• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫৬ | মার্চ ২০১৪ | ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
    Share
  • সিনেমা ও নাটক - সমালোচনা : তাপস চক্রবর্তী

    || কমলেশ্বর মুখার্জীর চাঁদের পাহাড় ||

    চাঁদের পাহাড়; পরিচালনা: কমলেশ্বর মুখার্জী; অভিনয়ে: দেব, তমাল রায়চৌধুরী, লাবণী সরকার

    প্রথমেই বলবো বাংলা ছবির ইতিহাসে এরকম একটা ছবি যে করা যায় তা কমলেশ্বরই প্রমাণ করে দিল। ১৫ কোটি টাকা পেলেই যে কেউ চাঁদের পাহাড় বানাতে পারতনা। বোদ্ধাদের এ ছবি খারাপ লাগার যথেষ্ট কারণ আছে। টেকনিক্যাল ত্রুটিও আছে অনেক। সে কি কোলকাতায় তোলা ছবিতে থাকেনা? মনে রাখতে হবে ছবিটা তোলা হয়েছে আফ্রিকাতে, দেশি বিদেশি অভিনেতা নিয়ে দোভাষী নিয়ে কাজ করতে রামোজী স্টুডিওতেও হ্যাপা পেয়েছেন প্রচুর পরিচালক। কিন্তু কমলেশ্বর ছবিটা শেষ করেছেন বিভূতিভূষণের মূল গল্পটিকে ধরে রেখে।

    ছবিটা খারাপ লাগার হয়ত অনেক কারণ আছে। প্রথমত একশো বছর আগের পটভূমিকায় গল্পটা শুরু করা হয়েছে। আর সারা ছবিতে মাত্র একটা সিংহ, সাতটা হাতি, গোটা ছয়েক চিতা, একটি বিষাক্ত সাপ দিয়ে আফ্রিকার কোনো এডভেঞ্চার ভরানো সম্ভব নয়। তাই, আফ্রিকা বেশ জন্তু জানোয়ারহীন মনে হয়েছে। জুলুদের মাত্র একটি গ্রুপ বার বার দেখানো হয়েছে। একই লোকেশন দুবার করে ব্যবহার করা হয়েছে। একটা প্রায়ান্ধকার ঘরে শঙ্কর বসে চিঠি লেখে যেটা ঘুরেফিরে দেখানো হয়েছে। কেন তা বোঝা যায়নি। শঙ্করকে সিংহের তাড়া করা, শঙ্করের লাফিয়ে জঙ্গলের কাঠের গুঁড়ি পেরনো সমন্বয় রাখা যায়নি। হাতি ঘিরে ফেলার পর শঙ্কর ফাঁদে পা দিয়ে যখন গাছের ওপরে চলে যায়। টপ শটে নীচে একটাও হাতি দেখা যায়না। রবিরঞ্জনের হাতে প্রচুর শট না থাকায় এডিটিং-এ তিনি হোঁচট খেতে খেতে এগিয়েছেন, কিছু করার ছিলনা।

    অন্যদিকে শঙ্কর আলভারেজের পাহাড় ওঠার সিন, সিংহের স্টেশন আক্রমণ। আলভারেজ খেতে বসেছে মাথার পেছনে সিংহ এসে দাঁড়িয়েছে, সিংহ তাড়া করছে শঙ্করকে, বিছানায় বিষধর সাপ এবং কাঁকড়া বিছে — যে কোনো আমেরিকান ছবিকে হার মানাতে পারে। আগ্নেয়গিরি এবং প্রাগৈতিহাসিক জন্তুটিকে নিখুঁত ভাবে ছবিতে এনেছেন কমলেশ্বর।

    চাঁদের পাহাড়ের অভিযানটা--ঘোড়ায় চড়ে আফ্রিকা প্রান্তর পেরনোর সময় আরো কিছু ঘটনাবলী থাকলে অনেক বেশী ভাল লাগত। ভাল লেগেছে নির্জন আফ্রিকার রেল স্টেশন, দিনের একমাত্র ট্রেন, রাতে সিংহের ভয়ে ঘোড়ার পালিয়ে যাওয়া। প্রাগৈতিহাসিক জন্তুটিকে মারবার জন্য শঙ্করের ফাঁদ তৈরীতে ডিটেলসের কাজ এবং তাকে মারার দৃশ্যটা চমৎকার। পাহাড়ে ওঠার শটগুলো অসম্ভব ভালো। ক্যামেরা যেখানে কেঁপে গেছে সেটা কমলেশ্বর নিশ্চই বুঝে কাঁপিয়েছেন। ঐ পারিপার্শ্বিক ঘটনায় শঙ্করের মানসিক অবস্থাটা বোঝাতে। ওটা ক্যামেরাম্যানের ভুল নয়। যখন আধুনিক মনিটারের সাহায্যে সমস্ত শট ভালো করে সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, সেখানে নিশ্চই ক্যামেরা কেঁপে যাওয়াটা পরিচালক দেখেশুনেও রেখে দেবেন। এটা ভাবা অন্যায়। ভালো লেগেছে যে উনি আফ্রিকার ওপর স্টক শট লাগিয়ে ছবিটা ভরে তোলেননি।

    বাচ্চাদের যথেষ্ট ভালো লেগেছে। আমাদের ততটা ভালো লাগেনি কারণ আমরা আফ্রিকার ওপরে এত বিদেশী ছবি দেখেছি, এত এডভেঞ্চারের ভালো ভালো ছবি দেখেছি যে ছবিটা একটু পানসে লেগেছে। কিন্তু ছবিটা আমাদের জন্য তোলা হয়নি। যাদের জন্য তোলা হয়েছে তাদের ভীষণ ভালো লেগেছে এটাই ভালো ছবির রেসিপি।

    অভিনয়ে দেবের ভেতর সেই ভূপর্যটকদের ক্ষিদের চেহারাটা পাওয়া যায়নি। মেক আপ আর একটু নজর দিয়ে করা উচিত ছিল। দেবের রোমান্টিক ইমেজটাই মুখোশের মত এঁটে রইল শঙ্করের চেহারার হাবেভাবে। ভয়ঙ্কর সাহসী শটগুলো দেবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ দেবের প্রাপ্য। অন্য কোনো হিরো এ ছবি হাতেই নিত না। আলভারেজ, ট্রেনের গার্ড, তমাল লাবণী চমৎকার অভিনয় করেছেন।

    যে যাই বলুক কমলেশ্বর বাবুর এ ছবি বাংলা ছবির ইতিহাসে দিগফলক হয়ে থাকবেই। আর নিঁখুত ছবি তোলে কটা পরিচালক মশাই?



    || সৃজিত মুখার্জীর জাতিস্মর ||

    জাতিস্মর—পরিচালনা: সৃজিত মুখার্জী; চিত্রনাট্য: সৃজিত মুখার্জী; অভিনয়ে: প্রসেনজিৎ, যীশু সেনগুপ্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ

    এ ছবিতে জাতিস্মর এসেছে অন্য একটি প্রেমের গল্পের সঙ্গী হয়ে। পরিচালক এ ছবিতে পুনর্জন্মের দুটি বিভিন্ন রূপ দেখিয়েছেন। আসল গল্প একটি গুজরাটি ছেলেকে (যীশু সেনগুপ্ত) নিয়ে, যে বাঙালী মেয়ের প্রেমে পড়ে, তাকে পাবার জন্য নিজেকে বাঙালী করতে চায়, এক ধরনের পুনর্জন্ম পেতে চায়। তাই সে বাংলা গান শেখে। এন্টনী ফিরিঙ্গি নিয়ে থিসিস করে--যে পর্তুগীজ হয়েও বাঙালী কবিয়াল হয়ে উঠেছিল। এই সূত্রেই চন্দননগরে মিউনিসিপাল লাইব্রেরীয়ান কুশল হাজরার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং জানতে পারে কুশল হাজরা নিজেই এন্টনীর জাতিস্মর।

    কুশল হাজরার স্মৃতি থেকে হঠাৎ হঠাৎ এন্টনীর আবির্ভাব হয়েছে ছবিতে এবং বেশ কয়েকবার খাপছাড়া অপ্রয়োজনীয় সময়ে। ছবিতে শুরু থেকে এণ্টনীর মুখ না দেখানোর কোনো যুক্তি পাওয়া যায়না যখন দুমাস আগে থেকেই প্রচারে বিজ্ঞাপনে এন্টনীর মেক আপে প্রসেনজিতকে দেখানো হয়ে গেছে দর্শকদের। বাগবাজারের ফিরিঙ্গি কালীর সামনে মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়া কুশল হাজরাকে সুপার ইমপোজ করে এন্টনীতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা অসম্ভব ভালো, গুজরাটী ছেলেটির বাঙালীয়ানায় পুনর্জন্মটাও বেশ ভালো ধাপে ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কবিয়াল এন্টনী আর তার কবিগান তরজা প্রক্ষিপ্ত মনে হয়েছে।

    কুশল হাজরা-রূপী প্রসেনজিৎ অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছেন। এর আগে নিজেকে এভাবে ভেঙেচুরে কখনো তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। যীশু-স্বস্তিকা বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। সৌদামিনীর শেষ চমকটা দারুণ। কিন্তু পরিচালনায় বেশী ওস্তাদির যে লক্ষণটা দেখা গেছে সেটাই ছবির মাইনাস পয়েন্ট। কবীর সুমনের সুর ভালই কিন্তু কবিগানেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে। সময়কে ধরতে গিয়ে ধরতে পারা যায়নি। ক্যামেরার কাজ প্রশংসনীয়। এন্টনী হিসেবে প্রসেনজিৎ মেকআপটাকেই হাতিয়ার করে অভিনয়টা করেছেন, ভালই। সৃজিতের পরিচালনায় আঙ্গিকগত ত্রুটি শুধু ফ্ল্যাশব্যাক-ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ডের সাযুজ্য না রাখায় ব্যাহত হয়েছে। কবিগানের এডিটিং ঠিকঠাক হয়নি। চিত্রনাট্য এর জন্য কিছুটা দায়ী।



    || কসবা অর্ঘ্যর প্রযোজনা - শেক্সপিয়র্স ট্র্যাজিক হিরোজ ওথেলো ম্যাকবেথ হ্যামলেট কিং লিয়র ||

    শেক্সপিয়র্স ট্র্যাজিক হিরোজ ওথেলো ম্যাকবেথ হ্যামলেট কিং লিয়র—পরিচালনা: মনীশ মিত্র

    এটা কি নাটক? নাকি শ্রুতিনাটকের চলমান আঙ্গিক? শ্রুতিনাটক যে বসেই পড়তে হবে এই ব্যাপারটাকে ভেঙে নতুন অপ্রচলিত আঙ্গিকে শ্রুতিনাটক পরিবেশন। শ্রুতিনাটকে বসে বসেই একটা নাটক অভিনীত হতে থাকে, পরতে পরতে কাহিনী উন্মোচিত হয়। সুরু থেকে শেষ হয় গল্পের শেষ অঙ্কে পৌঁছে। পরিচালক মনীশবাবু গোটা ম্যাকবেথ হ্যামলেট আর ওথেলোর কাহিনীকে বেঁধেছেন সূত্রধারের বক্তব্যের ভেতর দিয়ে। কাহিনীর মধ্যে যোগসূত্র সেই হত্যা হিংসা ব্যাভিচার প্রতিশোধ লোভের বিবরণ যা গ্রীক ট্র্যাজেডি অডিপাস রেক্স থেকে এই শেক্সপীয়ারের তিনটি ট্রাজিক চরিত্রের মধ্যেও একইভাবে মূর্ত।

    দোলায় চড়ে এক নারী সূত্রধার গ্রীক নাটক থেকে ম্যাকবেথ পর্যন্ত এই হত্যা হিংসা রক্তের চিরাচরিত প্রবহমান ঘটনার সূত্রপাত করেন, এবং দুটি মধ্যান্তরের পরে পরে হ্যামলেট ও ওথেলোর শুরুতেও একই কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেন। তারপর একাধিক চরিত্র মঞ্চের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ম্যাকবেথের গল্পটা বলতে থাকেন সূত্রধার হিসেবে, এবং দুএকটা দৃশ্য ম্যাকবেথ লেডি ম্যাকবেথ ইত্যাদিরা অভিনয় করে দেখান। হ্যামলেটের সময় পরিচালক গোটা নাটকটিতে একটিও সূত্রধারকে নড়তে চড়তে দেননি। কোনো ঘটনা অভিনীত হয়নি, শ্রুতিনাটকের মত পঠিত হয়েছে, আবার ওথেলোতে গিয়ে সূত্রধার, কিছু অভিনীত দৃশ্য দিয়ে নাটক শেষ।

    কেন হ্যামলেটের কাহিনীতে তার নাটক স্থির হয়ে যায় তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। ডাকিনী যোগিনীরা ম্যাকবেথে যতটা সক্রিয় হ্যামলেটে ততটাই নিশ্চুপ। এই নাটকের সবচেয়ে বিতর্কিত দৃশ্য ডেসডিমোনাকে হত্যার পর ওথেলো নগ্ন হয়ে আর্ত চীৎকার করতে থাকেন, নাটকের কুশীলবরা সবাই এসে কার্টেন কলের জন্য দাঁড়িয়ে পড়েন ঠিক এই বিতর্কিত দৃশ্যের পরেই। মনীশবাবু কেন ওথেলোকে নগ্ন করলেন? কি বোঝাতে চাইলেন এই দুঃসাহসিক দৃশ্যটিকে নাটকে এনে? ওথেলো ডেসডিমোনার ঘনঘন চুম্বন দিয়ে তৃতীয় অঙ্ক শুরু, এবং অন্তিম সহবাস করে নগ্ন ওথেলোর চীৎকারে।

    নাটকের ভেতর শেক্সপীয়ার যেভাবে চরিত্রদের লোভ হিংসা প্রতিশোধ হত্যা দেখিয়েছেন, এ তো মানুষের চরিত্রকে, তাদের মনুষ্যত্বের আদিম পশুরূপকেই প্রতিফলিত করে, তাই কি ওথেলো আমাদের জানিয়ে দেন এই হচ্ছে গ্রীক (??), বৃটিশ নাটকের আসল চেহারার চরিত্র, এদের নিয়েই যুগযুগ ধরে আমরা তারিফ করি। অভিনয় করি, বস্তুতঃ আমরা মনুষ্যত্বের এই দিকগুলোই তো নগ্ন করে দেখাই! মনীশবাবু ওথেলোকে নগ্ন করে আমাদের সেই বার্তাটাই কি পৌঁছে দিলেন?

    যারা ওথেলোর নগ্ন দৃশ্য থেকে আঁতকে উঠছেন, বা ভাবছেন এটা অশ্লীলতা যৌনতার পরিবেশন হচ্ছে, তাদের জানাই নাটক দেখলে এসব কথা বলবার সুযোগ পাবেন না। পরিচালক ওথেলো নাটকে পেছনের পর্দায় পৃথিবী বিখ্যাত চারটে ন্যুড পেন্টিং বার বার দেখিয়েছেন গোটা নাটকটা চলাকালীন। বক্তব্য খুব পরিষ্কার। ঐ ছবিগুলো যদি অশ্লীল না হয়, ঐ ছবিগুলো যদি সত্যিকারের শিল্প হয়, আমার নাটকেও আমি সত্যিকারের শৈল্পিক একটি দৃশ্যই অভিনয় করাচ্ছি। এতটুকু দ্বিধা না রেখে বলতে পারি মনীশবাবু অত্যন্ত সচেতন দৃষ্টি নিয়ে অসম্ভব শৈল্পিক চেতনায় চুম্বন-সহবাস-নগ্নতা নাটকে এনেছেন যা দেখে একবারের জন্যও তাতে অশ্লীল যৌনতার সুড়সুড়ি মনে হয়নি। এই জন্য তাকে তারিফ জানাতে হয়।

    নাটকটার জন্য উনি প্রতিদিন নাকি এত গালিগালাজ অপমান হজম করছেন যে বন্ধ করে দেবার মনস্থির করে ফেলেছেন। পিকাসো গগ্যাঁর ন্যুড দেখে শিউরে ওঠেন যারা তাদের জন্য যদি নাটক করতে হয়, সিনেমা বানাতে হয়, তাহলে সব ছবি হাঁদাভোঁদা লরেলহার্ডিতে আটকে থাকবে। এক পাও এগোবে না। তবে মনীশবাবু বিপদটা কোথায় জানেন? আপনি শিক্ষিত মানুষ, শিল্পকে সৎভাবে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে জানেন এবং করেছেন। কিন্তু এই নগ্নতা একটা অ্যাটম বোম, এটা অশিক্ষিত ফায়দা-লোটা পরিচালকদের হাতে পড়ে শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে, এই ভয়টা থেকে আমাদের কিন্তু মুক্তি নেই।

    সার্বিকভাবে এটাকে নাটক বলতে পারছিনা। সূত্রধার ব্যবহার করে নাটক এগিয়ে নিয়ে যাবার মধ্যে কোথায় একটা ড্রামা যেন কিছুতেই তৈরী হয়না। সবসময় খেই-হারানো ভাঙা সেতু জোড়া দেয়ার প্রক্রিয়াটা চলতে থাকে। তাতে একাগ্রতা থাকে না। এই উপস্থাপনাটা অন্য কি ভাবে করা যায় ভাবতে হবে। পৃথিবীবিখ্যাত ন্যুড পেন্টিং দেখিয়ে আমাদের চোখকে শিক্ষিত করে তবে ওথেলোকে নগ্ন দেখাবার প্ল্যানটা দর্শককে এতটা আণ্ডার এস্টিমেট না করলেও হোত। তবু বলবো অন্য আলোয় চরিত্রগুলো এবং তাদের অমানবিক চেহারাকে নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করে শেক্সপিরিয়ান নাটকের জন্য নতুন দরজাটা খুলে ভালই করেছেন।



  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)