• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫৭ | জুলাই ২০১৪ | গ্রম্থ-সমালোচনা
    Share
  • গ্রন্থ-সমালোচনা - নতুন কবিতার কবি : শান্তনু চক্রবর্তী


    নতুন কবিতার কবি; রোহন কুদ্দুস; প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারি ২০১, সৃষ্টিসুখ - কলকাতা, পৃষ্ঠাঃ ; ISBN: 978-1-62314-600-9

    না,এনার নাম আগে শুনিনি! এবং 'সৃষ্টিসুখ' প্রকাশনার নাম শুনলেও তাদের প্রকাশিত কোনো বই হাতে পাইনি, বা পড়িনি!

    সুতরাং 'নতুন কবিতার কবি' বইটা যখন পেলাম, তখনও বুঝলাম যে বইটির সঙ্গে কবিতার কোনো সম্পর্ক নেই এবং 'পহ্‌লে দর্শনধারী' সূত্রানুসারে বইটি গুণবিচারের দাবী করে, করেই। সবার আগে চোখে পড়ে ও মনে ধরে এর Compact (বাংলা প্রতিশব্দ কি আঁটোসাঁটো? ঠিক জুতসই হচ্ছেনা!) get-upটি (বহিরঙ্গ?)। প্রচ্ছদে চার-পাঁচটি রঙের ব্যবহারে একটি বাড়ি, তার ছাদে মেঘের মহল পর্যন্ত মই লাগানো, সেখানে একটি স্বাস্থ্যবান্‌ লোকের দেহের নিম্নার্ধ, সম্ভবতঃ যন্ত্রপাতির ব্যাগ নিয়ে সে মেঘ-মিনারের মেরামতিতে ব্যস্ত! মোটামুটি আন্দাজ করা যায়, এ বই শুধু চাখ্‌বার নয়, এটা চিবিয়ে হজম করার বই। স্মরণীয় "Some books are to be lasted ....... only some are to be chewed and digested!"

    সাকুল্যে সাতটি গল্প : না 'সাতটি তারার তিমির' জাতীয় কোনও স্বপ্নিল কাব্য নয়, এমনকি "সপ্ত-তুরগ-রবি আগত সহসা"র মত কোনও মহামহিম ঘটনাও নয়। অথচ ভিন্ন-স্বাদের গল্প কয়েকটিতে লেখকের কল্পনাশক্তির পাখার বিস্তার বিমুগ্ধ করে, কিঞ্চিৎ বিস্মিতও - যে বিস্ময়ে কিছুটা Confusionএর করতালির শব্দও যেন শুনতে পাই। গল্পের পাতা শুরু হবার প্রাক্কালে যে বিনম্র নিবেদনকে আমরা ভূমিকা বলে জানি, এই বইটিতে সেটি নেই। কিন্তু যা আছে, তার শীর্ষকে লেখা সেই অনিবার্য কবির গান থেকে একটি উদ্ধৃতি : "আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়"! আর তার পরেই কমবেশি ১৫০ শব্দের যে নরম ছবিটা আঁকা, তার সব রঙ-রেখা বোঝা যায়না; কিন্তু 'শেষ হয়ে হইল না শেষ'- এর যে রেশ রয়েই যায়, তার আবেশেই পাতা উল্টাতে হয়। এবং পাতা উল্টেই আমরা ঢুকে পড়ি 'করালীর আত্মজন' গল্পে, যার প্রথম বাক্যই আমাদের বাস্তবের জগতে তুলে আছাড় মারে — "করালীর আত্মা স্টোর রুমে রেখে এসে তনুকে ফোন করলাম"। কী ভয়ানক!

    গল্পের নায়ক করালী একটি ইউনিক চরিত্র : সে পুরোনো ধ্রুপদী সিনেমা দেখে, যোগাড় করে অন্যদের দেখায়, ভালো লেখে বা লিখতো, তার রসবোধ উচ্চস্তরের; কিন্তু যথেষ্ট বন্ধুবৎসল হয়েও তার পছন্দ-অপছন্দের বিভাজন-রেখাটি বেশ গভীর এবং দীর্ঘ। ফলে বন্ধুমহলে তার সমাদর তেমন সমৃদ্ধ নয়। এই অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু সে বেড়াল পোষে, এবং একটা আধটা নয়, বাড়তে বাড়তে তারা পঞ্চাশে পৌঁছেছে। প্রায় পঙ্গপালের পর্যায়েই বলা চলে, কিন্তু এই মার্জার-বাহিনী তার বাড়িতেই থাকে, খায় এবং বাকি কাজগুলিও করে, যা করালীর বাসস্থানকে ঠিক বাসযোগ্য রাখে না। যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় যে লোকে তো বেড়াল পুষতেই পারে, বিশেষ করে যখন সে প্রায় একাকী বা স্বজন-পরিত্যক্ত, তাহলেও একটা আপাত-ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য বাকি থেকে যায়। আর সেখানেই প্রথম গল্পটির যাবতীয় মোচড় : করালী আত্মা 'কালেক্ট' করে!

    অর্থাৎ যে কোনও সূত্রেই হোক্‌, নানারকম মৃত ব্যাক্তির আত্মা সংগ্রহ করে: এইসব দুর্লভ বস্তু রাখা থাকে ছিপি-আটকানো বাঁশের সিলিণ্ডারে বা চোঙে। যার জবানিতে গল্পটি লিখিত, অর্থাৎ করালীর বন্ধু লেখকও পুরো ব্যাপারটাকে আজগুবি বলেই মানেন এবং প্রতি পদেই তাঁর সংশয় প্রকাশ করেন। এই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জোয়ার-ভাটাতেই গল্পটি এগোয়। করালী শেষ পর্যন্ত মারা যায়। তার বিড়াল-বাহিনীর ঠিকঠাক গতি হয়। (বাস্তবিক দেখতে গেলে মূল গল্পের বুনটে এই বাহিনীর কোনও ভূমিকা নেই, একমাত্র পটচিত্রের প্রাসঙ্গিকতা ছাড়া!) - কিন্তু তার আত্মা-সংগ্রহের ভবিতব্য নিয়েই গল্প গন্তব্যের দিকে চলে। তার বিশদ বিবরণ তোলা থাকুক আগ্রহী পাঠকের জন্য, আমি সমালোচক হিসেবে এইটুকু বলেই ক্ষান্ত হই, যে অবিশ্বাসের শক্ত ইমারতও এক অস্পষ্ট বিশ্বাসের কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায়; পুরাতন প্রেম এখানে ঢাকা পড়ে না কোনও নব প্রেমজালে, বরং তিনটি সত্তাকে এক virtual reality-র আবরণে আপন করে নেয়।

    'নতুন কবিতার কবি' বইয়ের দ্বিতীয় গল্প। প্রথম গল্পটি যদি 'আধিভৌতিক' বলি, এইটি সম্পূর্ণভাবেই স্যাটায়ার-ধর্মী, যেখানে ছত্রাক-সদৃশ নব্য কবিকুল ও তাদের সৃষ্টিসম্ভারকে রোহন কুদ্দুস চাবুকে চাবুকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করেছেন। শুধু কবিকুল কেন, পরিবর্তনের পর পশ্চিমবঙ্গে কায়েম নতুন সরকারের নানা কিম্ভূত (অদ্ভুত এর থেকেও যা বিদ্‌ঘুটে ও বিকট) সিদ্ধান্তের প্রতি কটাক্ষ বা ধিক্কারও বড়ই প্রকট ভাবে প্রকাশ পেয়েছে: যথা রেল দফতরের প্রধান পরামর্শদাতার পদে নিযুক্ত হলেন এক 'নতুন' কবি। অথবা "এবার ভোটের পর থেকে দিনকাল দ্রুত বদলে যাচ্ছে; মুখ ফসকে কিছু বের হলেই মরার ওপর খাঁড়ার ঘা পড়বে"। হয়তো একটু মোটা দাগের কিন্তু পাঠক এর সঙ্গে সহজে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে পারেন, যাকে বোধহয় 'relatability' জাতীয় কিছু বলা চলে। এই গল্পের নায়ক এক উদীয়মান কবি, যিনি নতুন লেখেন, প্রচুর লেখেন, কিন্তু কেন লেখেন জানেন না। একটি প্রতিবাদী প্রশ্নাকুল তরুণ তাঁকে বার বার একই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে প্রায় পাগল করে দেয়। 'কেন লেখা'র মৌলিক প্রশ্ন ছাড়াও আধুনিক বা নব্য কবিতার দুর্বোধ্যতার প্রতিও ইঙ্গিত আছে গল্পে, যেটা শেষ হচ্ছে একটা melodramatic এবং কিছুটা tragic একটি চিত্রকল্পে যেখানে ঐ নতুন কবি ছোট ছেলেমেয়েদের তাঁর নিজের জীবনের গল্প শোনাচ্ছেন আর ঝোড়ো বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর ২৩টি কবিতার বইয়ের ১২৭৪টি পংক্তি বা অহেতুক অপরাধ।

    বইয়ের তৃতীয় গল্পে ঢুকবার আগে পঞ্চমে যাই — 'নকলনবিশ' কেননা এ'দুটি গল্পের থিমে কিছুটা হলেও সাদৃশ্য আছে। এখানেও এক কবি, তবে এ কাহিনী তার নতুন বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে। আজকের অরণ্যে খাজনাকে যেখানে বাজনা ছাপিয়ে গেছে বহুগুণে, যেখানে কবিতাপাঠকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে Performing Art এর পর্যায়ে নিতান্তই নতুনত্বের খাতিরে সেখানে গল্পের শেষের মোচড়ে কবি তার কবি সত্তাকেই হারিয়ে বসে থাকেন। উলঙ্গ রাজার নগ্নতা ঘোষণা করে অপাপবিদ্ধ একটি শিশু, যেমনটি হয়!

    চতুর্থ কাহিনীটি (মিরো) প্রায় রূপকথার পর্যায়ভুক্ত। অথবা কল্পবিজ্ঞান বলাই সঙ্গত। ভয়ানক উত্তাপে পৃথিবীর আসন্ন ধ্বংসের পূর্বাভাসে মানুষ চলে যাচ্ছে গ্রহান্তরে : মঙ্গল/বৃহস্পতি বা শনিতে! বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা গল্পটিতে 4th dimension এর নারী মিরো দাপিয়ে বেড়ায়। বেঁচে থাকার দুর্দমনীয় লিপ্সাও যদি এ গল্পের প্রাণপাখি হয়, তাহলেও কী যুক্তিতে স্তনবৃন্তের রঙ বা যৌনাঙ্গের আকৃতি এতে স্থান পায় আমার বোধগম্য হল না। বলাবাহুল্য আমার জ্ঞানতঃ এই-জাতীয় কোনো allergy নেই, নেই শুচিবায়ুও! তাই মনে হয় abstract স্তরের এই কল্পকাহিনীতে যৌন সুড়সুড়িটুকু না দিলেও বোধহয় চলত।

    তৃতীয় গল্পটি আমার মতে এ বইয়ের সবথেকে বেশি মাটির কাছাকাছি। হাল্কাচালে লেখা 'পটলকাকিমার ফেসবুক' আজকের সমাজের তথাকথিত প্রগতিশীলতার পতাকাবাহী। অবশ্যই রোহন কুদ্দুস-গোত্রীয় স্যাটায়ারের রঙ সেই পতাকায়। অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ এক ভদ্রমহিলার জীবনে Facebook এর নেশা কী পরিণতির দিকে নিয়ে গেল, গল্পটি তারই মনোগ্রাহী বিবরণ। এর মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য পূর্বজন্ম-সংক্রান্ত ফেসবুকের তথাকথিত রিপোর্ট কার্ড; যাতে বলা হয়েছে উনি গতজন্মে একটি ব্যাং ছিলেন এবং সাপের পেটে তার পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটেছিল। এবং যেহেতু "ফেসবুক তো আর মিথ্যে বলতে পারে না" — বিশ্বাসের শিকড় অতি গভীরে, সুতরাং জটিলতর গহ্বরে পড়ে যান এই মহিলা; নেশা আরও জেঁকে বসে! শেষমেশ কীভাবে এই নাগপাশ থেকে মুক্তি - তাই নিয়েই গল্প। যদিও শেষপর্যন্ত গল্পটায় খানিকটা Moral Science বা নীতিকথার ছোঁয়া লাগে, তবু এখানেও সেই Relatabilty (??) factor ই গল্পটিকে ভাল লাগায়।

    'সফোর বাঘ' কেও science fiction এর দলেই ফেলা যেত, যদি এর মধ্যে কিছুটাও science থাকতো। নেই। Software professional দের সফো নামের ইতিবৃত্তান্ত আমার ঠিকঠাক জানা নেই, কিন্তু তাদের অফিস-ইন্টারভিউ-কাজের বৃত্তান্তের যে ছবি লেখক এঁকেছেন তা সম্পূর্ণই বিশ্বাসযোগ্য। যেটা পরাবাস্তবের পর্যায়ে সেটা দুটো বাঘ। প্রথমে আমাদের নায়কের; পরে তার প্রেমিকা লিপির — সেটা বাঘিনী। নায়ক-নায়িকার সাক্ষাৎ হবার পরে ঐ বাঘ-বাঘিনীও নিজেদের খেলায় মাতে। নানান মুড-এ তাদের হাঁক-ডাকের বৈচিত্র্যও কাহিনীর আকর্ষণ বাড়িয়েছে, ঘখা ঘ্রাউম্‌ (খুশি?), গ্রেঁও (বিরক্তি?), ঘ্রানাঘিন (আহ্লাদ?)। কিন্তু সফোর প্রেম, বাঙ্গালোরের কর্মজীবন, রিমা-লিপি-সফোর ত্রিভুজ, virtual বাঘের আকস্মিক দৃশ্যমানতা, এ সমস্ত মিলে কেমন "ঘেঁটে-ঘ" হয়ে গেল না? যদি বা হল, তারপর বাঘ নিয়ে শহর জুড়ে ভয়-ভীতি-উন্মাদনা এবং রাজনৈতিক ডামাডোল, গোপুরাম আলতো মস্তিষ্ক কেন্দ্র, অধ্যাপক রঙ্গনাথন, মনোচিকিৎসক ড: বসির — পুলিশের ও.সি নাগরাজু, পুলিশ কমিশনার — গল্পের মঞ্চে এতগুলো চরিত্রকে নামিয়ে দিয়ে গল্পটাকে কোথায় পাঠালেন লেখক? বার বার পড়ার পরেও "সফোর বাঘ" বহু-বর্ণের বহু-রেখার বহু-মাত্রার একটি কোলাজই রয়ে গেল; জগঝম্প কাড়া-নাকাড়া তূরী-ভেরীর সমবেত স্বরে কোনও স্মরণীয় সুরই শুনতে পেলাম না।

    বরং আবারো কল্প-বিজ্ঞানের কায়দায় লেখা জাটিঙ্গা ফ্লাইং ক্লাব (বইয়ের ৭ম ও শেষ গল্প) খানিকটা abstract হয়েও অনেক আঁটোসাঁটো। 'জাটিঙ্গা' আসামের সেই গ্রাম যেখানে বছরের একটা বিশেষ সময়ে অজানা কারণে হাজার-হাজার পাখি আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মরে। এই আপাত-আত্মহত্যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। কিন্তু জীবনযুদ্ধে নিত্য পরাজিত, অপমানিত, প্রত্যাখ্যাত অব-সাধারণ এক পটলবাবু যখন এক অলৌকিক আমন্ত্রণ পেলেন মান্দার পর্বতে যাবার আর এক উড্ডীয়ান প্রতিযোগিতায় যোগ দেবার, তখনও নির্দ্ধিধায় অ্যাডভেঞ্চারে চললেন তিনি। কিছু ভয় ছিল, অনেক প্রশ্নও ছিল; কিন্তু নতুন করে কিছু হারাবার না থাকায় আমাদের পরিচিত পটলবাবু ডানা লাগিয়ে শুধু উড়তে শিখলেন না, গল্পের শেষভাগে দেখি তিনি এই উড্ডয়ন-শিক্ষার কোচিং ক্লাস খুলেছেন, ছোটদের জন্য তো বটেই, বয়স্কদের জন্যই বা কেন নয়? কল্পনার বা অবাস্তবতার ছোঁয়া তো ভালরকমই রয়েছে গল্পটিতে, কিন্তু এ সবকে ছাপিয়ে একটা চিরন্তন সত্য গভীরভাবে মনের গহনে গেঁথে যায়, যা আজকের ম্যানেজমেন্ট। গুরুদের ভাষায় internal locus of control, আর আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রের ভাষায় "উদ্ধরেৎ আত্মনা আত্মম, নাত্মানম অবসাদয়েৎ"। অদ্ভুত এক সমাপতনে মনে পড়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রথিতযশা অধ্যাপকের কথা, যিনি তাঁর এক মেধাবী ও কৃতবিদ্য ছাত্রকে আশীর্বচনে বলেছিলেন "উড়ো, উড়ো! লেকিন প্যয়র জমিন পর রাখো"। ওড়ো, আরও ওড়ো, কিন্তু পা যেন জমিতে থাকে।

    সম্ভবতঃ হাল্কা-ভারী-পাতলা-মোটা সাতটি ভিন্নস্বাদের গল্পের মধ্যে 'জাটিঙ্গা ফ্লাইং ক্লাব' আমাদের একটা অন্য জগতের সন্ধান দিয়ে যায়। পরিবর্তিত এবং পরিবর্দ্ধিত পটলবাবু আমাদের altar-egoর প্রতীক হয়ে থেকে যান আমাদের সঙ্গে।

    রোহন কুদ্দুস সাহেবের রসবোধের কথা না উল্লেখ করলে পাঠক এবং সমালোচক হিসেবে আমি অন্যায় করবো। বুদ্ধিজীবিদের বুদ্ধিGB নামাঙ্কিত করায় যে বুদ্ধির দীপ্তি, মদের বোতল চাটা বেড়ালকে সুরারোপিত শিরোপা দেওয়ায় যে আলঙ্কারিক আনন্দ, তার থেকে কিছু কম নয় facebook chattingকে চ্যাটানো ক্রিয়াপদে রূপান্তরিত করা শব্দ বা বাক্যবন্ধ নিয়ে এ জাতীয় আরও ফুলকি রয়ে গেছে বইয়ের পাতায় পাতায়। সেগুলো তোলা থাক 'ডানাওয়ালা' পাঠকের জন্য!

    উপসংহারে দৃষ্টি আকর্ষণ করি বইয়ের পশ্চাৎপ্রচ্ছদে ৮।৯ লাইনে লেখা উত্তর-কথনের অনুচ্ছেদের প্রতি। এই কথা কটা প্রাক্‌কথনে দিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হত? না কি তিয়া-দিদি রাগ করতেন?

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments