এই সংখ্যার মধ্যে পরবাস সতের বছর পার করে আঠারোয় পা দেবে। আশা করি এখনই পাঠকরা পরবাসের পুরোনো সংখ্যার লেখাগুলো অল্প চেষ্টাতে পেতে পারেন; তা সত্ত্বেও এবারে আমরা একটা লেখকভিত্তিক সামগ্রিক সূচি তৈরি করবো। মনে হয়, সেটা সকলের পছন্দ হবে। পাঠকরা তাঁদের প্রিয় লেখকের সবরকম লেখা আরো সহজে পেতে পারবেন। এতগুলি বছর মোটামুটি নিয়মিতভাবে পত্রিকা প্রকাশের একটা ফল সাম্প্রতিক পরবাসের সূচি লক্ষ করলে ধরা পড়বে। আগে পরবাসের লেখকরা অধিকাংশই ছিলেন যাকে বলে 'নতুন' লেখক, বেশিরভাগ লেখকের নিজস্ব বই ছিলো না। এখন কিন্তু অনেকেরই দু' একটা, বা তারও বেশি বই ছাপা হয়েছে। এটা সুখবর, কারণ আন্তর্জাল-পাঠকের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়লেও তার বাইরেও অনেক পাঠক এখনো আছেন, এবং তাঁদের জন্যে অন্তত কাগুজে বইয়ের দরকার। আর হাতে প্রিয় লেখকের একটি সুখদায়ক ওজনসম্পন্ন সুমুদ্রিত বই তুলে নিতে কার না ভালো লাগে। এই সংখ্যাতে কয়েকটি বইয়ের সমালোচনা আছে যেগুলোর লেখকরা প্রধানত পরবাস এবং আন্তর্জালের মাধ্যমেই বলতে গেলে লেখার জগতে প্রবেশ করেছেন।
কাগুজে বই হিসেবে পরবাসে প্রকাশিত লেখার নানাবিধ সঙ্কলন প্রকাশ করার পরিকল্পনা অনেকেই মাঝে মধ্যে আগেও দিয়েছেন, এখনো পেয়ে থাকি। এ-ব্যাপারে চিন্তা করা হচ্ছে। পরবাসের কিছু লেখার আরো বেশি প্রচার ও তাদের লেখকদের আরো বেশি 'প্রতিষ্ঠা' পাওয়া উচিৎ। আগ্রহী প্রকাশকরা আমাদের সঙ্গে এ-ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই সংখ্যার লেখাগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই দেবদত্ত জোয়ারদারের প্রবন্ধ--কথাসরিৎসাগর: মূল, অনুবাদ প্রসঙ্গ, ‘নানাকথাজাল’। এই বিষয়ে যে এমন সুন্দরভাবে সামগ্রিক পটভূমি, তথ্য ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ লেখা এত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা যেতে পারে সেটা না পড়লে বোঝা যাবে না। আশা করি ভবিষ্যতে এইরকম আরো লেখা আমরা পরবাসে প্রকাশ করতে পারব যেগুলি সদর্থেই অ্যাকাডেমিক।