--দিদা! দিদা দিদা দিদা! ঝিমোচ্ছ কেন? একটা গল্প বলো না গো!
-- উঁ!
-- উঁ কি! আমরা জানি তুমি ঘুমোচ্ছ না, ঘুমোনোর এক্টিং করছ। বলো না!
-- কি আবার গল্প বলব দাদা! রোজ রোজ এত গল্প পাব কোথায়!
-- বলো! বলো বলো বলো বলো! ব…
-- আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়া বাবা। উঁ… সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক দেশে এক রাজা ছিল, আর তার ছিল সাত রানী।
-- দূর, না না, সেই পুরনো রাজা রানীর গল্প শুনব না! খালি রাজা রানী রাজপুত্তুর! অন্য গল্প বলো!
-- অ মা, কথা শোনো মেয়ের! রাজা রানীর গল্পই তো শুনিস রোজ! রূপকথায় রাজা রানী থাকবে না?
-- সে থাকুক গে। আর লোকজন থাকতে নেই? এই আমাদের মত?
-- হুউউম! তা থাকবে না কেন? একবার আমার আলাপ হয়েছিল জানিস, রূপকথার দেশের একটা মেয়ের সাথে?
-- য়্যাঁ??? ধ্যাসস!! আবার বানিয়ে বানিয়ে বলছ তুমি! রূপকথার দেশ আবার কি, ও তো গল্প!
-- না রে, শোন না কি বলছি! তখন আমরা আতরগঞ্জে থাকি। গঞ্জে ঠিক না, একটু ভেতরের দিকে। পাড়াগাঁই একরকম। তোদের পিসদিদা তখন আঁতুড়ে, বুলবুলি হয়েছে সবে। তোর দাদুর বাবা মা তো কবে সগগে গেছেন, মামাবাড়ি বলতে আমরাই। তা’ বাচ্চার কাঁথাকানিগুলো কাচব বলে একটু তাড়াতাড়ি পুকুরে গেছি। অন্য বৌ-ঝিরা আসেনি তখনো। ঘাটে নামতে পারিনি, শুনি কে যেন পাশের গাছগাছালি জঙ্গুলে জায়গাটার মধ্যে থেকে কাঁদছে। ছোট ছেলেমেয়ের গলা মনে হল, তাই উঁকি দিয়ে দেখতে গেলুম। ও মা, দেখি কি আমগাছের তলে সে কি সুন্দর দেখতে একটা ছোট্ট মেয়ে বসে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে!
-- অ বুঝেছি বুঝেছি। সুন্দর মানে তো ওই ‘কুঁচবরণ কন্যা, তার মেঘবরণ চুল’, তাই তো?
-- ধ্যাস! তুই বেশি জানিস! কুঁঁচবরণ না হলে বুঝি সুন্দর হওয়া যায় না? কেন রে, আমার দু’টো মেয়েই তো শ্যামবণ্ণ দেখতে। কেউ বলুক দেখি ওরা দেখতে খারাপ? ওরকমই মাজা গায়ের রঙ ছিল তার। চুল এক মাথা ভত্তি, কিন্তু তেল কম রুখুশুখু একটু। কিন্তু মুখখানা কি মিষ্টি কি মিষ্টি। গাঁয়ের মেয়ে বলে চিনতে পারলুম না তাই শুধোলুম, কাদের বাড়ির মেয়ে রে তুই, সাত সক্কাল সক্কাল ইশকুলে না গিয়ে এখানে একলা বসে কাঁদছিস? তা’ সে যা বলল শুনে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ! বলে কি না ওই পুকুরের নিচে নাকি ওর দেশে যাওয়ার রাস্তা। ওর বাড়ির চাবিখানা এক দুষ্টু রাক্ষস চুরি করে নিয়েছে, তাই ও আর কিছুতেই বাড়ি ঢুকতে পারছে না। তাই এখানে এসে বসে বসে কাঁদছে।
-- কি যে ভুলভাল গপ্পো বলো না দিদা! বাড়ি ঢুকতে না পারলে এখানে আসবে কেন?
-- হ্যাঁ, ঠিক বলেছিস দিদি! রূপকথার দেশে তো রাজা রানী রাজপুত্তুরে ছয়লাপ! তাদের কাছে গিয়ে নালিশ না করে এখানে এসে কাঁদতে বসবে?
-- আরে শোন না। গেছিল তো রাজার বাড়ি। কিন্তু রাজা কিনা দেশে নেই, হুই তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে, সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে হাড়মটকার বনে শিকার করতে গেছেন। সাত রানীর কারোর ছেলেপুলে নেই। মনের দু:খে তাঁরা কেবল কাঁদেন, চুল বাঁধেন, আর একে অপরের সঙ্গে কোন্দল করেন। খ্যাঁচরম্যাচর ঘ্যানরঘ্যানরে অন্ত:পুরে টেঁকা দায়। দু’দিন পরে কাজের লোক পালায়। ভারি অশান্তি। এই সব ঝামেলির মধ্যে কে একটা পুঁচকে মেয়ের কথায় কান করবে বল।
-- অ। বুঝেছি। আচ্ছা, বলো।
-- এদিকে মেয়েটা পড়েছে মুশকিলে। তার বাবা মা ক্ষেতে কাজ করতে গেছে, এসে যদি বাড়ি ঢুকতে না পারে, বসে দু'টি খেতে না পারে, তাহলে কি হবে! চাই কি বাবার মেজাজ খারাপ থাকলে পিঠে দু’ঘা পড়েও যেতে পারে। তারপর তালা ভাঙাও রে, নতুন তালা কেনো রে, হ্যাপা কি কম! তাই মেয়ে পালিয়ে এসেছে ভয়ে, আর হাপুস নয়নে কেবল কাঁদছে। আমার দেখে ভারি মায়া হল - মায়ের প্রাণ তো - বললুম, চল কোথায় তোর রাক্ষস, আমি তোর চাবি খুঁজে দিয়ে আসি।
-- হ্যাঁ????? সত্যি দিদা, তোমার এত্ত সাহস? ভয় করল না তোমার?
-- হে:, মায়েদের আবার ভয়! এর ক’মাস আগের কথা জানিস, তোদের মামাকে কোলে নিয়ে দুধ খাওয়াচ্ছি, তোদের মা-মাসি লন্ঠন জ্বেলে পড়ছে, ধুপ করে চালের বাতা থেকে সামনে ইয়াব্বড় সাপ পড়েছিল। তখন ভয় পাইনি, এখন পাব?
-- তারপর তারপর?
-- তারপর সে সাপকে আমি লাঠি দিয়ে ঠেলে ঠেলে ঘরের বার করেছিলাম। সে আর…
-- আরে দূর, সে গল্প জানি। সত্তর বার শুনিনি যেন! মেয়েটার গল্প বলো। মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করোনি তুমি?
-- মেয়েটার নাম টিয়া। টিয়া আমার হাত ধরে পুকুরের ঘাট বেয়ে নামতে শুরু করল বুঝলি। সেই নীলপুকুর বিশাল পুকুর, শান বাঁধানো তার ঘাটের সিঁড়ি কদ্দূর নেমে যায় সে কেউ জানে না, কেউ জানে না তার তল কোথায়। আমি আবার ডুবসাঁতার জানি না। একটু একটু ভয় করছিল, যদি দম আটকে যায়? কিন্তু কি আজব ব্যাপার জানিস, দম আটকে যাওয়া তো দূরের কথা, শ্বাস নিতে কোনো কষ্টই হল না। জলের নিচে এলুম বলে মনেই হল না। গাটুকু অবধি ভিজল না, বললে বিশ্বেস যাবি? দিব্যি লাল সিঁড়ির পরে লাল সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেলুম এক্কেবারে নিচে। জলের মধ্যেকার আলোখানা ঠান্ডা ঠান্ডা, নরম নরম, কেমন যেন মায়ামাখানো। সেই আলোতে দেখলুম, সামনে এক বিশাল সিংদরজা। তার পাল্লাগুলো ঠেলে খুলব তাই আমার শক্তিতে কুলোলো না। টিয়া বলল এটা নাকি ওদের দেশের খিড়কিদুয়ার মাত্তর। সদর দরজা আরো বিশাল, আরো ভারি। সামনে তার এইসা এইসা মোচওয়ালা একশো পালোয়ান পাহারায় থাকে। এটা কিনা খিড়কি দরজা, এদিকে তেমন কেউ আসে না। একজন মাত্তর দারোয়ান, বুড়ো থুত্থুড়ো, চোখেও দেখে না কানেও শোনে না, বসে বসে ঝিমোয় খালি। সত্যি রে, দরজা ঠেলে এক চুল ফাঁকা করলাম, তার মধ্যে দিয়ে কোনোমতে গলে গেলাম দু'জনে - জং ধরা দরজায় যে ‘ক্যাঁ-য়্যাঁ-য়্যাঁ-চ’ করে অমন বিচ্ছিরি শব্দ হল, বুড়ো তাতে গা-ই করলে না। খালি একবার ফোকলা মুখ নাড়িয়ে ঘুমের মধ্যে বললে, “কে যায়?” আমরা আর দাঁড়াই নাকি উত্তর দিতে, দে ছুট দে ছুট!
-- থামলে কেন দিদা, বলো না বলো না তারপর কি হল?
-- দাঁড়া রে দাদুভাই, দম নিতে দে। একটানা অত বকতে পারি নাকি আজকাল। হ্যাঁ, তারপর ছুটলুম আমরা সে এক অদ্ভুত দেশের মধ্যে দিয়ে। তার মাঠময় গোলাপী ঘাসের গালচে, তারি মধ্যে মধ্যে দিয়ে তুড়ুক তুড়ুক নাচতে নাচতে বয়ে চলেছে রুপোলি রঙা নদী। জলে তার সোনার বরণ মাছ লাফাচ্ছে - কি বিশাল বিশাল তাদের চেহারা! রামধনু রঙ পাখি ঠোঁটে মুক্তোর ফল নিয়ে উড়ে যাচ্ছে। পেল্লায় পেল্লায় চেহারার গাছ সব, ঝুরিওয়ালা বট-অশথের মত, আবার রামঢ্যাঙা তাল-নারকেল-খেজুরের মত। তার কোনো কোনোটার নিচে পাঠশাল বসেছে, কচি কচি গলায় তারা গান কবিতা মুখস্থ করছে।
-- ওই দেখেছ, রূপকথার দেশ মানেই গান-কবিতা খালি! কেন, ওদের নামতা থাকতে নেই? উনিশের নামতা খালি আমাকে মুখস্থ করতে হবে? আর না পারলে মঞ্জু মিসের বকা খেতে হবে?
-- দূর বোকা মেয়ে, তা’ কেন হবে! দেখলুম তো এক জায়গায়, অঙ্ক কষতে ভুল করেছে বলে দু’টো ছেলেকে মুরগি করে দিয়েছে। মানে কান ধরে বসিয়ে দেয়নি, সত্যি সত্যিকার মুরগি হয়ে গেছে তারা, কঁক কঁক করে কি মড়াকান্না কাঁদছে তারা! গোল গোল চোখ করছিস কেন, তাদের মাস্টারমশাই যে জাদুকর ছিলেন!
-- অ বাবা! থাক বাবা, জাদুকর মাস্টারমশাইয়ের চেয়ে মঞ্জু মিস ভাল। তুমি বলো। পাঠশালের গল্প বাদ দাও, তারপর বলো।
-- তারপর ছুট ছুট। খেত পেরিয়ে খামার পেরিয়ে, ভুবনডাঙার মাঠ পেরিয়ে, তিনডাইনির হাট পেরিয়ে। ছুট ছুট ছুট।
-- ছুটছিলে কেন দিদা? অত সুন্দর দেশ, আস্তে আস্তে হেঁটে বেড়িয়ে দেখবে তো?
-- দূর দূর, আমার বলে পুকুরঘাটে আকাচা কাপড় পড়ে আছে, না মাজা বাসন পড়ে আছে! দুপুরের রান্না পড়ে আছে। হেঁটে দেখার সময় কোথায়!
-- হুম, সকালে মায়ের ও সময় থাকে না হাতে। বলো।
-- ছুটতে ছুটতে অবশেষে পৌঁছে গেলাম টিয়ার বাড়ি। তেষ্টায় গলা শুকিয়ে এসেছিল, তাই ওদের পুকুর থেকে আঁজলা ভরে মিষ্টি জল খেলাম। ঘর তো বন্ধ, তাই গাছ থেকে পেড়ে নাম না জানা হলদে ফল খেলাম।
-- যাক, ফল খাওয়ার সময় তো পেলে! টিয়ার বাড়ি গেলে কেন দিদা, রাক্ষসটার বাড়ি যাবে তো!
-- আরে যাব তো। গেলাম তো। রাক্ষসটা তো টিয়ার পাশের পাড়ায় থাকে। টিয়াই পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল।
-- পাড়ার মধ্যে রাক্ষস থাকে?কি যে বলো না দিদা!
-- থাম না দিদি, খালি গল্পের মধ্যে বাগড়া দেওয়া! ও দিদা,কেমন দেখতে ছিল দিদা রাক্ষসটাকে?
-- দাঁড়াও দাঁড়াও, আমি বলছি দিদা - কুলোর মত কান, তার মুলোর মত দাঁত, ভাঁটার মত চোখ, আর কাঁটার মত নখ। ঠিক বলেছি না বলো?
-- ধুস, না না। একদম না। সব রাক্ষসকে রাক্ষুসে দেখতে হয় নাকি! অনেক রাক্ষস একদম সাধারণ মানুষের মত দেখতে হয়। দেখে রাক্ষস চেনার উপায় নেই রে দিদিভাই। শোন তবে - এই রাক্ষসটা মোটেও তেমন ভয়ঙ্কর দেখতে ছিল না। একটু কালোকোলো, অনেকটা তোদের দাদুর মতই গায়ের রঙ। মাথায় খোঁচা খোঁচা চুল, একখানা নেয়াপাতি ভুঁড়ি। আর, আর হ্যাঁ, মুখে ঝ্যাঁটা গোঁফ। ব্যস।
-- ব্যস??? দাঁত? হ্যাঁ দিদা, দাঁতগুলো কেমন ছিল?
-- দাঁত? দূর, দাঁত মানুষের মত। আমাদের মত। এবড়োখেবড়ো একটু। শোন না। পেনসিল দিয়ে কান চুলকোতে চুলকোতে রাক্ষস হিসেব কষছিল।
-- পেনসিল??? হিসেব?? মানে?
-- মানে রাক্ষসের কিনা সোনার ব্যবসা ছিল। কাগজকলম নিয়ে বসে সে সোনা বেচাকেনার হিসেব করছিল। আমাদের দেখে খ্যাঁচম্যাচ করে বলল, “কি চাই কি?” তা’ আমি কি বলব, টিয়াই দেখি রিনরিনে গলায় মিনমিন করে বলছে, আমার চাবিখানা ফেরত দাও দিকি।
-- দিল চাবি ফেরত?
-- না রে, অত সহজে দেয় নাকি। আসলে রাক্ষস চাবি চুরি করেনি। টিয়ার জামার পকেট ফুটো, সেখান থেকে পড়ে গেছে, আর সোনালোভী রাক্ষস পেতলের চাবিকে সোনা বলে কুড়িয়ে নিয়েছে। অনেক বললাম, যে ও তো সোনা নয়, পেতল গো পেতল। তাও কি দিতে চায়। বলে, আমি কুড়িয়ে পেয়েছি, বদলে কিছু না পেলে দেব কেন!
-- কি বাজে রাক্ষস তো! হ্যাঁ দিদা, রাক্ষসের নাম কি ছিল?
-- আচ্ছা জ্বালা হল। রাক্ষসের নাম, রাক্ষসের নাম হরিপদ।
-- ধ্যাত! রাক্ষসের নাম হরিপদ হয় নাকি!
-- সব হয়। রাক্ষসেরা মানুষের মত দেখতে হয়, সোনার ব্যবসা করে তা’ জানতি কখনো? বাজে নয় রে, ব্যবসাদার তো,তাই অমন করছিল।
-- অ। আচ্ছা, তারপর?
-- এদিকে তো রাক্ষসের বাড়ির দেওয়ালঘড়িতে ঢং ঢং করে দশটার ঘন্টা বেজে গেছে। আমার রান্না হয়নি বান্না হয়নি, দুপুরে মেয়েরা স্কুল থেকে ফিরে খাবে, তোদের দাদু আসবে টিফিন করতে। খোকাকে পাশের বাড়ির মাসিমার কাছে রেখে এসেছি, তার খাবার করতে হবে। আর কি অত দর কষাকষির সময় আছে হাতে! কি আর করা, আমার আঙুল থেকে বিয়ের আঙটি খানা খুলে দিয়ে দিলুম রাক্ষসকে। ওজন করে দেখে নিয়ে তবে সে টিয়ার বাড়ির চাবি ফেরাল।--- তোমার আঙটি??? সোনার আঙটি দিয়ে দিলে দিদা?
-- হুম। কি করব বল। তারপর আবার ছুট আবার ছুট ফিরতি পথে। মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে জং ধরা সিংদরজা পেরিয়ে। সেদিন দুপুরে সব আলুসেদ্ধ ভাত খেয়ে ছিল জানিস।
-- য়্যা:, গল্পের শেষটা কেমন যেন হয়ে গেল। পছন্দ হল না।
-- সব গল্প কি আর পছন্দমত শেষ হয় রে দাদা। যা দেখি ছুট্টে গিয়ে আমলকির কৌটোটা নিয়ে আয়।
-- মা, ও মা। ঘুমিয়ে পড়লে?
-- উঁ? না। কেন? বাথরুম যাবি?
-- না। একটা কথা বলো না।
-- কি? আস্তে বল, ভাই জেগে যাবে। কি?
-- বলছি দিদা সত্যি রাক্ষস দেখেছিল মা?
-- উঁ? না, ও তো গল্প।
-- তবে দিদার বিয়ের আংটি? সেটাও গল্প? ও মা?
-- না রে। আসলে তখন খুব অভাবের সংসার আমাদের। পিসিও এসেছিলেন মেয়ে নিয়ে। বাবার মাইনেতে কুলোত না তো। ও আংটি বন্ধক দিয়ে এসেছিল মা, হরিপদ স্যাকরার কাছে। তোর মাসির খুব পছন্দ ছিল আংটিটা। মায়ের হাতে না দেখতে পেয়ে খুব কান্নাকাটি করেছিল। তাই ওকে ভোলাতে মা এই গল্পটা বানিয়ে বানিয়ে বলেছিল।
-- আংটিটা কোথায় মা?
-- সে আর বন্ধক থেকে ছাড়ানো হয়নি। আমরা আবার বাসা বদল করে চলে গেলাম অন্য জায়গায়। নে এবার ঘুমো মা। অনেক রাত হল।
-- গল্পটা যে কেমন হয়ে গেল মা। পছন্দ হল না, একদম পছন্দ হল না।