এইতো সেদিন গেল ২১ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সবাই জানেন বাংলা ভাষার উপলক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক দিবস। বাহান্ন সালের তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি এই আন্তর্জাতিক ঘোষণার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই মাতৃভাষা দিবসের কথায় আমাদের, অর্থাৎ বাঙালিদের, আহ্লাদ একটু বেশি। বাঙালিদের, তাই বলে বাংলাভাষীদের, এতটা বলা যাচ্ছে না। বাঙালি আর বাংলাভাষী এই দুয়ের মধ্যে একটা ফারাক না করলে এখন আর চলবে না। বাঙালি সবাই এখন আর বাংলাভাষী নেই। বাংলাভাষী সবাই এখন আর বাঙালি বলে নিজেদের আহ্লাদিত ভাবেন না। এর কোনোটা নিয়েই অভিযোগের কিছু নেই। আমাদের জীবনে কখন কোনটা স্বাভাবিক ঠেকে না ঠেকে, সে ঠিক তেমন করে আমাদের হাতে থাকে না সব সময়ে। ইতিহাসের নানা রঙ্গ রসিকতা কাজ করে এর মধ্যে। বাংলা, বাঙালি, বাংলাভাষা, বাংলাভাষী, এসব শব্দের গায়ে নানারকমের দাগ লেগে গেছে এখন। শব্দগুলো আর তেমন সহজ সরল নেই। আর ওই যে বললাম, পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলন, তারই জেরে আজকের বাংলাদেশ। জের হয়তো শুধু সেটুকুরই নয়। হয়তো ইতিহাস আরো খেলা খেলেছিল সেখানে। থাক সে কথা।
হাওড়ার বাজে শিবপুরে একটা ক্লাবের আয়োজনে গিয়েছিলাম ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে। বাজে শিবপুর মানে শরৎচন্দ্রের স্মৃতি জড়ানো। ফোনে যাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নানা কায়দায় ফাঁকি দেবার চেষ্টা করছিলাম। ওঁরা প্রথমে ঠিক পরিষ্কার করে বলেননি ক্লাবটা কোথায়। খানিকক্ষণ কথা বলার পরে বললেন ক্লাবটা একেবারে শরৎচন্দ্রের বাড়ির গলিতেই। এবার তো আপনারা এক কথায় জিতে গেলেন। মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এর পরে না বলার সাধ্য কার। যাব।
বাজে শিবপুরের সেই বাড়ির গলিতেই বটে। তবে সে বাড়ি এখন আর নেই। প্রমোটারের বাড়ি উঠছে সেখানে। খুব স্বাভাবিক। আমরা কেউ এতটুকু বিস্মিত নই এতে। নইলে আর বাংলা ভাষা নিয়ে এত কথাবার্তা কেন। এই যে নতুন দুনিয়া আর তার নতুন হালচাল। বাংলা ভাষা আর তার ভূত না হলেও ভবিষ্যৎ তো বটেই, এসব হালচালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ফলে ভাষার কথায় শুধু ভাষার গণ্ডিতে আটকে থেকে কোনো লাভ নেই। চোখ কান খোলা রাখতে হবে সব দিকেই।
তারপর যেমন যেমন হবার তাই হল। চা-টা খাওয়া হল, আস্তে আস্তে আড্ডার মেজাজে কথাবার্তা শুরু হল। কথা শুরু করার দায়িত্বে ছিলাম আমরা দু-জন, আমি আর একরাম। মাতৃভাষা, বাংলা ভাষা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনিবার্যভাবে উঠে এল দেশভাগ দাঙ্গা আর হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের কথা। উঠে এল আমাদের না-পারার কথা, এতদিন পাশাপাশি বসবাস করার পরেও আমাদের পারস্পরিক অপরিচয়ের কথা। আস্তে আস্তে আবহাওয়া একটু ঘন হয়ে উঠল। আমরা সবাই বুঝতেও পারছি, ঠিক পাঁচজনের কাছে ঘটা করে বলার মতো নয় এ কথাগুলো। মন খারাপের কথা, দুঃখের কথা, নিজেদের ব্যর্থতার কথা ঠিক এভাবে বলা যায় না, আর বলে কোনো লাভও হয় না। তবু সেদিন ওখানে যে ক-জন জড়ো হয়েছিলেন, কেমন একধরনের একটা সংযোগ বোধহয় তৈরি হয়ে গেল। বয়সের দিক থেকে অনেকেই ছিলেন দেশভাগের স্মৃতি যাঁদের প্রত্যক্ষ নয়, কিন্তু তার ক্ষয় ও ক্ষত তাঁদেরও খানিকটা ছুঁয়ে যাচ্ছিল মনে হল।
কথায় কথায় উঠে পড়ল জীবনানন্দের ‘নিস্তেল’ বাংলার গ্রামের কথা। আমরা বাংলার প্রাণের রস এত শুকিয়ে যেতে দিলাম। আমাদের জাতীয় জীবনে দুঃখ অনটন কিছু কম ছিল না। কী একটা ছন্নছাড়া দিন গেল আমাদের জীবনে। জীবনটা একেবারে টাল খেয়ে গেল আমাদের। পার্থিবতার হাতে একটু বেশি অসহায়ের মতো দীনভাবে তুলে দিলাম নিজেদের। আমাদের সেইসব আগের দিনও খুব বেশি ভালো হয়তো ছিল না। আমরা আর যারা আমাদের মতো নয় তাদের জীবন এক সুরে তখনো বইত না। জমিদারের দেউড়িতে খাজনা বাকির ফেরে রোদ্দুরে চিৎ করে শুইয়ে রেখে সাজা দিতে আমিই দেখেছি। আর ছোঁয়াছানির বাছবিচার ও তার নিঃশব্দ নির্মমতা আমার চোখে এখনো দিব্যি লেগে আছে। নেমন্তন্ন বাড়িতে বাচ্চা ছেলে অন্যদের মতোই পঙক্তিতে খেতে বসেছে। কর্তাব্যক্তি কেউ এসে তাকে রীতিমতো বকাঝকা করে তুলে দিলেন। অপরাধ, ওখানে শুধু ব্রাহ্মণের বসার কথা। সে ছেলেটি হয়তো কায়স্থ। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বসানো হল তার উপযুক্ত জায়গায়। মুসলমান জনমজুরকে দাওয়া থেকে হাতে জল ঢেলে দেওয়া তো জলভাত। যারা আমাদের মতো তাদের জন্যও হুঁকোর জাতপাতও আলাদা। এসব জীবনের কথা তো অলীক ছিল না আদৌ। আজ হঠাৎ সেসব কথা ভুলে গেলে চলবে কেন।
কিন্তু তবুও ওই দেশভাগের দুঃখের দিনে আমরা আরো এক প্রস্থ নষ্ট করে দিলাম সবকিছু। নিজেরাও নষ্ট হয়ে গেলাম ভিতর থেকে। আমাদের পারস্পরিক অবিশ্বাস সেদিন আমাদের এত অধৈর্য করে তুলেছিল। আমরা নিতান্ত অনিশ্চয়ের মধ্যেও ঝাঁপ দিতে দ্বিধা করিনি একটুও। অন্তত অনেকে, অনেকেই। আমরা চলে এলাম কাতারে কাতারে দেশ ছেড়ে। থেকে গেলেন যাঁরা তাঁরা রইলেন এক দারুণ শূন্যতার স্মৃতি নিয়ে, হয়তো-বা এক অজানা অভিমান বুকে নিয়ে। এই থাকাদের মধ্যে কোথাও কোনো আহ্লাদ ছিল না তাও নয়। সেসবও ছিল। সমস্ত কিছু নিয়েই তো ইতিহাসের জট। দেশ ছেড়ে চলে এলেন যাঁরা তাঁদের আর কোনো বিকল্প ছিল কিনা সে অন্য কথা। দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়তো কিছু অবাস্তব ছিল না। তখনকার অভিভাবকদের চিন্তায় আজ দোষ খোঁজার চেষ্টা করে লাভ নেই। প্রশ্নটা তো তা নয়। আমরা মুছে দিয়ে এলাম একটা পটের ছবি। রিক্ত করে এলাম অনেক কিছু। শুধু সেই রিক্ততার কথাটা স্মরণে রাখতে চাই। গ্রামগুলো মনে মনে সহজ অধিকারে চেয়ে থাকত যাঁদের দিকে সেই মাস্টারমশাইরা, সেই ডাক্তারবাবুরা, সেই উকিলবাবুরা গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেন একে একে। কেমন দাঁড়াল পাড়াগুলোর চেহারা? খাঁ খাঁ করে না পথঘাট? দরজা জানলা বন্ধ ওই ঘরগুলোর দিকে তাকানো যায় না ভালো করে। বুকের মধ্যে মুচড়ে ওঠে। এই পথেই সরে এলাম আমরা। যে-অপারগতার দায় থেকে শুরু হয়েছিল একদিন পালানোর এই আখ্যান তা ক্রমেই আমাদের টেনে নিয়ে গেল পালানোর আর এক ভয়ানক ক্ষয়ের গল্পে। আমাদের বাংলা ভাষাও জড়িয়ে গেল রিক্ততার এই দীর্ণ যাত্রায়। চারদিকে গ্রাম পতনের শব্দের মধ্যে জেগে উঠল এইসব রুক্ষ চড়া।
উঠেছিল, এই সব কথাই উঠেছিল সেদিন বাজে শিবপুরে। আমরা কেমন চারদিক থেকে ছোটো করতে থাকলাম নিজেদের। আমাদের শ্রীহীন ছন্নছাড়া জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের সন্ধান হয়ে উঠল অনিবার্য। মাথা গোঁজার ঠাঁই, তারপর চাই দিন গুজরান, দু-বেলা দু-মুঠো অন্ন। অনেকেই তেমন সুবিধে করে উঠতে পারেননি এই লড়াইতে। অন্তত অনেকদিন। আমাদের রিফিউজি কলোনি, আমাদের হকার্স কর্নার দিনে দিনে ভরে উঠল দৈনন্দিনের এই লড়াইয়ে। এখান থেকেই আমাদের ভাষা হারিয়ে ফেললাম আমরা এরকম একটা গল্প আঁকড়ে ধরলে তার মধ্যে বড়ো প্রবঞ্চনা থেকে যাবে। ভুললে চলবে না যে আমাদের শিল্প সাহিত্য কিন্তু থেমে থাকেনি এর মধ্যে। ভালো-মন্দ, বেশি-কম সে অন্য প্রশ্ন। কিন্তু আমাদের সাহিত্য অবিরাম লিখে চলেছিল নিজেকে, আমাদের গান গেয়ে চলেছিল, আমাদের ছবি এঁকে চলেছিল। আমাদের জাতীয় জীবনের এত দুর্দশার মধ্যেও আমরা হারিয়ে ফেলিনি সেসব। আবারো বলছি সে চেষ্টা যথেষ্ট ছিল কিনা, তার মান খুব উঁচু তারে বাঁধা হতে পেরেছিল কিনা সে বিচারের ভার তো সত্যিই আমাদের উপরে নয়। আমরা স্থির শান্ত গোছানো জীবন একটা পেলাম না আর। হারিয়ে গেল। সেই এলোমেলো জীবনেও শিল্পের নাছোড় হাত ধরে রাখতে চেয়েছি আমরা আপ্রাণ। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা করতে পারিনি বোধহয়।
আরো ধাক্কা এল। জীবন শুধু আমাদের নয়, আরো বড়ো ঘেরে, বদলে গেল। এমনভাবে বদলে গেল যে অনেক কিছু আর ঠিক চেনা গেল না। বঙ্কিমের আমলেই তিনি জীবনের অনল্পভাগে এক ধরনের চড়া পড়ার কথা বলেছিলেন। আমাদের এই আমলে সে চড়া এমন চেহারা নিচ্ছে যে অনেকে বেশ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। ওই যে পার্থিবতার কথা বলেছিলাম, সে-পার্থিবতা জীবনের এত বড়ো অংশ গ্রাস করে নিল এত নির্মমভাবে যে চেনা ভাষার অনেক কথা আর চেনা মুদ্রায় তোলাই যাচ্ছে না। ‘কাজে লাগা’র ধারণার মধ্যেই কেবল আটকে থাকলে যে আমরা কেবলই নিজেদের ছোটো করে ফেলি ছেঁটে কেটে একথা রবীন্দ্রনাথে এতবার এতভাবে পেয়েছি আমরা যে তাতেও মন দিইনি তেমন করে। হয় গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল অথবা মনে হয়েছিল অবান্তর। আর এই আগন্তুক পার্থিবতার পাল্লায় পড়ে কাজে লাগা ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্বই প্রায় আমরা অস্বীকার করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠলাম। ভাষা হিসেবে বাংলা এই কাজে লাগার জগতে ক্রমেই কুণ্ঠিত হয়ে পড়ল। কেননা সে ভাষায় আমার কী আর কাজ। কাজের যা কিছু সে তো অন্য ভাষায়। আমাদের বেলায় সেই অন্য ভাষা অবশ্যই ইংরেজি। তাই কেজো জগতের কাজে লাগার জন্য আমরা প্রাণপণে ইংরেজির দিকে হাত বাড়ালাম। অন্তত চাইলাম হাত বাড়াতে। বাংলা আমাদের দুয়োরানী যেন।
এইরকম একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়ে অনেকেই বড়ো হা হুতাশ করেন যে বাংলা ভাষা আজ মুমূর্ষু। এর প্রতিকারে অনেকের বেলাতেই কথায় ও কাজে যে মুদ্রা উঠে আসে তা বড়ো বেশি মারমুখী। এসব ব্যাপারে এত সাবধান হবার দরকার পড়ে। এত নানাদিকে চোখকান খোলা রাখতে হয়। সত্যি কথা বলতে মনটা বেশ তাজা না রাখতে পারলে পদে পদে আটকে যাবার বিপদ আছে। ঝোড়ো হাওয়া ঠেকাতে গিয়ে দরজা জানলা যদি এত নিশ্ছিদ্র বন্ধ করি তাহলে তো দম বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের অনেকের কঠোর মুদ্রা দেখে মাঝে মাঝে সেই বিপদের কথা মনে আসে। খেলাটা অবশ্য সত্যিই বেশ জটিল। কাজের জগৎকে বুড়ো আঙুল দেখালে চলবে না। আবার কাজের জগতে মেতে গেলেও ডুবে যাব। ভুল স্বর্গের যুবকের মতো কাঁখের কলসীটাকে রাঙানোর তুমুল ইচ্ছেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় ঝড়ঝাপটার মধ্যেও আঁচল আড়াল দিয়ে। কাজের জগৎ এম্পিরিকাল অস্তিত্বের জগৎ। আজকের এ জটিল খেলায় অন্য নিয়ম। ওই অস্তিত্বের বাইরে এসে ভাষার ধারণাটাকে ধারণার মর্যাদাতেই চর্চায় স্বাধিকার দিতে হবে। মনে থাকে যেন ভাষা শুধু ভাষা মাত্র নয়। তা এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত। বিশ্বায়নের দিনে খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে অনেক ভাষা। আসলে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক জীবনবৃত্তান্ত। হারিয়ে যাচ্ছে জীবনেরই অনেক বৈচিত্র্য। তবে একথাটাও খেয়াল রাখা ভালো যে প্রায় তিরিশ কোটি লোকের মুখের একটা ভাষা এত সহজে মুছে যাবার নয়। তার মানে সামনে বিপদ নেই তা নয়। উত্তর প্রজন্মের কাছে ভাষাটা কতটা প্রবাহিত হতে পারছে ভাষার সজীব অস্তিত্বের সেটা একটা নিরিখ। সে নিরিখে আমাদের ভাষার অবস্থা যথেষ্ট ভালো হয়তো নয়। ওই কাজের জগতের মনটা বড়োই সুদূরপ্রসারী। জীবনের সেই বাস্তবতার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে অকাজের প্রস্তাবনায় ভর দিয়ে। এম্পিরিকাল অস্তিত্বের থেকে আস্তে আস্তে সরে আসার অভ্যাস আজ খুব জরুরি।
বাংলা ভাষার কথা ভাবতে গিয়ে অন্য ভাষা যারা আমাদের ভাষার দাপটে ম্রিয়মাণ তাদের কথা ভাবা আমাদের অবশ্যকর্তব্য। নিজেদেরই গরজে। ওই কাজের জগতের যে জীবনযাপন সেখানকার বাধ্যবাধকতায় আমরা কিন্তু অজান্তেই অন্যদের উপরে অলক্ষ্য জোর খাটিয়ে চলেছি। সেদিন সন্ধেয় বাজে শিবপুরে উঠে এসেছিল এসব কথাও। আমাদেরও প্রতিবেশে আছে আরো অনেক ভাষা। কখনো তাদের বেলায় আমরা বলি ছোটো ভাষা, বা কখনো বলি উপভাষা বা এইরকমই পাশ কাটানোর অন্য কোনো বিশেষণাত্মক বর্ণনা। আমাদের মজ্জাগত এ অভ্যাস বিপজ্জনক। ওইসব বিশেষণ একদিন আমাদের গ্রাস করে। তখন আমাদের ভাষাবলে অন্যকে কাবু করার বেলায় আমার দ্বিধা আর আমাকে সংযত করে না। মাসির কান কামড়ে দেবার সংবিৎও একদিন আমরা হারিয়ে ফেলি। অন্যদের উপরে দাপট করি কখনো আধুনিকতার নামে, কখনো উন্নয়নের নামে, কখনো মূলস্রোতের নামে। অন্য কোনো জীবনবৃত্তের সহজ সিদ্ধি আর আমাদের মনে দাগ কাটে না। বাজে শিবপুরে সেদিন সন্ধেয় উঠে এসেছিল এইসব কথা। কিছু কিছু। সকলে মিলে।