সিস্টিন চ্যাপেল দেখে বেরোতে বেরোতে বিকেল পড়ে এল। সন্ধেবেলাটা কেটে গেল রোমের ঝলমলে রাস্তায় হেঁটে, সারা পৃথিবীর ট্যুরিস্ট দেখে আর ফুটপাথের দোকানে উঁকি মেরে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। ফুটপাথে দোকান। আসলে সাদার্ন ইয়োরোপ যথেষ্ট অ্যামেরিকান বা যথেষ্ট বিলিতি নয়। ইটালি, স্পেন এসব দেশে অ্যামেরিকান ট্র্যাফিক নেটওয়ার্কের সাথে ব্যাঙ্গালুরুর গলি আর শ্যামবাজারের ফুটপাথের আশ্চর্য সহাবস্হান। সে রাতে চাইনিজ খেয়ে (ইটালি গিয়ে চাইনিজ খেয়েছি শুনে মোট্টে হাসবেন না, সাথে সাতবছরের চাইনিজঅন্ত প্রাণ পোলাপান থাকলে এমনটা হয়) হোটেলে ফিরে ঘুম। পরদিন ফ্লোরেন্স।
উফিজি গ্যালারির সামনে যখন লাইন দিলাম, বেশ ঝিরঝির করে স্নো পড়ছে। ঠিক পাশেই আর্নোনদীটা বেলা দশটাতেও একটু আবছা। লাইন পার করে ভেতরে ঢুকতে সাড়ে দশটা বাজল। প্রথমেই ছুটলাম বার্থ অফ ভেনাস দেখতে। বোত্তিচেল্লির আঁকা সবচেয়ে ফেমাস পেন্টিংগুলোর একটা। ১৪৮০-৮৫ নাগাদ এ ছবিটা এঁকেছিলেন বোত্তিচেল্লি। এটা ক্যানভাসে আঁকা সবচেয়ে পুরোনো ছবিগুলোর মধ্যে একটা। ছবিটা মাপে বেশ বড়, প্রায় ছ’ফুট বাই ন’ফুট। এত বড় ছবি একটু দূর থেকে না দেখলে পুরোটা চোখে আঁটে না। তবে এখানে একটু দূর থেকে দেখার অসুবিধা ছিল না কারণ ল্যুভর বা ভ্যাটিকানের ভীড় অষ্টমীর বা নবমীর ভীড় হলে উফিজির ভীড় নিতান্ত পঞ্চমীর ভীড়। তবে হ্যাঁ, এখানে আলোর বেশ অসুবিধা। অনেক ছবিই বেশ খেয়াল করে দেখতে হয়। তা সে যাক। ভেনাসে ফিরি। এটা গ্রীক মাইথোলজির সিন। সমুদ্রের বুকে ঝিনুকের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন উদ্ভিন্নযৌবনা, সদ্যজাতা ভেনাস। শরীরে একটা সুতোও নেই। পাড়ে একজন দাঁড়িয়ে আছেন হাতে ক্লোক নিয়ে। ভেনাস ভেসে আসছেন পাড়ের দিকেই। পাড়ে পৌঁছলেই ক্লোকটা পরাবেন ভেনাসকে। ভেনাস দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় পুরো শরীরের ভর বাঁ পায়ের উপর দিয়ে। বাস্তবে এমন করে দাঁড়ানো অসম্ভব। এমন পোজের নাম “কন্ট্রাপোজো” (contrapposto--পোস্তো বা পোস্তার সাথে কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা আমার জানা নেই)। তবে এ ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা দরকার। গ্রীক ভাস্কররা শুরুতে যেসব মূর্তি বানাতেন তারা সব মিলিটারির অ্যাটেনশন পোজে দাঁড়িয়ে থাকত, দু’পায়ে সমান ভাবে ভর দিয়ে দাঁড়ানো স্ট্যাচু সব। কিন্তু মানুষ রোজকার জীবনে কতবারই বা অ্যাটেনশন পোজে দাঁড়ায়? স্কুলজীবনে হেডমিস্ট্রেসের ঘরে ডাক পড়লে কি কর্মজীবনে তিন ধাপ উপরে বসের ঘরে ডাক পড়লে বা বর/বৌয়ের কল তিনবার মিস করার পরে বাড়ি ঢুকে ছাড়া মানুষ অ্যাটেনশনে দাঁড়ায় না বললেই চলে। মানুষের সেই জঙ্গমতাকে পাথরে ধরে রাখার চেষ্টাতেই এই পোজ আবিষ্কার করেছিলেন গ্রীক ভাস্কররা। এই পোজে শরীরের ভার কোন একটা পায়ের উপর কম থাকে বা একটুও থাকে না। ফলে মনে হয় এক্ষুনি বুঝি পাথরের মানুষ চলতে শুরু করবে। রেঁনেসা হল মানব সভ্যতার পুনর্জাগরণ। এসময় মানুষ যা কিছু ক্লাসিক তা আরো একবার উল্টেপাল্টে দেখা শুরু করে। আর সেই সূত্রেই আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কন্ট্রাপোজো। রেঁনেসার সময় বিভিন্ন শিল্পী মিলে কন্ট্রাপোজোকে আরো নিখুঁত করে তোলেন। মাইকেলেঞ্জেলোর ডেভিড কন্ট্রাপোজোর দ্য পার্ফেক্ট এক্সাম্পল।
যাক বার্থ অফ ভেনাসে ফিরি। এ ছবিটায় ভেনাস শুধু যে একটা অদ্ভুত পোজে আছেন তা নয়। বেতসলতা শরীর, শ্বেতশুভ্র অর্ধস্বচ্ছ ত্বক, চোখের তারয় লগ্ন হয়ে থাকা ঔদাসীন্য – সব মিলিয়ে ভেনাসের দেবীত্বে উত্তরণ সম্পূর্ণ। এ ছবিটি বোত্তিচেল্লির সেক্যুলার পেন্টিং সিরিজের অন্যতম; একজন পেগান গডকে বোত্তিচেল্লি এঁকেছেন সম্পূর্ণ নগ্ন করে কিন্তু যৌনতার আঁচটুকু পর্যন্ত না রেখে। বোত্তিচেল্লির ভেনাস পবিত্রতার প্রতিচ্ছবি, পারফেকশনের প্রতিমূর্তি, দেহাতীত প্রেমের প্রতীক। এ ছবিতে বাদী রং সবুজ। সমুদ্র ছেড়ে আকাশের নীলেও বুঝি সবুজের ছোঁয়া। বাস্তবের পার ঘেঁষে থাকা এ ছবিতে আলো-ছায়ার খেলায় দ্বিমাত্রিক ক্যানভাসে ত্রৈমাত্রিক হয়ে ওঠার কোন প্রচেষ্টা নেই। ছবি জুড়ে শিল্পী আদর্শের আরাধনা করেছেন।
আমার সামান্য মাইথোলজি জ্ঞানে এটুকু জানতাম যে ভেনাস একজন রোমান দেবী যিনি সমুদ্র থেকে জন্মলাভ করেন। বার্থ অফ ভেনাস আমার সেই জানাটুকুর সাথে মিলে গেছিল তাই মনে কোন প্রশ্ন আসেনি। কিন্তু উর্বিনোর ভেনাস আদৌ কেন ভেনাস সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উইকি ঘাঁটতে হয়েছিল। আর ঘাঁটার পরে বুঝলাম ছোটদের গল্পে যে ভেনাস শুধুই সৌন্দর্যের দেবী তিনি আসলে উর্বরতার, যৌনতারও দেবী। তিনি গ্রীক দেবী আফ্রোদিতের রোমান এডিশন। আরেকটু খোঁজ পাত্তা করে জানলাম টিটিয়ান নাকি জাফেট্টা বলে একজন বারবণিতাকে মডেল করে এ ছবি এঁকেছিলেন।
এই দুটো ছবির মাঝে যে ছবিগুলো দেখেছিলাম এবার সেগুলোতে ফিরি। ম্যাডোনা উইথ দ্য চাইল্ড অ্যান্ড টু অ্যাঞ্জেলস। ম্যাডোনার ভেল দেখেই আমি পুরো রানা প্রতাপের স্টাইলে ডিক্লেয়ার করলাম, “এতো বোত্তিচেল্লির কাজ।” আমার বরটা বলে উঠলো, “হয়নি হয়নি, ফেল ফেল।” কার স্টাইলে সেটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। ব্যাটার আস্পর্ধাটা ভাবুন খালি একবার। বৌকে হ্যাটা!! কিন্তু এই ঘোর কলিকালে সবই হয়। দাঁত মুখ খিঁচিয়ে ছবির পাশের প্ল্যাকার্ডটা পড়লাম। সত্যিই তো, অন্য নাম। ফিলিপোলিপ্পি। এনার নাম তো ‘টিনটোরেটোর যীশু’-তেও ছিল না! কি ঝামেলা বলুন? অগত্যা গুগল। এবং মিস্ট্রি সল্ভড। বোত্তিচেল্লি এনার স্টুডেন্ট ছিলেন। ওই উড়ে গেল গেল রকমের ভেল আঁকতে শিখেছিলেন এনার কাছেই। এ ছবিতে অবাক হবার উপাদান ভুরি ভুরি। এ ছবিতে ম্যাডোনা প্রার্থনা করছে শিশু ক্রাইস্টের কাছে। আমরা যশোদা মা আর কিষণ-কানহাইয়ার দেশের লোক। আমাদের কাছে ঈশ্বর যখন অবতার হয়ে আসেন তখন তার ঐশ্বরিকতা অবান্তর হয়ে যায় নিজের লোকেদের কাছে। শচীমাতা কি নিমাইয়ের কাছে প্রার্থনা করতেন? আর চাইল্ডের এক্সপ্রেশন আরো অবাক করে দেয়। ওকি আদৌ শিশুর দৃষ্টি? বরং সামনের অ্যাঞ্জেলকে দেখে মনে হয় ওইতো রক্তমাংসের শিশু, মুখে দুষ্টু হাসি, উজ্জ্বল চোখ, অস্হির দেহের ভঙ্গী। মনে হয় এই বুঝি খিলখিলিয়ে হেসে উঠবে। অনেক আর্ট হিস্টোরিয়ানদের মত এই যে, সামনের ওই অ্যাঞ্জেলটা আসলে লিপ্পি নিজের শিশুসন্তান ফিলিপিনোর আদলে এঁকেছিলেন আর ম্যাডোনাকে এঁকেছিলেন লুক্রেজিয়া মানে নিজের স্ত্রীর আদলে। সে কথা মেনে নিলে অবশ্য ম্যাডোনার প্রার্থনা রহস্য ভেদ হয়ে যায়। ম্যাডোনা প্রার্থনার ছলে আসলে তাকিয়ে আছেন নিজের সন্তানের দিকে। কমিশনের সব শর্ত পূরণ করেও ম্যাডোনা আর চাইল্ডের ছবিতে লিপ্পি নিজের সন্তান আর তার মায়ের সোনালি মুহূর্তকে অমর করে গেছেন। এ ছবি বোধহয় শেষ অবধি এটাই বলে যে বিদ্রোহী, বোহেমিয়ান, চরিত্রহীন লিপ্পি যিনি মঙ্ক হয়েও মহিলা সংসর্গ করতেন নিয়মিত, নান লুক্রেজিয়াকে বিয়ে করেন পালিয়ে গিয়ে, তার ক্ষেত্রেও পিতৃসত্ত্বাই শেষপর্যন্ত বাকি সবকিছুকে অতিক্রম করে যায়।
ম্যাডোনার কথা যখন বলছি তখন ম্যাডোনা অফ গোল্ড ফিঞ্চ তো আসবেই। রাফায়েল। অগত্যা ধরেই নিতে পারেন যে আমি বাড়াবাড়ি করবই। এ ছবিটা রাফায়েল এঁকেছিলেন প্রিয় বন্ধু লোরেঞ্জোনাসির বিয়েতে গিফ্ট দেবেন বলে। অয়েল অন উড। ছবিতে ম্যাডোনা বসে আছেন পাথরের উপরে, হাতে বই। কোলের মধ্যে প্রায় ঢুকে দাঁড়িয়ে আছে শিশু ক্রাইস্ট। পাশটাতে জন দ্য ব্যাপটিস্ট। সেও শিশু। তার হাতের গোল্ড ফিঞ্চের দিকে হাত বাড়িয়েছেন ক্রাইস্ট। গোল্ড ফিঞ্চ হল ক্রিশ্চান মতে ক্রুসিফিকেশনের প্রতীক। ক্রুশবিদ্ধ যীশুর কপাল থেকে একটা কাঁটা তুলে নিয়েছিল ছোট্ট গোল্ড ফিঞ্চ আর তার মুখে এসে লেগেছিল যীশুর রক্তের ছিটে। সেইজন্যই নাকি গোল্ডফিঞ্চের মুখটুকু লাল। মনে পড়ে যাচ্ছে তো, রামচন্দ্র পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন বলেই কাঠবেড়ালির পিঠে দাগ, সেই গল্পটা? আসলে সব দেশের মানুষই আদতে বোধহয় একইরকমভাবে ভাবে, শুধু উপর উপরেই যত মতবিরোধ। যাকগে ছবিতে ফিরি। এ ছবি রাফায়েল এঁকেছিলেন বছর তেইশ বয়সে। লিওনার্দোর প্রভাব পুরো ছবি জুড়ে – পিরামিডাল কম্পোজিশনে, নরম আলোয়, পিছনের ল্যান্ডস্কেপের ডিটেলিংয়ে। কিন্তু তার পরেও এ ছবি একান্তভাবে রাফায়েলের ছবি। রাফায়েলের যীশু মায়ের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক যেমন করে আমার আপনার ছানাগুলো দাঁড়াত/দাঁড়ায়, রাফায়েলের ম্যাডোনা পরের সন্তানকে একটু বেশীই আগলে থাকে, হাত দিয়ে ঘিরে, ঠিক যেমনটা আমরা পাশের বাড়ির ছানার ব্যাপারে অতি সতর্ক থাকি, হাতে বই থাকলেও ম্যাডোনার পুরো মনোযোগটাই শিশুদের দিকে, মনে করে বলুন তো ছানা ছোট থাকতে ঠিক কটা বই পড়ার ফুরসত মিলত? এসব কারণেই বোধহয় টেকনিক, মিডিয়াম কিচ্ছু-না-বোঝা আমার মতন নিয্যস আবোদা মেয়েও রাফায়েলের ছবির, রাফায়েলের প্রেমে পড়ে যায়। প্রসঙ্গত এ ছবি ছ’টা টুকরো হয়ে গেছিল নাসিবাবুর বাড়িতে আগুন লাগায়। অনেক কষ্টে সব টুকরো এক জায়গাতে করে, জোড়া লাগানো হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে আবার রেস্টোরেশনের দরকার পড়ে। পাক্কা দশ বছরের চেষ্টায় ছবিটি ফেরত পায় তার অরিজিনাল জৌলুশ।
ক্যারাভাজ্জিওর মেডুসা আর বাচ্চুস বাকি থাক আপাতত। ওগুলো পরের রোমের গল্পের সঙ্গে বলবখন। ম্যাথু সিরিজের সঙ্গে। উফিজি গ্যালারিতেই প্রথম পরিচয় হয়েছিল আরো অনেক ইটালিয়ান আর্টিস্টের সাথে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা যে সেই প্রথম ইটালির বাইরের ছবি দেখলাম, অন্তত জ্ঞানতঃ। উফিজির ব্লু-রুমস ফরেন আর্টিস্টদের জন্য ডেডিকেটেড। প্রথমে ঢুকলাম ডাচ পেন্টিংসের ঘরে। ঢুকেই মনে হল আলোর ভোল্টেজ কমে গেল না কিরে বাবা! লোডশেডিং হবে নাকি? তারপর মনে পড়ল আমি তো ইটালিতে। তবে কি অনেক লাইট বাল্ব কেটে গেছে? উপরে তাকিয়ে দেখলাম তা তো নয়? দিব্যি নর্মাল আলো। তাহলে? একটু খুঁটিয়ে দেখতেই রহস্য উদ্ধার হল। দেওয়ালে যে সারিসারি পেন্টিং তারাই এই আপাত অন্ধকারের জন্য দায়ী। ইটালিয়ান মাস্টারদের ছবিতে আলোর উদ্ভাসে পৃথিবী হয়ে ওঠে স্বপ্নভূমি, সেখানে মানুষের দেবত্বে উত্তরণ ঘটে আদর্শের সন্ধানে, ছবিতে ফিরে ফিরে আসে যা কিছু মানবসভ্যতার শাশ্বত, চিরন্তন আর অন্যদিকে ডাচ মাস্টারদের ছবিতে আলোআঁধারে ঘেরা পাপপুণ্যের এই পৃথিবী, মানুষ সেখান তার সবটুকু নিয়েই বর্তমান, আর ছবির বিষয়বস্তু সাধারণ মানুষের নিতান্ত সাধারণ যাপন। মনের এবং চোখের গিয়ার শিফ্ট করার পরে খেয়াল করতে শুরু করলাম ছবিগুলো।
যে ছবিটা প্রথমেই ডাক দিল সেটা একটা ল্যান্ডস্কেপ। ছবিতে অনেক মানুষ। কেউ চলেছে ঘোড়ায় চেপে, কেউ পায়ে হেঁটে, আবার কেউ গরুর গাড়িতে। ছবির নাম ল্যান্ডস্কেপ উইথ আফোর্ড। রেমব্র্যান্ট ছাড়া আর কোন ডাচ মাস্টারের নাম অউর নিশান ছিল না আমার ডিকশনারিতে। খুব স্বাভাবিক যে এ ছবি যার আঁকা, জানব্রুঘেল (Jan Brueghel the elder) তার নাম আমি কস্মিনকালেও শুনিনি। টেকনিকালি উনি ডাচ মাস্টার নন ফ্লেমিশ মাস্টার কিন্তু সে তথ্য তখন আমি মোটেই জানতাম না। ডাচ পেন্টিং একটু দেখতে না দেখতেই খেয়াল পড়ল ছেলেটা সকাল ১০টার পরে আর কিছু খায়নি আর ঘড়ি বলছে চারটে দশ, বিকেল। পড়ি কি মরি করে বেরিয়ে ছুটতে ছুটতে দোকানে গিয়ে একটা পানিনি জাতীয় খাবার কিনে ছেলেকে খাওয়ানোর তপস্যা শুরু করলাম। সে যাত্রায় ফ্লেমিশ পেন্টিং না দেখার দুঃখ ঘুচেছিল বেশ ক’মাস পরে ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি গিয়ে।