অভি-ধানাই পানাই—হিমানীশ গোস্বামী; প্রকাশক: গাঙচিল, কলকাতা; প্রথম প্রকাশঃ ২০০৭;
এই নামে হিমানীশ গোস্বামী এক অভিনব শব্দার্থ সংকলন প্রকাশ করেছিলেন ২০০৭ সালে (প্রকাশক: গাংচিল, কলকাতা)। বিষয় পরিচিতি হিসাবে বইটির পিছনের মলাটে লিখিত হয়েছিল: 'এমন অভিধানের প্রধান উদ্দেশ্য হল পাঠকদের যথাসাধ্য বিভ্রান্ত করা। কথা নিয়ে খেলা, লোফা, গুপ্ত এবং অসম্ভব বাক্য ও অর্থের মাধ্যমে অনর্থ বাধানোর সৎ অপচেষ্টার এক নতুন ধরনের সাধনা। হাসিমুখকে গোমড়া করাও এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।' লেখক জানাচ্ছেন বিখ্যাত ফরাসি লেখক গুস্তাভ ফ্লোবেয়ারের স্বল্পখ্যাত একটি বই 'এ ডিকশনারি অব অ্যাকসেপটেড আইডিয়াস' তাঁকে এই রকম একটি অভিধান বাংলায় লিখতে প্ররোচিত করেছিল। তিনি আরও বলেছেন তাঁর এই অভিধানে যত অর্থ আছে, তার চেয়ে বেশি আছে অনর্থ করার ক্ষমতা। বইটির থেকে উদাহরণ দেওয়া যাক:
অগণিত — গণিত ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে।
অচানক — চান না করার প্রবণতা।
অন্তর্জালি যাত্রা — ইংরেজি ইন্টারনেট সারফিং-এর বাংলা অনুবাদ।
ই-সাড়া — ই-মেলের সম্ভাব্য রূপ।
উপনয়ন — চশমা।
কাণ্ডকারখানা — যে কারখানায় কাণ্ড প্রস্তুত হয়। এইরকম কারখানার পরিচালককে কাণ্ডারি বলা হয়।
কুলুঙ্গি — বিশেষ ধরনের ঢিলেঢালা পোশাক যেটি অনুৎকৃষ্ট।
গলদা চিংড়ি — গলদপূর্ণ চিংড়ি।
ঘটকালি — কালি রাখার দোয়াত।
চিত্রকর — ছবির উপর ধার্য কর।
ঝাড়পত্র — বরখাস্ত করার বার্তাবাহী পত্র।
ডালকুত্তা — যে কুকুরকে নিয়মিত ডাল খাওয়ানো হয়।
দারচিনি — মিষ্টি বউ।
নরচাক — মানুষের ঘন বসতি, যেমন বহুতল বাড়ি, মৌচাকের সঙ্গে তুলনীয়।
পানপাত্র — যে পাত্রে পান রাখা হয়, পানের বাটা।
পার্শ্বদেশ — পাশের দেশ, ভারতের ক্ষেত্রে ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ ইত্যাদি।
পূর্বরাগ — আগেকার ক্রুদ্ধ মনোভাব। 'শান্তশিষ্ট বিনয়বাবু পূর্বরাগবশত বসন্তবাবুর পেটে আচমকা ঘুষি বসিয়ে দিয়েছেন।'
পিষ্টক — যা পিষ্ট করে; যেমন রোড রোলার, হামান দিস্তা ইত্যাদি।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর — সূর্য থেকে সরাসরি যে কর আমরা পাই সেটি হল প্রত্যক্ষ কর। আর সূর্যকর যখন চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে তাকে বলা হয় পরোক্ষ কর।
ফেরিওয়ালা — যিনি নৌকার যাত্রীদের নদী পারাপার করান, পারমিতা।
বহিঃপ্রকাশ — পুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ।
বাগচাষি — লেখোয়াড়, কবিয়াল ইত্যাদি যিনি কথার চাষ করেন।
বিমান চিন্তাইকারী — যিনি বিমানে বসে চিন্তা করেন, উচ্চ চিন্তাশীল।
মদীয় ভবন — মদের দোকান।
মালকোষ — ধনী ব্যক্তির বাড়িতে মদ্য সঞ্চিত রাখার কক্ষ, ইংরেজিতে wine cellar।
হিমশিম — হিমায়িত শিম।
অলমিতি। বাঁশবনে ডোম কানা হয়ে কয়েকটি কেটে আনা গেল। হিমানীশের নিজের আঁকা কার্টুন বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে, সেগুলোর পরিচয় দেওয়া গেল না। আমার মনে হয়েছে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এরকম মজাদার আরও অনেক শব্দার্থ তৈরি করা যেতে পারে। এইভাবে একটা আন্দোলন শুরু করতে পারলে মন্দ কী! আমার নিজস্ব কিছু সংযোজন:
অ
অচিন — যা চিনের এক্তিয়ারে নয় (যেমন, দালাই লামার বিচারে তিব্বত)।
অসম — এই নামে যে রাজ্যে আছে তা এককালে সমতল ও পার্বত্য অঞ্চল মিলিয়ে ছিল বলে এই নামকরণ হয়েছিল। মেঘালয়, নাগাল্যান্ড আলাদা হবার পর এই নাম এখন বজায় রাখা উচিত কিনা সেটা বিবেচ্য।
অশীতিপর — শীতের পর যে সব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দেখা যায় না — অর্থাৎ, শীতের প্রকোপে যাঁরা গতাসু হন।
অসূর্যম্পশ্যা — শুধুমাত্র অসুর এবং যম দ্বারা দৃষ্টা নারী।
আ
আদিদাস — এক বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা; এঁরা দাবি করেন আদি সেবক হিসেবে এখনও জুতো ব্যাগ ইত্যাদি জুগিয়ে যাচ্ছেন।
আর্দ্রক — আর্দ্রকারী (যেমন, জল, মেঘ)।
ই
ইসপগুল — ইসপ ফেবলস-এর (Aesop Fables) বাংলা নাম।
উ
উচ্চ বিদ্যালয় — মাটির থেকে উঁচুতে অবস্থিত বিদ্যালয়।
উদ্ভূত — প্রায় ভূতের মতো (তুলনীয়: উদবিড়াল)।
উন্নাসিক — ঊন-নাসিক, অর্থাৎ ছোটো নাক যার। (তুলনীয়: ঊন বর্ষার দুনো শীত)।
উপগুপ্ত — প্রায়-প্রচ্ছন্ন; রবীন্দ্রনাথের 'অভিসার' কবিতায় এই সন্ন্যাসীকে শুধু দু-বার প্রকাশিত হতে দেখা যায়, তাই এই নাম।
উপযুক্ত — সম্পূর্ণভাবে নয়, প্রায়-সংযুক্ত; 'নাটবল্টু উপযুক্ত অবস্থায় রাখা নিরাপদ নয়'।
উপর্যুপরি — উপরে থাকে যে পরি। এক হিসাবে এটি অতিকথন, কেন না পরিরা সবসময় উপরে আকাশেই থাকে।
উপস্বর্গ — স্বর্গের কাছাকাছি; মৈত্রেয়ী দেবী রচিত একটি রবীন্দ্র স্মৃতিচারণের বিকল্প নাম।
উপাধ্যায় — উপ + অধ্যায়; গ্রন্থের অধ্যায়ের বিভাগ, পরিচ্ছেদ।
ক
কর্তাভজা — যে মালিক ভাঁওতা দেয় — ভজা এমন কর্তা।
কর্মধারয় — ধার করাই যার কাজ।
কালীপদ — যার পা কৃষ্ণবর্ণ। 'কৃষ্ণপদ' একই অর্থবাহী।
কিংবদন্তি — রাজ-বচন (King বদন্তি)।
কুরুবক — পৌরাণিক কুরুদেশ বা উত্তরকুরুবর্ষের বক। রবীন্দ্রনাথ কী ভেবে 'কুরুবকের পরত চূড়া কালো কেশের মাঝে' লিখেছিলেন বোঝা গেল না।
কোকোনদ — কোকনদের সঠিক বানান, যার অর্থ যে নদে কোকো-র স্রোত বয়।
খ
খালিস্থান — শূন্য জায়গা — যেখানে কিছুই নেই; বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত কিছু ভারতীয় কেন যে এমন একটা স্থানের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কে জানে!
গ
গুরুপদ — পায়াভারী লোক।
গোলটেবিল — 'গোল' সহযোগে একটি বিভ্রান্তকারী শব্দ; কেন না, গোলদিঘি বা গোলপাতা কোনটাই যেমন গোল নয় তেমনই গোলটেবিল বৈঠকের টেবিল সাধারণত চৌকো বা লম্বাটেই হয়। তবে এ ধরনের বৈঠকের মেজাজে বা পরিণতি বিচার করলে 'গণ্ডগোল' টেবিল বলাই সঙ্গত এই মন্তব্য করেছেন হিমানীশ।
গোহারা — যার গোরু হারিয়েছে (তুলনীয়: মণিহারা)।
ঘ
ঘরজামাই — অভিধান বলছে 'যে জামাই ঘরে থাকে'; তা হলে অন্যান্য জামাইরা নিতান্তই হা-ঘরে।
চ
চক্রবর্তী — চক্রের মতো আবর্তনকারী; এককালে রাজারা রাজ্যবিস্তারের জন্য ছুটে বেড়াতেন এবং যাঁরা সফল হতেন তাঁরা এই উপাধি পেতেন। বর্তমানকালে বড়ো বড়ো কোম্পানির বড়োকর্তাদের এই উপাধি দেওয়া যেতে পারে। অন্য অর্থে, চক্রে অবস্থিত (তুলনীয়: দূরবর্তী, নিকটবর্তী), যেমন টায়ার, স্পোক, অ্যাক্সল ইত্যাদি।
চাতাল — চায়ে নেশাগ্রস্ত লোক (তুলনীয়: মদে নেশাগ্রস্ত হলে মাতাল)।
ছ
ছলনা — ছল + না; যেটা ছল নয়, অর্থাৎ সত্যি।
ছত্রপতি — যে পতির মাথায় ছাতা শোভা পায়। অনুরূপভাবে, 'ছত্রপত্নী'-ও হওয়া উচিত।
জ
জর্জরিত — আসলে জ্বরজড়িত, অর্থাৎ জ্বরগ্রস্ত। 'বৃষ্টিতে ভিজে জর্জরিত হয়ে তিনি শুয়ে আছেন'।
জঠরজালা — যার জঠর জালার মতো। এই রকম লোকের জঠরজ্বালা বেশি।
জনমেজয় — মেজো, অর্থাৎ, মধ্যম জন।
জবরজং — বেশি পরিমাণে মরিচা ধরা অবস্থা। 'জবরজং হয়ে সেতুটা ভেঙে পড়ল'।
জমকালো — আসলে 'যমকালো' — যমের মতো কালো।
জরুরি — জরু-র+ই; অর্থাৎ কিনা একান্তভাবে জরু-র (স্ত্রীর) বশীভূত। (তুলনীয়: হিন্দিতে 'জরুকা গোলাম'।)
জাগুয়ার — যে ব্যাঘ্রজাতীয় পশু ঘুমায় না, জেগে থাকে।
জানোয়ার — যে ব্যক্তি জানে (তুলনীয়: যে খেলে সে খেলোয়াড়)।
ঝ
ঝড়খালি — ঝড়প্রবণ এলাকা।
ট
টালিগঞ্জ — টালি ক্রয়-বিক্রয়ের জায়গা।
টোল প্লাজা — সংস্কৃত পঠনপাঠনের অনেকগুলি স্কুল যেখানে অবস্থিত।
ড
ডাল লেক — ইংরেজি dull lake থেকে, অর্থ হল যে লেক আকর্ষণীয় নয় — একঘেয়ে।
ত
তালবাদ্য — তালগাছ থেকে যে বাদ্য প্রস্তুত হয় (তুলনীয় তালগুড়)।
তাড়কব্রহ্মনাম — মাইক বাজিয়ে তাড়নাকারী অষ্টপ্রহর বা চব্বিশ প্রহর ধরে হরিনাম সংকীর্তন।
তেজারতি — তেজ বা বিক্রমের সঙ্গে আরতি। 'আজ সন্ধ্যায় পুরোহিতের তেজারতি বেশ লাগল'।
তৈজসপত্র — তেজপাতার সংস্কৃত রূপ।
দ
দরবেশ — দামি জিনিস।
ধ
ধারাপাত — ধারা বর্ষণ; অঙ্ক শেখানোর প্রাথমিক পাঠে বাচ্চাদের চোখের জলের কথা ভেবেই কি এই নাম?
ধুমধাম — ধোঁয়ায় ভর্তি বাড়ি। 'আগুন লেগে বাড়িটা ধূমধাম হয়ে গেছে'।
ন
নবপত্রিকা — নতুন প্রকাশিত পত্রিকা। 'অল্প কিছু নবপত্রিকাই দীর্ঘজীবী হয়'।
নরবর — গোবরের মানবিক সংস্করণ।
নলজাতক — বৌদ্ধ জাতকগ্রন্থে পৌরাণিক রাজা নলের জাতক হিসাবে জন্মগ্রহণের কোন বিবরণ পাওয়া যায় না। এটি একটি অর্বাচীন সংযোজন।
নারীনক্ষত্র — সিনেমা জগতের মহিলা তারকা।
নাড়িবাদী — যে সব ডাক্তার নাড়ি টিপে রোগ নির্ণয়ে বিশ্বাস করেন।
নিটোল — যেখানে সংস্কৃত পঠনপাঠনের কোন স্কুল নেই। অন্য অর্থে, যে রাস্তায় গাড়ি যাবার টোল আদায় করা যায় না।
নিরঞ্জন — যাকে বা যার উপর রং করা যায় না।
প
পদকর্তা — পায়ের মালিক; অর্থাৎ যে কোন মানুষ বা পদবিশিষ্ট জীব।
পরস্ত্রীকাতরতা — অপরের স্ত্রীকে দেখে মর্মবেদনা (তুলনীয়: পরশ্রীকাতরতা)।
পরিকল্পনা — পরি-সংক্রান্ত কল্পনা। এটি একটি অতিকথন, কেন না পরি মাত্রই কল্পনা।
পরিবার — পরি-চালিত বার বা পানশালা। মধ্যপদলোপে সংক্ষেপে পরিবার।
পরিধান — পরিদের খাদ্য হিসাবে যে ধান উৎপন্ন হয়। মানুষী পরিরাও এ-ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
পরিবেদনা — পরির জন্যে বেদনা, অধিকাংশ তরুণই যা অনুভব করে থাকে।
পরিসংখ্যান — এক এলাকায় কত পরি আছে তার হিসাব।
পাকদণ্ডি — পাকিস্তানের দণ্ড বিধানকারী কর্তা।
পাক প্রণালী — (১) পাকিস্তানের অন্তর্গত একটি জলসংযোগ। (২) পাকিস্তানের রীতিনীতি। 'পাক প্রণালীর সঙ্গে ভারতীয় প্রণালীর কিছু পার্থক্য আছে।'
পানিগ্রাহি — যারা পানি বা জল গ্রহণ করে থাকে, অর্থাৎ তাবৎ নরকুল। বিশেষ পদবি হিসাবে এটা গ্রহণযোগ্য কিনা সেটা বিবেচ্য।
প্রাঞ্জল — প্রাণ জল করা (কথাবার্তা বা লেখা)।
ব
বকখালি — যেখানে খালি বকের দর্শন মেলে। অন্য অর্থে, যে স্থান বক-শূন্য হয়ে গেছে।
বক্তিয়ার/বলাই — যিনি অনর্গল বলেন বা বকবক করেন।
বংশধর — দাঙ্গাহাঙ্গামায় যাদের বাঁশ নিয়ে মারামারি করতে দেখা যায়।
বালিগঞ্জ — বালি ক্রয়-বিক্রয়ের জায়গা।
বিজ্ঞান — জ্ঞানহীন (তুলনীয়: বিজন — জনহীন)। 'লোকটা একেবারে বিজ্ঞান'।
বিভূতি — ভূতহীন।
বিনয় — B নয়, A কিংবা C থেকে Z পর্যন্ত যা কিছু হতে পারে।
বিন্দুবিসর্গ — বিসর্গ দুটো গোল (ঃ) দিয়ে না লিখে দুটো বিন্দু (:) দিয়ে লেখা।
বেলুচিস্তান — যে স্থানে লুচি পাওয়া যায় না।
বেহেস্ত — যেখানে হেস্তনেস্ত করার কোন তাগিদ নেই।
বৈকুন্ঠ — যিনি বই কিনতে কুন্ঠিত বোধ করেন।
ভ
ভদ্রক — যে জায়গায় লোকজনকে সহবৎ শিখিয়ে ভদ্র করার ব্যবস্থা আছে।
ভরপুর — পুর দিয়ে ভরা খাদ্যসামগ্রী, যেমন কচুরি, পিঠে ইত্যাদি।
ভোজবাজি — বাজি রেখে ভোজ খাওয়া।
ভোট কম্বল — ভোটের প্রাক্কালে বস্তি অঞ্চলে রাজনৈতিক দলের দ্বারা বিতরিত কম্বল।
ভালোবাসা — ভালো বাসা বা সুন্দর বাড়ি।
ম
মগডাল — নিকৃষ্ট জাতের মুগ ডাল। (তুলনীয়: পরশুরামের 'শ্রী শ্রী সিদ্ধেশরী লিমিটেড'-এ ঘিউ আর ঘই)।
মনসিজ — মন হইতে জাত; যোগরূঢ়ার্থে মদনদেবকে বোঝায়, কিন্তু গল্প কবিতা রাজনৈতিক বক্তব্য বা সরকারি পরিসংখ্যানকে এই নাম দেওয়া যেতে পারে।
মন্দাক্রান্তা — মন্দাগ্রস্ত (অর্থনীতি, বাজার ইত্যাদি)।
মহাশয় — মহা+আশয়; বড়ো পাত্র, যেমন বড়ো হাঁড়ি গামলা ইত্যাদি।
মার্কসবাদী — পরীক্ষায় ভালো মার্কস পাবার জন্যে যারা সচেষ্ট। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী স্বভাবতই মার্কসবাদী।
মিনিবাস — ছোটো মাপের বাসস্থান।
মুখপত্র — ওড়না।
র
রগচটা — কপালের পাশে ক্ষতচিহ্নযুক্ত ব্যক্তি।
রাজবংশ — রাজহংস যেমন হাঁসেদের মধ্যে রাজা, তেমনই রাজবংশ হল বাঁশেদের মধ্যে রাজা। বৃহৎ নধর বাঁশ।
ল
লোপামুদ্রা — সাধারণত ভারতীয় মেয়েদের বোঝায়। কেন না, তাদের বিয়ে দিতে বাবা-মায়ের অর্থের বিলুপ্তি ঘটে, বিয়ের পরে তাদের স্বামীদের।
শ
শতভিষা — যে ব্যক্তি একশোটি দেশের ভিসার অধিকারী, যা গিনেসে নথিভুক্ত হবার যোগ্য।
স
সংবিধান — সং সাজার জন্য নির্দেশনামা।
সারনাম — ইংরেজি surname-এর প্রস্তাবিত বাংলা রূপ।
সাঁতরা — সাঁতার কেটে যাবার জন্য নির্দেশ। (Swim on!)
হ
হতদরিদ্র — নিহত দরিদ্র ব্যক্তি।
হালচাল — হাল আমলে উৎপাদিত চাল, যেগুলির বেশির ভাগই সংকরায়িত। যেমন, রত্না জয়া মিনিকিট ইত্যাদি।