তোমাদের খুশি করি এ সাধ্য আমার নেই। তোমাদের প্রাণে ধরি এ সাধ্যও না হে। তোমাদের আত্মসুখ তোমাদের তৃপ্তমুখ উদরপুর্তির ভুখ, ঘৃণা করি তাহে... তথাপি আবার ফিরে, যাব আমি নতশিরে তোমাদেরই সভাঘরে, বিষণ্ণ প্রবাহে। কোথায় কী যেন ভাঙা কোথায় কী যেন নেই কষ্ট আর অপবাদে বিষপূর্ণ মন সেই বিপুল শূন্যতাময় কলস তামসবর্ণ কল-লাগা তামাসম সবুজ, কে তাকে স্বর্ণ ঘষে ঘষে বানাত বা? না হে, নয় এ অধম সে কর্মে পারঙ্গম। আমি বড় হে অক্ষম স্থাবর জঙ্গম শুধু চলে যায় হাত ছেড়ে তোমাদের কাছে আজ ঋণ ওঠে বেড়ে বেড়ে একদিন দুইদিন মাথাভর্তি হই চই সামাজিক রণবাদ্য নিতে নিতে ক্লান্ত হই তারপরে নিজ-গর্তে, সাধু, ফিরি। স্বর্গমর্ত্যে মোর স্থান শুধু ঐ। সীমাবদ্ধ, নতমুখ ছোট এক আত্মসুখ। গরিব আর কী উজবুগ! আমাকে ক্ষমিও তোমরা, আমি তোমাদের নই। তোমাদের খুশি করি, এ সাধ্য আমার কই?