ট্রাকটা চলে গেল পাশ দিয়ে হুস করে ধুলো উড়িয়ে। চোখে রুমাল চাপা দেওয়ার ফাঁকে নজর পড়ল পিছনের লেখাটায়, হাসি পেয়ে গেল। লেখাটা ছিল, 'পাগলি হস মৎ, নঁহী তো প্যার হো যায়েগা।'
হাসি পেল এই জন্য যে, লেখক কত বড় প্রেমিক, তাই ভেবে, যে একটা হাসির জন্য প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে গেল, প্রেমের আর এক উদাহরণ দেখেছি সিনেমায়, 'পাকীজা'-তে নায়িকার পায়ের আঙুল দেখে নায়কের প্রেমে পড়ে যাওয়ার গল্প।
অবশ্য হাসির যে কত মনমোহিনী শক্তি আছে তা বিশ্বাস করা শক্ত।
আমাদের ছোটবেলায় শুনেছি, দেখি নি, বিখ্যাত চলচ্চিত্র কমেডিয়ান নবদ্বীপ হালদার, তাঁর স্টেজ কমেডিতে 'আশি রকমের হাসি' বলে একটা শো করতেন। তাতে তিনি ভাসুর- ভাদ্রবৌ-এর হঠাৎ দেখার হাসি থেকে শুরু করে নাকি অট্টহাসি হয়ে প্রেমের সলাজ হাসি পরিবেশন করতেন নিপুণ দক্ষতায়।
অবশ্য হাসির দামের যে কোন মাপজোপ হয় না, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিবেশী দেশের এক রাষ্ট্রপ্রধান নাকি আমাদের দেশের এক সিনেমা অভিনেত্রীর হাসির বদলে নিজের গোটা দেশটাই দিতে চেয়েছিলেন।
সত্যি কথা হল, হাসি নিয়ে রহস্যও তো কম নেই। ভাবুন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসার হাসি নিয়ে যে কত গবেষণা হয়েছে আর কত বই লেখা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। তবু নাকি এখনও সে রহস্য ভেদ হয় নি। এখন তো সিনেমায় প্রায়ই দেখি, প্রেম বোঝাতে দেশি-বিদেশি সব সিনেমাবানানোওয়ালারা দেহকে ব্যবহার করে, দৈহিক প্রেম ছাড়া প্রেম বোঝাতেই পারেন না। অথচ অজন্তায় হর-গৌরীর প্রেম থেকে সত্যজিৎ রায় পর্যন্ত সবাই ইঙ্গিত দিয়েই সব সুন্দর বোঝাতে পারতেন। অজন্তায় গৌরী সলজ্জ মৃদু হাসি দিয়ে নত মুখে এক পা দিয়ে অন্য পায়ের বুড়ো আঙ্গুল মর্দন করছেন। ব্যস, প্রেমের পূর্বরাগের ছবি পরিষ্কার, কাউকে আর দর্শককে কিছু বোঝাতে হবে না। সত্যজিৎ রায়, দুটি পদ্মফুল দুলিয়ে, কি, এক ঝাঁক পাখি উড়িয়ে প্রেম বুঝিয়ে দিলেন। আর অজন্তার কথা যখন হলই, তখন কী করে এড়ানো যায় সেই বুদ্ধমূর্তির কথা যার তিন দিক থেকে আলো দিলে তিন রকমের ভাব ফুটে ওঠে যার মধ্যে অন্যতম বুদ্ধের প্রশান্ত স্মিত হাসি। যত রকমের হাসি আছে তার মধ্যে বুদ্ধের মুখের যে হাসি শিল্পীরা সব জায়গায় ফোটাতে চেয়েছেন তা হল, মন শান্ত করা এই স্নিগ্ধ হাসি। একেবারে শিশির ধোয়া ভোরের ফোটা ফুলের মত নির্মল মধুর দেবশিশুসুলভ হাসি।
রসিক বাঙালি কিন্তু হাসিতেই মজেছে চিরকাল। তাই বলে, 'মন্বন্তরে মরিনি আমরা--' বরং 'হাসছি মোরা হাসছি দেখ হাসছি মোরা আহ্লাদী'। এই দলে যারা ঢুকতে চায় না বা পারে না তাদের চিরকালই তারা 'দুয়ো' দিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয় তাদের জন্য বিশেষ একটি নাম দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত পিতৃদেব, সুকুমার রায়, যা আজ প্রতিটি ঘরে জনপ্রিয়, এবং তা হল 'রামগরুড়ের ছানা'। যদিও রামগরুড় প্রাণীটির বাস্তব অস্তিত্ব সম্বন্ধে অনেকেই সন্দিগ্ধ, কিন্তু তার ছানার অস্তিত্ব সম্বন্ধে একেবারেই নিঃসন্দেহ সবাই।
আগেকার দিনে যাত্রার আসর দাপিয়ে বেড়াত সত্যম্বর অপেরা, নট্ট কোম্পানির দল। আর সেই সময় যাত্রা চলত, ঢং করে তৃতীয় ঘণ্টা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ল্যারিওনেটের আওয়াজ ও গ্রীনরুমের দিক থেকে দৌড়ে আসা নর্তকীর নাচ দিয়ে শুরু করে সারা রাত। আমরাও সারা রাত সেই যাত্রা দেখার জন্য খেয়েদেয়ে ঢুলু ঢুলু চোখে অনেক উত্তেজনা নিয়ে কখনও ঘুমিয়ে কখনও জেগে ভোরের পাখি ডাকা পর্যন্ত ছাউনির নীচে আর হ্যাজাক কি গ্যাস লাইটের আলোয় (তাতে আবার মাঝে মাঝে পাম্প দেওয়া হত আর গায়ে বাঁধা থাকত কিছু গাছের পাতা, পোকার উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য) বসে সেই যাত্রা শুনতাম বা দেখতাম। তখন আমাদের ঝিমুনি বা ঘুম কেটে যেত নাদির শা, কি আওরঙজেবের বিকট হাসির আওয়াজে। এই হাসি, যা সচরাচর মানুষ হাসে না, সেই হাসিই শিল্পী বিশেষ চেষ্টা করে আয়ত্ত করতেন চরিত্রের নিষ্ঠুরতা বোঝাতে। আমি নিজে দেখেছি, এক সখের যাত্রাদলের পরিচালক তাঁর নাটকের রিহার্সালে নায়ককে বোঝাতে গিয়ে বলছেন, এইরকম হাসলে লোকে আর যাত্রা দেখবে না, বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। তা সত্যিই, যাত্রায় ওই হাসির আওয়াজে তখন পিলে চমকে উঠে, ঘুম ভাঙা তো ছেলেমানুষ,রীতিমত প্রাণে ভয় ধরিয়ে দিত। এই হাসি যাঁর যত বীভৎস ও ভয়ংকর, তিনি হাততালি কুড়োতেন তত বেশি।
অবশ্য বিপরীত ব্যবহারও আছে। শুনেছি, সত্যাসত্য জানি না। এক বিখ্যাত বাঙালি সিনেমা পরিচালক, তাঁর বিখ্যাত এক নায়িকাকে বলছেন, তুমি অত হাসছ কেন? তোমার হাসি আমি দেখাব না। তোমার মুখও দেখাব না। দেখাব তোমার পা। তাই পায়ের চলন এমন হবে তাই দিয়ে তোমার মুখের এবং মনের হাসি প্রকাশ পাবে। নায়িকা নিশ্চয়ই এই গূঢ় রহস্য ভেদ করে বাস্তব করে তুলেছিলেন। কিন্তু সেটা আমার বক্তব্য নয়। আমি বলতে চাইছি, মুখের হাসি তাহলে পদযুগল দিয়েও প্রকাশ হতে পারে! এই না হলে কী আর বড় শিল্পী হওয়া যায়!
হাসির ইঙ্গিত যে কত ভয়াবহ হতে পারে ভারতের মানুষ, থুড়ি, পৃথিবীর মানুষ আজ তা বুঝে গিয়েছে। যে-বুদ্ধের নির্মল প্রশান্ত হাসিতে সমস্ত পাপী তাপী সব জ্বালাযন্ত্রণা ভুলে গিয়ে নিষ্কৃতি পায়, সেই বুদ্ধের হাসিই যখন বিপরীত কাজে ব্যবহার হয় তখন--? আজ সারা পৃথিবী জেনে গেছে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উচ্চারিত কোড শব্দগুলি, 'বুদ্ধ হেসেছেন'-এর অন্তর্নিহিত অর্থ কত মারাত্মক ছিল। ভগবানের তৈরি সৃষ্টিকে রক্ষা নয়, ধ্বংস করার প্রস্তুতিতে ছিল বুদ্ধের ওই 'হাসি'। বুদ্ধদেবের প্রশান্ত হাসির এমন বিপরীত ব্যবহার সাধারণের ক্ষেত্রে ভাবাও দুষ্কর। অবশ্য হাসিকে ভয়ানক হিসাবে দেখানোর চেষ্টাও বহু পুরানো। আমাদের ছোটোবেলায় ক্লাশের শেষ বেঞ্চে বসে 'হায়েনার হাসি', 'ড্রাকুলার হাসি' গোছের বই গোগ্রাসে পড়ার অভিজ্ঞতা সেকালের বহু ছেলেরই ছিল। সে হাসি আসলে গোয়েন্দাগল্প বা রহস্যগল্পের প্রতীক ছিল।
সত্যিকারের মন খোলা হাসি তো আজকাল দুর্মূল্য হয়েই উঠেছে, যেটা দেখা যেত রকের আড্ডায় বা ক্লাব ঘরের ভেতরে। এখন ফ্ল্যাট কালচারে রককে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে বাদ চলে গেছে প্রাণ খোলা হাসি। আর দু-একটি ক্লাব, যা ছড়িয়েছিটিয়ে এখানে-ওখানে টিঁকে আছে তার সদস্যরা বিশেষ কিছু পূজা বা কিছু অনুষ্ঠান ছাড়া একত্রিতই হয় না। একসঙ্গে বসে হাসি তো দূরস্থান।
তাই এখন হাসি, পয়সা খরচ করে কিনতে হয়। ভগবানের অফুরন্ত অঢেল অপর্যাপ্ত দান আলো বাতাস জল যেমন আজ বোতলে ভরে পয়সা দিয়ে কিনতে হয়, মানুষের স্বভাবজাত হাসিও এখন তেমন কৃত্রিমভাবে তৈরি করে পয়সা দিয়ে কিনতে হয় লাফিং ক্লাবে। সকাল হতেই মানুষ দৌড়ান এইসব ক্লাবে। রীতিমত গাঁটের কড়ি খরচ করে সেখানে স্বাস্থ্য রক্ষার তাগিদে প্রাণহীন অন্তঃসারশূন্য অনর্থক হা হা হাসিতে আকাশ-বাতাস উচ্চকিত করে ভরিয়ে তোলেন।
এখন যদিও ফেসবুকের দৌলতে লোকে একটু-আধটু হাসির খোরাক পায়, সেটার পিছনে কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক স্বার্থ যাই থাক। রাস্তায় চলতে চলতে বা কোথাও বসে থাকতে থাকতে দেখি, পাশের ছেলে বা মেয়ে বা বুড়ো বা বুড়ি মোবাইলের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে জগৎ ভুলে আপনমনে ফিক ফিক করে হেসে যাচ্ছে। কখনও ক্বচিৎ দেখি একান্তই দমফাটা হাসি চাপতে না পেরে, ফট করে আওয়াজ করে মুখ খুলতে বাধ্য হন। তবে সেসব স্বার্থপরের মত, নিছকই নিজে নিজে উপভোগ করা। তখন মনে পড়ে যায়, সেই বিখ্যাত কবিতার ছত্র, "একেলা জগৎ ভুলে, পড়ে আছি নদীকূলে --"। সবটাই 'তএকেলা', একসঙ্গে যৌথ হাসির আড্ডা নয়। তবে এসব হাসিও কৃত্রিম মনে হয়। সিনেমা-সিরিয়ালে যা দেখা যায় তাতে হাসির খোরাকের চেয়ে ভাঁড়ামির খোরাকটাই বেশি মনে হয়।
তখনই দুঃখ এবং যুগপৎ চিন্তাও হয় যে সত্যিকারের নলেন গুড় বা জয়নগরের মোয়ার মত সত্যিকারের প্রাণখোলা হাসিও হারিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে পাশের বাড়ির মেয়েটি বলছিল, জেঠু, জানো, এখন কেউ কিন্তু কারোর সত্যি বন্ধু হয় না। সবাই কোন-না-কোন স্বার্থে বন্ধু।
বললাম, সেকি! এত বন্ধু চারিদিকে, ফেসবুক বন্ধু, কলম বন্ধু, অফিস বন্ধু, ক্লাব বন্ধু--
না, জেঠু এরা কেউ সত্যি বন্ধু নয়। এদের সাথে মন খুলে সব কথা বলতে গেলে আখেরে নিজের ক্ষতিই হবে। এদের বলে 'ভার্চুয়াল বন্ধু'। তুমি এসব বুঝবে না।
হবে হয়ত, আমরা বুঝি না। সবাই কি সবার সব কথা বুঝি, না, বোঝার চেষ্টা করি? বন্ধু কী করে 'ভার্চুয়াল' হয়, সত্যই জানি না। ছেলেবেলায় পদার্থবিজ্ঞানে আলোক অধ্যায়ে 'ভার্চুয়াল ছবি'-র ব্যাপারটা জেনেছিলাম। বন্ধুও যে 'ভার্চুয়াল' হয় জানা ছিল না। অবশ্য আজকাল তো 'ভার্চুয়াল মেধা' নিয়েও অনেক কথা শুনতে পাই। ক্রমশঃ সব যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি সব সাধু বা মহামানব হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি--সেই ওনাদের কথা অনুযায়ী 'ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা'। তবে সবই কি 'ভার্চুয়াল' হয়ে যাচ্ছে? নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখি, আমি কি সত্য, না এটাও মিথ্যা--কী জানি বাবা!
যাকগে, প্রসঙ্গান্তরে আসি, যেকথা বলছিলাম। বন্ধু বা বন্ধুত্ব যদি 'ভার্চুয়াল' হয়, তাদের কাছ থেকে প্রাণের বা প্রাণখোলা 'রিয়েল' হাসি তো আশা করাই বাতুলতা। তখন আর উপায় কি! দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত বোতলবন্দী কৃত্রিম হাসিই, অগতির গতি।
অথচ কিছুদিন আগেও, সাহিত্যিকরা একসঙ্গে কেবল রসিকতা বা হাসির জন্য মিলতেন। লিখতেনও হাসির গল্প, এব্যাপারে কেউ বেশি কেউ কম। তবে চেষ্টা অনেকেই করেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ থেকে শিবরাম পর্যন্ত। বঙ্কিমচন্দ্রও কিছু কম যান নি, মুচিরাম গুড় থেকে কমলাকান্ত পর্যন্ত। রজনীকান্ত আর কিছু না পারুন, ওইটুকু জীবনেও হাসির ছোঁয়া দিয়ে গেছেন। কত নাম আর করব। কিন্তু একালে দেখুন, লেখক বা কবি, লিখতে শিখল কি শিখল না, আগেই, কবিতা বা গল্প, যাই লিখুক তাতে দেহসর্বস্ব আদিরসের ছোঁয়া দেবেই। কিছু বলতে গেলেই মেজাজ গরম করে বলবে, আপনারা বড় নাক উঁচু; সাহিত্যে শিল্পে শৃঙ্গাররস, আদিরসও স্বীকৃত রস। অবশ্যই, অস্বীকার তো করছি না। তবে তার সুন্দর প্রয়োগ শিখতে হবে না? আরে বাবা, জয়দেব, কি বিল্বমঙ্গল কি কোনারক-পুরীর সৃষ্টির শিল্পীর শিল্পচাতুর্য, দক্ষতা কি তোমার তৈরি হয়েছে! তুমি কি মাইকেলএঞ্জেলো কি রঁদার সমতুল্য হয়ে গেছ, যে তাদের সঙ্গে নিজের তুলনা করছ। তাদের শিল্প যুগোত্তীর্ণ, কালোত্তীর্ণ--কোন গুণে? রবিশঙ্কর, বিলায়েত, ভীমসেন কত বিবাদী স্বরকে সুন্দর শ্রুতিমধুর সুষ্ঠু ভাবে প্রয়োগ করেছেন, সে কি সবার দ্বারা সম্ভব?
যাক, তর্ক ছেড়ে অন্য কথায় আসি। কবিরা মানুষের হাসি দেখতে পেয়েছেন জড় বস্তুর মধ্যেও। তাই সে গান, কবিতা পড়লে মনটাও স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে। কবি লিখলেন, চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে--। যার নিজের মনে হাসির লেশমাত্র নেই সে আবার হাসির বাঁধ ভাঙার কথা ভাববে কি করে, তাও আবার চাঁদের মত রুক্ষ শুষ্ক পদার্থের মধ্যে? কিন্তু যাঁর মনে সবসময়ই 'প্রাণে খুশীর তুফান উঠেছে--' তিনি চাঁদের-মাটির-গাছ-পাতা-আকাশ-বাতাস সবার মধ্যেই হাসির জোয়ার খুঁজে পাবেন। এতে আর আশ্চর্য কি।
যাঁরা মানুষকে সচেতন করানোর জন্য জন্মেছেন, তাঁরা বলেছেন, 'হেসে নাও, দুদিন বই তো নয়—'। অর্থাৎ এই দুর্মূল্য জীবনের ক'টা দিনে মুখ ভার করে বিষাদাচ্ছন্ন না থেকে হাসতে বলেছেন। বলেছেন, বৃথা মৃত্যুভয়ে ভীত না হয়ে হাসতে "মরণ যখন অনিবার্যই হাসিয়াই চলে যাই ' --যা করেছেন শহীদ ক্ষুদিরাম কানাইলালের মত বীরেরা।
কাজেই জীবনের এই অল্প সময়ের বৃথা অপচয় করি কেন। অতএব--