আমিও বুঝতে পারি হে কাজললতা,
সম্পর্ক ভাঙার ব্যথা, অবসাদ, বিষণ্ণতা
সেই যে তোমাকে ছোঁয়া তুমুল দোপাটি
অথবা ‘তাহার’ প্রিয় আলতো খোঁপাটি
যেভাবে অতীত হল, মলিন অতীত
সেভাবে একান্তে থাকো ধুলো মাখা শীত
আজ তুমি, বৃদ্ধ তুমি - অনন্ত ছুটির
ভুলে যাও শুভ দৃষ্টি সেই নদীটির
সে নদী সিফন শাড়ি সে নদী খেয়ার
ভালো থেকো বিমুগ্ধে হে বাতিল চেয়ারগোধূলির ডাকপিওন - ৩৩ ঘড়ির কাঁটার শব্দে মিশে আছে পুরোনো প্রকৃতি
যেখানে ভোরের গায়ে নিবিড় জড়ানো ছিল
দেহাতী শিশির
ওখানে বাঁশির মুগ্ধে যা কিছু লিখেছি কোনোদিন
সে লেখা কীকরে যেন একান্ত নূপুর হল আজ -
সে কথা তো প্রকৃতিও জানে!
হে নাগরিক জীবন, বিজ্ঞাপনে মোড়া হে নাগরিক জীবন,
তুমি ঘড়ির কাঁটার শব্দে ফিরিয়ে দাও “প্রকৃত প্রস্তাব”
যেভাবে সমস্ত প্রজাপতি নূপুরের তালে তালে গড়ে তোলে প্রিয় আসবাব
গাছের গভীরে!