ভোজনে বসিয়া শিষ্যগৃহেতে
গুরু কহিলেন, বৎস,
কপির সহিত চলে না রোহিত,
চাই যে কবয়ী মৎস্য।
রোহিতই যখন উঠিল জালেতে,
মুণ্ডটি স্বাদু ভারী,
আরে আরে সেই আমাকেই কেন,
আর কি খাইতে পারি?
আহা আহা আহা করো কি করো কি
এতগুলি কেউ খায়,
তুলে নাও বাপু খান দুই লুচি,
এ যে পঞ্চাশ প্রায়।
সনাতনী ব্যাধ কিছুই জানে না,
মাংস কোটে যথেচ্ছ,
কালিয়ায় যদি খাইবেই পাঁঠা,
শৌনিক চাই ম্লেচ্ছ।
অতি উপাদেয় রাবড়ি খেলাম
গাভীটি কৃষ্ণা বুঝি?
দিয়ো ওটিকেই দক্ষিণা তবে
মরেছি অনেক খুঁজি।
শিষ্য কাঁদিয়া কহে ভগবন্
যাবেন চলিয়া যদি
পদধূলি তব কোথায় পাইব
সারাদিন নিরবধি?
তাই আনিয়াছি তরবারি এই
পা দুখানি দিব রাখি
ধন্য হইব তাহাদের ধূলি
নিত্য মাথায় মাখি।
হেরি তরবারি মুক্তকচ্ছ
গুরু পলায়নে ত্রস্ত।
গাভী দক্ষিণা রহিল পড়িয়া
প্রাণ বাঁচাইতে ব্যস্ত।।
(গোপাল ভাঁড় অবলম্বনে)