বুনো স্ট্রবেরি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়; প্রথম প্রকাশ: ২০১৫; দে'জ পাবলিশিং - কলকাতা- ৭৩; প্রচ্ছদ : কৃষ্ণেন্দু চাকী, পৃষ্ঠাঃ ১৪০; ISBN:
ম্যাজিকাল! প্রকৃত অর্থেই যাদুকরী এই স্মৃতি-আখ্যান খুব সহজেই আচ্ছন্ন করে পাঠক মনকে; রূপকথার সোনার কাঠির মত এর স্পর্শে দীর্ঘদিনের ঘুমন্ত স্মৃতিরা আবার সজাগ, সজীব হয়ে ওঠে।
বুনো স্ট্রবেরি (ইংগমার বার্গম্যানের ‘ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ' ফিল্মের নামে অনুপ্রাণিত এই গ্রন্থের নামকরণ) — লেখক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত, প্রকাশকাল ২০১৫; যদিও লেখাগুলি ইতিপূর্বেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে ‘এই সময়’ পত্রিকায়। একশো চল্লিশ পৃষ্ঠায় বিন্যস্ত, আঠাশটি স্বতন্ত্র আখ্যানে সজ্জিত এই উপন্যাসটিকে বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলা যায় ‘আন্পুট্ডাউনেব্ল’। সত্যিই, একবার পড়া শুরু করলে আর থামা যায় না; শেষ হয়ে গেলেই আরেক দফা পড়া শুরু করতে ইচ্ছা করে! এই উপন্যাসের দুই মলাটের মধ্যে গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে রয়েছে ষাট সত্তরের দশকের কালিঘাট ও তার বাসিন্দাদের ছাপোষা জীবন। তার আধামলিন পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা এক কিশোরের অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করে নির্মিত হয়েছে তার ‘কামিং অফ এজ’ বৃত্তান্ত। অলি-গলিতে ঘেরা, আদি গঙ্গার পলিমাটির গন্ধ-মেশা পুরোনো পাড়ার অধিবাসীদের সুখ-দু:খের সঙ্গে মিলেমিশে কখন যেন এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র হয়ে ওঠে কালিঘাট। — ‘এ কালিঘাট একান্নপীঠের মহিমাময় জগদ্বিখ্যাত পুণ্যতীর্থ নয়; শহর কলকাতার নামকরা লালবাতি এলাকার কালিঘাটও নয়; এ হ’ল কয়েক প্রজন্ম ধরে পাশাপাশি ঘরে-বাড়িতে থাকা এক সংসারী, গৃহস্থ কালিঘাট যেখানে সব্বাই সব্বাইকে চেনে, প্রত্যেকের ঘরের কথা প্রত্যেকে জানতে পারে, এক বাড়ির খুন্তির শব্দ আর মশলার ঝাঁজ যখন তখন হানা দেয় অন্য বাড়ির অন্দরে। নিতান্ত বাঙালিয়ানায় ভরপুর এই কালিঘাট শুধুই দক্ষিণ কলকাতার এক জনাকীর্ণ অঞ্চল নয়; এ আসলে এক হারিয়ে যাওয়া সময়ের সব মধ্যবিত্ত পাড়ারই ছবি। শুধু জনপদ কালিঘাটই নয়, কালিঘাটবাসী অসংখ্য চরিত্রের সঙ্গেও আমরা পরিচিত হতে থাকি; তারা মহান নয়, কিন্তু মজাদার এবং ভাবনা-জাগানো। তাদের বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অজস্র টুকরো স্মৃতিকে জোড়া হয়েছে হিউমারের অ্যাঢেসিভে; আর সেই সব পুরোনো বৃত্তান্তের কোলাজকে আরও মেদুর করেছে অনেক ভুলে বিখ্রে গানের কলি। এমন এক জনপদগাথাকে কোন্ পরিচয়ে চিহ্নিত করা যায় তা আমার জানা নেই; শুধু এটুকু জেনেছি যে ‘বুনো স্ট্রবেরি’র অম্ল-মধুর স্বাদ ঠোঁটের কোণের হাসিটাকে শুধু ফ্রীজ করিয়েই দেয় না, রিপিট টেলিকাস্টের মত তাকে যখন তখন ফিরিয়েও আনে।'
প্রকাশকের তরফ থেকে এই কাহিনী-কোলাজকে ‘novel’ বা উপন্যাস বলা হলেও, উপন্যাসের প্রচলিত পরিচিত ছকের সঙ্গে একে মেলানো যায় না, আঠাশটি আখ্যানের প্রতিটিই স্বয়ংসম্পূর্ণ; তাদের সূত্রে যে চরিত্রগুলির সঙ্গে আমরা পরিচিত হই তারা অতি জীবন্ত; সাক্ষাৎ রক্ত-মাংসের। ১৯৫০-৬০-৭০ এর দশকের মধ্যবিত্ত, রক্ষণশীল, ঘটি-বাঙ্গালের দ্বন্দ্বে ভরা কলকাতায় যাঁরা জন্মেছেন, বড় হয়েছেন, তাঁদের মনে হতেই পারে যে এই চরিত্রগুলিকে তাঁরা নিজেদের পাড়াতেও দেখেছেন। লেখকের তীক্ষ্ণ মনন ও তির্যক দৃষ্টিভঙ্গির মিশেলে একটি বিশেষ সময়ের পটভূমিতে কালিঘাট তথা কলকাতা তথা মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনযাপন অন্য মাত্রা পেয়েছে। মানুষের বেঁচে থাকা তখনও বিলাসী ও ‘আধুনিক’ হয় নি; আসে নি টিভি, মোবাইল, শপিং মল এবং কম্পিউটার; ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ তথা বিশ্বায়নের ধারণার বীজও কোথাও উপ্ত হয় নি। সে যুগে পাড়ায় পাড়ায় মেয়েরা গান শিখতো, সন্ধ্যায় গলা সাধতো; প্রাইভেট টিউশান বা ক্লাস টেস্টের চাপ ছিল না, মায়েরা কাজু-বাদাম ছাড়াই রান্না করতেন এবং পরিকল্পনাবিহীনভাবে একাধিক সন্তানের জন্ম দিতেন। মাঝে মাঝেই শোনা যেত পাড়ার কোনো মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে গানের শিক্ষকের সঙ্গে। অফ-সেট প্রিন্টিংয়ের আগের যুগে তখন সংবাদপত্রের ছাপাখানায় অবলীলায় ক্যুইন এলিজাবেথের সঙ্গে ক্রুশ্চেভের ছবিকে গুলিয়ে ফেলা হ’ত; এমনকি ছাপা ছবিতে বিধান রায় ও আকাশযানের পার্থক্যও বিশেষ বোঝা যেত না। ছাপাখানার ভূতেদের দৌরাত্ম্যে সিরিয়াস খবরেও হাসির খোরাক মিলতো যথেষ্ট। অসংখ্য টুকরো ছবি; আর সুদক্ষ চলচ্চিত্রনির্মাতার মত সেসব ছবির সূত্রে লেখক তুলে ধরেছেন নগরজীবনের চলমান রূপটিকে। নিজে চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ বলেই হয়তো তিনি জানেন ছবির কোনখানে কতটুকু আলো আর কতটা আঁধার মিশিয়ে তৈরী হয় অনির্বচনীয় শিল্প! সমাজতাত্ত্বিকের নিষ্ঠায় তিনি ফিরে দেখেছেন সেই ঝরা সময়ের দিনগুলিকে। ফলে, নগর সমাজতত্ত্ব এবং সংস্কৃতির সমাজতত্ত্ব — দু’দিক থেকেই এটি হয়ে উঠেছে এক অপরিহার্য সম্পদ। সত্যি কথা বলতে কি, কলকাতার সমাজ-সংস্কৃতির চর্চায় অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থগুলির তালিকায় এই বইটির নাম অনায়াসেই সংযোজিত হতে পারে।
‘বুনো স্ট্রবেরি’র অন্যতম সম্পদ এর ভাষা। লিখনরীতি অবশ্যই রম্য, কিন্তু এটি নিছক রম্যরচনা নয়। হাল্কা চালে লেখা হলেও, লেখকের অর্ন্তদৃষ্টি পাঠকের নজর কাড়ে। তাঁর কৈশোরের কালিঘাটে ‘পাড়ায় পাড়ায় শ্রাদ্ধ ছিল অমোঘ আমোদ, প্রায় পাব্লিক এন্টারটেইনমেন্ট’। সে সময়ে ‘কালিঘাটে শ্রাদ্ধ কত নির্মল ছিল’। বিপরীতে বর্তমান সময়কালে ‘এটাও বলতে হবে শ্রাদ্ধে যোগদানের খরচা আছে’। সেই অনতিদূর অতীতে প্রয়াতজনের প্রসঙ্গে অনিবার্যভাবে উচ্চারিত হ’ত — অবশ্যই লিঙ্গ সাপেক্ষে ‘নিষ্ঠাবতী’ বা ‘জেন্টলম্যান’। সে যুগে বাল্যে ক্যুইজ নিয়ে মাতামাতি ছিল না, জমি ছিল না; দেবালয় ছিল, “কিন্তু স্যান্টালয় ছিল না”। ছেলেপুলেরা স্কুলেই পড়তে যেতো, হিউম্যান রাইটস না থাকায় মাস্টারমশাইরা ছাত্রদের পেটাতে দ্বিধা করতেন না। সে সময়ে ‘বাবারা মাছ কিনত। মায়েরা আঁশ ছাড়াত। আমাদের বোনেরা সন্ধ্যাবেলা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শিখতো।' আর ‘গড়পড়তা পাঁচ-ছ’জন ভাই-বোন ভাড়াবাড়ির খাটের তলায় তেঁতুলের আচার’ খেয়ে বেশ স্ফূর্তিতেই বড় হ’ত। বাংলার বাঘের উপর রচনা লিখতে গিয়ে অনায়াসেই বাঘ-বিষয়ক রচনা লিখে, সংশোধন করে লেখা সম্ভব ছিল — “স্যার আশুতোষ সুন্দরবনে দেখিতে পাওয়া যায়। তার গায়ে হলুদ ডোরা কাটা দাগ...”। ইত্যাদি। কিন্তু, দিন যায়, কালিঘাটেও পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে — “এখন তো, এ পাপ মুখে অধিক আর কী বলি, শ্মশানে চন্দ্রমল্লিকা ও প্রকাশ্য দিবালোকে ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ রবীন্দ্রপঙ্কজ যুগলবন্দি। ভি আই পি বডি এলে — ‘প্রাঙ্গণে সেই ফুল্ল শিরিষ প্রশ্ন শুধায়'। পরবর্তীতে তাঁর গভীর উপলব্ধি ‘ছোটদের মহাভারতে মহাপ্রস্থানের পথ একটাই। কালিঘাট রোড।' অবশ্য তৎকালীন কালিঘাটের বাচ্চারা ‘এলিট নয় যে উডল্যান্ডস বেলভিউতে ঝরে পড়বে, তারা সেবাসদন বা মাতৃভবনেই জন্মাত'। কালিঘাটের সারমেয়দের প্রসঙ্গে লেখক জানিয়েছেন যে ‘এরা রাতে সামান্য বচসা করে কিন্তু তাকে সেমিনার বলা চলে না কোনও মতে’। ‘মায়ের জীব হওয়া সত্ত্বেও’ তারা নানাভাবে বঞ্চিত হয়েছে। কিন্তু ‘তারা বঞ্চনার প্রতিকারে এনজিও গড়ে তোলে নি’। আমরা আরও জানতে পারি যে ‘সে যুগের মন্ত্রীসভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশের জন্য আলাদা মন্ত্রী ছিল না তো — এমতাবস্থায় বালক ও বেড়ালদের দেখবে কে?’ আরো একটি যুগসত্য উচ্চারিত হয়েছে — ‘গৃহিণীগণ মেগাসিরিয়াল আক্রান্ত না হওয়ায় রন্ধন পটিয়সী ছিল। কাজুবাদামবাটা ছাড়াও রান্নার জন্য অনুপান ছিল’, ‘কালিঘাটের জীবনবোধ এরকমই। আমাদের ঘুষ আছে। পাণ্ডা আছে, শাঁখারির দোকান তো আছেই। কিন্তু স্ক্যাম নেই, রেপ নেই। সে সব দিনে ‘সভ্যতার এত সংকট ছিল না যে ছ্যাঁচড়াকে নভরতনকারি বলতে হবে’। বিয়ের মেনু এবং উপহারের তালিকা থেকেও তৎকালীন বঙ্গসংস্কৃতির হদিশ পাওয়া যায়। বইমেলার অনুপস্থিতিতে ‘বিয়েতে বই উপহার দেওয়া তখনও অসামাজিক কাজ ছিল না। সুতরাং নববধূর প্রাপ্তি তালিকায় হামেশাই স্থান পেতো বেশ কয়েক কপি ‘হিন্দু নারী’, 'ভারত প্রেমকথা', 'সঞ্চয়িতা', যাযাবরের 'দৃষ্টিপাত' ইত্যাদি। আরও থাকতো সচিত্র ট্রে, প্রকৃতির টুকরো ছবি মাখা ওয়াল-হ্যাংগিং আর সিঁদূর-কৌটো। অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী নিজের উদার দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে যথেষ্ট শ্লাঘার সঙ্গে ঘোষণা করতেন "... আই অ্যাকচুয়ালি লাভ ম্যারেজড মাই ওয়াইফ”। রাজনৈতিক প্রসঙ্গও এসেছে কখনও ফাঁকে-ফোকরে, কখনও বা স্বতন্ত্র উপাখ্যানে। ১৯৬২-র ভারত-চীন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আকাশবাণীতে দেশাত্মবোধক গানের প্রচার, সন্ধ্যার পর ‘ব্ল্যাক আউট’, কাবুলিওয়ালাদের ভারতরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার ইত্যাদি। দেশপ্রেমিকের দল তখন বর্জন করছেন চিনেবাদাম, আছড়ে ভাঙছেন চিনেমাটির কাপ। চর্তুদিকে যুদ্ধজনিত আতঙ্ক; তবু ‘বিজলিতে ছবি বিশ্বাস দাদাঠাকুর হয়ে খালি গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেখে লোকের ভয় কিছুটা কাটল’। যুদ্ধ বা যে কোন সংকটকালই জন্ম দেয় গুজবের; অতএব শোনা গেল — জ্যোতি বসুর বাড়ির জলের লাইন আসলে চৌ এন লাইয়ের সঙ্গে কথা বলার ফোনের লাইন। যুদ্ধ শুরু হয়, শেষও হয়; কালিঘাটবাসীর রাজনৈতিক কৌতূহল নিতান্ত সীমিত। তবে মাইকে পপুলার হিন্দি গানের আওয়াজ বেজে উঠলে তারা অনায়াসেই বুঝতে পারে; শহীদ দিবস উদ্যাপন হচ্ছে। ঠিক যেমন সেই সময়ের বাঙালরা চিতল মাছের সের সাত টাকা জেনেই সুনিশ্চিত হতে পারে যে 'প্রফুল্ল সেনের আয়ু আর বেশি দিন নাই'। বাস্তুহারা মানুষের অতীতের ঘোর এবং ফেলে আসা দেশের মোহ স্মৃতির বেলুনে কেবলই হাওয়া ভরে ফুলিয়ে দেয়, গঙ্গার বিস্তার দেখে তাদের মনে হয় নিজের গ্রামের খাল-বিলও যেন এই মাপেরই ছিল! ফেলে আসা জমি-জমা, খুদকুঁড়ো গল্পে গল্পে সুবিশাল আকার পায়। উদ্বাস্তু জীবনের এই দীর্ঘশ্বাস স্বাধীনতা অব্যবহিত পরের পশ্চিমবঙ্গবাসীর কৌতুকের খোরাক জোটালেও; এর ব্যঞ্জনাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
এই উপন্যাসের পরিসর সীমিত হলেও এর পাতায় পাতায় ভাল লাগার এবং গভীর ভাবনার বিষয়বস্তু এত অনায়াসে ছড়ানো রয়েছে যে আলাদা করে কোনো বিশেষ আখ্যানকে চিহ্নিত করা যথেষ্ট দুরূহ; তবে ইতিবৃত্তের শেষ পর্যায়ে ‘মহাপ্রস্থান’ পর্বটি অবশ্যই বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে। এটি কালিঘাটের এক অনাগত পরিণাম-সম্ভাবনার কথা জানায় — শুধু এই একটি পর্বে গ্রন্থটি সম্পূর্ণ হলেও তা বারংবার পাঠযোগ্য হ’ত। কালিঘাটের জলপ্রয়াণ যেন এই নাগরিক সভ্যতার বিনাশকেই সূচিত করে। অথচ, ‘ফুরায় যাহা ফুরায় শুধু চোখে’ — দার্শনিক কবির উচ্চারিত বাণীর মতই অমোঘ প্রতিভাত হয় শেষের এই কল্পকথন। কালিঘাট আসলে এই নগরজীবন ও সভ্যতারই মত চির অবিনাশী; চিরসুন্দর — ‘হেমপ্রতিমা’ তুল্য। আগামী সহস্র সর্বনাশের মধ্যেও সে অপেক্ষা করবে পুনরুত্থানের জন্য। তার সেই আবির্ভাবকে আমার প্রণাম।
দে’জ পাবলিশিংকে অজস্র ধন্যবাদ এমন একটি মনন-সমৃদ্ধ-দৃষ্টিনন্দন গ্রন্থ পাঠক সমাজের হাতের নাগালে এনে দেবার জন্যে। শিল্পী কৃষ্ণেন্দু চাকীকেও অভিনন্দন নগর কলকাতার এক টুকরো ছবিকে প্রচ্ছদে প্রাণ দেবার জন্যে। মূল গ্রন্থটির সঙ্গে আকর্ষণে পাল্লা দেয় প্রচ্ছদপৃষ্ঠার অন্তর্বর্তী লেখক ও গ্রন্থপরিচিতি দুটি। সব মিলিয়ে এই বই অবশ্যই ‘ওনারস্, প্রাইড’।