জীবন ঘটনা দিলে
জীবন ঘটনা দিলে, তুমি বড় হতবাক হও
জীবন ঘটনা দিলে, তুমি আর কী দেবে তাহাকে
জীবন ঘটনা দিলে, বেবাক সে জীবনই সামলায়
আমাদের প্রতিদিন কত অর্থবহতা, চালাকি
সব ফাঁকি মনে হয়, জীবন, যা ঘটনার ঝাঁপি
খুলে ধরে, ভয় হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে না ঝাঁপায়
তাই হয়, তাই হোক, হে জীবন, কবিতা দিয়েছি
রংচঙে তোমাকেই, তুমি শুধু আমাকে উল্টিয়ে
একটা জীবন দিও, কয়েকটা ঘটনা দিও শুধু
বাকি সব পরম্পরা, বাকি সব অতিকায় হাসি
কবি
ছন্দছাড়া, অলংকার ছাড়া, মাঝে মাঝে কবিতা আসে তো।
সে কবিতা একেবারে নিস্তরঙ্গ পুকুরের মত।
একদিন এভাবেই ফিরে যেতে হবে স্থির।
তথাপি আমি তো নিজ কলমের আগা চেঁছে নিয়ে
এখনো লিখি যা, বহুস্বরী
কখনো ঝালের রান্না, কখনো শুক্তোর মত স্বাদে
নিজস্ব প্রমাণলোপ, একাকথাবলা।
তাছাড়া, জানি তো
গদ্য আর কবিতার পাশাপাশি থাকার মতন
কতকিছু পাশাপাশি থাকে। থেকে যায়। অবলীলাভরে।
এইসব নির্জীব সজীব
কীভাবে পাখির মত দাঁড়ে
একত্র বসেছে, বল... যদিনা জীবন
তাদের সম্ভব করত? রোজ?
রান্নাঘরে যেভাবে রয়েছে
ঠোঙায় ঠোঙায় কিছু জিরে, ধনে, লঙ্কার উৎসার।