• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫৭ | জুলাই ২০১৪ | গল্প
    Share
  • গ্রেগর সামসা কিংবা লক নেস দানব : হাসান জাহিদ


    কালে চোখ মেলে আবিরের মনে হল সে কাফ্‌কার গ্রেগর সামসার মতো পোকায় পরিণত হয়েছে। শরীরটা ভারি আর অবসন্ন ঠেকছে। মাথার ভেতরে ঘুরছে অ্যালার্মের শব্দ। সেটা কানের কাছে বেজে একসময় যেন ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে। চোখ মেলে তাকাবার আগে পর্যন্ত সে একটা অতিকায় শুঁয়োপোকার সাথে লড়ছিল। সেই পোকাটা আকারে তার দেহের সমান আর সে নিজেও ওই পোকাটাকে কামড়ে দিচ্ছিল। কিন্তু শুঁয়োপোকাটা কাঁটা দিয়ে ওর সমস্ত শরীর ক্রমাগত বিদ্ধ করে চলছিল। সে পেরে উঠছিল না।

    ন'টা পাঁচ বাজে! ধ্বক্‌ করে ওঠে ভেতরটা। অ্যালার্মের শব্দে সে জেগে ওঠেনি! উঠে দাঁড়ায় আবির। ওর গায়ের অতি ঠাণ্ডাজনিত ঘা গুলো পিনের মতো বিঁধছে। কিন্তু সেদিকে মনোযোগ দেবার মতো সময় তার নেই। দেরি হয়ে গেছে, বড্ড দেরি হয়ে গেছে। এখন যদি সে আলোর গতির চেয়েও দ্রুত দৌড়য়, তবুও কর্মক্ষেত্রে সময়মতো পৌঁছুতে পারবে না।

    ওয়াশরুমের দিকে ছুটল সে, ছুটতে ছুটতে মনে হল দুইসেট ইউনিফর্ম তার ময়লা হয়ে গেছে। ওয়াশরুমে ঢুকে আয়নায় দেখল বেঢপ গোছের দাড়ি। গত তিনদিনে সে সেভ করেনি। স্নানও সারেনি গতরাতে। সে ওয়াশরুমের কাজ সারল ঝাড়া দশমিনিটে। ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে পুরনো ড্রেস পরল। তার মনে হল, ভারি জ্যাকেটটা উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সমস্ত শরীরে টানটান চিড় ধরানো অনুভূতি — মাইনাস আঠারো বা মাইনাস বাইশ শীতলতায় সুদীর্ঘ সময়ে কনস্ট্রাকশন সাইটের উন্মুক্ত পরিবেশে রাত জেগে ডিউটি করবার ফল শরীরের এই ঘা।

    প্রায় দৌড়তে দৌড়তে সাবওয়েতে এলো সে। দেখল, পকেটে কোনো টোকেন নেই। দ্রুত ছুটল সে কাউন্টারের দিকে। পকেট হাতড়ে পার্সটা পেল সে; কিন্তু তাতে কোনো ক্যাশ নেই। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড আছে। কিন্তু কার্ড দিয়ে টোকেন কেনা যায় না। টোকেন কিনতে হলে ক্যাশ দিয়ে কিনতে হবে। এদিকে গুম গুম ভারি শব্দে সে বুঝতে পারল পর পর দু'টো ট্রেন চলে গেছে। সে মেট্রোপাস কিনল একশ বাইশ ডলার দিয়ে। মনের এই অবস্থাতেও টাকার শ্রাদ্ধে ভেতরটা হু হু করে উঠল। মেট্রোপাস সাধারণত লোকে কেনে মাসের প্রথমে বা আগের মাসের শেষ তারিখে। আর সে কিনছে মাসের পনেরো তারিখে। তার মানে পুরো একষট্টি ডলার পানিতে পড়ল। মাত্র পনেরো দিন সে ব্যবহার করতে পারবে এত দামি পাস।

    সে হাঁসফাঁস করে সিঁড়ি বেয়ে প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। মনিটরের লেখাটা দেখল — নেক্সট ট্রেন ইন সিক্স মিনিটস। ট্রেনের আসার দীর্ঘতম সময়টাতে সে প্ল্যাটফর্মে এসেছে। এক, দুই বা তিন মিনিট - যে কোনো কিছু হতে পারত। কিন্তু ওর ক্ষেত্রে তা হয়নি। আবির মনে মনে তীব্র আক্ষেপ করে উঠল - আজ এমন হচ্ছে কেন! ভারি জ্যাকেট, তার নিচের সুয়েটার আর শার্টে ঘাম ঝরছে। গলার দুইপাশের রগে আর চুলের ভেতরে ঘামের সুড়সুড়ি। জ্যাকেট আর পোশাক গলে নিজের ঘর্মাক্ত শরীরের গন্ধ পাচ্ছে সে মাইনাস সাত শীতেও। ছয় মিনিট শেষ হয়না। ডিউটি ক্ষেত্রের চিত্রটা ভেসে উঠল। ভেতরটা ফের কেঁপে ওঠে। ডেসপ্যাচে কল করে যদি পরিস্থিতিটা একটু জানানো যায়, তাহলে হয়তো শেষ রক্ষা হতে পারে। কিন্তু ডেসপ্যাচ বা যার হাত থেকে সে ডিউটি বুঝে নেবে, তারা একবারও কল করল না কেন তাকে! সেলফোনের জন্য পকেটে হাত দিল সে। মনে হল সেলফোনটা সে আনেনি। আবারও লাফিয়ে উঠল হৃৎপিণ্ড, সেলফোনটা বোধহয় ফেলে এসেছে। পকেট হাতড়ে অবশেষে পেল সেলফোন। কিন্তু হতাশ হয়ে দেখল নেটওয়র্ক নেই। সাবওয়েতে তার ফোনের নেটওয়র্ক থাকেনা। এতক্ষণ পর আবির বুঝতে পারে, ডেসপ্যাচ হয়তো মরিয়া হয়ে ওকে ট্রাই করেছে; কিন্তু পায়নি। এখন কী হবে! আবিরের কণ্ঠ প্রায় রুদ্ধ হয়ে গেল। স্টেশনের মনিটরে চিহ্ন উঠল - ট্রেন ইজ ইন দ্য ডেস্টিনেশন। ভারি গুম গুম আর খরর-খরর শব্দে সে দেখল শুঁয়োপোকার মতো দেখতে ট্রেনটা এসে দাঁড়িয়েছে আর তখনই বুঝতে পারল এটা কিপলিং-এর ট্রেন, মানে ওয়েস্টবাউণ্ড, যার শেষ স্টেশন কিপলিং। চরকির মতো ঘুরল সে, উর্ধ্বশ্বাসে ছুটল সিঁড়ির দিকে। তার দিকে তাকাল কয়েকজন যাত্রী। আবির এস্কেলেটর দিয়ে নামতে নামতে দুইবার হোঁচট খেল। ওর কপালে ঘাম, নিজেই বুঝতে পারে ওকে উদ্‌ভ্রান্ত দেখাচ্ছে। 'এসব কী হচ্ছে' বলে সে ইস্টবাউণ্ড প্ল্যাটফর্মে এল। কিন্তু অপরিসীম হতাশা ও বিবমিষা নিয়ে দেখল, ট্রেনটা এইমাত্র চলে গেল ওকে ফেলে। সে মনিটরের দিকে তাকাল, আবার সেই ছয় মিনিট! তারপর ভালো করে তাকিয়ে দেখল তিন মিনিট। ঘোলাটে চোখে তিনকে সে ছয় দেখেছিল। কিচ্ছু আসে যায় না। একমিনিট হলে ভাবতে পারত, অন্তত একটা জায়গায় আজ তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন। আবির ভাবল, যা হবার হোক, সে ফিরে যাবে বাসায়। কোম্পানি থেকে ফোন আসবে, তাকে জবাবদিহি করতে হবে। হয়তো চাকরিটা থাকবে না। না থাকুক, আরেকটি কোম্পানিতে সে ঢুকে যাবে। সিকিউরিটির কাজের অভিজ্ঞতার সুবাদে আরেকটা কোম্পানিতে চাকরি পেতে সমস্যা হবে না। মনিটরে দেখল, ট্রেন আসতে আরো দুই মিনিট। শালা সান অভ আ বিচ ট্রেন।

    ট্রেন এসে পড়ল। একটু আগের পলায়নী মনোভাব উবে গেল - যন্ত্রের মতো, ঘোরের মধ্যে সে ঢুকে গেল ট্রেনে। মাত্র দু'টো স্টেশন পাড়ি দিতে পার হয়ে গেল পনেরো মিনিট। ইস্টবাউণ্ডের ট্রেনগুলো এমনিতেই দেরি করে। ক্লিয়ারেন্স না পাবার কারণে বারবার দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। এটা কেবল আজকের চিত্র না। সব সময়ের। আবির বোধহীন প্রাণীর মতো বসে থাকে। ট্রেনের যাত্রীরা ওর দিকে তাকিয়ে ওর পাংশু মুখটাকে জরিপ করে ফেলেছে। রাজ্যের গ্লানি আর উদ্বেগ নিয়ে আবির ট্রেনের দুলুনিতে দুলতে লাগল। ওর কামরায় মাত্র জনাকয়েক যাত্রী। ইস্টবাউণ্ডে এসময় ট্রেন খালি থাকে, ভিড়টা হয় আরো সকালে অফিস আওয়ারের কারণে। অথবা এই কামরাটায় লোক কম উঠেছে হয়তো। এদের মধ্যে মাঝবয়সি খোঁচা দাড়িওয়ালা জোড়া-ভুরুর এক অতি কালো লোক ভামবিড়ালের মতো ওৎ পেতে বসে ওর দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে তো আছেই। এই লোকটার দিক থেকে নজর ফিরিয়ে নিল আবির। কিন্তু নিজের অজান্তেই বারবার আবিরের দৃষ্টি চলে যায় লোকটার দিকে। ওর ইচ্ছে হল লোকটাকে কষে একটা চড় লাগাতে।

    ট্রেন অবশেষ থামল ক্যানেডিতে। ইস্টবাউণ্ডের শেষ স্টেশন। আরো অনেকটা পথ। এরপর ওপরে উঠে বাচ্চা ট্রেন, মানে আর. টি-তে চেপে যেতে হবে স্ক্যারবরো টাউন সেন্টারে। সেখানেই ওর ডিউটি। একটা অতিকায় শপিংমল ওর কর্মক্ষেত্র। সিকিউরিটি জবে ঢুকে প্রথমে সে ইটোবিকোক এলাকার একপ্রান্তে এক নিভৃত স্থানে কণ্ডোতে রাতের ডিউটিতে ছিল কিছুদিন। তারপর তাকে বদলি করা হয় একটা কনস্ট্রাকশন সাইটে। সেখানে তিনমাস সে রাতে ডিউটি করে। পরের এক মাস সে দিনে করেছিল। এরপর তার বেতন ঘন্টাপ্রতি এক ডলার বাড়িয়ে এই শপিং সেন্টারে দিনের ডিউটি দেয়া হয়।

    বাচ্চা ট্রেনের একঘেয়ে ধাতব ঘড়ঘড়ানির শব্দে মনে হল অনন্তকাল ধরে সে ভ্রমণ করছে। এত দীর্ঘ ভ্রমণ সে যেন কখনও করেনি। এই প্রথমবারের মতো এই শহরটাকে, চারপাশের মানুষগুলোকে তার বৈরি মনে হল। জীবনটাকে মনে হল অর্থহীন সংগ্রামক্ষেত্র। সেলফোনটা আবার দেখল - বাচ্চা ট্রেনেও সে নেটওয়র্কের নাগাল পেল না। আর এখন নেটওয়র্ক থাকলেই বা কী, পরের স্টেশনটাই টাউনসেন্টার। স্টেশন আর টাউনসেন্টার একই সাথে।

    স্টেশন থেকে বেরিয়ে চত্বর মতো স্থানটা অতিক্রম করে সে ঢুকে যায় টাউনসেন্টারে। বুকের ধুকপুকানিটা আবার শুরু হল। না জানি কী ঘটে গেছে। সাধারণত রাতে যে ডিউটি করে, সে সকাল সাতটায় ফিরে যায়। সাতটা থেকে ন'টা পর্যন্ত সেকেণ্ড ফ্লোরের বুথে একজন মাত্র সিকিউরিটি গার্ড থাকে - সে বুথে বসে দুইঘন্টা সিসি ক্যামেরায় সিকিউরিটি পরিস্থিতি মনিটর করে। ঠিক ন'টায় বদলি সিকিউরিটি গার্ড এসে তার কাছে রিপোর্ট করে তারপর তার নির্দিষ্ট ফ্লোরে ডিউটি শুরু করে। আবির সেলফোনে সময় দেখল - দশটা চোদ্দ মিনিট। ভেতরটা আবার ধ্বক্‌ করে উঠল। এই একঘন্টা চোদ্দ মিনিটে ফ্লোরে কিছু ঘটে গেলে দায়দায়িত্ব সব তার। সে দুরুদুরু বুকে বুথের সুপারভাইজারের উদ্দেশ্যে এস্কেলেটরে পা রাখল। ফার্স্ট ফ্লোর থেকে সেকেণ্ড ফ্লোরের সীমানায় এসে লক নেস দানবের মতো স্কেজ্যূল কোর্ডিনেটর জর্জকে দেখতে পেল সে। ফুডকোর্টের সুবিশাল নীল ফ্লোরের সরোবরে দানব জর্জ বিচরণ করছে। জলার দানবের মতোই বিশাল কালো পিছল শরীর তার। গোটা কোম্পানিতে এই একটা লোককেই সে যমের মতো ভয় পায়। আজ কি কিছু ঘটে গেছে মলে? ফায়ার ইনসিডেন্স, শপ-লিফটিং বা অন্য কিছু? লোকটা ওর দিকে ফিরতেই আবির দেখল এই লোকটা জর্জ নয়। অন্য কেউ। কিন্তু পরমুহূর্তেই আবির রোজিনকে দেখতে পেল। সে হিসেবটা মিলিয়ে নিতে পারল। সে রিপোর্ট করেনি দেখে বুথের সুপারভাইজার ডেসপ্যাচে জানিয়েছেন। ডেসপ্যাচ রোজিনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ওকে আনিয়ে নিয়েছে। একটু দূরে রোজিন ওর দিকে পেছন ফিরে সেলফোনে কথা বলছিল। আবির রোজিনের দিকে খানিকটা এগিয়ে গেল। রোজিন গায়ানিজ। এই কোম্পানিতে রোজিনের সাথেই আবিরের বন্ধুত্বটা সবচেয়ে গাঢ়।

    রোজিন সেলফোন রেখে ঘুরে দেখতে পেল আবিরকে। এবং বিস্মিত হল। বলল, 'কী ব্যাপার তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, মনে হচ্ছে হেল থেকে উঠে এসেছ?'

    'হেল থেকেই এসেছি', আবির গম্ভীর কণ্ঠে বলল, 'আমার দেরি দেখে ওরা বুঝি তোমাকে ফোন করে আনিয়েছে?'

    'কী বলছো, অ্যাবের, তুমি ঠিক আছো তো!'

    'কে-কেন! বেঠিকের কী হল?'

    'আজ তো তোমার অফ। তোমার তো আসার কথা না।'

    আবির চুলে হাত চালাতে লাগল। ওর শরীরের চুলকানিটা এক লাফে বেড়ে গেল। সে এবার জ্যাকেটের ভেতর হাত গলিয়ে চুলকাতে থাকে শরীর। চোখের সামনে ভাসে পাঁচ ফিট সাত ইঞ্চি লম্বা শুঁয়োপোকাটা। এই মুহূর্তে তাকে পাঁঠার মতো দেখাচ্ছে। সে বোকা বোকা চোখে তাকাল রোজিনের দিকে।

    'হ্যাঁ', রোজিন বলল, 'আজ বুধবার। বুধবার আর শুক্রবার তোমার অফ্‌, তাইনা?'

    'বুধবার!' বিড়বিড় করে বলল আবির, 'অথচ ... অথচ দেখ কী ঝক্কিটাই না গেল আমার ওপর দিয়ে', আবির গড়গড় করে সব বলে গেল। শুনে হাসল রোজিন। তারপর বলল, 'তোমার এক কাপ কফি খাওয়া উচিত, দাঁড়াও বলছি।'

    ততক্ষণে টানটান উত্তেজনা সরে গিয়ে শরীর কেমন অবসন্ন হয়ে গেল আবিরের। রোজিন ওর ডানা ধরে টেনে নিয়ে ফুডকোর্টের সারি সারি আসনের একটিতে বসিয়ে দিল। তারপর কোনের দোকান থেকে কফি নিয়ে এল। কফির গন্ধে চনমনে ভাব জাগল আবিরের। রোজিন বলল, 'তুমি যখন এসে পড়েছ, আমি তবে বাড়ি ফিরে গিয়ে একটু ঘুম দিই, কী বল?'

    'তুমি ডিউটি করবে না?' নিরুপায় ভঙ্গিতে তাকাল আবির।

    'কী যে বল না, জাস্ট মজা করছিলাম।'

    কফিতে চুমুক দিয়ে এবার হাসল আবির। বলল, 'আমাকে জন্তুর মতো দেখাচ্ছে, তাইনা?'

    'তা একটু দেখাচ্ছে বৈকি', রোজিন মিটিমিটি হেসে বলল। তারপর বলল, 'কফিটা শেষ করে বাসায় ফিরে যাও। রাতে ফোন দিও।'

    ফেরার পথে সাবওয়েতে বসে গুনগুন সুরে গান গাইতে চেষ্টা করল আবির। কিন্তু কণ্ঠ দিয়ে কুঁ কুঁ ধ্বনি বেরোল; মেট্রোপাস বাবদ একষট্টি ডলার গচ্চা যাওয়াই আকস্মিক কণ্ঠ বিকৃতির কারণ। ওর চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই আজদাহা শুঁয়োপোকাটা। সেটা এখন ওর গা-ময় চরে বেড়াচ্ছে।



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments