সঙ্গমযুগের প্রাচীন তামিল কাব্যসংগ্রহগুলোর মধ্যে একটি হল কুরুনথোকাই। খৃষ্টিয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতকের মধ্যে লেখা। ২০৫ জন কবির লেখা চারশো আটটি কবিতা রয়েছে।
এখানে কবিরা কখনো স্বকন্ঠে কথা বলেননি। কবিতা তৈরি হয়েছে নায়ক, নায়িকা, তাঁদের বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, রক্ষিতা এমন কি কখনও বা কোন পথচারির জবানিতে। এখানে পাঠক, লেখকের কন্ঠে একটি কবিতার ন্যারেশন শোনবার বদলে শুনতে পান তার চরিত্রদের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন, কখনো বা প্রকৃতির সঙ্গে তাঁদের একান্ত আলাপচারী, আবার কখনো নিতান্তই কোন স্বগতোক্তি।
ছোট ছোট নির্মেদ, দৃঢ়পিনদ্ধ বাক্যবন্ধে কাব্যের বহিরঙ্গে রূপ ফেটে পড়ে, আবার একই সঙ্গে অন্তর্লীন দ্যোতনায় ভাস্বর হয়ে থাকে এই ‘আক্কম’ (অর্থাৎ ‘অন্তর’-এর) কবিতাগুলি।
বিশিষ্ট কোন স্থানকালের নির্দেশ থাকে না এদের মধ্যে। স্থানকালের সংকেতবর্জিত হয়ে কবিতাগুলি হয়ে ওঠে যেকোন সংবেদনশীল পাঠকের একেবারে নিজস্ব অনুভূতির শব্দমালা।
কুরিঞ্জি, পালাই, মুল্লাই, নেয়তাল ও মারুতম--এই পাঁচটি গাছের নামে পাঁচটি স্থানবৃত্তের পটভূমিতে কবিতাগুলি লেখা। প্রতিটি স্থানবৃত্তের একজন করে অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছেন, কিন্তু তাঁরা সৃষ্টিকর্তা দেবতা নন। প্রতিটি এলাকার দেবতারা সেই এলাকার প্রকৃতির অংশবিশেষমাত্র। প্রতিটি স্থানবৃত্ত সাধারণভাবে প্রেমের একএকটি পর্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে। কুরিঞ্জি হল পাহাড়ি এলাকা, প্রেমিকপ্রেমিকার মিলনভূমি। পালাই হল মরু অঞ্চল, বিরহের ক্ষেত্র। মুল্লাই--প্রেমিক/প্রেমিকার প্রত্যাশায় অপেক্ষার অরণ্যভূমি, নেয়তাল-- প্রেমিক বিরহের উত্তালহৃদয় সাগরবেলা আর মারুতম হল প্রেমে বিশ্বাসভঙ্গের কৃষিক্ষেত্র। কোন কোন কবিতায় আবার এদের মধ্যে একাধিক থিম মিলেমিশে যায়। বিভিন্ন শ্রেণীর কয়েকটি কুরুনথোকাই কবিতার বাংলা অনুবাদ এখানে সংকলিত হল।
নায়িকাসংবাদ
কবি ইরায়ানার
বৈদেহী হার্বার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে
কবি তেভাক্কুলাত্তার
জর্জ হার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে
(ঘননীল কুরিঞ্জি বারো বছরে একবার ফোটে। পাহাড় তখন নীল হয়ে যায়। সেই থেকে নীলগিরি)
কবি কপিলার
এ কে রামানুজন-এর ইংরিজি অনুবাদ থেকে
সেমবুলা পেয়ানীরার
জয়ন্তশ্রী বালকৃষ্ণণের-এর ইংরিজি অনুবাদ থেকে
পথিকের উক্তি-আর্যদেশের বাজিকর
কবি পেরুমপাতুমানার
বৈদেহী হার্বার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে
কবি মামুলানার
এ কে রামানুজন-এর ইংরিজি অনুবাদ থেকে
কবি অভইয়ার
এ কে রামানুজন-এর ইংরিজি অনুবাদ থেকে
যোদ্ধার বালা ধরেছে ছেলের বাহু,
তরবারি তার হাতে
মা গো তোর হাতে রামধনু রঙা চুড়ি
সেজে থাক মধু রাতে
চারটি গ্রামের বৃদ্ধেরা এক হয়ে
যে কথা শোনায় সবে
জানি আমি মা গো আজ তোর ভালোবাসা,
তেমনই সত্য হবে।
বাজুক নাকাড়া বাজুক শঙ্খ, বাঁশি
আজ তার সুর মিলনের কথা কবে।
নায়কের উক্তি
কবি আয়ুভায়ার
এ কে রামানুজন-এর ইংরিজি অনুবাদ থেকে
ভাবিনি তোমার কথা আমি?
বিরহোন্মাদ
কবি কামাঞ্চের কুলাথর
বৈদেহী হার্বার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে
কবি পাতুমানার
জর্জ হার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে
নিষ্ঠুর স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সখীর উক্তি
কবি কায়ানামার
বৈদেহী হার্বার্টের ইংরিজি অনুবাদের থেকে