বারাণসীতে বছরখানেকের ভিতর এই তৃতীয়বার। মনে হচ্ছিল এয়ারপোর্ট থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখব স্টিভ আমাকে নিতে এসেছে। এমন মনে হওয়ার কোন কারণ নেই। যুক্তিও নেই জানি, তবু ক্ষীণ আশা ছিল সে আমার মেইল হয়ত দেখে থাকবে।
আমরা প্রথমবার এসেছিলাম একসঙ্গে এবং রেলপথে। নেহাতই বালিকা বয়সে পাকাপাকিভাবে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবার আগের যেসব স্মৃতি এখনো জীবন্ত আমার মধ্যে, তার মধ্যে বিশেষ একটা হল সবাই মিলে রেলযাত্রার। কথা ছিল ভারতে আমরা প্রথমে যাব গোয়া, মুম্বাই ও আগ্রা। এর পর ‘ইন্ডিয়ান রেল’ আমাদের নিয়ে যাবে বারাণসী। বারাণসীতে পুরো এক সপ্তাহ কাটাব--এমনই কথা ছিল। আন্তর্জাতিক ট্র্যাভেল সাইটের বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণকে কিছুটা ব্যঙ্গ করেই যখন ভারতীয় রেল ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে ঢুকে পড়তে পেরেছিল বেনারস স্টেশনে তখন স্টিভকে বেশ মজা পেতে দেখেছিলাম। স্টেশনের বাইরে ছিল পরিপূর্ণ বিশৃঙ্খলা। হোম স্টে থেকে গাড়ি পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু বাইরে বেরিয়ে শুনতে পেয়েছিলাম--‘হোমই নেই তার আবার হোম স্টে।’ আমাদের বুক করা গেস্ট হাউস নাকি বুলডোজারের তলায় চলে গেছে। ক্যাবচালকদের বিকল্প ডেরা খুঁজে দেবার উৎসাহ দেখে স্টিভই গোঁ ধরেছিল, “ওখানেই যাব।”
দেখা গেল, ক্যাবচালকেরা যা বলেছিল তা অর্ধ নয়, পুরোটাই সত্য। যেন বোমা ফেলে গুঁড়িয়ে দেওয়া গাজা স্ট্রিপ। সেই ধ্বংসস্তূপ অতিক্রম করে গেস্ট হাউসে পৌঁছে আমরা যতটা অবাক হয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছিল সেই আতিথ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরিবার। বাড়িতে পুরুষ কেউ ছিল না। তারা সরকারি নোটিশ পেয়ে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে, বিকল্প বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে। বলেছিলাম, “বুকিং সাইটে এত রিভিউ, এত মনকাড়া ছবি, এসব দিয়ে রেখেছেন কেন?” তার উত্তরে বাড়ির মহিলাদের একটাই উত্তর, “পতা নেহি।” তাদেরই একজন আমাদের নিয়ে পৌঁছে দিয়েছিল কাছেই একটা চলনসই অতিথিশালায়। পরিশ্রান্ত এবং ক্ষুধার্ত শরীরে সেটা তখন ফাইভ স্টার। স্টিভকে প্রশ্ন করেছিলাম, “কী বুঝলে?” তার ছোট্ট জবাব ছিল, “অ্যামেজিং।” তখনও কল্পনায় ছিল না সে সত্যিই এমন কিছু করে উঠতে পারে।
এয়ারপোর্ট থেকে ক্যাব বুক করে আমি চলে এলাম গৌদালিয়ায়। এখন আমি এ শহর একটু একটু চিনি। বিশ্বনাথ গলি চিনি, দশাশ্বমেধ ঘাট চিনি, মণিকর্ণিকা চিনি। আমি জানি স্টিভ এখানেই কোথাও আছে। তার ফোন নীরব, তার হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেইলবক্স দীর্ঘদিন ধরে অনাঘ্রাত, তবু আমি জানি প্রাচীন এ জনপদে জীবন ও মৃত্যুর মাঝে নিজেকে পরখ করে দেখছে সে কোথাও না কোথাও। আমি প্রথমে মৃত্যুর দিকে যাওয়াই সাব্যস্ত করি। বিশ্বনাথ গলির মধ্য দিয়ে আমি পৌঁছে যাই মণিকর্ণিকা ঘাট।
প্রথমবারের বুকিং বিপর্যয়ের পর আমরা যে অতিথিশালায় উঠেছিলাম সেখানে যেতেই কেয়ারটেকার মধুকর আমার দিকে তাকিয়ে বিষণ্ণ হেসে বলে, “ম্যাডাম, তুমি এসেছ? থাকবে তো? ঘর রেডি করতে বলি?” “স্টিভকে শেষ কবে দেখেছ মধু? সে বেঁচে আছে তো?” আমার কান্না আসে না সহজে, কিন্তু অসহায়তাকে আর কী করে চাপা দেওয়া যায়? মধুকর বলে, “চিন্তা কোরো না ম্যাডাম। ও আপন মর্জিতে আছে। বাবা বিশ্বনাথ ওকে দেখছেন। তিন চারদিন আগেও দেখেছি তাকে।” এই অতিথিশালার ছাদ থেকে গঙ্গা দেখা যায় এমন যেন হাতে ছোঁয়া যাবে। সামনের গলিপথটি মিশে গেছে স্তূপাকৃতি কাঠ আর জলন্ত চিতায়। এর নাম মণিকর্ণিকা ঘাট। এ ঘাটে নাকি কোনোদিন চিতা নেভে না। গলিপথ দিয়ে থেকে থেকেই যে আওয়াজ উঠে আসছে তা বিদায়ের যতটা তার চেয়ে বেশি বিসর্জনের। রামনাম সত্য হ্যায়।
সেই প্রথম রাতে ভালো করে ঘুম আসতে চায় নি, তবে স্টিভ অবিচলিতই ছিল এবং তাকে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে দেখে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম। পরদিন সকালবেলায় ঘুম ভেঙে দেখি সে বিছানায় নেই। কখন বিছানা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে সে তা টের পাই নি। নীচে এসে মধুকরকে জিগ্যেস করায় জেনেছিলাম স্টিভকে সে ক্যামেরা নিয়ে বেরোতে দেখেছে, তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়েছে, কিন্তু সে কোনদিকে গেছে তা এই কেয়ারটেকারের জানা নেই। অগত্যা আমি বেরিয়ে পড়েছিলাম রাস্তায়। সকালের সূর্য ছিল ঈষৎ ঘোলাটে এবং তা একাকী তরুণীর জন্য কিছু সতর্কবার্তা দেয় বলেই মনে হয়েছিল। তবে অচিরেই ভয় কেটে যায় কেন না পাথরের এই পথ অনবরত অতিক্রম করে যাচ্ছে শবযাত্রীদল। ‘রামনাম সত্য হ্যায়।’ ঘাটে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলাম স্টিভ দাঁড়িয়ে আছে মন্দির চাতালে। গায়ে তার আলগা চাদর। অদূরে বাঁধানো বেদীতে জ্বলছিল চার পাঁচটি চিতা আর নদীর ঘাটে ভাঁটার টানে আন্দোলিত হচ্ছিল দুখানি অর্ধনিমজ্জিত শবদেহ। একটি রমণীর, প্রচুর সিঁদুরে লাল তার কপাল ও মুখমণ্ডল। অপরটি নেহাতই ছোট। বাঁশের চালায় শায়িত বালক যেন পৃথিবীর খেলা শেষ করে সদ্য জলে নেমেছে স্নান সেরে নেবে বলে। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে স্টিভ প্রশ্ন করে, “জীবন কী অ্যানি?”
আমি বলি, “মৃত্যুকে অতিক্রম করে যাওয়াই যার অভিপ্রেত, আমার কাছে সেটাই জীবন।”
শুনে সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল কিছুক্ষণ। তার দৃষ্টিতে তখনও পর্যন্ত সেই সম্মোহন ছিল যা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল তিন বছরেরও বেশি সময়কাল। পোড়া চিতাকাঠ থেকে উড়ে আসা গুঁড়ো গুঁড়ো ছাইয়ের মত সে হয়ত বাতাসে তা উড়িয়েও দিতে পেরেছিল সেইদিন । স্টিভ বলেছিল, “মৃত্যুকে তোমার একটা প্রস্ফুটন বলে মনে হয় না অ্যানি? ইন ডেথ লাইফ রিচেস আ প্ল্যাটু অ্যান্ড ফ্রম দেয়ার ইট গোজ অন অ্যান্ড অন অ্যান্ড অন...। জন্মের আগে থেকে একটু একটু করে ফুটে উঠতে থাকে যে কুঁড়ি, তার সম্পূর্ণ ফুটে ওঠা মৃত্যুতে। মৃত্যুর মধ্যেই তার বহমানতা। মনে হয় না?” আমরা দুজনেই প্রাচ্যবিদ্যার ছাত্র ছিলাম আর সেটাই আমাদের মেলবন্ধনের প্রথম সূত্র সন্দেহ নেই, কিন্তু মৃত্যুকে জীবনের থেকে মহৎ করে দেখার দর্শনে আমার সায় ছিল না কোনোদিন। একটা কোলাহলমুখর শ্মশানঘাটে দাঁড়িয়ে তার মুখ থেকে এসব কথা শুনতে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে যখন তাকে বলি যে এই শ্মশানসংলগ্ন অতিথিশালা, এই অন্তিম যাত্রার পথের পাশে বেড়াতে এসে থেকে যাওয়া--এ আমার মোটেই ভাল লাগছে না এবং আমরা অন্যত্র কোনো ভালো হোটেলের খোঁজ করতে পারি, তখন সে আপত্তি করে নি। তবে সেদিন থেকেই তাকে বেশ অন্যরকম লেগেছিল। মনে হয়েছিল সে আর ভ্রমণের মধ্যে নেই।
ক্লান্ত ছিলাম। মধুকর কফি খাওয়াল। বলল, চাইলে আমি আমাদের পুরনো ঘরে থেকেও স্টিভের খোঁজ করতে পারি, কিন্তু তাকে ইদানীং বেশি দেখা যায় অসিঘাট, বাঙালিটোলা এবং কখনো কখনো ইউনিভার্সিটি এলাকায়। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি শহরের অন্য প্রান্তে যাওয়াই মনস্থ করি।
সেবার দিন সাতেক কাশীতে কাটিয়ে আমাদের খাজুরাহো যাবার কথা ছিল, কিন্তু স্টিভ যেতে চাইল না। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা নিছক বন্ধুত্বের নয়। কিন্তু সে এখানে আমাকে ছাড়াই বাড়তি কয়েকটা দিন থেকে যেতে চাইলে আমার মধ্যে কোন বিপন্নতা তৈরি হবে এতটা নিকট আমি তার হতে চাই নি। খাজুরাহো বাতিল করে কোলকাতায় ফিরে আসার আগে স্টিভ এসেছিল আমাকে এয়ারপোর্টে ছাড়তে। চেক ইন হয়ে যাবার পরে সে আমাকে একবার গভীরভাবে কাছে টেনেছিল। বলেছিল-- “জানি আমি একা থেকে যাচ্ছি বলে তোমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে, কিন্তু তবু আমি তোমায় থেকে যেতে বলব না। আমার মনে হচ্ছে আমি বারাণসীকে নয়, প্রকৃতপক্ষে বারাণসী আমায় আবিষ্কার করছে।”
সেবারে আমার ইউ এস ফিরে যাবার সময় এবং তার পরেও কিছুদিন পর্যন্ত তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হত। “কোথায় আছ?” প্রশ্ন করলে একবার সে কাকে যেন ধরিয়ে দিয়েছিল ফোন। অচেনা কন্ঠ থেকে জবাব এসেছিল, “দশাশ্বমেধ ঘাট ম্যাডাম!”
“ইনি কে স্টিভ?” আমি জানতে চাইলে সে হেসে বলেছিল, “শিবরাজ, আমার হিন্দি টীচার।”
আমি দ্বিতীয়বার বারাণসী আসি গত বর্ষায়। তার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্টিভের সঙ্গে সমস্ত জাগতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। না ফোন, না মেইল, না ফেসবুক, না অন্য কোন মিডিয়া--সে যেন স্রেফ উধাও হয়ে গেল সমস্ত চেনা পরিসর থেকে। আয়ার্ল্যান্ডে তার মা, তার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝি তারা অপেক্ষাকৃত কম বিচলিত। সেবারে সোজা চলে এসেছিলাম দশাশ্বমেধ ঘাটে। শিবরাজের খোঁজ সহজেই পাওয়া গেল। টীচার-ফীচার নয়, ঘাটের উপরেই তার একটা দোকান আছে। ফুল, মালা, পিতলের শিবপার্বতী, ধূপ-টুপ এমনকী ধর্মগ্রন্থও বিক্রি করে সে।
“শিবরাজ?”
“ইয়েস ম্যাডাম!”
“স্টিভ কোথায়?”
উত্তরে শিবরাজ হাত তুলে ঘাটের দিকে ইঙ্গিত করেছিল। শুনেছিলাম বন্যায় জল ঢুকে পড়েছিল শহরে। ঘাটের কয়েকটি ধাপই মাত্র দৃশ্যমান। গোটা চত্বরটাই পলিতে থিকথিক করছে। এগিয়ে গিয়ে দেখেছিলাম একটি সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে ঘাটে নেমেছে গোটা একটা পরিবার। শিশুর মাথার উপর প্রখর সূর্য। সে চোখ খুললে হয়ত অন্ধ হয়ে যাবে সারা জীবনের মত। একজন ব্রাহ্মণ ফুল আর ঘিয়ে মাখামাখি সেই কচি মাথায় ঘোলাটে গঙ্গার জল ঢেলে তার পৃথিবীর আলো দেখার খুশি উদযাপন করছে। স্টিভকে প্রথমে আমি চিনতেই পারি নি। তার পরনে একফালি বিবর্ণ বস্ত্রখণ্ড আর গায়ের চাদরটিকে সে চাঁদোয়ার মত করে মেলে ধরেছে মা ও শিশুর মাথায়।
“তুমি ওকে নিয়ে যাও ম্যাডাম।” পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল শিবরাজ। জানা গেল তার বাড়িতে কিছুদিন ছিল স্টিভ। ওর বউকে সে ভাবীজি বলে ডাকে। কিন্তু সামান্য দোকান চালিয়ে বিদেশী অতিথিকে দীর্ঘদিন ধরে আতিথ্য দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। স্টিভের ফোন অনেকদিন আগেই চুরি হয়ে গেছে, টাকা চুরি হয়ে গেছে। ওয়ালেট আর পাসপোর্ট এই শিবরাজের হেফাজতে রেখে সে ঘুরে বেড়ায় কাশীর এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে। মাঝে মাঝে কেদার ঘাটে এক ‘ইংলিশ স্পিকিং’ সাধুর সঙ্গে রাত কাটায় সে।
“কিন্তু ওর ভিসা? ভিসার কী হবে?” আমার উদ্বেগ শিবরাজকে মোটেই বিচলিত করে না। সে বলে, ‘এখানকার সাধুরা কী পাওয়ারফুল তুমি জানো না ম্যাডাম। ভিসা এক্সটেনশন ওরাই সামলে নেবে। স্টিভ তো একা নয়, এসে ফিরে না যেতে পারা বিদেশী আর বিদেশিনী তো কম নেই কাশীতে!”
জল থেকে উঠে এলে স্টিভকে দেখে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। “এটা তুমি কী করছো স্টিভ? এ তোমার জীবন নয়, তুমি জোর করে এর ভিতরে ঢুকতে চাইছ কেন? তোমার খাদ্য, পানীয়, বিছানা, বাসন, স্নানঘর--কোনকিছুকেই তুমি এই জীবনের মাপে আঁটাতে পারবে না। ফিরে চলো স্টিভ।”
স্টিভ হেসে বলেছিল--আমার খাদ্য, পানীয়, বিছানা, বাসন, স্নানঘর--এসবের কোন কিছুর মাপেই কি কাশী এঁটে যাবে? যেদিন যাবে সেদিন আমি ঠিক ফিরে যাব। তুমি আমার জন্য চিন্তা কোরো না অ্যানি।”
“অথচ আমার অনিন্দিতা নামটাকে ছোট করে ‘অনি’--তুমি আজ পর্যন্ত বলতে পারলে না! সেই অ্যানি।” আমার একথা শুনে সে হা হা করে হেসে উঠেছিল। এত জোরে তার সেই হাসি যে ঘাটের লোক উচ্চকিত হয়ে তাকিয়েছিল আমাদের দিকে, আর কী আশ্চর্য, আমাকেও তাদের দিকে তাকিয়ে হাসতেই হয়েছিল। অন্তত তখন আমার চোখেও কোন জল ছিল না।
সেবারেও সে আমার সঙ্গে ফিরতে চায় নি। এবার পারব কিনা জানি না। শিবরাজের দোকান হাতবদল হয়েছে। ফোন করলে বলে সে আর কাশীতে থাকে না। আর কোন সূত্র পড়ে নেই, তবু আমি পুণ্যার্থীর ভিড়, রিকশার চাকা, কুকুরের পাল, বেওয়ারিশ গরু আর ভিখারী-সন্ন্যাসীদের বাড়ানো হাত অগ্রাহ্য করে এগোতে থাকি। এখন মধ্যাহ্নকাল। সে হয়ত গায়ের চাদরখানা খুলে সূর্য আড়াল করে দাঁড়িয়েছে দশাশ্বমেধ বা ওখানে কোথাও। খুঁজতে তো আমাকে হবেই। হয় তাকে, নয় এই বারাণসীকে।