এইখানে অন্ধকারে একটি আলোককণা হঠাৎই জাগিতে চাহে
তাহাকে জাগিতে দিও তুমি।
ইদানীং শুষ্ক বনভূমি: আমাদের অগ্নিভূ পর্বত ঘিরি
চ্যুতপত্র দুঃসহ নিদাঘে উড়ে।
এইখানে মৃত দিন,
আমাদের তমিস্র গুহায় কালরাত্রি দ্রবীভূত হয়।
তবু ওই একটি আলোককণা সানন্দে জাগিতে চাহে
তাহারও মঙ্গল তুমি চাহ, কিছুটা আনন্দগান গাহ
একটি কবিতা যদি হঠাৎই জাগিতে চাহে
তোমার নিজস্ব ছন্দে তাহাকে ভরিয়া দিও তুমি।
স্বপ্নের ভিতরে এক বিক্ষত যুবক গায়
বেসুরো বেতালা গান;
তাহারও জীবনগাথা রূপে রসে
পূর্ণ ক’রিয়া তোল তুমি।
ছায়া শরীরের মতো বিলুপ্ত নগরী এক
আধোখানি জাগিয়াছে
স্মৃতি তার
ফিরায়ে ফিরায়ে দিও তুমি।
নিজ রূপে আমাদেরই গ্রহে
একান্ত নিজস্ব সমারোহে
অগ্নিভূ পর্বত আজ প্রত্যাশায় ঘিরিয়াছে
প্রাণহীন রিক্ত বনভূমি;
আমাদের তমিস্র গুহায়
একটি আলোককণা তবু দ্যাখ জাগিয়াছে
আনন্দে আকাশে দিতে পাড়ি
(আহা, কত যুগ পরে আজ নীলাকাশে
মেঘেদের সারি!)
তাহাকে জাগিতে দাও, হে অনন্ত ক্লিষ্ট বিভাবরী:
তোমারই সন্তান সে যে
প্রথাগত রৌদ্রভিখারী।।
একটি ছিন্ন সুর একটি ছিন্ন সুর পৌঁছে দিয়েছে কেউ
আজ রাতে বাতাসের কানে৷
সে যে বিরহ রেখেছে সাবধানে
আমার কবিতা সে তো কোনোদিন পড়েনি তো
সে কি এই গানগুলো জানে?
নাকি তার স্মৃতির বাগানে
এখনও জড়িত শুধু ভয়
শুধু কাঁটাঝোপে বিক্ষত হয়
তার লুকোনো কবিতাগুলো
গ্লানিময় পরাজিত প্রাণে
নীরবে পড়েছে ঝরে
ছড়িয়ে পড়েছে মনময়।।