• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৭৩ | ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রবন্ধ
    Share
  • ইতিহাসের ‘অঞ্জলি’ : দেবায়ন চৌধুরী


    তিহাস আসলে ইতিহাস লেখার ইতিহাস। আর সে লিখন প্রক্রিয়ায় কত কত উপাদান যে অব্যবহৃত থেকে যায়, চলে যায় বিস্মৃতির আড়ালে; তা আমাদের কল্পনার বাইরে। ইতিহাসের কথা ও কাহিনিতে বিদ্যালয় পত্রিকার কথা খুব বেশি পাই কি? এই যেমন কোচবিহারের আঞ্চলিক ইতিহাসের আলোচনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আসেনি জেন্‌কিন্স স্কুলের পত্রিকা ‘অঞ্জলি’র প্রসঙ্গ। বঙ্গীয়- সাহিত্য- পরিষৎ, কলকাতায় হঠাৎ খুঁজে পাই এই পত্রিকার ১ম বর্ষ, ১৩২৪-২৫ বঙ্গাব্দের কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য সংখ্যা। পৌষ ১৩২৪ সংখ্যার অভিভাবক হিসেবে ছিলেন জেন্‌কিন্স স্কুলের হেড মাস্টার শ্রীযুক্ত মণীন্দ্রনাথ রায়। প্রথম সংখ্যায় লিখেছিলেন শ্রীযুক্ত সুরেশচন্দ্র রায়, ব্রজেন্দ্রলাল সরকার, জ্ঞানেশ্বর ভট্টাচার্য, জিতেন্দ্রনাথ সেন, নলিনীকান্ত দাস প্রমুখ। প্রকাশিত হয়েছিল ভবানীপ্রসন্ন তালুকদারের লেখা আখ্যান ‘চিত্রা’। মালদ্বীপের রাজা আনন্দমোহন। তাঁর একমাত্র মাতৃহারা মেয়ে চিত্রা। বয়স পনেরো। কাশ্মীরের রাজকুমার অমিয়ভূষণ একদিন শিকারে এসে রাজকুমারীর প্রতি অনুরক্ত হন। তাঁর পিতা এ কথা জানতে পেরে আনন্দমোহনের কাছে দূত পাঠালেন। এদিকে চিত্রার বিয়েতে মত নেই। সখীকে সে বলছে- “ কেন, তুমি জান না যে বিবাহ হইলেই আমরা পুরুষের ক্রীতদাসী হইয়া পড়ি। স্বাধীনভাবে কোন কাজ করিবার ক্ষমতা থাকে না। আমাদিগকে সর্ব্বদা সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে থাকিতে থাকিতে আমাদের মনোবৃত্তিগুলিও সংকীর্ণ হইয়া যায় ও ক্রমে ক্রমে নিজেরাও সংকীর্ণ হইয়া পড়ি। কৌমার্য ব্রত অবলম্বন করিয়া শাস্ত্রালাপে এ জীবন অতিবাহিত করিব। আমি আজই পিতাকে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করাইয়া দিতে বলিব। তোমাদের যদি ইচ্ছা হয় তবে তোমরাও আমার সহিত তথায় শিক্ষালাভ করিও।” আনন্দমোহন শেষপর্যন্ত মেয়ের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করলেন। অমিয়ভূষণ ছদ্মবেশ নিয়ে সেই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করল। তার নাম হল চপলা। চিত্রার সঙ্গে চপলার প্রণয় চলতে লাগল। শেষে একদিন ছদ্মবেশ ধরা পড়ে যায়। আনন্দমোহন ক্রুব্ধ হয়ে অমিয়ভূষণকে বন্দী করলেন। কাশ্মীররাজ মালদ্বীপের বিরুদ্ধে করলেন যুদ্ধ ঘোষণা। মালদ্বীপের কক্ষ থেকে অমিয়ভূষণ সুকৌশলে পালালেন কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজের সৈন্যের হাতেই আহত হলেন। আনন্দমোহন সেনাপতিকে যুদ্ধভঙ্গের আদেশ দিলেন।

    মালদ্বীপ রাজপ্রাসাদের এক নিরালা কক্ষে অমিয়ভূষণ রুগ্ন শয্যায় শায়িত। আর রাজকুমারী চিত্রা তাকে শুশ্রূষা করছে। এতদিনে হয়ত চিত্রা ভালোবাসা, স্নেহের মর্ম বুঝেছে। অচৈতন্য রাজকুমার চোখ খুলে যখন জিজ্ঞাসা করল- “ চিত্রা আমি কি আবার বন্দী হইয়াছি।” চিত্রার প্রাণের উৎস যেন খুলে গেল। লজ্জার রং আঁকা হল চিত্রার মুখে। গল্প শেষ হচ্ছে এইভাবে— “তারপর- পাঠক পাঠিকারা অনুমান করিয়া লউন।” বিদ্যালয় পত্রিকায় এরকম একটি প্রেমের গল্পের প্রকাশ নিশ্চয়ই উল্লেখযোগ্য ঘটনা। চিত্রার সংলাপের মধ্য দিয়ে আখ্যানকার নারীর স্বরকে তুলে এনেছেন। ব্রজেন্দ্রলাল সরকার তাঁর ‘কবি ও চিত্রকর’ প্রবন্ধে বলেছেন— “ কবি ব্যতীত কে মানবের অন্তরের কোমলতা নিষ্ঠুরতা প্রভৃতি এরূপ উত্তমরূপে পরিস্ফুট করিতে পারেন? কবি সুন্দর। সৌন্দর্য্যের একটা চিত্র প্রদর্শিত করিবেন কবি। কবি ও চিত্রকরকে তাই আমরা এক শ্রেণীর লোক বলিতে পারি। উভয়েই প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করিতে সক্ষম। কবি সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করেন কাব্যে আর চিত্রকর সৌন্দর্য্য ফুটাইয়া তোলেন তাঁহার চিত্রে। কবি যাহা বর্ণনা করেন চিত্রকর তাহাই নিজ তুলি দিয়া চিত্রে পরিস্ফুট করেন।” ১৩২৪ বঙ্গাব্দে ‘অঞ্জলি’ পত্রিকার মাঘ, ফাল্গুন সংখ্যা একসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ‘বাণী’ শীর্ষক কবিতা লিখেছিলেন শ্রীধর শ্যামল— “ এস এস আজ মন্দির মাঝ/ বাণীর ভকত যত/ নত হও সবে, মায়ের সমুখে/ পূজার ফুলের মত।” ১৯১৫ সালে কোচবিহার সারস্বত সমিতি থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকের নামবিহীন ‘যৌবন’ প্রবন্ধে লেখা হয়েছিল- “যৌবন কাহারও জীবনে একবার বই দুইবার দেখা দেয় না। এই রঙ্গের তাস যখন একবার হাতে পাইয়াছ বিশেষ বিবেচনা করিয়া খেলিও। এমন খেলায় ভুল করিলে পরিণামে পরিতাপই সার হইবে।” ‘ধর্ম্মস্য সুখস্য মূলং’ নামের ছোট্ট গদ্যে লেখা হচ্ছে-- “ধর্ম্মাচরণই যথার্থই সুখাবহ। অতএব যদি যথার্থ সুখ লাভে তোমার অভিরুচি থাকে তাহা হইলে ধর্ম্মপথ অবলম্বনই সর্ব্বথা শ্রেয়স্কর।” পত্রিকার এই অংশে নৈতিক উদ্দেশ্যমূলকতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

    ১৩২৫ সালের শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ১০ম সংখ্যায় পাই ‘জেঙ্কিন্সের ছাত্রগীতি’—“ এই আমাদের স্কুল,/ এই আমাদের স্কুল,/ সর্ব্বজয়ী কালের মাঝারে/ এইত অতুল,/ থাকিবে অতুল,/ এই আমাদের স্কুল।” এই গানের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হচ্ছে এইভাবে—

    “স্বাধীন বঙ্গের                            স্মৃতি- বিজড়িত
                       বাঙ্গালী রাজার দেশ,
    এখানে বিশ্বের                            ভাব- ঊর্ম্মিরাশি
                       প্রাণে করে পরবেশ,
                       নাহি মানি কাল দেশ।”
    ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এই গানটি বিশদ আলোচনার দাবি রাখে। তিনটি অংশে বিভক্ত ‘ছাত্র-গীতি’-তে ঘুরে ফিরে এসেছে ‘কোচবিহারের জয়’, ‘মোদের মহারাজের জয়’ শব্দবন্ধ। মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ জেন্‌কিন্স স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকাও পালন করতেন। বাৎসরিক পুরস্কার বিতরণী সভায় গীত হতো— “ এস হে, এস হে বিহার- ভূপতি--/ মোদের বিদ্যাভবনে।/ আমরা সকলে মিলিয়াছি আজ/ পূজিতে বিহার রতনে।... ”

    ১৯৩৭ সালে শারদীয়া সংখ্যায় সত্যনারায়ণ শুকুলের লেখা ‘আগমনী’ কবিতার প্রথম অংশ উদ্ধৃত করতে ইচ্ছে করছে-- “ওরে আয়—তোরা আয়! /দেখে যা’ দেখে যা’ এসেছে মা ওই—/সোণার নূপুর পায়।” ‘অঞ্জলি’ পত্রিকার ১৩৪৪ সালের শারদ সংখ্যায় পাচ্ছি আব্বাসউদ্দিনের ভাই আবদুল করিমের ‘তরুণের গান’—“ আমরা তরুণ ফুলের কুঁড়ি রঙীন হ’য়ে ফুট্‌বো রে/ সুবাস যখন ছড়িয়ে যাবে আনন্দ দোল্‌- দুল্‌বো রে।।…” সুবোধকুমার চক্রবর্তী লিখেছেন ‘কোপ দৃষ্টি না আলেয়া’ শীর্ষক লেখাটি। দুজনের পরিচিতি হিসেবে লেখা হয়েছিল – ভূতপূর্ব ছাত্র। স্বাস্থ্য বিষয়ক রচনা লিখেছিলেন দশম শ্রেণীর ছাত্র প্রদ্যোৎকুমার শর্মা। ১৯৩৭ সালের এই সংখ্যায় ইংরেজিতে বেশ কয়েকটি ভালো লেখা প্রকাশ পায়। শিক্ষক অমৃত নারায়ণ গুপ্ত লিখেছিলেন ‘The Jenkins School—its gradual growth and expansion’ প্রবন্ধটি। এই আলোচনা থেকে জানতে পারি মহারাজা নরেন্দ্র নারায়ণ ১৮৫৯ সালে এই স্কুল স্থাপন করেন। কর্নেল জেন্‌কিন্সের নামে স্কুলের পথ চলা শুরু হয় ১৮৬১ সালে। ১৯০৪-১৯০৫ সালে বর্তমান স্কুল বিল্ডিং নির্মিত হয়েছিল। মোট ব্যয়- ৫৩০০০ টাকা। ১৮৬৪ সালে স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ছিল ৩৬, ১৮৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৫০৩। ১৮৭০- ৯০ সালের মধ্যে এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশ করে ১১৫ জন। এই সময়ের দুজন ‘কোচবিহারী’ ছাত্র কলা বিভাগে স্নাতক হয়েছিলেন- পদ্মনাথ দাস ও কুমার বিপ্র নারায়ণ। প্রাবন্ধিক তাঁর লেখায় কুমার ভবেন্দ্র নারায়ণের নাম উল্লেখ করেছেন যিনি গ্রেট ব্রিটেন থেকে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে কোচবিহারের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কথা পৃথকভাবে বলা হয়েছে। জেন্‌কিন্স স্কুলের শিক্ষকদের কাজে যোগদান, অবসর গ্রহণ, বেতনক্রম সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনার মধ্য থেকে উঠে আসে আর্থ- সামাজিক ইতিহাস। প্রাবন্ধিক অমৃত নারায়ণ গুপ্ত বসন্তরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ১৯৪৪ সালের ১৯ মে। সে সংবাদ আমরা পাচ্ছি ১৯৪৫ সালের ‘অঞ্জলি’ পত্রিকার বাসন্তী সংখ্যায়। এই সংখ্যার সম্পাদকদ্বয়- উষাকুমার দাস ও নিখিল চরণ বসু। প্রকাশক ছিলেন- প্রবীর কুমার ঘোষ।

    সময় বদলায়। ছাপ রাখে বিদ্যালয় কার্যক্রমেও। ১৯৫০ সালের ‘অঞ্জলি’ পাতায় উঠে আসে পত্রিকার অনিয়মিত প্রকাশ ও অর্থাভাবের বিষয়টি। মাঘী পঞ্চমীতে প্রকাশিত এই পত্রিকার সংখ্যায় কোচবিহারের ভারতভুক্তির বিষয়টি উঠে এসেছিল বিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল স্বাধীন দেশের নাগরিক হবার জন্য দায়িত্বশীল হতে। আবার এতদিন ধরে প্রচলিত কিছু কর্মকান্ড স্বাধীন ভবিষ্যতে বাদ দিতে হবে, সেই হতাশাও ধরা পড়েছিল। পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের কিছুদিনের জন্য রাখা হয়েছিল বিদ্যালয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয়েছিল পড়াশুনো। ১৯৫১ সালের মহালয়া সংখ্যা থেকে জানতে পারি বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছাত্রদের জন্য মিষ্টির টাকা বাঁচিয়ে ৩৫০ টাকা দেওয়া হয়েছিল কোচবিহার মহিলা সমিতিকে। সমিতির পক্ষ থেকে উদ্বাস্তু শিশুদের জন্য জামা বানিয়ে বিতরণ করা হয়েছিল। এই সমস্ত ঘটনার অভিঘাত উঠে আসে সাহিত্যেও। নবম শ্রেণীর ছাত্র পীযূষ কান্তি চক্রবর্তীর ‘নূতন জাতি’ গল্পে দেখি- অজয় তার বাবাকে এসে জিজ্ঞেস করছে রিফিউজির অর্থ এবং সেইসঙ্গে এটাও জানায় এই নামে সে কোনো জাতির ইতিহাস পড়েনি। গল্পের শেষে আমরা দেখি অজয়ের বাবা অমরবাবু তাঁর পুত্রকে কাছে ডেকে বলছেন—“ ভগবানের অভিসম্পাতে আজ এক নূতন জাতের সৃষ্টি হয়েছে। এরা হিন্দু বা মুসলমান নয় এরা রিফিউজী। পাকিস্থানে বাস্তুত্যাগী মুসলমান এবং হিন্দুস্থানে বাস্তুত্যাগী হিন্দু। এরাই রিফিউজী নামে ‘নূতন জাতি’। ” মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুতে শোকসংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। শিক্ষক উষাকুমার দাস ‘জয়তু গান্ধী’ শীর্ষক কবিতায় প্রশ্নোত্তরে তুলে ধরেছিলেন জাতির জনকের মহান আদর্শ। এই সূত্রে দশম শ্রেণীর ছাত্র সুশীল কুমার সাহার লেখা ‘দেশের কান্ডারীর মহাপ্রয়াণ’ গদ্যের উল্লেখ করা যেতে পারে। একটি বিদ্যালয় পত্রিকা কতটা উন্নত মানের হতে পারে, ‘অঞ্জলি’ তার প্রমাণ। পত্রিকার দ্বিভাষিক চরিত্রটি এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‘দিব্য মানব অরবিন্দ’, ‘কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ’, ‘রবীন্দ্রনাথকে ভালো লাগে কেন’, ‘কল্পনা ও বাস্তব’, ‘এক শতাব্দী পূর্ব্বে সমুদ্রপথে বৃটেন হইতে ভারত’, ‘সংস্কৃতে অঙ্ক’, ‘তারকার উৎপত্তি, স্থিতি ও পরিণতি’ প্রভৃতি প্রবন্ধ থেকে বিবিধ বিদ্যাচর্চার পরিসরটিকেও বুঝে নেওয়া সম্ভব।

    রবীন্দ্রনাথের কবিতা একাধিকবার মুদ্রিত হয়েছে এই পত্রিকার পাতায়। ‘রম্যাণি বীক্ষ্য’-এর লেখক সুবোধ কুমার চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নীরজ বিশ্বাসের প্রথম জীবনের লেখাগুলির মধ্য দিয়ে তাঁদের চেতনালোকের পরিচয় পাওয়া সম্ভব। পরিশেষে ‘কোচবিহার দর্পণ’ পত্রিকার ১লা কার্ত্তিক ১৩৪৯ সংখ্যায় ‘স্থানীয় সংবাদ’ অংশে ‘অঞ্জলি’ পত্রিকা সম্পর্কিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে এই নাতিদীর্ঘ লেখার ইতি টানছি— “ জেন্‌কিন্স স্কুলের হেডমাস্টার যতীন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয়ের সৌজন্যে “অঞ্জলি” পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যা আমাদের হস্তগত হইয়াছে। আদর্শপ্রবণ ছাত্রগণ রচিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য বিষয়ক রচনাবলী প্রকৃতই ভাবগ্রাহীতা সাহিত্যানুরাগের পরিচায়ক। গল্প ও প্রবন্ধগুলিতে কল্পনা ও মৌলিকতার সমাবেশ আছে। পত্রিকার বিষয় বৈচিত্র্য ও রচনাসৌষ্ঠব জন্য সুযোগ্য সম্পাদক শ্রীযুক্ত অজিতনাথ চক্রবর্ত্তী মহাশয়কে আমাদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করিতেছি।”

    ..........................................

    কৃতজ্ঞতা স্বীকার- সন্দীপ কুমার দাস



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)