নবারুণ ভট্টাচার্যের লেখা পরবাসে আমরা প্রকাশ করতে পারিনি, যদিও ইদানীং আশা হচ্ছিল যে তাঁর লেখা পাব। কিন্তু এরকম হঠাৎ করে যে তাঁর মৃত্যুসংবাদ আসবে তা ছিল চিন্তার অতীত। এই সংখ্যায় পিতৃতর্পণ করেছেন তথাগত ভট্টাচার্য, এবং নবারুণের জীবন ও কথাশিল্পে বিশেষ অবদানের উপরে কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হল। নবারুণ ও ফ্যাতাড়ু সম্বন্ধে পরবাসে পূর্বে প্রকাশিত দু'টি লেখাও এই সময়ে ফিরে দেখা যেতে পারেঃ তপোধীর ভট্টাচার্যের কার্নিভালের বিস্ফোরণঃ নবারুণ ভট্টাচার্যের কথাসাহিত্য এবং পারমিতা দাস-এর ফ্যাতাড়ুদের ওপর টপ-টেন Q&A.
দীর্ঘ ১৪ সংখ্যা ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে এই সংখ্যাতে দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের যাত্রী উপন্যাসটি সমাপ্ত হল। তিন পর্বের এপিক-ধর্মী উপন্যাসটির চরিত্রগুলির সঙ্গে এতদিন ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের ফলে আগামি সংখ্যা থেকে সম্পাদকীয় দপ্তরে তাদের নিয়মিত হাজিরার অভাব দুঃখের সঙ্গে টের পাব। যদি না এখনো পড়ে থাকেন, তো আমন্ত্রণ জানাচ্ছি উপন্যাসটা পড়তে--এখানে থেকে শুরু করে আপনি এক-নাগাড়ে পড়তে পারবেন প্রতি কিস্তির শেষের সংযোগ-এ ক্লিক করে। অনেকেই এর উপরে মতামত জানিয়েছেন--আপনার মতও জানাবেন। পরের সংখ্যা থেকে একটি নতুন উপন্যাস আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে শুরু করব।
নানাকারণে ও অনেক অ-কারণে এই সংখ্যাটি প্রকাশে দেরি হয়ে গেল। ছোটোদের বিভাগে 'দুগ্গা ঠাকুর' নিয়ে ছড়াগুলো প্রমাণ কতোটা দেরি হয়েছে। তার জন্যে সম্পাদকই দায়ী, এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করছি এই সংখ্যাতেই আরো দু'-একটি লেখা যোগ করতে পারব। বেশ কিছু অনুবাদ ও অন্য বিভাগের লেখা যথারীতি মাঝে মাঝেই যোগ করা হবে।