প্রণাম সারা হলেঅসবর্ণ ভাবনা ঠেলতেই থাকে পিছল পথে
চোখ আটকে যায় স্তন ও জঙ্ঘায়
লায়েক মন পাশে পাশে হাঁটে,
দেখে নিতে চায় নব্বই ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে
সে তনুর সিল্যুট, গল্পের অছিলায়...
সে ভিজে যায়, ভিজে যায়, অসহায় ভাবে
পিতল মূর্তির সঙ্গে ভাব জমানো
ততটা সহজ নয়, যা যায় মানবীর সাথে,
যেন বীজ সে, আগাছা ও পোকা সরিয়ে
বপনের জন্যে ক্ষেত্র তৈরির কাজ
সম্পন্ন হলে ডেকো তাকে,
যত্ন-জল, দরকারি ছায়া— সবই দিতে হবে
ভান নয়, প্রকৃত সম্মানের খুশবু থাকা চাই
সে তোমার জায়া ও জননী, কন্যাও তো!
প্রণাম সারা হলে কাটা ফল ভাগ করে নিতে, এসো
স্পর্শহঠাৎ কিছু ঘটতে পারে যেই ভেবেছি মনে
আমাকে কেউ জড়িয়ে ধরে চন্দনে চন্দনে
আমি তখন টলায়মান, মাটিতে নেই পা
আঁধারও যে এমন আলো, জানাই ছিল না
এসব বুঝি কীর্তি তোমার? চুল খুলেছো রাতে
আঁশবঁটিটা সরিয়ে রাখো, স্পর্শ দেবো হাতে
নিঃশর্তবীজ ও পাতার মধ্যে যে সমীকরণ ক্রিয়াশীল,
যে বীজগণিতের অনিবার্য সমাপতনে
একটা বেল বা জুঁই গাছের জন্ম হয়,
তার দিকে সহিষ্ণু তাকাই—
এই রহস্য ভেদের চেষ্টার থেকে
নিমগ্ন থাকাই কম্ফোর্ট জোন ভেবে নিলে
এক ভীরু মাদকতার ঝিম ঝিম...
কেন তুমি জুঁই ভালবাসো
কেন তুমি বর্ষা ভালবাসো
পাখির রাতের ডাক শুনবে বলে
কেন তুমি মধ্যরাতে হেঁটে বেড়াও—
কে কোথায় সত্যি জেনেছে বলো
কোন অবকাশে?
আমি তাই
নিঃশর্তে চেয়ে থাকি উথাল জ্যোৎস্নায়...