জননী
কতদিন হল তার, সে কিন্তু এখনো
প্রতিদিন বারান্দার কাপড়চোপড়
স্পর্শ করে বোঝে কতখানি শুকনো কত ভিজে ভিজে
কাচতে দেবার আগে কাপড়ের মলিনতা চোখে দেখে,
নাকে শুঁকে অনুভব করে প্রতিক্ষণ
এইসব সূক্ষ্ম কলা বুঝবে না কেউ
ভক্ত ছাড়া যেমত বোঝে না হরিনাম
জিনিসের পাদপদ্মে ভক্তি ছাড়া কীভাবে করবে তুমি সংসার, বল ত?
আহার , বিহার আর সংসারে লেগে থাকে ভালবাসা ধুলো
যত্নের মাটি আর সংরাগের জল
কতদিন হয়ে গেল, প্রতিদিন হাতে নিয়ে রান্নার ফসল
বুঝে যাও কোনটা পচা, কোনটা তাজা ফল
কতখানি নুন দিলে হয়ে উঠবে তরকারি অমৃত
তোমার অমৃত স্পর্শ করে তোলে অনন্ত কবিতা
এই মর জগতের সবকিছু, অথচ কত না অবহেলা
সেই কবিতাকে দলে, ফেলে দিয়ে মানুষ গিয়েছে অন্য কোথাও, সন্ধানে।
নষ্টা
তোলা শাড়ি করে রেখেছিলে তুমি প্রেমিককে
সেই থেকে তার দুটি দিকে হেম সেলাই নেই
খুলে গেছে সুতো এলোমেলো হল হারালো খেই
খোলা জানালায় রেখেছিলে তুমি প্রেমিককে
এত ঢং কেন? এত রং আর এতটা দোষ?
এত মনোবেগ, এত রমণের অসহ্য
আকুলতা আর প্রেম প্রেম ভাব, কী ফোঁস ফোঁস
এইসবই তবে অশ্লীল চতুরালির ঢেউ?
হয়ত তা নয়, হয়ত তোমার আপন ক্রোধ
মুড়ে মুড়ে রেখে সেলাই দিয়েছ অন্যমন
ভাঁজ খুলে আজ পড়ে গেল সেই অন্ধ ক্ষণ
আপাতত লোকে বলে ত, কুলটা, বাঁধনহীন
নাড়ী টিপে থাক, জীবনের, দেখ নাড়ীটি ক্ষীণ
কে দিল নারীকে, নারীও তোমাকে দিল প্রবোধ।
নষ্ট বলতে যেরকম বুঝি, নষ্টা তার
বহুদূর দিয়ে চলে গেছে … তাইই, সংক্রমণ।