লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অতনু দে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। জন্মসূত্রে কলকাতার, কর্মসূত্রে প্রায় পনেরো বছর কলকাতার বাইরে। কিন্তু অবসর
সময় মন ঘুরে বেড়ায় সাহিত্যের খোলা আলো-ঝলমল বারান্দায়। নানান সময় নানান লেখালেখি করেছেন –
কবিতা, প্রবন্ধ, কিন্তু গল্প লেখা এই প্রথম। সাহিত্য ছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেছেন একসময়।
শ্রীমতী অতীন্দ্রিলা রায় কল্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে প্রায় দুই দশক দিল্লী প্রবাসী। নেশা কবিতা ও প্রবন্ধ লেখা এবং বাংলা সাহিত্যচর্চা। অতীন্দ্রিলা নৃত্যে দক্ষ এবং তাঁর কবিতা আবৃত্তি কবিতা প্রেমিকের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
অদ্রিজা চ্যাটার্জী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স'-এ স্নাতকোত্তর শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ফরেন পলিসি স্টাডিজ'-এ এম. ফিল. করেন। কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার তাগিদ কোনোদিনই ওনার লেখালেখির কল্পনা বা উদ্যমকে দমাতে পারেনি। বরং শব্দকল্পের সেই নেশা বারবার উজ্জীবিত করেছে প্রবাসী জীবনের একাকীত্বের সেই মুহূর্তগুলোকে; তা বিবাহের পরের আমেরিকার গৃহবধূ রূপেই হোক বা বর্তমানের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে মাটি খোঁজার সংগ্রাম রূপেই হোক। সব ক্ষেত্রে লেখাই তাঁর মনের একমাত্র খোলা জানলা যেটা খুলে তিনি জীবন ভাগ করে নিতে চান অসংখ্য জীবনযাত্রীর সাথে। লেখালেখি আর বেড়ানো ছাড়া ভালবাসেন বিভিন্ন ঘরানার রান্না করতে, বই পড়তে, আর মানুষের সাথে মিশতে, তাদের জীবনের গল্প শুনতে।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ : ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। প্রকাশিত ছেলেদের ছড়ার বইঃ 'ভূতোর বই' (ঋতবাক্, ২০১৭)
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
আর্যা ভট্টাচার্যের পড়াশোনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি। বহুবছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। শখঃ দেশভ্রমণ ও ভাষা শিক্ষা। প্রতিবিম্ব, চট্টগ্রাম-বার্তা, পূর্ব-পশ্চিম, সুবর্ণরেখা, আবহমান, ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে বা প্রকাশের মুখে।
বন্দনা মিত্র--পেশায় মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনীয়ার, শিবপুর বি ই কলেজ ও তারপর আই আই টি খড়গপুর।
কাজ করেন রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড, এক পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিং-এ। বর্তমানে কলকাতায় পোস্টিং,
তবে কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরতে হয়েছে।
লেখালিখি আমার শখ, লিটল ম্যাগাজিন, ওয়েব ম্যাগাজিন, আনন্দবাজার ওয়ান স্টপ এ কবিতা ও গল্প
প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার একটি বই ও প্রকাশিত হয়েছে "কালপুরুষ কি জাগছে আজ"
বরুণ বল বীরভূমের চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) দর্শনের সহ-অধ্যাপক।
বাসবী চক্রবর্তী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অ্যাকাডেমিক স্তরে সমাজতত্ত্বের বাইরে তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র হল মানবীবিদ্যা। এই দুটি বিষয়ের ওপর একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন ছোট পত্রিকায় কবিতা-বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন অন্য ভাষার কবিতা। সাহিত্য-অকাদেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুটি অনুবাদ-গ্রন্থ। সম্পাদনা করেছেন প্রয়াত কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর 'গদ্যসমগ্র' (যুগ্মভাবে) এবং 'নির্বাচিত ভাস্কর চক্রবর্তী' (উর্বী প্রকাশন)।
চম্পাকলি আইয়ুবের (জন্ম ১৯৫৭) পড়াশুনো প্রধানত কলকাতায়; তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. ও সাহা ইন্সটিট্যুট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে এম. ফিল. করেন। চম্পাকলি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পি.এইচ.ডি. করেন ও সেই বিষয় নিয়েই ১৯৮৩ সাল থেকে মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিট্যুট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে গবেষণারত।
চম্পাকলির নানারকম শখের মধ্যে উল্লেখ্য নৃত্য-চর্চা, গানশোনা, ভ্রমণ, সাহিত্যচর্চা ও রান্নাকরা।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
চিন্ময় সাঁতরা ভূগোল নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। বেড়ানো ও ছবি তোলার নেশায় পাগল। আর যেকোন মানুষকে আপন করে নেওয়ায় জুড়ি মেলা ভার।
তৃষা চক্রবর্তী কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে, এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
প্রণব বসুরায় এর জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬। অবসৃত। কবিতা প্রথম ছাপা হয় ১৯৬৪ সালে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রিকা ও লিটল ম্যাগে লেখা বেরিয়েছে--দেশ, কৃত্তিবাস (২য় পর্যায়ে), কবিসম্মেলন, রক্তমাংস, দূর্বাসা ... এখনকার দাঁড়াবার জায়গা, ক্লেদজ কুসুম, এবং অনেক ই-ম্যাগেও, নিয়মিত। কাব্যগ্রন্থ "প্রণয়রাংতা" ২০১৫ সালে "সৃষ্টিসুখ" থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র।
দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
হৃদি কুন্ডু কলকাতায় থাকে, পড়ে ক্লাস সিক্স-এ। হ্যারি পটার আর গণ্ডালুর ভক্ত। ভবিষ্যতে লাইব্রেরিয়ান হতে চায়, তাতে নাকি গল্পের বই পড়ার খুব সুবিধে হবে।
কালীকৃষ্ণ গুহর জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় দুই-দশকের বেশি আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স-এ আছেন। পেশাঃ স্কুলে পড়ানো, নেশাঃ অবশ্যই পড়া।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!' ও কিছু নির্বাচিত কবিতার ইংরিজি ও ফিনিশ ভাষায় অনুবাদ: Enchantress.
পলাশ কুমার পাল--বাংলা কথাসাহিত্যে এম.এ. ও বি.এড.।
আঁকা ও কবিতা লেখার প্রতি ছোট থেকে ভালোলাগা। তারপর শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন এর সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত হওয়া আগ্রহে। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রিকায় ও ই-পত্রিকায় আঁকা ও লেখা প্রকাশ।
পিউ দাশের প্রিয় জিনিস--ভালো গল্প, বাংলায় এবং ইংরেজিতে।
পূর্বিতা পুরকায়স্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। দীর্ঘ পনের বছর পরে আবার কবিতা লেখা শুরু করেছেন। কলকাতা ও গুয়াহাটির কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনে সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি — কবিতার দেশ-বিদেশ, কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই — ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প ।
রামরতন মুখোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। কলকাতার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কবিতাচর্চা করেন।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। এই বছর প্রথম প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল)। নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
রুবাইয়া জেসমিন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে থাকেন। বাংলায়. বি.এড, এবং মাস্টারস করেছেন। ছোট বেলা থেকেই লেখা লিখি করেন। নিজস্ব পত্রিকা--'তিস্তা কন্যা'।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই প্রবাসী। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের কথা সন্ধ্যা ভট্টাচার্য আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর ছেলে
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কথায়ঃ "মা একেবারে পরিণত বয়সে, যখন আমি শিলং-এ পোস্টিং পেলাম ১৯৯৪ সালে, সেই তখন আমার কাছে থাকতে এসে যখন সংসারের সব কাজ থেকে নিস্তার পেলেন তখন এ ডায়েরিগুলো লিখতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ কয়েক দশকের ইতিকথা লিখেছেন ব্যক্তি-সমাজ ও চেতনার বিবর্তনের ছবি দিয়ে চারটি ডায়েরিতে।"
সন্দীপ মিত্র (জন্মঃ ১৯৫৯) একটি হাই-স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক।
সরিতা আহমেদ হাই-স্কুল শিক্ষিকা, আসানসোল নিবাসী। মূলত পাঠক । গল্পের বই পড়া ও ছুটি পেলেই ভ্রমণ করা প্রধান নেশা। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে ভাবতে এবং লিখতে ভালোবাসেন। লেখালিখি মূলত কলাম/প্রবন্ধ আকারেই হয়েছে এতদিন। গল্প লেখার শুরু বেশিদিন নয়।
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ, গদ্য লিখে থাকেন।
কোমলগান্ধার পত্রিকার সম্পাদক। মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের
ভ্রমণসমগ্র বইটি সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদিত প্রবন্ধ সংকলন
'আশ্চর্যময়ী : ভিন্ন ঘরানার বাঙালি নারীর কথা' প্রকাশিত হয়েছে দীপ প্রকাশন থেকে (বইমেলা, ২০১৭)।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
শ্রেয়া ঘোষের জন্ম, শিক্ষা, যাপনের পঁচানব্বই শতাংশই কলকাতায়।
ইলেক্ট্রিকাল এঞ্জিনিয়ারং-এ স্নাতক। সংক্ষিপ্ত চাকুরিজীবন। স্বভাবতঃ নির্জনতাপ্রিয়। শৈশব থেকেই বইয়ের সান্নিধ্য মানসিক আশ্রয়।
নিজের লেখা শুরু বছর বারো। তবে লেখক সত্তা বরাবরই পাঠকসত্তার ছায়াতে। এ যাবৎ প্রকাশিত বই তিনটি (দুটি গল্প সংকলন - কামিনী কাঞ্চন, আলো আঁধারির কাটাকুটি। একটি উপন্যাস - তন্তু)
শান্তনু চক্রবর্তী গত শতাব্দীর তৃতীয় পাদে, ১৯৭২ সালে, যাদবপুর থেকে মেকানিকাল এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি করে, বিলেত কিছু বছর কাটিয়ে (এবং নামের সামনে ডক্টরেট-এর আঁকশি লাগিয়ে) দেশে ফেরেন। ১৯৮৯ সাল থেকে টাটা স্টীল-এ, জামশেদপুর-এ। সম্প্রতি (২০১২) অবসর নিয়েছেন। নানান বিষয়ে আগ্রহ, তবে সবচেয়ে বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে।
শ্যামশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বনামধন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভগ্নিকন্যা। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্বভারতী হাসপাতালের সম্মানিত চিকিৎসক। ফলে শান্তিনিকেতনেই তাঁর জন্ম, স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ, বেড়ে-ওঠা। তিনি সংগীতভবনেও রবীন্দ্রসংগীতে যথানির্দিষ্ট শিক্ষাগ্রহণ করেন। আশ্চর্য কণ্ঠের অধিকারিণী এই আশ্রমকন্যাকে তাঁর গায়নভঙ্গি, সুরের বিশুদ্ধতা ও স্বরপ্রয়োগের বিশিষ্টতার কারণে অনেকেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি মনে করেন।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
হুগলী জেলার শেওড়াফুলির বাসিন্দা তুষ্টি ভট্টাচার্য, বোটানিতে স্নাতক, গদ্য ও কবিতা লেখেন সমান তালে। একটি কবিতার বই, 'ভিজে যাওয়া গাছ' 'পাঠক' প্রকাশনী থেকে ২০১৩সালে কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।