আঁচলে হলুদ ছোপ তুমি স্নানঘরে —
যেন পুঁথিবদ্ধ ছায়া ও নির্মাণ বৃষ্টি মাখছে সাবেকি আদলে
যেন পুরোনো চড়ুইভাতি — দোল খাচ্ছে — ছবি আঁকছে
জ্যামিতির ঝুমকোলতায়
মনে হয় - বড় ভালো আছি এই মৌন সাঁতারে!
তাই আমার নির্জন কব্জি জেগে উঠছে দু-মুঠো খামখেয়ালিপনার সাঁকো বেয়ে —
আমার মুখস্থ না হওয়া সমস্ত কবিতায় ফিরে ফিরে আসছ তুমি
আঁচলে হলুদ ছোপ তুমি ... অস্পষ্ট আদলে...
জিরাফের গলা বরাবর।
ছাইদানে জমে আছে মৃত উত্তাপের সুখ
ঠোঁট থেকে ঠোঁটে যে ঘুঘুর ফাঁদ আঁকা ছিল সফেদ তুলিতে
তার খুনসুটিটুকু যেন পড়ে আছে এখনও আবেগে!
আমি স্নান ভাবি —
ভাবি এ দুপুর, ও দুপুর শীতে ও উত্তাপে
আর দেখি, যখন প্রান্তিক হয় অলস সোহাগ
কীভাবে অচেনা মেঘ জলের দোকান খুলে সিঁড়িতে দাঁড়ায়
আহা, নিছক বৃষ্টির মতো - তুমিও নরম — কেমন উপুড় - পড়ে আছ
নিংড়ানো সফেদে!
মনে হয় নিজেকেই বলি —
“তুমি পাসওয়ার্ড এভাবে বদলে ফেল হে শহিদ মিনার
যাতে মনে হয় ছাই থেকে দান —
সবই নতুন — যদি জমা থাকে পুরোনো বোতলে।”