• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৭০ | মার্চ ২০১৮ | রম্যরচনা
    Share
  • হুঁকোদাকে : নিবেদিতা দত্ত


    শ্রদ্ধেয় হুঁকোদা,

    সম্বোধন তো করলাম, কিন্তু খুব পছন্দের হল না। ভাই বা মাই ডিয়ার বলতে পারলে ভাল লাগত। শ্রদ্ধেয়টা কেমন যেন পর পর, কিন্তু এই প্রথমবার তো, তুমি কি মনে করবে, সেই ভেবেই এগোই নি।

    কেউ তো বলতে চায় না (তোমার নাকি বলা বারণ আছে) তবু না না করেও কয়েকজন বলেই ফেললে তুমি নাকি তোমার আদিবাস বাংলা অনেকদিনই ছেড়েছ। এখন নাকি সেই সূদূর অমৃতসরের কাছে ধারিওয়ালে জমি জায়গা নিয়ে আছ, একেবারে পাঞ্জাবি স্টাইলের বাড়ি তোমার, ছাদে ঈগলাকৃতি জলের ট্যাংক সমেত। ঠিকানা, ফোন, ই-মেল তোমার আছে কিনা জিগেস করাতে সেই তারা তো মুখ টিপে হেসেই ক্ষান্ত। এ চিঠি তোমার অবধি যাবে কিনা জানি না, তবে আশায় থাকব যেমন ভাবে তোমার বসবাসের খবর পেলাম তেমন করেই এ হাত সে হাত ফিরে চিঠিও তোমার কাছে পৌঁছবেই একদিন না একদিন।

    তুমি বাংলা ছেড়েছ, আর আমি বাংলার রাজধানী খোদ কোলকাতায় এসে জুটেছি। তোমার ফেলে যাওয়া এই দেশের কথাই কিছু বলছি এই চিঠিতে। জানো তো এবার পৌষ সংক্রান্তি পড়েছিল রোববার। মা-রা বলত পিঠে হাত করতে হয়। তা সেদিন একা হাতে পিঠেপুলি গড়ে ভাত খেয়ে উঠতে বেলা গড়িয়ে গেল। জানলা দিয়ে রোদ আর আধা ঘণ্টা টুকি দিয়ে পালাবে। তারপর সারা বাড়ি আধো অন্ধকার, ছায়া ছায়া, (শীতের দিনগুলোয় রোজই আমার ওই বেলা তিনটে থেকে পাঁচটা বড় দুঃসময় মনে হয়)। কাজের পর হাত পা মেলে ঘণ্টা দুয়েক রোদ পোহাতে কার না ইচ্ছে হয় বলো? তা একবার কথা পাড়লাম সবাই মিলে শহর ছেড়ে ঘণ্টা দেড়েক কোথাও যাওয়া আসা করে আসি। কিন্তু অল্প সময়ে কিছু করে ওঠা গেল না। মনে ভাবলাম নিজেই কোথাও হারিয়ে যাই। সাজানো গোছানো অতি আধুনিকতা ভাল লাগছিল না-- প্রিন্সেপ ঘাট, ভাসমান রেস্তরাঁ; সবই জোলো পুনরাবৃত্তি মনে হল। যেন ভ্রু আঁকা রং মাখা সুন্দরী।

    সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে তৈরী হতে হতে মনে হল বেরিয়ে তো পড়ি, যা হয় কিছু দাঁড়িয়ে যাবেই। বাস-স্ট্যাণ্ডে বসে আছি, দেখলাম মৌড়িগ্রাম সল্টলেক লেখা একটা ঝড়ঝড়ে মিনিবাস দৌড়ে আসছে। মনের কোণে বোধহয় ইচ্ছে ছিল শহর ছেড়ে খানিক সময়ের জন্যও গ্রামে পালাই, তাই মৌড়িগ্রাম নামটাই ডাক দিল। উঠে পড়ে তো একটু ভয়ই হচ্ছিল যদি ফেরার গাড়ি না পাই! রংচটা সুতো ওঠা কালো সোয়েটারে দিব্যি সাবলীল (ধুলো ময়লার সাথে লড়াইয়ে এ পোশাকই বেশী টিঁকতে পারে)। কন্ডাকটরকে বেশ কবার জিগেস করেই ফেললাম মৌড়ি যেতে কত সময় লাগবে। সে তো মুখের দিকে খানিক তাকিয়ে কিছু আন্দাজ করে বললে ‘আজকে? আজ রোববার, ঘণ্টা দেড়েকে চলে যাবে।’

    এবার রোববারের ফাঁকা রাস্তায় মিনির সে কি দৌড়! মনে হতে লাগল এই বুঝি ছুট্টে গিয়ে সামনের বাসে ধাক্কা মারে। তার সাথে ড্রাইভার আর কন্ডাকটরের যুগল ডাক ‘গিরিশ পার্ক, রাম মন্দির, এম. জি. রোড (দৌড়ের যুগে মহাত্মা হয়েছেন এম. জি.), হাওড়া--'। আর তার মাঝেই হরেক মানুষজনের ওঠানামা।

    শহর কোলকাতায় শীত না থাকার বদনাম আছেই তবু সেদিন ফাঁকা জানলা দিয়ে ঢোকা হু হু হাওয়া চাদর জড়িয়ে নিতে বললে, আর চোখের সামনে হুড় হুড় করে বেরিয়ে যেতে লাগল ধূলোমাখা বন্ধ দোকানপাট সমেত রোববারের শহর কোলকাতা।

    তোমার মনে হতে পারে এত মানুষ থাকতে তোমায় বলছি কেন। সে তো আগেই লিখেছি। আছি তো সবাই বাংলায়, কিন্তু জলে থাকলে তো জলকে বোঝা যায় না, তাকে বাইরে থেকেই বোধহয় অনুভব হয়--তাই মনে হল এক চিলতে নতুন বাংলার এই ধারাবাহিকের তুমিই সেরা শ্রোতা হতে পারো! আর তাই ফিরেই তোমায় লিখতে বসেছি।

    জানোতো পৌষ সংক্রান্তির শহর দেখব বলে বেরোই নি, কিন্তু দিনের মাহাত্ম্যেই বোধহয় অনেক কিছু চোখে পড়ল। বড়বাজারে খিচুড়ি বিতরণ, লাইন দিয়ে মানুষজনের ভিড়, বিশাল, কবেকার না-মাজা কড়া হাঁড়ির মেলা ফুটপাথে, হলুদ রঙের ট্যাঙ্কার গাড়িতে লাল দিয়ে লেখা DRINKING WATER – সংক্রান্তির স্নানে পাপ ধুয়ে যায় শুনেছি, খিচুড়ি বিতরণেও কি তাই হয়? কি জানি।

    চোখের নিমেষে উঠে পড়ল যান হাওড়া ব্রিজে (এখন রবীন্দ্র সেতু। তোমার সময় কি এ নাম ছিল?)। জানলা দিয়ে তাকিয়েই ছিলাম--দেখলাম হুগলি নদীর ওপর চাপ চাপ কুয়াশা, সূয্যিঠাকুর যেন নুন তেঁতুল ছাই দিয়ে মাজা তামার পয়সা। (না ছাই না, বরং ভিম পাউডার বলতে পারো, ছাই তো চোখে দেখি না আজকাল)। জানো, হাল্কা ছাই রঙের প্রলেপে ঢাকা এই চার দিককে মনে হল ওয়াশে রঙা ছবি।

    কন্ডাকটর অবশ্য কথা রেখে ছিল, হাওড়া স্টেশনে দু মিনিটের বেশী দাঁড়ায় নি। কে যেন আমার পায়ের কাছে সীটের নীচে একটা খাঁচা ঢুকিয়ে রাখলে। ‘পাখি নাকি’ জিগেস করাতে জানলাম খরগোশ।

    বাকল্যান্ড ব্রীজ থেকে নেমে বাস ছুটল হাওড়া হাসপাতাল ঘেঁসে। এদিকটা আমার চেনা না। বাস ডিপো, হাওড়া সারকিট হাউস (খুব সুন্দর) হয়ে কিছু ভাঙ্গাচোরা পথে যেখানে এসে থামল সে সেখানে সাইন বোর্ড BATHING GHAT. মেটে সিঁদুরের বড় বড় ফোঁটা পরা এক দল কালো-কোলো নারী পুরুষ, বোঁচকা প্যাঁটরা সমেত হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল বাসে। সংক্রান্তির পুণ্য স্নান যাত্রীর দল। দেখে বুঝলাম না এত বোঁচকা কেন? ভিজে কাপড়ের নাকি? আনাচে কানাচে কিছু শাক পাতা অবশ্য চোখে পড়ছিল। তার ওপরই চেপে বসল ওদের রোগা কালো বড় খোকা। দু চোখ দিয়ে গাল বেয়ে নিঃশব্দ বড় বড় ফোঁটার কান্না। কিসের খেদ কে জানে। হু হু হাওয়ায় জানলায় মাথা রেখে খানিক পর তার দুঃখু গেল। সেই তাকে নিয়ে মায়ের কত আকুতি! ‘ও খোকা, বিস্কুট খাবি? আয় কাছে আয়, ঠান্ডা হাওয়া বইছে'। এক স্টপেজ যেতেই উঠলেন ঘোর বেগুনি জর্জেটে রূপোলী কাজ করা শাড়ী পরিহিতা মৃদু হাস্যময়ী। আমার পাশে কৃষ্ণকায়া খর্বাকৃতি এক বৃদ্ধা। পরনে আধময়লা সাদা ধুতি, মাথায় মাংকি ক্যাপ, হাতে কালো দস্তানা। একবার মনে হল আশ পাশের এলাকাটাই কি এই রূপে আমার কাছে এসে বসল?

    গাড়ি তো আবার ছুটল। এবার ডাক পাল্টেছে---বকুলতলা, চুনাভাটি, মৌড়ি, মৌড়ি, মৌড়ি-ই-ই----। এইখানেই বলে রাখি বকুলতলায় বকুল বিছানো ছিল না, মৌড়িও যে আর গ্রাম নেই ধরে নেওয়াই যেতে পারে। আবার সেই রোববারের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ছুট--এবার পথ আন্দুল রোড দিয়ে। একের পর এক স্টপেজ আসছে—দানেশ সরকার লেন, আলমপুর। --আমার চোখ কিন্তু ফিরতি মিনিগুলোর দিকে। আসছে জামিরগাছি, সাঁকরাইল, রানীহাটি, চ্যাটার্জীহাটের মিনি। মৌড়ির মিনি কই? চোখে তো এখনো পড়ল না। প্রমাদ গুনছি। শেষে দেখলাম উলটো দিক থেকে আসা মৌড়ির এক মিনি। তখন বাস বকুলতলায়। স্নানযাত্রীর দল নামাতে তাদের সাথে দুড়দাড় নেমে হাত দেখিয়ে উঠে পড়লাম। ফিরতে হবে তো। জানতাম না কোথায় যাব তাই বলে তো আসি নি কখন ফিরব।

    জানো তো হুঁকোদা, হাওড়া কোলকাতার কিন্তু কোনো স্নানের বালাই নেই, সব যেন বাসি। যদি বলি আশপাশ দেখে একটা তুলনা মনে এল, যেন এক বয়স্কা বারাঙ্গনা আলসেমি ভরে হাঁটুতে কাপড় তুলে মাথার উকুন বাছছে, খুব ভুল হবে না বোধহয়। পথের দুধারে ছড়ানো আগের দিনের বা রাতের এঁটো মাখা কাগজের থালা, কাপ, শালপাতা, প্লাস্টিক। পুকুর ডোবা তাতে অর্ধেক বোজা। তার মাঝ দিয়েই বাসের ছুট বোট্যানিকাল গার্ডেন, বি ই কলেজ ছাড়িয়ে মৌড়ির পানে। আমি অবশ্য ঠিক তার খানিক পর (মৌড়ি পৌঁছাবার আগেই) ফিরতি বাসে উঠে পড়েছি। মৌড়ি তো পৌঁছনো হল না তাই কুতূহলে কন্ডাকটরকে জিগেস করলাম ‘মৌড়ি কত দূর সেখান থেকে?’ উত্তর এল ‘হেই পাঁচ মিনোটের পথ হবেক।’

    শীতের সন্ধ্যা ঝপ করে দিনের মরা আলো যা বেঁচেছিল কুড়িয়ে বাড়িয়ে চাদরে বেঁধে নিলে। ওমা এ যে ভোজবাজি! উকুন বাছা শেষে বারাঙ্গনার সাজও সারা, এখন তার অঙ্গে জরির ঘাগরা, মাথায় ফুলেল তেল--যে পথ ছিল ফাঁকা, অবসাদ ভরা, সে-ই এল ই ডি আলো ঝোলানো ছাউনি দোকানে সেজে উঠেছে। বিকোচ্ছে বিরিয়ানি, সাইনে লেখা 100% হালাল মিট, --তার পাশের দোকানেই শো-কেসে সাজানো নববধূর জরি বসানো লাল ওড়না। (হিন্দু মুসলিম সহ অবস্থানের আদর্শ নিদর্শন মনে হল)। বিকছে তো আরো কত কিছু--তেলেভাজা, চপ, শিঙ্গাড়া, দর কষাকষি চলছে প্লাস্টিকের জলের বোতলের দাম নিয়ে। সত্যি গো হুঁকোদা, আমরা বাঙ্গালিরা সেই হ্যাংলাই থেকে গেলাম। রাগ করলে তো! জানি ও নাম তোমার সাথেই যুক্ত সেই কবে থেকে। কি করি বলো, যে দিকে চোখ পড়ছে শুধু খাওয়া আর খাওয়া, আর তারপর এঁটো থালা, শালপাতার ঢেরা পথের দুধারে। পথের অর্ধেক জুড়েই তো খাওয়াদাওয়া বিকিকিনি, তার মাঝ দিয়েই থেমে থেমে বাস চলেছে--কারোও কোনো বিরক্তি নেই--না যাত্রীর, না কন্ডাকটরের।

    তবে মিনির যত দুর্নামই থাক সে যেন ঘরের উঠোনের চৌকাঠ। আমারও ইচ্ছে হচ্ছিল চা খাই। হয়তো হাত বাড়িয়ে অস্থায়ী চাকা লাগানো স্টল থেকে চা নিয়ে নিতে পারতাম। বললে মনে হয় কন্ডাকটরই এনে দিত। এক মহিলা তো ঘরে বেড়ানো হাল্কা পায়ে বাসে উঠে নিজের স্বামীকে তুলে দিয়ে কোনো পরিচিতকে বলে গেলেন ‘আমি পরেরটায় আসছি।’

    এসবের মাঝেই উঠলেন কালো ব্যাগে রাখা বাদ্যযন্ত্র কাঁধে, চাদরে আপাদমস্তক ঢাকা একজন। বড় কুতূহল আমার--কি বাদ্যযন্ত্র জানতে চাওয়ায় বললেন সিন্থেসাইজর--রেকর্ডিং করে ফিরছেন। থামতে তো জানি না, তাই পরের প্রশ্নের উত্তর যাবেন বিধান নগর স্টেশনে; সেখান থেকে লোকাল ট্রেন ধরে বরানগর। সাথে ফাউ পেলাম আরো কিছু তথ্য--উনি রেজিস্ট্রড সঙ্গীতশিল্পী--চল্লিশ, পঞ্চাশ, (শুধরে নিয়ে) অন্তত দেড়শ প্রোগ্রাম করে ফেলেছেন। প্রতিবাদ করিনি--দেখতে আর শুনতেই তো বেরিয়েছি।

    হুঁকোদা আমি জানি তোমার মনে হচ্ছে নালিশ করছি। না গো না। দিন শেষে ভাবছি দৈনন্দিনকে (তা সে অসুন্দরই যদি হয়) আপন করে নিতে না পারলে ছাড়ান নেই। তার মধ্যে দিয়েই সুন্দরকে যতটা জানা যায় তাই পাওয়া। তা ছাড়া মিথ্যাচারও তো পাপ। পৌষ সংক্রান্তি পাপ ধোওয়ার দিন। সেদিন যা দেখলাম তা তো সত্যি, তাকে অস্বীকার করি কি করে বল? ভ্রু-আঁকা মেক আপের ক্যামোফ্লাজকে ত্যাগ করব বলেই তো বেরিয়েছি।

    এই দ্যাখো ফিলজফিক্যাল সাতপাঁচ তো মনে ভিড় করছে, তার মধ্যেই বাসের পিছন দিক থেকে খেলাম বিষম এক ধাক্কা! যা ভেবেছি তাই। অন্য এক মিনিরও তাড়া আছে, বড়বাজারের মুখে তাঁরই জোর এক গোঁত্তা। কিন্তু আমাদের ড্রাইভর কন্ডাকটর দুজনের কেউই নেমে দেখলে না গাড়ির কতটা ক্ষতি হল। পরম ব্রহ্ম কত অনায়াসে হওয়া যায় তাই না? অথচ একটু আগেই মহা আগ্রহে অতি যত্ন সহকারে কন্ডাকটর জগ্ননাথ ঘাট থেকে তুলে নিয়েছে বিশাল প্যাঁটরা সমেত এক ফুল ব্যবসায়ীকে। আধো আলো-আঁধারিতে ঠাউর করলাম তিনিও নির্বিকার। গাঁদার মালা ঝাঁকানিতে কতটা চটকালো ঝুঁকে দেখলেন না।

    এই সব হতে হতেই এম জি রোড ছাড়িয়ে গিরিশ পার্ক, কাঁকুড়গাছি, উলটোডাঙ্গা দিয়ে বাস ঢুকে পড়ল ঝাঁ তকতকে (আমাদের মান অনুযায়ীই লিখলাম) সল্টলেকে।

    আমার অভিযান তো শেষ, কিন্তু আরো কিছু কথা যে বাকি রয়ে গেল। বলেই নিই কি বলো? তোমাকে আর কখনই বা লেখা হয়ে ওঠে। আমার কি মনে হয় জানো অসুন্দর সুন্দরের বাইরেই বেঁচে আছে এই বাংলা। রোগা কালো ছেলের জল ভরা চোখ, সীটের তলার সহযাত্রী ভীত সন্ত্রস্ত খরগোশ ছানা, মাংকি ক্যাপ পরা ছোট্ট বুড়ি, এগারো টাকায় দেড় ঘণ্টা সফর করা প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পী, সবে হাত পাকানো উঠতি লেখিকা--নীতিগত বিচারে এদের ধরা যায় না, এরা যে সব ছবি! এ বাংলার বাকি যা রইল তা তোমার নয়, আমি যেমন চাইছি তেমনও না। কবিগুরুর সোনার বাংলা, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা--নাহ, তা তো নয়ই। কিন্তু দিব্যি বেঁচে আছে বলতেই হবে, যেন মায়ের পেটে হাত পা ছোঁড়া দামাল সন্তান। বিরাট কোহলি এক বিজ্ঞাপনে বলেন ‘alive is awesome’। এই বাংলাও যেন তাই বলে।

    ভাল থেকো।

    ইতি

    উত্তরের আশায়

    তোমারই এক অনুরাগী



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ লেখক
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments