• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮০ | অক্টোবর ২০২০ | গ্রম্থ-সমালোচনা
    Share
  • বাজার করার হাজার সুলুক : শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়


    রোববারের বাজার; রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়; প্রথম প্রকাশ : জুন ২০১৯, দে’জ পাবলিশিং - কলকাতা; প্রচ্ছদ : দেবাশীষ দেব; ISBN : 978-93-88923-67-5

    দূর বারাণসীধামে বসে চতুর্দশ শতাব্দীতে লেখা সংস্কৃত বই প্রাকৃতপৈঙ্গল-এর লেখক পিঙ্গল চেয়েছিলেন প্রাকৃত ছন্দের সুলুকসন্ধান ধরিয়ে দিতে। তাঁর সংগৃহীত প্রাকৃত-অপভ্রংশ উদাহরণগুলি বাঙালির যে-ছবি ফুটিয়ে তোলে তাতে রসাভাসের কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং প্রাচীন ধ্রুপদী সংস্কৃত লেখাপত্তরে যেমন ভারতের পুবপ্রান্তের মানুষজনের প্রতি হতচ্ছেদ্দা আছে, ততটা সংস্কৃত নয় আমাদের রুচি বলে যে-কটাক্ষপাত আছে, তার পাশে প্রাকৃতপৈঙ্গল-এর টুকরো কবিতা আমাদের শ্লাঘার বস্তু। সেখানে আমাদের খাওয়াদাওয়ার সামান্য কিন্তু রুচিশীল আয়োজনের চমৎকার ছবি ফুটে উঠেছে। কলাপাতায় ফ্যানা ভাত, তাতে যথেষ্ট গাওয়া ঘি আর বাটিতে করে দুধ। পাটের শাকও আছে আর বেড়ে দিচ্ছেন স্ত্রী, এমন স্বামীকে যদি পুণ্যবান না-বলা হয় তাহলে ধর্মে সইবে? ধর্মের কথা উঠলই যখন তখন আর একটা ব্যাপারেও নজরটান দিতে চাই, এই পুণ্যবানটির পাত কিন্তু আদৌ নিরামিষ নয়, মৌরলা মাছও আছে। এখন নিশ্চয় অল্প অল্প মালুম হচ্ছে যে কেন এই নিবন্ধ লেখকের মতো কোনো কোনো বাঙালি নিরামিষ রান্না হয়েছে শুনলে ঘরের হাওয়ায় হাসপাতালের গন্ধ পায়, স্ত্রীকে সিস্টার বলতে ইচ্ছে জাগে।

    একটু পিছন ফিরে তাকালে বাঙালির খাদ্যাখাদ্য নিয়ে চর্চার একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস খুঁজে পাওয়া খুব শক্ত নয়। প্রাচীন কাব্যে খাওয়াদাওয়ার চমৎকার বিবরণের পাশাপাশি উনবিংশ শতাব্দী থেকে রন্ধনপ্রণালীর রকমসকম নিয়ে বইপত্রেরও কমতি নেই। সেই বিশ্বেশ্বর তর্কালঙ্কার ভট্টাচার্য (পাক রাজেশ্বর, ১৮৩১), গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ (ব্যঞ্জন রত্নাকর, ১৮৫১), বিপ্রদাস মুখোপাধ্যায় (পাক-প্রণালী, ১৮৮৫-১৯০২) হয়ে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী, লীলা মজুমদার, কল্যাণী দত্ত থেকে সামরান হুদা কিংবা প্রতাপকুমার রায় থেকে মিলন দত্ত বা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় — আমাদের খানাপিনার কথা যেন ফুরোয় না। কিন্তু এই সবের মাঝে জীবনের প্রতি প্রবল অনুরাগ নিয়ে উনিশ-শো নব্বইয়ের দশকে আজকাল পত্রিকার পাতায় যেভাবে বাজার সফর নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, বাংলা ভাষায় তার তুলনা মেলা ভার। রন্ধনপ্রণালী কিংবা সুখাদ্যের স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ নিয়ে দেদার আলোচনার পাশে ‘চন্দনেশ্বরের মাচানতলায়’ গল্পের লেখক শহুরে গেরস্থ পাঠককে শেখাতে শুরু করলেন বাজারে ঘুরে এমনকী দেশকালের হৃদস্পন্দনও ধরে ফেলা যায়। কলকাতা ও শহরতলি বা মফস্সলেরও কোনো বাজার ঘুরে তরিতরকারি (ইদানীং আমরা অবিশ্যি অবাঙালিদের মতো সব কিছুকেই সবজি বলি), মাছ-মাংসের ইতিহাস ভূগোল আর রান্নার নানান অ্যানেকডোট লিখতে লিখতে জীবনের বহু দার্শনিক-প্রস্থান জলের মতো ব্যাখ্যা করে গেছেন তিনি। বাজারহাট, রান্নাবান্না অবশ্যকৃত্যের নৈমিত্তিকতা ছাপিয়ে হয়ে উঠেছে দিনদুনিয়ার ইতিহাসের মোগল মিনিয়েচার। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম চিন্তক সি.এল.আর জেমস তাঁর খানিক আত্মকথা, খানিক ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস এবং ক্রিকেট নামক ব্যাটবলের অসামান্য শিল্পিত খেলাটি নিয়ে রচিত মহাগ্রন্থ বিয়ন্ড আ বাউন্ডারি-তে যেমন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রবচন নির্মাণ করে গেছেন এই বলে যে, ‘হোয়াট ডু দে নো অ্যাবাউট ক্রিকেট হু ওনলি ক্রিকেট নো’? বস্তুত শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ও বাঙালিকে বুঝিয়ে ছেড়েছেন রান্নাবান্না শুধু জিভ, পাকস্থলি আর ট্যাঁকের জোরেই আটকে নেই, বরং তার গোপন সাধন পথ ‘গুরু পুচ্ছিঅ জান’। আমরা যে-বই নিয়ে দু-চার কথা বলব বলে এই শিবের গীত আরম্ভ করেছি, তার রচয়িতা রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় শ্যামল ঘরানার নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, শীতের দুপুরে পিঠে রোদ নিয়ে যার কভার ড্রাইভ দেখতে অনেকটা পথ হেঁটে আসা যায়।

    রজতেন্দ্র যে প্রথমত কবি, রোববারের বাজার বইতে তার হরেক নমুনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই বইটি আড়াই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন পত্রিকার রোববার-এর শেষ পাতায় প্রকাশিত হয়। মোট লেখার সংখ্যা একশো পনেরো। ধারাবাহিক কলামটি বই হওয়ার সময় কিছু সংশোধিত বা পরিমার্জিত হয়েছে কি না তার হদিশ অবশ্য বইতে নেই। তবে বইটির আরেক প্রাপ্তি দেবাশীষ দেবের প্রচ্ছদ এবং অলংকরণ।

    বইটি পড়তে শুরু করলেই বোঝা যায় খাদ্যের অনুসন্ধানে তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লেখক যা লিখেছেন তা কতখানি অভিনব। রোববারের বাজার-এর হয়ে ওঠা নিয়ে এই বইয়ের ভূমিকায় (‘কথার কথা’) তিনি লিখছেন :
    বাজারে ঘুরতে ঘুরতে মাছ, সবজি বা নানান ফলের বিভাগ আপনা-আপনি মনের মধ্যে গাঁথা হয়ে যেত। এই লেখার জন্যে সেই খোঁজার পরিধি আরও বেড়ে গেল। একটা ছোট্ট মাছ বা ফল খুঁজে বের করার নেশায় ঘুরে বেড়িয়েছি একাধিক বাজারে, আড়তে, গাঁ-গঞ্জের হাটে, মাঝি ও জেলেভাইদের সঙ্গে নদীনালায়, বেড়াতে বেরিয়ে জঙ্গল, পাহাড় বা সমুদ্রের পাশে গড়ে ওঠা বিচিত্র সব হাটেবাজারে। প্যান্ট গুটিয়ে কাদা মাখামাখি হয়ে হাঁটুজলে নেমে মুখ ঝুঁকিয়ে খুঁজেছি কাচকি বা বেলে মাছের কোনো হারিয়ে যাওয়া প্রজাতি। দেখেছি, একই মাছকে নানা জায়গায় আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়। কিন্তু দুটো মাছ যে এক অভিনব সে নিদান দেবার লোক নেই। আবার বেগুন বা ডুমুরের একটি বিরল পদ খাবার জন্য ট্রেনে করে ছুটে গিয়েছি ব্যান্ডেল বা বহরমপুর। ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে চিরুনি তল্লাশি করে বের করেছি হারিয়ে যাওয়া কোনো ভাতের হোটেল।
    খাদ্যের অভিসারে এই যাত্রা আদৌ রিক্তের যাত্রায় জেগে থাকা নয়, বরং জীবনের যাবতীয় নুন-মিষ্টিতে কীভাবে প্রাপ্তির ঝুলি ভরে তুলতে হয় রজতেন্দ্র তা জানেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাক, তিনশো একান্ন পৃষ্ঠার এই বইটি প্রকাশের বেশ কয়েক বছর আগে, একটি চমৎকার কবিতার বই প্রকাশিত হয়, যার নামকরণের অভিনবত্ব চমকে দিয়েছিল বাঙালি পাঠককে। কবিতার বইটির নাম ছিল : বাজার করিবার সহজ উপায় , কবির নাম রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

    রোববারের বাজার নামটির মধ্যে একটা স্বাভাবিক মজা আছে। রোববার একটি নির্দিষ্ট দিন, ছুটির দিন, কিন্তু সেটা কোন রোববার তা বলা হচ্ছে না। ফলে বইয়ের পাতায় পাতায় হরেক ঋতুর হরেক রকমের পসরার আয়োজন। শুধু শহরের উত্তর দক্ষিণ বা পূর্ব পশ্চিমই না, বাঙালির শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার (আজকাল বাকি তিনটে ঋতু প্রায় উবে গেছে) বাজারের সব খবর লেখা আছে এই কেতাবে। আবার ঋতু-নিরপেক্ষ কিছু জিনিসও আছে। সবথেকে বড়ো কথা বাজার করে, খেয়ে, দিব্যি নাকে তেল দিয়ে এতদিন কাটিয়ে ফেলেও আমরা যেসব কথা ভাবিনি বা শুনিনি, বলা ভালো কল্পনাও করিনি, তেমন কথার প্রস্রবণ এই বই।

    যেমন ধরুন, আমের যে নারী পুরুষ হয়, তা কি আমরা জানতাম? রজতেন্দ্রর শিক্ষাগুরু শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় একেবারে হাতে ধরে হিমসাগর আম কেনার সময় শিখিয়ে গেছেন তাঁকে। পুরুষ-আমের বোঁটাটি হয় মাথার মাঝখানে, তার সামনের দিকে নাকের মতো অংশটা হবে স্পষ্ট। মহিলা-আমের বোঁটাটি খোঁপা বাঁধার জায়গায়, অর্থাৎ একটু পেছনের দিকে থাকবে। নাক প্রায় থাকে না। মহিলা-আমের খোসা ও আঁটি তুলনামূলক ভাবে পাতলা হয়। হিমসাগর বৃত্তান্তের শেষটাও খুব চমকপ্রদ। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে রজতেন্দ্রকে শ্যামলের বাড়ি থেকে লাল রঙের গামছা নিয়ে এসে তাতে পোঁটলা বেঁধে পিঠে ঝুলিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বুদ্ধিমান ছাত্রের মতো রজতেন্দ্র বুঝে নিয়েছেন ব্যাগে করে আম বাড়ি নিয়ে গেলে পিঠের দিক থেকে সত্যিই এমন খোশবাই নাকে আসত না।

    রজতেন্দ্র এ-বাজার সে-বাজার ঘোরার ফাঁকে ফাঁকে অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর পারিবারিক গল্পগাছা, বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের টুকরো-টাকরা এবং সেই সূত্রে বাঙালির সংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া বা হারাতে বসা নানান দিক। ধরুন, পশ্চিমবাংলার সদর-মফস্সলের রান্নাঘরে ইদানীং চল্লিশ পেরুনো সদস্যদের কথা ভেবে যে খাসি/পাঁঠার মাংসের বদলে মুরগির চল বেড়েছে, সেই ফাঁক গলে বাড়িতে বাড়িতে মেটে-চচ্চড়ি নামক স্বর্গীয় খাদ্যটির কথা আমরা প্রায় ভুলতেই বসেছি। বড়ো টুকরোর আলু দিয়ে রোববার দুপুরে খাসির মাংসের পাতলা ঝোল মেখে ভাত খাওয়ার সুখস্মৃতি নেই এমন বাঙালি আছে না কি। মেটের টুকরো সেদিন বাচ্চাদের পাতেই ভাগ করে দেওয়া হত। কিন্তু মেটে কেনার যে তত্ত্ব রোববারের বাজার-এ আছে তা আমরা কজনই-বা জানতাম? লেখক বলছেন মেটে-চচ্চড়ির জন্য মেটে কিনতে তাঁদের পরিবারের লোকেরা রেওয়াজি খাসির দোকানে যেতেন না। বিশাল চেহারার চালানি পাটনাই খাসির খিদে মেটাতে ঘাসের সঙ্গে তাদের ছোলা বা ভুট্টার দানাও খাওয়ানো হয়। ফলে মাংস হয় চর্বিতে ভরপুর। কিন্তু নষ্ট হয় লিভারটি। লিভারের গায়েও চর্বি জমে না কি রীতিমতো ফ্যাটি লিভার হয়ে যায়। তাই লেখকের নতুনজ্যাঠার সতর্কীকরণ ছিল : ‘রোগ-বালাইয়ের কথা যদি ছেড়েও দিস, ও-মেটেতে কোনো স্বাদ হয় না রে! সব সময় ঘাস-খেয়ে বড়ো হওয়া মাঝারি সাইজের পাঁঠার লালচে-বাদামি রঙের ঝকঝকে মেটে নিবি।’

    আবার বহুদিন বাজার করছেন যাঁরা, বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রথমে মুখ চেনা তারপর একটু বেশি সখ্য হয়ে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। ফলে আমরা খোকনের কাছে আলু, গৌরদার মুরগির মাংস, ভাঙড় থেকে আসা সাহিদের কুমড়ো পটল ঢ্যাঁড়স, তপনের কাছ থেকে রুই কাতলা, অন্য রকম মাছ হলে চম্পাহাটি থেকে রোজ ভোরের ক্যানিং লোকালে আসা দিদির হাতে মাছ কোটানোর মতো কাজকর্ম সেরে দিব্যি অমর্ত্য সেনের সোসাল চয়েসের তত্ত্বের কথা ভেবে ভূদেবদার দোকানে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিই। আর বাজারে গড়ে ওঠা এই সম্পর্কগুলোও বেশ হাওয়ার মতো এমনিই এসে ভেসে যায়। সম্পর্কের দাবিদাওয়া থাকে না। রজতেন্দ্রর বই এমন সব মানুষজনের যেন আর্ট গ্যালারি। যেমন ধরা যাক বাঁশদ্রোণী বাজারের সুরসিক ব্যবসায়ী বাবু দাস। তাঁর অভ্যেস হল বাড়ি থেকে মাথায় বয়ে নিয়ে আসা রান্নার যাবতীয় পরিকল্পনা ঘেঁটে দেওয়া। রজতেন্দ্র লিখছেন : ‘ধরুন, আপনি মনে করে গিয়েছেন সেদিন কাঁচকলা, পটল, ঝিঙে আর আলু দিয়ে জিরে বাটার ঝোল খাবেন। দিশি কাতলার কিছুটা পরিষ্কার গাদা পেলে তো আরওই ভালো। বাবু দাসের সঙ্গে বাজারের ব্যাগ হাতে খানিক কথা বলার পর, আপনি মিষ্টি কুমড়ো, বেগুন, বরবটি, আলু আর কচি ভেন্ডি নিয়ে বাড়ি চলে এলেন — শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে অল্প বড়ি সহযোগে লম্বালম্বি চিরে কাটা ভেন্ডি দিয়ে মাখামাখা চচ্চড়ি খাবেন বলে।’ বাবু দাস এভাবেই ক্রেতাকে শাকসবজির রকমফের নিয়ে দু-চার কথা জানানোর পাশাপাশি কিছু উপাদেয় রেসিপিরও হদিস দেন। মাছ-মাংস তরিতরকারির কথা শুনতে শুনতে যদি ভাবেন এই বইতে আমিষ-নিরামিষ ডেলিকেসির বাইরে নজর দেওয়া হয়নি তাহলে ভুল হবে। বাঙালির রসুইখানা আর রসনার জন্য প্রয়োজনীয় আলু, ডিম, খেজুরের গুড়, আখের গুড়, বড়ি, পেঁয়াজ, কতবেল, জয়নগরের মোয়া, গোবিন্দভোগ চাল, বাতাসাও আছে। আর পারিবারিক অনুষঙ্গে কখনো রজতেন্দ্রর কলম বেদনাতুরও হয়েছে। পুরোনো দিনের কথা বলতে গিয়ে চোখের কোলটা একবার মুছে নিয়েছেন যেন। এভাবেই বাজারহাটের কথাকে আমাদের ইতিহাসের অংশ করে দিয়েছেন তিনি। এই বই পড়ার পর বাজার করতে গিয়ে যদি পাঠক হঠাৎ করে কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ কিংবা মোচা কেনার সময় বিক্রেতার সঙ্গে দু-চার কথা বলতে বলতে বইয়ের পাতার কোনো অংশের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়ে আপন মনে ফিক করে হেসে ওঠেন, তার দায় লেখকের নয়। বরং তাকে লেখকের উদ্দেশে বাঙালি পাঠকের কুর্নিশ বলেই ধরতে হবে।

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments