একটা ছুটির দিনে আমরা বিষ্ণুপুর বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমরা শনিবার পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে চেপে বিষ্ণুপুরে এলাম। সেখানে আমার মাসির বাড়ি। সেখানেই আমরা রাতে ছিলাম। পরদিন সকালবেলায় একটা টোটো করে আমি, মা, দিদি, মামা আমরা সবাই মিলে বেড়াতে বেরোলাম। প্রথমে আমরা গেলাম রাসমঞ্চে। সেখানে অনেকগুলো খিলানওয়ালা দরজা ছিল তাই ওটাকে হাজারদুয়ারিও বলা হয়।
আমার সাথে মাসিরা ও মাসতুতো ভাই-বোনেরাও ছিল। আমরা এদিক ওদিক লুকিয়ে লুকোচুরি খেলছিলাম। খুব মজা হয়েছে। এরপর আমরা গেলাম শ্যামরাইয়ের মন্দির। ওখানে মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির সুন্দর সুন্দর কাজ ছিল। তারপর আমরা জোড়বাংলা মন্দিরে গেলাম। এখানে দুটো মন্দির একসঙ্গে জোড়া আছে। খুব সুন্দর দেখতে এই মন্দিরের গায়েও পোড়ামাটির সুন্দর সুন্দর কাজ রয়েছে। এরপর আমরা গেলাম বিখ্যাত দলমাদল কামান দেখতে।
এর পিছনে একটি ইতিহাস আছে। একবার বর্গিরা বিষ্ণুপুর আক্রমণ করেছিল। তখন বিষ্ণুপুরে রাজা উপস্থিত ছিলেন না। সেই সময় নগর রক্ষা করার জন্য এই দলমাদল কামান গর্জে ওঠে। বিষ্ণুপুরের লোকেদের বিশ্বাস রাজার আরাধ্য দেবতা মদনমোহন ওই কামান চালিয়ে নগর রক্ষা করেছিলেন। আমরা দলমাদল কামান দেখে বাড়ি ফিরলাম। বিকেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ধরে কলকাতা ফিরে এলাম। আমার বিষ্ণুপুর বেড়াতে ও মন্দির দেখতে খুব ভাল লেগেছিল।