লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অদ্রিজা ব্যানার্জী কলকাতার একটি কলেজে ইলেকট্রনিক্সের অধ্যাপক। নেশা--বই, বই, আর বই।
অমিতাভ প্রামাণিক রসায়নের ছাত্র। পেটের দায়ে ব্যাঙ্গালোরবাসী; স্বাভাবিকভাবেই প্রিয় গান – এ পরবাসে রবে কে! ছড়া ও সংস্কৃত ছন্দের ব্যাকরণে উৎসাহী বলে ভান করেন। সারাজীবন কবিতাকে অবহেলা করে এসে এখন সে অভাব পুষিয়ে নেওয়ার সামান্য চেষ্টায় রত। সম্প্রতি (২০১৪) ‘হাফ সেঞ্চুরির পর’ নামে এক ছড়ার বই লিখে ছড়িয়েছেন। পাগলকে পাগল বলার বদভ্যাস কাটানোর জন্য আজকাল একবেলা নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করছেন।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অজয় বিশ্বাস কলকাতার বিরাটীতে থাকেন। অল্প বয়স থেকেই গল্প, কবিতা, ছড়া লেখার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত হয়েছে প্রমা প্রকাশনীর সহযোগিতায় তিনটি কাব্যগ্রন্থ। যথাক্রমে - 'হলুদ ঋতুর গল্প', 'ঝিনুকে নিজস্ব ছায়া' ও 'নাবিকের চোখে অরণ্যরেখার স্বপ্ন'। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।
সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
কৃষ্ণা বসু এই যুগের একজন প্রধান কবি। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই এর সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে
সাহসিনী কে রয়েছ, সাজো অন্যতম। সম্প্রতি তাঁর কবিতা সমগ্র বেরিয়েছে।
বিনোদ ঘোষাল--গল্পকার। ঔপন্যাসিক। সাংবাদিক। জুনিয়ার সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
থাকেন কোন্নগরে। প্রকাশিত বই -- নতুন গল্প ২৫, এছাড়াও আরো অনেক বই আছে।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
চিরন্তন কুন্ডূ পুরুলিয়ার ছেলে। পুরুলিয়া, নরেন্দ্রপুর, আইএসআই-এর জল খেয়ে চাট্টি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। আপাতত কলকাতায় থাকেন এবং দশটা-পাঁচটা কম্পিউটারের সামনে পোজ দেন। নিজেকে সফ্টওয়্যার জগতে জীবন্ত ভাইরাস হিসেবে দেখতে চান। এমনিতে ঘরকুনো আর কুঁড়ের হদ্দ। তবে বাংলা সাহিত্যা গান নাটক সিনেমার কথা হলে চিতায় উঠেও গলা খাঁকারি দেবেন। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা বানান করে পড়তে হয়। লেখালিখির অভ্যেস পৈতৃক উত্তরাধিকার ও সর্বংসহ বন্ধুদের আস্কারার নিদারুণ পরিণাম।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন।
প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা, দোর্দোবুরুর বাক্স, ঈশ্বরী। জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
দূর্বা বসু শান্তিনিকেতনের পাঠভবন ও শিক্ষাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করেছেন। পরে আমেরিকায় লিবারেল আর্টস-এ মাস্টার্স--তখন বিশেষ বিষয় ছিল জেণ্ডার স্টাডিজ। সামাজিক নানা সমস্যার উপরে আগ্রহী এবং এ-বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।
গৌতম সেনগুপ্ত কলকাতায় থাকেন। একটি প্রকাশনালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা। ওঁর কবিতার বই
বৃষ্টিভোরের পাখি পরবাসে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।
ঈশিতা চক্রবর্তী -- বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ান। কলকাতায় থাকেন।
আইভি চট্টপাধ্যায়--জন্মকর্ম সবই জামশেদপুরে। সৃষ্টিশীল কাজ করতে ও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন। আকাশবাণী জামশেদপুরের নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ও আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বই
রাতপাখি (গল্প), অনির্বাণ এবং (গল্প), নিরবলম্ব (উপন্যাস) ও অপারেশন স্বর্গদ্বার (উপন্যাস)।
হাসান জাহিদ:
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। আশির দশকের গল্পকার হাসান জাহিদ । প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। বাংলা ও ইংরেজিতে হাসান জাহিদের অসংখ্য প্রবন্ধ জাতীয় দৈনিকে ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা ২০১২ উপলক্ষে হাসান জাহিদের উপন্যাস `অনাদ্যন্ত` ও গল্পগ্রন্থ `পোড়ো মানবের গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কানাডার টরোন্টোতে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন।
কুন্তল ঘোষ কলকাতার একজন বিশিষ্ট কর্কট-রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এককালে লেখাকেলখির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন তার চর্চার খুব একটা সুযোগ হয় না।
মশিউল চৌধুরীঃ
এখানে দেখুন ।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
আপাতত দ্বাদশশ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার শেষে মুক্তবিহঙ্গ-অবতার। বাবা-মায়ের সাথে শারজা-প্রবাসী, কিন্তু পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর উচ্চশিক্ষার জন্য দ্বিতীয়বার দেশত্যাগী হবার অপেক্ষায়।
বিজ্ঞান-বিভাগের ছাত্র হলেও চতুর্থ বিষয় ফাইন-আর্টস।
পরবাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চৌধুরী -- সেন্টজেভিয়ার্স কলেজের বাংলার অধ্যাপক। মূলত প্রবন্ধ লেখেন। 'ভাষাবন্ধন' পত্রিকার সহ-সম্পাদক। 'দুষ্প্রাপ্য জগদীশ' গুপ্ত' বইয়ের সম্পাদক।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প ।
রিমা রায়ের জন্ম নদীয়া জেলায়। এখন থাকেন ভার্জিনিয়াতে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। আগ্রহ নাটক, আবৃত্তি ও গল্প লেখায়।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই প্রবাসী। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সন্দীপন সান্যাল আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে থাকেন।
শম্পা ভট্টাচার্য -- জন্ম ১৯৬৩ খ্রীঃ কলকাতায়। অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা কলকাতায়। নাট্য বিষয়ে ডক্টরেট ও নাট্য শোধ ও সংস্থানের পূর্বতন রিসার্চ ফেলো। কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার পত্রপত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে নাট্য ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। লেখিকার প্রথম গ্রন্থ 'শচীন সেনগুপ্তের নাট্যভাবনা ও সমাজ চিন্তা'।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্টিং নিয়ে স্নাতক-স্তরে পড়ছেন। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।
সংহিতার লেখালেখি ছিলো নিজের খাতায়। প্রথম প্রকাশ "জয়ঢাক"--২০০৩'র পূজা সংখ্যায়। মাস্টারমশাই শ্রীদেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের প্রেরণায় ও প্রশ্রয়ে।
সৌরীন ভট্টাচার্যের জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৩৭, বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর-এ। যাদবপুর থেকে অর্থনীতির স্নাতকোত্তর। কলকাতা আর দিল্লির কয়েকটি কলেজে এবং উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির বিভাগে যোগ দেন। সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে গিয়েছিলেন ইউ জি সি-র পক্ষ থেকে এক সমাজতন্ত্র সম্মেলনে। তাঁর বইগুলির নাম চাহিদাতত্ত্ব (১৯৮১), পরিবর্তনের ভাষা (১৯৯৩), গ্রামশি পরিচয় (১৯৯৩), মার্ক্স (১৯৯৩), উন্নয়ন : অন্য বিচার (১৯৯৫), রাজনীতির বয়ান ও স্বচ্ছতার সংস্কৃতি (১৯৯৮), পদ্ধতির পাঁচালি (২০০২), সময় সংস্কৃতির তত্ত্বতালাশ (২০০৪), পাঠকের গরজ (২০০৫)। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন গ্রামশির নির্বাচিত রচনা। এছাড়াও অনুবাদ করেছেন কিশোর যোদ্ধা (১৯৮৭) ও ফেরাই (১৯৯৬)। 'কেন আমরা রবীন্দ্রনাথকে চাই এবং কীভাবে' এই বইটির জন্য ২০০৯ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুজাতা হালদার বেহালায় থাকেন। শিক্ষক ও সমাজব্রতী। কবিতা অনুরাগী।
সুজাতা কুন্ডু কলকাতায় থাকেন।
তথাগত ভট্টাচার্য দিল্লী-নিবাসী রিপোর্টার।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।