সমর্পণ
জ্যোৎস্নাও বৈরিতার কারণ হয়ে যায়,
যদি সে একবারও মেঘের কাছে নত না হয়,
বৃষ্টির জল না চেনে।
তখন মনে হয়, তার গলন্ত বৈভব--
অন্য রুপালি ধারার কাছে নম্রতা শিখে নিক।
আত্মসমর্পিত হয়ে পৃথিবীকে ভালবাসায় ভিজিয়ে দিক।
সমর্পণেও অহঙ্কার সুন্দর হয়, একথা তো চাঁদ জানে।
স্পর্শ
একটি একটি করে সাঁকো পেরিয়েছি
দুই সাঁকোর মাঝে যোজন গুনেছি শর্তে
পদক্ষেপে বার্তা ছিল, শব্দ ছিল না
অথচ দেখো,
মেঘেরা ঠিক বুঝে গেছে, নিবিড়তার কথা
তারা স্পর্শ রেখে গেছে স্তরে স্তরে
স্পর্শে স্পর্শে তারা বলে গেছে মায়ের কথা
বিনিময় ছিল না তো কিছু
উড়ে যেতে যেতে, তারা বলে গেছে
সাঁকোদের মাঝে ঘর বেঁধে নিও
ঘিরে দিও কিছু সবুজে
আমি এখন আর যোজন গুনি না, শর্ত রাখি না
সাঁকোরাও আপনের মতো পরস্পরের আরো কাছে...
আর... মেঘেদের স্পর্শ মেখে
আমি চিনে নিয়েছি অবিনশ্বরকে।।
মা
আগে বুঝি নি, মা ঘরে নেই
সদরে অনেক জল জমে গেছে
দুহাতে জল ঠেলে ঠেলে,
প্রবেশ চাইছি
বুঝতে পেরেছি
মা ঘরে নেই।
ঘরের ভেতর, আনাচে-কানাচে,
প্রহর বেয়ে কত ছলাৎ ছলাৎ শব্দ...
আগে জানতে পারি নি,
মায়ের না থাকা বোঝার জন্য
এতো অনতিক্রম্য জল থাকে...
এতো ছলাৎ শব্দ ...