শেপটাউন, ফানটাউন শেপটাউনে চলছে রে ভাই হুলুস্থুলু কাণ্ড!
পাঁচখানি শেপ ঝগড়াঝাঁটি করছে যে প্রচণ্ড।
লাল ট্র্যাঙ্গল বলল হেঁকে, ‘আমি সবার সেরা!’
‘কেমন রাঙা মুখটি আমার, মিছেই লড়িস তোরা!’
আজ থেকে এই শেপটাউনের হ’ব আমি রাজা,
আর যত শেপ আছে হেথায়, সবাই আমার প্রজা।
বেগনে গোলক রেগে বলে ‘মানব না তোর কথা,’
‘আমার মতন দেখতে যে হয় সব মানুষের মাথা।’
‘কে না জানে মাথার মাঝেই সব বুদ্ধি থাকে,
আমি ছাড়া শেপের রাজা বলবে সবাই কাকে?’
এমন সময় বাঁকা হাসি হাসল জোরে রম্বাস
‘অনেক হ’ল এবার তোরা থাম তো দেখি, ব্যস!’
বর্ডারখানা নীলচে আমার, কমলা রঙে ঢাকা,
তোদের মত একটি রঙেই নই তো আমি আঁকা।
এই না শুনে সবুজ স্কোয়ার খিঁক খিঁকিয়ে হাসে,
‘দাঁড়া দেখি সোজা হয়ে একটু আমার পাশে!’
‘বাঁকাচোরা রাজা হবে, হেসেই আমি মলুম,
বর্গক্ষেত্র হেলিয়ে নিলেই, রম্বাস হয়ে গেলুম।’
বেজায় রকম গোলমালেতে চটল সেমি সার্কল,
গর্জে বলে, ‘থামো সবাই, বন্ধ কর শোরগোল!’
‘আমার নামটি অর্ধচন্দ্র, রেগেই হলাম নীল,
ঝগড়াঝাটি না থামালে পড়বে পিঠে কিল’
“এবার থেকে শেপটাউনের হ’লাম আমি শেরিফ,
মিলেমিশে থাকব হেসে, করবে সবাই তারিফ।”
বন্ধু পাখি গাছের ডালে বসে ছিল
ছোট্ট হলুদ পাখি।
কমলা রঙের ঠোঁটখানি আর
মাথায় সবুজ টিকি।
নীলচেপানা চোখদুটি তার
ড্যাবডেবিয়ে চায়,
ফল খেতে খুব ভালোবাসে
পেয়ারা কাঁঠাল খায়।
লেজটি যে তার খুব বাহারী
তিনটি রঙে আঁকা,
আমোদে চোখ মিটমিটিয়ে
ঘাড়টি করে বাঁকা।
টুহুট টুহু! টুহুট টুহু!
ডাকটি বড় মিঠে,
লাল টুকটুক ডানা দু’খানি
হলুদ রঙের পিঠে।
“সারাটা দিন গাইছো যে গান
শুনছো হলুদ পাখি?
খেতে দেব ফল আর জল
বন্ধু হবে নাকি?”