লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
ঐশী রায় এখনও ছাত্রী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পাঠরতা। হাওড়ার বাসিন্দা, বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাসের কিছু পর্যায় নিয়ে আগ্রহ আছে। শখ লেখালিখি আর গান। ব্লগ - https://hiraethquest.wordpress.com/
অতনু দে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। জন্মসূত্রে কলকাতার, কর্মসূত্রে প্রায় পনেরো বছর কলকাতার বাইরে। কিন্তু অবসর
সময় মন ঘুরে বেড়ায় সাহিত্যের খোলা আলো-ঝলমল বারান্দায়। নানান সময় নানান লেখালেখি করেছেন –
কবিতা, প্রবন্ধ, কিন্তু গল্প লেখা এই প্রথম। সাহিত্য ছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেছেন একসময়।
অমিতাভ প্রামাণিক বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
আনন্দ সেন মিশিগানের অ্যান আরবার শহরের বাসিন্দা এবং পেশায় ইউনিভার্সিটি অফ্ মিশিগানে বায়োস্ট্যাটিস্টিক্সের অধ্যাপক। কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্স্টিটিউটের স্নাতক আনন্দ পি এইচ ডি করতে আমেরিকাতে আসেন তিরিশ বছরেরও
বেশী আগে। ছাত্র পড়ানো এবং পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণার সাথে সাথে শখ লেখালেখি আর অভিনয়। মূলতঃ কবিতা লেখেন। পেশাগত কাজ এবং প্রাত্যহিকতায় নুয়ে যেতে যেতেও হঠাৎ করেই দ্বারস্থ হন অভ্র কিবোর্ডের। দর্শক এবং পাঠকের মন ভরাতে পারুক বা না পারুক, নাটক এবং লেখা তাঁকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিন।
অনন্যা দত্ত আই,আই, টি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে থাকেন। মানসিক বিকাশ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় স্কুলের পড়া হয়নি। ছবি আঁকতে ও গান গাইতে ভালবাসেন।
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৭৬ সালে হুগলি জেলার ছোটচৌঘরায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পেশায় তিনি একজন চাকুরিজীবি। লিটিল ম্যাগে লিখে লেখালিখির শুরু। প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়, পুরুলিয়া থেকে প্রকাশিত টুকলু পত্রিকায়। তারপর থেকে অজস্র গল্প নানা পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে মিশতে, মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়াতে তাঁর ভাল লাগে। সেই সব মানুষজন—যাদের আমরা দেখেও দেখি না, যাদের জীবনযাপন নেতান্তই অকিঞ্চিতকর বলে হেলাফেলা করি—তাদেরই গল্প বলেন অনিরুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত একটিই গল্পগ্রন্থ তাঁর প্রকাশিত হয়েছে। সেটির নাম –মশাট ইস্টিশনের মার্টিন রেল। প্রকাশক, পরশপাথর।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। প্রকাশিত ছেলেদের ছড়ার বইঃ
'ভূতোর বই' (ঋতবাক্, ২০১৭)।
অপরাজিতার জন্ম শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, সাথে ধ্রুপদী শিক্ষার হাতেখড়িও সেখানে। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার পরবর্তী অধ্যায় কলকাতায় মিনু গুহের কাছে । মুম্বাই শহরে আসার পর 'প্রাঙ্গণ' স্কুল থেকে ডিপ্লোমায় প্রথম স্থান অর্জন করেন, পরীক্ষিকা সুচিত্রা মিত্রের হাতে। গত দুই দশকের ওপর রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষিকা ও গায়িকা। সম্প্রতি ভাবনা রেকর্ডস ওঁর গানের সিডি প্রকাশ করেছে, 'অনন্ততৃষ্ণা'।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত এবং ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
চৈতালি সরকার বর্ধমান জেলার বিল্বেশ্বর বিনোদলাল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স করেছেন।
ইন্দ্রনীল বক্সীর জন্ম -পড়াশুনা - বড় হওয়া - দুর্গাপুরে, বর্তমান বাস - বর্ধমান। পেশা - ব্যবসা। লেখালিখির অভ্যাস ১৭-১৮ বছর বয়স থেকে। কবিতা, গল্প, গদ্য লিখে থাকেন। প্রকাশিত কবিতা সংকলন - 'নজরমিনার', 'পিয়ানোঘুম', প্রকাশক - সৃষ্টিসুখ। পুরস্কার - 'বহুস্বর' আয়োজিত গল্প প্রতিযোগিতায় অনন্ত কুমার সরকার স্মৃতি পুরস্কার (প্রথম পুরস্কার)।
ভাস্কর বসুর জন্ম কলকাতায়, বেড়ে ওঠা দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনার রাজপুর-সোনারপুর অঞ্চলে। ১৯৮৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং পাস করে কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে। শখের মধ্যে অল্প-বিস্তর বাংলাতে লেখা - অল্প কিছু লেখা রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, উনিশ-কুড়ি, নির্ণয়, দেশ, ইত্যাদি পত্রিকায় এবং বিভিন্ন ওয়েব ম্যাগাজিন (সৃষ্টি, অবসর, অন্যদেশ, ইত্যাদিতে) প্রকাশিত।
সম্প্রতি একটি ব্লগ শুরু করেছেন,
ভাবনা আমার পথ খুঁজে চলে।
ডঃ বিশ্বেশ্বর কুণ্ডু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। গবেষণার বিষয় ধ্বনিবিজ্ঞান ও
ভাষাবিজ্ঞান। সাঁওতালী ভাষাচর্চায় বিশেষ আগ্রহী।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
কালীকৃষ্ণ গুহর জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কিশোর ঘোষাল--পেশায় সিভিল ইঞ্জিনীয়ার, সেই সূত্রে ব্যাপ্ত এই দেশের আনাচে কানাচে বিচিত্র জীবন দর্শন। নেশা একটু আধটু লেখা। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে, রম্যরচনা সংকলন "বিনি সুতোর মালা", গীতার সরল অনুবাদ "চিরসখা হে", ছোটোদের জন্য "তিন এক্কে তিন হেমকান্ত মীন" পাঠকদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ বাড়িয়েছে। এ ছাড়া "পাঁচকথা", "আলোকতরু", "রুলপুই" সংকলনেও তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। "দেশ", "আনন্দমেলা", "কিশোর ভারতী", "দুর্বাসা", "আত্মজা" প্রভৃতি পত্রিকাতেও তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশ পেয়ে চলেছে।
কোয়েল দত্তর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। পেশায় কেমিকাল এঞ্জিনিয়র--ডিজাইন ও ডেভেলাপমেন্ট-এ মুম্বাইয়ের একটি অ্যাগ্রো-কেমিকাল কোম্পানিতে কাজ করেন। নেশা--বেড়ানো, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া, লেখা-লেখি।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
কুমকুম সরকার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখেন।
আমি নাহার তৃণা। জন্ম ঢাকায়। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় বসবাস করছি।
নানান ধরনের বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসি।
সামান্য লেখালেখির চেষ্টা করি। খুব ইচ্ছে করে যে জীবন আমার নয়, কিন্তু হতেও তো পারতো,
এমন মানুষের পাশে নিজেকে দাঁড় করিয়ে সে জীবনটা দেখি।
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় দুই-দশকের বেশি আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স-এ আছেন। পড়তে ভালোবাসেন। তার লেখা পরবাস, আনন্দবাজার, বর্তমান,সংবাদ প্রতিদিনের রোববার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।ছোট গল্পের পোকা; পরবাসের পুরোনো পাঠক।
প্রদীপ দাশশর্মা-র জন্ম ১৯৪৩ (ফরিদপুর অধুনা বাংলাদেশ)-এ। কর্মজীবনের সূত্রপাত অধ্যাপনায়। পদ্যে-গদ্যে তাঁর লেখা ঢের অন্যরকম। কলকাতা, এক্ষণ, গল্পকবিতা, পরিচয়, উলুখড়, নন্দন, দীধিতি, কবিকণ্ঠ, কবিসম্মেলন, কবিতা প্রতিমাসে, একালের রক্তকরবী, মানসলোক পত্রিকাদি তাঁর লেখভূমি। ২০০১-এ মৃদঙ্গার সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৩-এ কালকূট পুরস্কার প্রাপ্তি। তাঁর গবেষণাধর্মী বিবিধ প্রবন্ধ বিদ্বজ্জনের মনোযোগের কারণ। প্রকাশিত উপন্যাস
নীল হাওয়ার সমুদ্রে। সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি কাব্যগ্রন্থ
গাধা, রান্নাঘর।
প্রীতি সান্যাল ফ্রান্সে থাকেন। প্রবন্ধ, কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। প্রকাশিত বই
ফরাসি দেশ অন্য চোখে।
বন্দনা মিত্র--পেশায় মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনীয়ার, শিবপুর বি ই কলেজ ও তারপর আই আই টি খড়গপুর।
কাজ করেন রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড, এক পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিং-এ। বর্তমানে কলকাতায় পোস্টিং,
তবে কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরতে হয়েছে।
লেখালিখি আমার শখ, লিটল ম্যাগাজিন, ওয়েব ম্যাগাজিন, আনন্দবাজার ওয়ান স্টপ এ কবিতা ও গল্প
প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার একটি বই ও প্রকাশিত হয়েছে "কালপুরুষ কি জাগছে আজ"
বিশ্বজিৎ মণ্ডল থাকেন বহরমপুর, মুর্শিদাবাদে। সম্পাদনাঃ গদ্যের কাগজ 'গল্পনগর', পদ্যের কাগজ 'লাঙল'। প্রকাশিত বই ছ'টি--'শীতের মেয়েটি', 'অসমাপ্ত স্কেচ', 'জিবরাইলের ডানা' ইত্যাদি।
চৈতালি সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেছেন। বিল্বেশ্বর বিনোদলাল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র।
ধূপছায়া মজুমদারের নিজের কথায়--"একসময় ছিলাম ইঞ্জিনিয়ার, কারখানা গড়ার কাজ করতাম। বছরতিনেক হলো সেকাজে স্বেচ্ছাবিরতি নিয়ে একটি ছোট্ট মানুষকে গড়ে তোলার কাজে মন দিয়েছি। পড়া আর লেখা হলো নেশা, সবচেয়ে ভালবাসি ছোট্ট বন্ধুদের জন্য লিখতে।"
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
দীপঙ্কর ঘোষ কোনদিন ছবি আঁকা শেখেননি গুরুর পাঠশালায় । ছবি লেখেন মনের আনন্দে। ছোটবেলা থেকে।
স্ট্যাটিসটিক্স, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনা করে জীবিকা জগতের গুরু দায়িত্বে থেমে যায় সেই শখ!
অবসর জীবনে আবার ধরেছেন পেন্সিল তুলি। পোর্ট্রেট বানান চারকোল পেন্সিলে। কখনো বা ছবিতে ব্যবহার করেন নানা ধরনের রং, এমনকি কাপের তলানিতে পড়ে থাকা কফি।
ওনার নিজের কথায়:
ইচ্ছে পূরণ হয়না কোন লেখায়,
শব্দগুলো খেই হারিয়ে মনের মাঝে কাঁদে।
কলম ছোটে ব্যর্থ সরল রেখায়,
ছন্দকে তাই বন্দি করি তুলির টানের ফাঁদে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ তাঁর।
দেবাশিস দাস পেশায় ভূতত্ত্ববিদ। পড়াশুনো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়গপুর আই আই টি থেকে। কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে বর্তমানে দেরাদুনের বাসিন্দা। একটি ‘তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান’ সংস্থায় কর্মরত। দেরাদুনের বঙ্গসংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। নেশা অবশ্যই সাহিত্যচর্চা। বিশেষত: একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্তভাবে লেখালেখি করেছেন নানান পত্রিকায়। কিন্তু নিয়মিত-ভাবে পাঠকের দরবারে আসা হয়ে ওঠে নি। ‘পরবাস’ ওয়েবজিনের জন্য গল্প লেখা এই প্রথম। সুধী পাঠকগণের ভাল লাগলে নিয়মিত লেখালেখির বাসনা আছে।
দেবায়ন চৌধুরী দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি কলেজে বাংলার অধ্যাপক। কলকাতায় থাকেন।
হাসান জাহিদের গল্প এবং বাংলা/ইংরেজিতে অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায়, সাপ্তাহিক পত্রিকা/সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা, কোলকাতা ও টরোন্টোর পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। বর্তমানে কানাডার টরোন্টো শহরে স্থায়িভাবে বাস করছেন। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার নাগরিক। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি সরকারের পরিবেশ দপ্তরে যোগ দেন, ও পৃথিবীর নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসান জাহিদ টরোন্টো-ভিত্তিক ওয়েব ম্যাগাজিন 'উত্তরাধুনিক'-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'জাদুবাস্তবের পদাবলি' ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। হাসান জাহিদ কথাসাহিত্যে (গল্পগ্রন্থঃ বোরোফেগাস ও আধুনিক আদম মানব) দেশ-প্রকাশনী পুরস্কার-২০১৪ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে আশির দশকের গল্পকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।
জয়দীপ সেন কলকাতার দমদম এলাকায় থাকেন।
মৈনাক চৌধুরীর জন্ম হাওড়ার রামরাজাতলায়। বেড়ে ওঠা মফস্বলে। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র। এখন কর্মসূত্রে আমেরিকার কানেক্টিকাটের বাসিন্দা। অনেক ভালো লাগার মধ্যে লেখালেখি অন্যতম। গতানুগতিক, ব্যস্ত জীবনের বদ্ধ চার দেওয়ালের মধ্যে লেখালেখি, সাহিত্যচর্চা যেন ব্যালকনির খোলা হাওয়া নিয়ে আসে। অন্যান্য সখের মধ্যে চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, খেলাধূলা এবং অবশ্যই সঠিক বৃত্ত পেলে জমিয়ে আড্ডা মারা।
মৈত্রেয়ী দেবনাথ জন্মসূত্রে খড়্গপুর নিবাসী, বর্তমানে সুভাষগ্রামে থাকেন। পেশা শিক্ষকতা, চাকরি, সংসার আর সন্তান সামলিয়ে অবসরে লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
মৌসুমী দেবনাথ: বৈবাহিক কারণবশতঃ এখন মৌসুমী মণ্ডল দেবনাথ। ত্রিপুরার ছোট্ট সাবডিভিশনাল টাউন, সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ধর্মনগরে স্কুলজীবন কেটেছে। ত্রিপুরায় স্কুল, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স /এম.এ., তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের School of Women's studies থেকে M.Phil. করেছি। এখন ফুলটাইম সংসার আর লেখালেখি নিয়ে যুদ্ধ; 'প্রবাহ' পত্রিকার সম্পাদক।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী-র জন্ম উত্তর কলকাতায়। বড় হয়ে ওঠা উত্তর শহরতলীর এক সরকারি আবাসনে। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরণের বই পড়তে ভালোবাসেন এবং সাহিত্যচর্চায় হাতেখড়িও তখন থেকেই।বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পরিবেশ বিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর। গল্প প্রথম ছাপা হয় উত্তরপাড়া থেকে প্রকাশিত "নিজস্ব" মাসিক পত্রিকায়। এরপর গল্প প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকা, আনন্দমেলা, তথ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। ভালোবাসেন গাছপালা ও বন জঙ্গল।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!' ও কিছু নির্বাচিত কবিতার ইংরিজি ও ফিনিশ ভাষায় অনুবাদ: Enchantress.
নূপুর রায়চৌধুরী কলকাতার বোস ইন্সটিট্যুটে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে UCLA-তে প্রথমে এবং এখন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বায়োমেডিকাল সায়েন্স-এ গবেষণা করছেন। গান ও সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা, তাঁর প্রিয়।
প্রণব বসু রায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক-আধিকারিক। প্রথম মুদ্রিত কবিতা ১৯৬৪ সালে। সত্তর দশকের কবি হিসাবে পরিচিত। সম্পাদনা করেছেন "শ্রাবস্তী" পত্রিকার। যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন "শীর্ষবিন্দু" পত্রিকার, ১৯৬৮ থেকে। ঐ পত্রিকাই এ্কা সম্পাদনা করেছেন ২০০২ থেকে।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'প্রণয়রাংতা', 'এ বাড়িতে রান্নাঘর নেই', 'ফ্রেডরিক নগরের বাসিন্দা'। ২০১৯ কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিতব্য 'মাইনাস ডেসিবল'।
সম্পাদিত কাব্য-সংকলন "'শীর্ষবিন্দু--কবিতার ৫০ বছর"।
বসবাস-- শ্রীরামপুর, জেলা-- হুগলী।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন। ২০১৫ বইমেলায় পিনাকীর
কবিতা সমগ্র (১) আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্বিতা পুরকায়স্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। দীর্ঘ পনের বছর পরে আবার কবিতা লেখা শুরু করেছেন। কলকাতা ও গুয়াহাটির কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনে সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
বাসবী চক্রবর্তী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অ্যাকাডেমিক স্তরে সমাজতত্ত্বের বাইরে তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র হল মানবীবিদ্যা। এই দুটি বিষয়ের ওপর একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন ছোট পত্রিকায় কবিতা-বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন অন্য ভাষার কবিতা। সাহিত্য-অকাদেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুটি অনুবাদ-গ্রন্থ। সম্পাদনা করেছেন প্রয়াত কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর 'গদ্যসমগ্র' (যুগ্মভাবে) এবং 'নির্বাচিত ভাস্কর চক্রবর্তী' (উর্বী প্রকাশন)।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি — কবিতার দেশ-বিদেশ, কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই — ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। এই বছর প্রথম প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল)। নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
রূপা মন্ডলের নিজের কথায়ঃ খুব ছোটবেলা থেকেই লিখতে, ছবি আঁকতে আর গল্পের বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসি। গাছপালা, পশুপাখি আর প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভীষণ পছন্দ করি। স্কুল ম্যাগাজিনে ভ্রমণ কাহিনী লেখার মাধ্যমে প্রথম আত্মপ্রকাশ। মহাবিদ্যালয় স্তরে ও রাজ্য স্তরে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ ও পুরস্কার লাভ। আনন্দবাজার প্রত্রিকা ও তার ই-কলকাতা বিভাগে অনেকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অনেকগুলি অনলাইন ও মুদ্রিত ম্যাগাজিনে নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। গতবছরে একটি ছোট গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে, নাম - "পরিচয়" ('উড়ান' পাবলিশার)| বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে সময় পেলেই গল্প লেখা ও জলরঙে ছবি আঁকা চিত্তবিনোদনের একমাত্র উপকরণ।
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রযুক্তিবিদ্যার প্রাক্তন ছাত্র। সম্প্রতি তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রবিদ্যার অধ্যাপক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থঃ স্থানাঙ্ক নির্ণয়, অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন ও অন্যান্য, ঋত্বিকতন্ত্র, অনভিজাতদের জন্য অপেরা, বুনো স্ট্রবেরি, ওগো মায়া, ওগো বাতায়ন ইত্যাদি। ইদানীং আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর ব্লগ 'বকম্ বকম্'।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
আজন্মকাল কলকাতার বাসিন্দা। ছোট থেকেই বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার নেশা। স্কুলে পড়ার সময় থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে লেখালেখি শুরু( কাউকে দেখানোর সাহস হয়নি)। গত দুবছর আগে হঠাৎই একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রথম প্রকাশিত লেখা। তারপর থেকে 'দেশ', 'আনন্দবাজার পত্রিকা' সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও লিটলম্যাগে টুকটাক লেখালেখি চলছে।
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায়ের বাল্যজীবন একেবারে অন্যরকম। মধুপুরে (এখনকার ঝাড়খণ্ডে) দাদুর (ব্রিটিশ আমলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে ইংরেজি, সংস্কৃত আর অঙ্ক শিখেছেন। বারো বছর বয়েস অবধি কোনো ইস্কুলে যাননি। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ, পুনের ফার্গুসন কলেজ, দিল্লীর আইআইটি, এবং আমেরিকার রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। ছেলেবেলার স্বাধীনতা ও বিচরণক্ষেত্র ছিল অবাধ -- মধুপুরের আদিবাসী ও সাধারণ লোকজনেদের সঙ্গে। সেইসব বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর বই
Memories of Madhupur / Mid-Century Vignettes from East of India ২০১৮-সালে প্রকাশিত হয়েছে।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সম্পা পাল শিলিগুড়ির বাসিন্দা। নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি থেকে এম,এ বি-এড। স্নাতক স্তর থেকেই লেখালেখি।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের কথা সন্ধ্যা ভট্টাচার্য আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর ছেলে
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কথায়ঃ "মা একেবারে পরিণত বয়সে, যখন আমি শিলং-এ পোস্টিং পেলাম ১৯৯৪ সালে, সেই তখন আমার কাছে থাকতে এসে যখন সংসারের সব কাজ থেকে নিস্তার পেলেন তখন এ ডায়েরিগুলো লিখতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ কয়েক দশকের ইতিকথা লিখেছেন ব্যক্তি-সমাজ ও চেতনার বিবর্তনের ছবি দিয়ে চারটি ডায়েরিতে।"
সন্তু ঘোষ কলকাতা নিবাসী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পেশা - ফেরিওয়ালা (সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ)। কাজের সূত্রে দেশে এ-প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়তে দৌড়তেই লেখালিখি বা লেখালিখির চেষ্টা। তবে এটাও সত্যি যে কাজের চাপে লেখালিখির সময় বড্ড কম। তারই মধ্যে কখনও... তাঁর কবিতা ছাপা হয়েছে "সৃষ্টি পুজো সংখ্যা" আর "আদরের নৌকা"তে।
সন্দীপ মিত্র (জন্মঃ ১৯৫৯) একটি হাই-স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক।
শর্মিষ্ঠা নাথ পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ্। বাসস্থান ইদানীং আমেরিকার ল্যুইভিল শহর। ভালোবাসেন দেশবিদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে, লেখালিখি করতে, আরো ভালোবাসেন লেখালেখি পড়তে। যুদ্ধপরবর্তী পোলিশ কবিতার অনুবাদ ‘বৃত্ত বিস্ফোরণ’ ও কবি পল্লববরন পাল-এর সঙ্গে যৌথ কলমে 'ডানায় রৌদ্রের গন্ধ' প্রকাশিত হয়েছে পরম্পরা প্রকাশন থেকে।
সারোয়ার রাফি--গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়;
কুমিল্লা, বাংলাদেশ।
সায়ন্তন সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। 'যুক্তি তক্কো সিরিজ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। প্রবন্ধ লেখেন, ছবি আঁকেন।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
কলকাতা, দিল্লী, বেঙ্গালুরু, ইউএসএ হয়ে শবনম দত্ত আপাতত বিলেতে। অক্সফোর্ডে এমবিএ
করে বছর তিনেক হলো লন্ডন-এ চাকরি করছেন। সুযোগ পেলেই স্বামী ও ন'বছরের ছেলের সঙ্গে ইয়োরোপ ঘোরার শখ। ভ্রমণকাহিনি লেখা শুরু হয়েছে এই বছর। পরবাস-৬৩-তে প্রথম গল্পের প্রকাশ।
শাম্ভবী ঘোষ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'স্কুল অফ ইকোলজি এন্ড এনভায়রনমেণ্টাল স্টাডিস' বিভাগে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চা এবং ডিজিটাল ও প্রিণ্ট উভয় মাধ্যমেই নিয়মিত লেখালেখি করেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ অনুবাদের কাজ করছেন। এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রকাশিত কবিতার বই 'A Stranger's Conversation' (Authorspress, 2014).
শান্তা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে টাকি সরকারী কলেজে রসায়নের অধ্যাপিকা ও বিভাগীয় প্রধান। ইন্ডিয়ান
অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স থেকে ডক্টরেট ডিগ্রীর পর উচ্চশিক্ষার্থে জাপান ও ইতালী
যাবার সুযোগ হয়েছে। ভালোবাসেন বই পড়তে আর মনে মনে স্বপ্ন বুনতে। ২০১৮তে প্রকাশিত হয়েছে
কবিতার বই, "কিছু কথা হয়ত বা কবিতা" এবং ছোটগল্পের বই, "সই"।
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ, গদ্য লিখে থাকেন। কোমলগান্ধার পত্রিকার সম্পাদক। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে
নবনীতা দেব সেন রচনাবলী (১ম খণ্ড, মিহির সেনগুপ্তের 'কালচক্রযান', রংগন চক্রবর্তীর নাটক 'রাজার খোঁজে', মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভ্রমণসমগ্র, 'আশ্চর্যময়ী : ভিন্ন ঘরানার বাঙালি নারীর কথা'।
শুভলক্ষ্মী ঘোষ – জন্ম, স্কুল-কলেজ, কর্মজীবন মূলত কলকাতায়। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেষজবিদ্যায় পি.এইচ.ডি.। মুম্বাই-এ ভাবা এ্যটমিক রিসার্চ সেন্টারের পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপে কাজ করার পর, ভারত সরকারের ডিপার্টমেণ্ট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে ইয়ং-সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে পুনরায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক হিসেবে প্রত্যাবর্তন। গবেষণার পাশাপাশি কিছুদিন লেডি ব্রেবোর্ন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিটিং লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা করার পর, বর্তমানে উনি কিছু বৈজ্ঞানিক পত্রিকার রিভ্যুয়ার বোর্ডের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন।
ছোটোবেলায় ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় ছড়া, ছবি, গল্প ইত্যাদি দিয়ে শুভলক্ষ্মীর লেখক জীবন শুরু। মাঝের বহু বছরের বিরতির পর আবার লেখালিখিতে হাত পাকানো ও ফিরে আসা। আগের কিছু গল্প প্রকাশিত হয়েছে ‘রংছুট’, ‘আমি অনন্যা’ এবং ‘কালিমাটি-অনলাইন’ পত্রিকায়। নাচ, সেলাই, রান্না, বাগান করা, দাবা খেলা... এইসব নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
শ্যামশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বনামধন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভগ্নিকন্যা। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্বভারতী হাসপাতালের সম্মানিত চিকিৎসক। ফলে শান্তিনিকেতনেই তাঁর জন্ম, স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ, বেড়ে-ওঠা। তিনি সংগীতভবনেও রবীন্দ্রসংগীতে যথানির্দিষ্ট শিক্ষাগ্রহণ করেন। আশ্চর্য কণ্ঠের অধিকারিণী এই আশ্রমকন্যাকে তাঁর গায়নভঙ্গি, সুরের বিশুদ্ধতা ও স্বরপ্রয়োগের বিশিষ্টতার কারণে অনেকেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি মনে করেন।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সিদ্ধার্থ সেন হাওড়ার একটি কলেজে বাংলার বিভাগীয় প্রধান। প্রাবন্ধিক।
সৌম্যেন ভট্টাচার্য কলকাতায় থাকেন।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
সুব্রত ঘোষের জন্ম ১৯৫৮ সালে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার পর কলিকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। সতের বছরের চাকুরী জীবন স্বেচ্ছায় ছেড়ে একটি কারখানার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়া। সাথে চারপাশে শাল অরণ্যের মাঝে প্রায় ১৪ একর জায়গাজুড়ে বিবিধ ফলের বাগান সাথে পিকনিক গার্ডেন এবং ভিলেজ টুরিষ্ট কটেজ প্রতিষ্ঠা আজ সর্বসাধারণের নজরকাড়া 'সোনাঝুরি' গার্ডেন। এ ছাড়া বন-জঙ্গল পশু-পাখি এবং প্রকৃতির বিভিন্ন দিক লেখার মাধ্যমে পাঠকদের অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরা লেখকের উদ্দেশ্য। শখ হোল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত পল্লীঅঞ্চলে পায়ে হেঁটে গ্রাম্যজীবন পর্যবেক্ষন ও জীবন-জীবিকাকে তুলে ধরার জন্য গবেষণামূলক গল্প রচনা।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুদীপ্ত বিশ্বাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, রাণাঘাট, নদিয়া। অনেকদিন ধরে কবিতা লিখছেন, বাণিজ্যিক পত্রিকাতে প্রকাশিতও হয়েছে। বই আছে সাতটি।
সুমন চক্রবর্তীর জন্ম, স্কুল, কলেজ কলকাতায়। পুঁথিগত বিদ্যায় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারীং এর স্নাতক এবং বর্তমানে ব্যাঙ্গালোরে তথ্য-প্রযুক্তিতে কর্মরত। 'দেশ', কিছু লিট্ল ম্যাগাজিন এবং দোসর প্রকাশনের 'ক্যাফে কবিতা' সংকলন-এ তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালেখি ছাড়াও বেড়াতে আর গান শুনতে ভালবাসেন।
সূর্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৬০ সালে মধ্যপ্রদেশের রায়পুরে। কিন্তু বেড়ে ওঠা কলকাতায়। ছোটবেলা থেকে গল্প পড়তে ভাললাগাটা ছিল। তারপর বাংলার বাইরে পঁচিশ বছরের প্রবাসজীবন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। যাদবপুরে বিদ্যুৎ প্রযুক্তির শিক্ষা, খড়গপুরে স্নাতকোত্তরণ। নেশা ছিল বই পড়া, সরকারী ঘানিযন্ত্রের পেশায় সব ভুলিয়ে দিয়েছে। বই-পড়া ছাড়া প্রিয় অবসর (যদিও বিশেষ নেই) বিনোদন ইতিহাস আর অঙ্কে।
শারদীয়া আনন্দবাজারে একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রথম বড় পদক্ষেপ। কিছুটা আকস্মিক ভাবেই। তবে ইতিহাস নিয়ে চর্চার ইচ্ছে আছে।
সুরজিৎ মণ্ডল: সাগরপাড়া, মুর্শিদাবাদ; পেশা: শিক্ষকতা; শখ: লেখালেখির চেষ্টা করা।
নাম: সুস্মিতা কুণ্ডু। পরিচিতি: "একটি আড়াই বছরের সন্তানের জননী। বর্তমানে আমেরিকায় থাকি, বাড়ি হাওড়াতে। বছর তিনেক আগে কলকাতার ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’ থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলাম। শিশু-কিশোর সাহিত্য পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি।"
সৈকত ভট্টাচার্য চেন্নাই প্রবাসী বিগত প্রায় আট বছর। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কর্মরত। যদিও অফিসের কাজের বাইরের জীবনেই বেশী উৎসাহ। ইচ্ছেমত বেড়াতে বেরিয়ে পড়া আর সেই বেড়ানোর গল্প লেখা নিজের ব্লগে। তার সাথে ছবি তোলার শখ। সেই সব নিয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে প্রথম বইও। এই সব বেড়ানোর গল্পের মাঝে মাঝে সামাজিক গল্পও এসে যায় কলমে। সেই সব গল্প টুকটাক পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এইসব লেখালিখির বাইরে সৈকত ভালবাসেন প্রচুর বই পড়তে আর ইউরোপীয়ান খাবার বানাতে ও খেতে।
সৌম্যেন ভট্টাচার্য কলকাতায় থাকেন।
স্বপন রায়-এর জন্ম ১৯৬৭; উঃ ২৪ পরগণার নবপল্লীতে থাকেন। ফিশারিজ-এ মাস্টার্স, পেশায় ক্ষুদ্র-ব্যবসায়ী। প্রকাশিত কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে--
বঞ্চিত ভালোবাসা,
সে এসেছিল নীরবে, এবং
পরবাসী। এছাড়াও কিন্ডারগার্টেন ক্লাসের বাংলা পাঠ্যপুস্তকে এঁর লেখা ছড়া আছে।
স্বরূপ মণ্ডল মুর্শিদাবাদের বাগডাঙা গ্রামে থাকেন। 'বিবর্তন' নামের একটি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত।
তাসনিম রিফাত। জন্ম ১৯৯৮ এর ১৪ অক্টোবর, বাংলাদেশের কুমিল্লায়। এখনো পড়াশুনা করছেন। মূলত কবিতা লিখলেও মাঝেমাঝে গল্পে হাত দেওয়া হয়। লেখালেখি করেছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়, লিটলম্যাগে, ওয়েবজিনে। ভালোবাসেন রুশ উপন্যাস, স্পেনিশ কবিতা আর গিটারের সুর। একমাত্র কবিতার বই 'দুঃখবোধের ঘড়ি' প্রকাশিত হয় ২০১৭ এর একুশে বইমেলায়।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
মাতৃভূমি বাম্পার (সপ্তর্ষি, ২০১৫),
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।