।। ১ ।।
চেতনার সব রঙ মিশে
শূন্য থেকে শুরু সেই সুমহান শ্বেত
সমাপ্তিতে উৎসমুখ, মাঝখানটিতে
বৃত্ত-অক্ষরে আঁকা সুবিশাল যাত্রা-আয়োজন
নিজের ভিতরে মুখ গুঁজে
এ যেন অনির্বাণ সন্ধান নিরুদ্দেশ জন্মঠিকানা
অথবা জবাব না মেলা চিঠির
ফিরে আসা, বুকে নিয়ে অসীমের গূঢ় সম্ভাবনা
।। ২ ।।
যতক্ষণ তুমি আছো, ওই পাড়,
আঁকাবাঁকা রেখা বেয়ে সমান্তরাল যাত্রা আমার
মধ্যিখানে জলজ বিস্তৃতি
এ যাত্রার শেষ দৃশ্যে চুম্বনের প্রতিশ্রুতি নেই
তবু আজীবন আমাদের গাঁটছড়া বাঁধা
যেমন ভোরের সঙ্গে যোগিয়া বিভাস
অথবা অমলকান্তির সঙ্গে রোদ্দুরের
চিরকালীন সহাবস্থান
।। ৩ ।।
তোমার আমার মধ্যে তৃতীয় বিন্দুতে বাস
একাকী রাত্রির সন্ন্যাস
বিরহ আগুন অর্ঘ্যে স্নান করে আমি
নিঃসঙ্গ সেই ঈশ্বরের কাছে,
নিজেকে নৈবেদ্য দিই প্রতিদিন
অন্ধকারকে ভালোবেসে
প্রতিদিন তুমিও আসো
ঈশ্বরের ঠোঁটে চুমু দেবে বলে
তুমি আর আমি
একই ঈশ্বরের শিষ্য ভ্রাতা ও ভগিনী
দৈবাৎ সেই পথে
তোমার-আমার দেখা হয়
তখন আমরা করি পাপ
সঙ্গম ঘোষণায় জ্বলে ওঠে
নাস্তিক আলোর সংলাপ
।। ৪ ।।
নিবিড় তোড়ায় যেই নিয়েছি
ওষ্ঠাগুনের তাপ দিয়েছি
টুকরো কথাগুলো
নীলচে তারার তুবড়ি হয়ে
যে যার অধিবৃত্ত-পথে
তোমার হৃদয় ছুঁলো