আলিঙ্গন
যে মানুষ একেবারে প্রান্তিক, তার ঠিক কী চাই
জানে কেউ?
যে শহরে শীত আসছে সেখানে উষ্ণতার বলয়ে
পা রাখার পারমিট, কে রেখেছে সোনালি ব্যাগে!
ব্যালকনি থেকে দূরে দ্যাখা যাচ্ছে সবুজের আভা
সেখানে সাতনড়ি হার খুলে রেখে
কে যে গ্যালো সমুদ্রে, স্নানে--
সূর্য নেমে যাচ্ছে ঢেউয়ের আহ্বানে
কাঠ-কুটো নেই আমার সঞ্চয়ে
শীতের আলিঙ্গন, বলো, কী করে এড়াই?
নাআমার স্বপ্নের ভেতর ঘুম আছে, কিন্তু
ঘুমের কোন পূর্ব পরিচয় নেই
ঘুমের মধ্যে আছে রেলগাড়ি, কিন্তু
সেই ট্রেন কোথাও যায় না
সোনালী ধানের উৎসবে প্রতিবেশি আসে
স্বজন আসে না
আগুন-পরবের রাশি কাঠ জমানো হয়েছে
..... অগ্নিশলাকা নিয়ে কেউ তো আসেনি!
তুলো ধোনার টঙ্কার শুনেছি, গিয়ে দেখি
আমার পূর্বপুরুষ কিছুই জানে না
তোমার হাতের বাতি জ্বালাতে পারি না
কেন তুমি মোম জ্বেলে আসোনি, বলতো!
নাকি তুমিরাত গভীর হলে চুঁইয়ে জল নামে ক্ষতে...
শুশ্রুষা করার সাদা স্কার্টের নার্স
টহল দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়ে।
সেই জ্বালা পোড়াতে থাকে চোখ, চুল
চর্ম ও ধমনী -- শুনশান নৈঃশব্দে
কোন আত্মীয় বা বান্ধব দমকলে কর্মরত নয়
ত্রাণ মন্ত্রীর নামটাও জানা নেই
জানি শুধু অরণ্যদেব আর পাহাড় উপড়ে আনা
পৌরাণিক মহাবলীকে
জ্বালার উপশম দিতে পারা গুল্ম এরাও চেনে না
রাত গভীর হলে চুঁইয়ে জল নামে ক্ষতে...
ওই জল তুমি কি পাঠাও, যাকে আমি দৈব বলি?
নাকি তুমি দহন ভালোবাসো...