বি সি এস (এক্সিকিউটিভ); বর্তমানে পূর্ব-মেদিনীপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে কাজ করছেন। লেখালেখি শুরু করেছেন ২০১৬ সাল থেকে। স্টেটসম্যান, দৈনিক আজকাল, ও রবিবাসরীয় আনন্দবাজারে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সুমন চক্রবর্তীর জন্ম, স্কুল, কলেজ কলকাতায়। পুঁথিগত বিদ্যায় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারীং এর স্নাতক এবং বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরে তথ্য-প্রযুক্তিতে কর্মরত। 'দেশ', কিছু লিট্ল ম্যাগাজিন এবং দোসর প্রকাশনের 'ক্যাফে কবিতা' সংকলন-এ তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালেখি ছাড়াও বেড়াতে আর গান শুনতে ভালবাসেন।
স্বরূপ মণ্ডলের জন্ম মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহর। বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর। কবিতা লেখা শুরু ছেলেবেলাতেই। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় "দুন্দুভি" পত্রিকায় (নয়ের দশকে কান্দি থেকে প্রকাশিত হতো।) পরবর্তীতে "অঙ্গাঙ্গি"-র সঙ্গে যোগাযোগ এবং কবিতা প্রকাশ। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা, গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ "প্রতিধ্বনি"।
স্বপন ভট্টাচার্য:
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। কবি ও নিবন্ধকার। প্রকাশিত কবিতা সংকলন দু'টিঃ ওষধিবাগান (২০১৭) এবং গ্যালিয়ানোর আয়না ও অন্যান্য কবিতা (২০১৯)। বাংলাভাষায় বিজ্ঞানগদ্য রচনায় ব্রতী আছেন।
স্বর্ভানু সান্যালের জন্ম হাওড়ার রামরাজাতলায়। ছাত্রজীবন কেটেছে খড়গপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া ও দূর্গাপুরে। কর্মজীবন শুরু বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। তারপর চাকরিসূত্রে কখনো মুম্বাই, বেঙ্গালুরু কখনো বা সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। গত সাত আট বছর ধরে আমেরিকার শিকাগোয় কর্মরত। পেশাদারি এবং পারিবারিক জীবন বাদ দিলে, তার অনেকটা সময় কাটে সাহিত্যচর্চা করে। সব রকমের লেখা পড়তে ভালোবাসেন। অনুগল্প, রম্যরচনা, কবিতা নিয়মিত লিখে থাকেন। "যযাতির ঝুলি"(http://jojatirjhuli.blogspot.com/search/label/bangla) নামে তার ব্যক্তিগত ব্লগ আছে এবং সেই ব্লগ এর মাধ্যমে তার লেখা নিয়মিত পাঠকদের সাথে ভাগ করে নেন। অন্য শখের মধ্যে আছে বেড়ানো, ফটোগ্রাফি, গান শোনা। ২০১৯ সালে পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে মুদ্রিত মাধ্যমে এসেছে স্বর্ভানু সান্যালের প্রথম ছোট গল্প সংস্করণ "যযাতির ঝুলি - এক ডজন গপ্পো"।
উত্তম বিশ্বাস--জন্ম ১৯৮০, বনগাঁর সীমান্তগ্রাম সুটিয়াতে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে এম-এ। পেশায় সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষক। ভালোবাসেন লেখালিখি ও গান। প্রকাশিত গ্রন্থ… ‘নদীতৃষ্ণা ও অলৌকিক মাছেরা’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৮)
‘বন্ধ্যানদীর বালিহাঁস’ (উপন্যাস, ২০১৯),
জলটুঙি (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৯),
‘মাটির সিন্দুক’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০)।
এছাড়া বিভিন্ন ছোটবড় কাগজের নিয়মিত গল্পলেখক।
প্রাপ্তি--রামমোহন রণজিৎ পাল সাহিত্য পুরস্কার (২০১৮), ও
মুম্বাইয়ের লালমাটি উৎসব ও গান মেলা পুরস্কার (২০২০)।