• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮০ | অক্টোবর ২০২০ | প্রবন্ধ
    Share
  • রাশিদা আঙ্গারেওয়ালি : শুভময় রায়


    প্রবন্ধ শুরু করব 'দিল্লি ভ্রমণ' নামে একটি খুবই ছোট উর্দু গল্পের অনুবাদ দিয়ে।


    ১৯৩২ সালে প্রকাশিত আলিগড়ের এক তরুণীর উর্দু ভাষায় লেখা গল্পটি আপনাদের বাংলায় শোনালাম। মালকাহ্‌ বেগম তাঁর ‘রোমাঞ্চকর’ দিল্লি ভ্রমণের কাহিনী শোনাচ্ছেন বান্ধবীদের। রেল স্টেশনে হাজার পুরুষের চাউনি উপেক্ষা করে একাকী কয়েক ঘণ্টা বসে থাকার কাহিনী। হয়ত প্রথমবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এতদূর সফরের কাহিনী। আর অবশ্যই এক শোষিত, নিপীড়িত, গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি মহিলার হতাশার কাহিনী।

    গল্পের লেখিকা আলিগড় আর দিল্লিতে শিক্ষাপ্রাপ্ত ডাক্তারি পাশ করা তরুণী রাশিদ জাহাঁ (১৯০২ – ৫২)। নির্যাতিতা মহিলাদের নিয়ে লিখেছেন তিনি অকপটে, স্পষ্টভাষায়, অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে। পরিবারে মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় সমর্থন ছিল: “আমরা নারীশিক্ষার মাদুরে ঘুমোতাম, আর চেতনা হওয়ার সময় থেকেই নারীশিক্ষার কম্বলে নিজেদের মুড়ে রেখেছি।” স্কুলে জাতীয়তাবাদী ভারতীয় লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী আর ইংরেজি ভাষায় ঔপন্যাসিক জেন অস্টেন আর ব্রণ্টি বোনদের সঙ্গে পরিচিত হন। দেশের এক টালমাটাল সময়ে বৌদ্ধিক অনুপ্রেরণার অভাব নেই এমন পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুরধার বুদ্ধি এই নারী। তিনি দিল্লির লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় সহপাঠীদের নিয়ে সাহিত্যের ক্লাস চালাতেন। ১৯৩৫-৩৬-এ সাদাত হাসান মাণ্টো, ইসমত চুঘতাই, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ-এর মত অন্য কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে তিনি আঞ্জুমান তরক্কি পসন্দ মুসনিফ্ফিন অর্থাৎ প্রগতিবাদী লেখক সংঘের সহযোগী ছিলেন।

    রাশিদ জাহাঁ উর্দু সাহিত্যে পথিকৃৎ এক লেখিকা যিনি সাহসের সঙ্গে এবং জোরগলায় সমাজে মহিলাদের দুর্দশার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। পুরনো অন্ধ বিশ্বাসকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তাঁর পিতা শেখ আবদুল্লা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহিলা কলেজটি স্থাপন করেন। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষে নারীশিক্ষার সূচনাকারীদের মধ্যে একজন। শিক্ষাব্রতী পিতা-মাতা এবং শিক্ষার আলোকপ্রাপ্ত অথচ রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে রাশিদ জাহাঁ ছিলেন স্ত্রীরোগবিদ চিকিৎসক। কিন্তু উর্দুসাহিত্যে তাঁর পরিচয় সেই প্রগতিবাদী লেখিকা হিসেবে যিনি গোঁড়া সামাজিক অনুশাসনকে ধিক্কার জানিয়ে শোরগোল ফেলে দেন। তিনি উর্দুসাহিত্যের প্রথম ‘খারাপ’ মেয়ে এবং পরবর্তীকালের প্রখ্যাত গল্পকার-ঔপন্যাসিক ইসমত চুঘতাইয়ের ‘মেণ্টর’। সাদাত হাসান মাণ্টো, কুরাতুলায়েন হায়দর প্রমুখ অনেকে তাঁর প্রভাব স্বীকার করেছেন। চুঘতাই লিখেছেন: “উনি আমাকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন কারণ উনি ছিলেন অসম সাহসী। যে কোনও বিষয়েই উনি খোলামেলা ভাবে জোরের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন, আর সেই কারণেই আমি খালি ওঁর অনুকরণ করতে চেয়েছিলাম।”

    ১৯৩২-এর ডিসেম্বরে লক্ষ্ণৌ থেকে আঙ্গারে’ (জ্বলন্ত কয়লা) শীর্ষক একটি গল্প-সংগ্রহ প্রকাশিত হয় যাতে তিন তরুণ লেখক সাজ্জাদ জাহির, আহমেদ আলি এবং মাহমুদ-উজ্‌-জাফর ছাড়াও রাশিদ জাহাঁর পাঁচটি ছোটগল্প ছিল। বইটির প্রকাশ ঘটলে যে সমাজে এক ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি হবে সে সম্পর্কে লেখকেরা সচেতন ছিলেন। এই গল্প সংকলনে উর্দুভাষী সমাজের ভণ্ডামি-কপটতা এবং উর্দু সাহিত্যের গতিহীনতার শিকড়টি ধরে ঝাঁকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এই তরুণ লেখকরা। মুসলমান জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে দুর্বল, ক্ষমতাহীন, পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন, বিশেষত সমাজে মহিলাদের শোচনীয় পরিস্থিতি ছিল তাঁদের গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সমাজে এবং পরিবারে মহিলাদের প্রান্তিক অস্তিত্ব এবং যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নারীদের অগ্রাহ্য করার প্রবণতার বিরুদ্ধে এই সংকলনে লেখকেরা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। ‘আঙ্গারে’-র গল্পগুলিতে ইসলামি ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং বস্তাপচা চিরাচরিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের ক্রোধ এবং বিক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেরাও সেই সমাজের অঙ্গ হওয়ায় গল্পকারেরা আশপাশের জগৎ সম্পর্কে এক নিবিড় সমালোচনামূলক সচেতনতার প্রমাণ রেখেছিলেন এই বইতে।

    ১৯৩৩-এর মার্চ মাসে সরকারি আদেশে ইণ্ডিয়ান পেনাল কোড-এর অধীনে নির্দেশ জারি করে আঙ্গারে’-র সব প্রকাশিত কপি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বইটি ভারতীয় ইসলামি সমাজের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং নীতির পরিপন্থী বলে বর্ণনা করা হয় এবং মহিলা হওয়ার কারণে ড. রাশিদ জাহাঁ রক্ষণশীল সমাজের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। তাঁর নাক কেটে নেওয়া, মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় এবং তিনি ‘আঙ্গারেওয়ালি রাশিদ জাহাঁ’ নামে পরিচিত হন। আঙ্গারে’-তে যাঁদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রাশিদ জাহাঁই একমাত্র যাঁর গল্প আর নাটকে এমন কিছু ছিল না যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে পারে। কিন্তু এটা আশ্চর্য যে বই প্রকাশের পরে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ছিল সবচেয়ে জোরালো। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সমসাময়িক নেত্রী হাজরাহ্‌ বেগম লিখেছেন: “আঙ্গারে প্রকাশিত হওয়ার সময় স্বয়ং সাজ্জাদ জাহিরও ভাবতে পারেননি যে বইটি সাহিত্যের একটি নতুন পথের মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। উনি নিজে লন্ডনে চলে গেলেও এখানে ভীষণ বিক্ষোভ শুরু হল। পাঠকদের বিরোধিতা এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মসজিদে রাশিদ জাহাঁ আঙ্গারেওয়ালি’র বিরুদ্ধে তিরস্কার-বাণী পড়া হত আর ফতোয়া জারি করা হত।” সমসাময়িক সমাজে রাশিদ জাহাঁর মত একজন উদারমনা, সংস্কারমুক্ত, প্রগতিশীল, স্পষ্টবক্তা নারীকে যে উপদ্রব বলে মনে করা হবে এ আর আশ্চর্য কী?

    ‘আঙ্গারে’-র গল্পগুলোর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সামাজিক এবং আর্থিক ন্যায় হলেও যৌনতাকে ‘পর্দার পেছন থেকে’ সরিয়ে সামনে নিয়ে আসার যে প্রচেষ্টা সেখানে ছিল, তাকে প্ররোচনামূলক বলে মনে করা হয়েছিল। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু আলিগড় হলেও তার আঁচ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ পথ থেকে সরে না এলে রাশিদ জাহাঁকে কিডন্যাপ করা হবে এমন হুমকির খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। লেখিকাকে অবশ্য এসব কিছুই নিরস্ত করতে পারেনি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে উর্দু সাহিত্যকে আর সংস্কারমূলক নীতির নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সীমিত রাখা যাবে না, সে এবার রাজনীতি এবং হয়ত ধর্মের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে।

    ডাক্তারি পেশার দায়দায়িত্ব, কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি, প্রগতিবাদী লেখক সমিতির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও পারিবারিক দায়িত্ব সামলে তাঁর ৪৭ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে রাশিদ জাহাঁ লিখেছেন খুব সামান্যই। তাসত্ত্বেও বিষয়-বৈচিত্র্যের এবং সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার চিত্রায়ণের জন্য তাঁর রচনা উর্দু সাহিত্যে স্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। বিবাহিত জীবন এবং নির্যাতিতা নারী তাঁর গল্পে বারবার ফিরে এসেছে। ‘দিল্লি কি সইর’-এর মতই গল্পের মূল চরিত্র অনেক ক্ষেত্রেই কথক হয়ে উঠেছে। এর ফলে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া যেমন সম্ভব, তেমনই সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মূল চরিত্রের উপলব্ধির প্রকাশ ঘটে গল্পে। ঔপনিবেশিক ও জাতীয়তাবাদী আধুনিকতার প্রভাবে মহিলাদের লোকচক্ষুর অন্তরালে কঠোর বিধিনিষেধের পরিবেশ থেকে জনসমক্ষে নিয়ে আসার সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রভাব নারীদের জীবনে কতটা পড়েছিল ‘দিল্লি কি সইর’ গল্পটি তার এক নিদারুণ সমালোচনা। গার্হস্থ্য জীবন আর জনজীবন, পুরুষ আর নারীজীবনের যাবতীয় সংঘাত এই সংক্ষিপ্ত কাহিনীতে ফুটে উঠেছে। গল্পের মূল চরিত্রটি ভীতি আর বাসনা, কৌতুক আর ক্রোধের মধ্যে দোদুল্যমান। নিজের শর্তে বাইরে বেরোতে না পারলে সে সফর আদৌ কাম্য কি না সে প্রশ্ন এই গল্পে উঠেছে। পুরুষশাসিত, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ পণ্যসম্ভারে পরিপূর্ণ দিল্লি স্টেশনে মালকাহ্‌ বেগমের আড়াল হিসেবে কাজ করেছে তাঁর বোরখাটি।

    গোঁড়া পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ভেতর আর বাইরের জীবন নারীর চোখে কতটা আলাদা এই প্রশ্নও দিল্লি ভ্রমণের গল্পে উঠেছে। বাইরের জীবনে নারী কি স্বাধীন? গার্হস্থ্য জীবনে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য এবং বিচ্ছিন্নতার যে আবহ, বাইরের জীবন যেন তারই একটি সম্প্রসারিত রূপ। স্বামীর নির্লিপ্ততা আর অবিচলিত ভাবটি যে বাইরের জগতের অচেনা পুরুষদের নির্লজ্জ দৃষ্টির থেকে কম শোচনীয় নয়! গল্পের শেষে তাই মালকাহ্‌ বেগমের মধ্যে একটা নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের মনোভাব দেখা যায়। তিনি নতুন জগতে বাস করতে চান না, তাঁকে পুরনো পৃথিবীতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেন।

    সক্রিয় নারীবাদী এবং প্রতিবাদী লেখিকা হিসেবে উর্দু সাহিত্যের পাঠককুল রাশিদ জাহাঁকে স্মরণ করলেও দরিদ্র নিম্নবর্গীয় মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, প্রজনন ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বিষয়ক শিক্ষা এবং ধাঙড়দের মহল্লায় বিবাহিতা মহিলাদের স্বামী কর্তৃক ধর্ষণ প্রতিরোধের শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষার ক্লাস ইত্যাদি সামাজিক সংগঠনমূলক ক্রিয়াকলাপে তাঁর অবদান আজ প্রায় বিস্মৃত। তিনি ট্রেড ইউনিয়নের মিছিলে হাঁটতেন, নিজের রাজনৈতিক পত্রিকা ‘চিঙ্গারি’ (স্ফুলিঙ্গ)-তে প্রবন্ধ লিখতেন, আইপিটিএ-র হয়ে পথনাটিকা লিখতেন এবং নাট্য-নির্দেশকের ভূমিকা পালন করতেন। মস্কোতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে যখন তাঁর মৃত্যু হয়, তখন তাঁর সমাধিস্থলে লেখা হয়েছিল এই পরিচয়: ‘কমিউনিস্ট ডাক্তার; লেখক’। স্বাধীন নারী হিসেবে যে বিতর্কের তিনি সূত্রপাত করেছিলেন তার রেশ যে আজও আছে তা বোঝা যায় যখন দেখি যে রাজনৈতিক বিক্ষোভের ভয়ে ২০০৪ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাশিদ জাহাঁর জন্মের শতবার্ষিকী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

    লেখিকার জীবনকালে ‘আঙ্গারে’-র পর ১৯৩৭-এ ‘আউরত আউর দিগর আফসানে’ নামে রাশিদ জাহাঁর একটি রচনা সংকলন প্রকাশিত হয়। এই বইটিতে ‘আউরত’ নামে একটি নাটক এবং ছ’টি ছোটগল্প ছিল। ‘আউরত’ নাটকটি লক্ষ্ণৌ এবং আলিগড়ে বেশ কয়েকবার মঞ্চস্থ হয় যদিও তাতে প্রতিক্রিয়াশীল, গোঁড়া মুসলমান পুরুষদের ভণ্ডামি এবং উগ্র পুরুষতান্ত্রিকতাকে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছিল। রাশিদ জাহাঁ অনেকগুলো রেডিও নাটকও লেখেন এবং রুশ ও চিনা ছোটগল্প ইংরেজি থেকে উর্দুতে অনুবাদ করেন। একটি উপন্যাস লেখার উপাদানও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর লেখক জীবন অকালেই শেষ হয়ে যায়।

    জীবন হঠাৎ থেমে গেলেও শোষণ, নির্যাতন আর অবিচারের বিরুদ্ধে সাহিত্যে যে লড়াই আঙ্গারেওয়ালি শুরু করেছিলেন, সে লড়াই আজও চলেছে। লেখক, সমালোচক, ইংরেজিতে রাশিদ জাহাঁর জীবনীকার রক্সান্দা জলিল একটি সাম্প্রতিক প্রবন্ধে রাশিদা আঙ্গারেওয়ালির সংগ্রাম প্রসঙ্গে মজরুহ সুলতানপুরির যে শের’টির উল্লেখ করেছেন, সেই লাইন দুটি উদ্ধৃত করে শেষ করি:

    میں اکیلا ہی چلا تھا جانب منزل مگر
    لوگ ساتھ آتے گئے اور کارواں بنتا گیا

    ম্যাঁয় আকেলা হি চলা থা জানিব-এ-মনজিল মগর
    লোগ সাথ আতে গয়ে আউর কারওয়াঁ বনতা গয়া

    [আমি তো একলাই পথ চলেছি, লক্ষ্যের দিকে এগিয়েছি, কিন্তু আরও অনেকে পা মেলালেন, আমাদের শকট এগিয়ে চলল]

    তথ্যসূত্র:

    উর্দু:

    ১. ডক্টর রাশিদ জাহাঁ, হায়াত আউর কারনামে; ড. শাহিদা বানু; নুসরত পাবলিকেশনজ্‌; আমিনাবাদ; লক্ষ্ণৌ

    ২. ডক্টর রাশিদ জাহাঁ, হায়াত আউর খিদমাত; ইদ্রিস আহমেদ খান; মডার্ন পাবলিশিং হাউস; দরিয়াগঞ্জ, নিউ দিল্লি


    ইংরেজি:

    ৩. র‌্যাডিক্যাল রাইটিংস্‌ অন উইমেন: দ্য ওয়ার্ক অব ড. রাশিদ জাহাঁ; মধুলিকা সিং; প্রোসিডিংস অব দ্য ইণ্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস; ২০১৪; ভল্যুম ৭৫; পৃষ্ঠা ৭২৯-৭৩৫ (ভাষা: ইংরেজি)

    ৪. রাশিদ জাহাঁ: উর্দু লিটারেচার্স ফার্স্ট অ্যাংগ্রি ইয়াং উওম্যান; কার্লো কোপোলা অ্যাণ্ড সাজিদা জুবেইর; জার্নাল অব সাউথ এশিয়ান লিটারেচার; উইণ্টার-স্প্রিং ১৯৮৭; ভল্যুম ২২: নম্বর ১

    ৫. রাশিদ জাহাঁ অব আঙ্গারে: হার লাইফ অ্যাণ্ড ওয়ার্ক; ইণ্ডিয়ান লিটারেচার; জুলাই-অগস্ট ১৯৮৭; ভল্যুম ৩০; নম্বর ৪; পৃষ্ঠা ১০৮-১১৮

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments