পরের বার যখন মীনাক্ষীদির সঙ্গে দেখা হল, ওর চেহারাটা একদম ধ্বস্ত আর ক্লান্ত দেখাল। যদিও মোটা হয়েছে কিছুটা, গালটা ঈষৎ ফোলা ফোলা, চোখের তলে কালোভাব, মুখে পাউডার, কপালে বড় টিপ, চুলগুলো আরো একবার ট্রিম করে নিয়ে স্মার্ট, খুব চড়া কালো ব্লাউজ ও সোনালি বর্ডার দেওয়া চোখে ধাক্কা দেওয়া শাড়ি, হেভি ক্যাট দেখাচ্ছিল কিন্তু সব ছাপিয়ে উঠে এল ওর মধ্যের ধামসে যাওয়া, বিষণ্ণভাব...
কিন্তু একথা তো বলা যায়না কাউকে। তাই উল্টোটাই বলা হয়। তোমাকে হেভি ক্যাট লাগছে কিন্তু।
ওকে চোখে রে ব্যানের কালো চশমা চড়িয়ে নিউ মার্কেটের বাইরে দেখলাম। রোদে হেঁটে আসছিল। সিম পার্কের গোলাপি টাইলবসানো চত্বরে। কেমন ঝকঝক করছে ও। অথচ কাছে আসতেই মনে হল মীনাক্ষীদির ঠোঁটটাও কেমন ফুলো ফুলো, ফ্যাকাশে, দীর্ঘকাল লিপস্টিক লাগাতে লাগাতে যেমন হয়ে যায়, একদিন হঠাৎ লাগাতে ভুলে গেলে... আরো প্রকট...
“তারপর, চলছে কেমন?”
হেসে বলল মীনাক্ষীদি, ধুরন্ধরের মতন বলল। শুধু ক্লান্তই দেখাচ্ছিল না ওকে, ওর দাঁতগুলো এত বেশি ঝকঝকে, বানানো হাসির, এত মডেলদের মত যে ওকে ভীষণ নিষ্ঠুরও দেখাচ্ছিল।
ভালই । তুমি কেমন আছ গো, মীনাক্ষীদি? আমি ঘরোয়া, আন্তরিক হওয়ার মরিয়া চেষ্টায়।
আমার, অ্যাজ ইউজুয়াল, ভাল্লো! চুল ঝাঁকিয়ে মীনাক্ষীদি বলল। খুব আত্মসচেতনভাবে আমার জামাকাপড়ের দিকে তাকিয়ে অনুকম্পার স্বরে বলল, এখানে ব্যাপারটা কি, পুজোর বাজার?
আবার ভুল হয়ে গেল আমার। আজকে এই মরা মরা বাদামি রঙের খাদির কুর্তিটা না পরলেই চলছিল না? ছ্যাঃ, কখনো আর পোশাকের ব্যাপারে জাতে উঠতে পারলাম না আমি। বিশেষত এমন পালিশ লাগানো বান্ধবীদের সামনে পড়লে আমার অক্ষমতা কেমন যেন আন্ডারলাইন হয়ে যায়।
হ্যাঁ, ওই একটু দেখছিলাম। তোমারও তাই?
আমার আবার পুজো! খুব অহংকারের সঙ্গে দুঃখ করে বলল মীনাক্ষীদি। --আমার কাছে সব সমান, বর্ষা শরৎ সব সিজন। সময় কোথায়?
বেশ ঝাঁঝালো রোদে এখন দাঁড়িয়ে আছি আমরা, সামনে দিয়ে একটার পর একটা ট্যাক্সি কেনাকাটার ভিড়ের মধ্যে দিয়ে পথ কেটে ঘষটাতে ঘষটাতে গালাগালি বর্ষণ করতে করতে চলে যাচ্ছে। সবচেয়ে ঝলমলে কাচের বাতায়নে মাছি পড়ার মত বউমেয়েদের ভিড়, বাইরে ক্যাটকেটে রোদ্দুরে যদিও ভেতরগুলো ম্রিয়মাণ দরিদ্র লাগছে। এরকমই একটা লম্বাটে কাচমোড়া বাড়ির টঙে একটা বিষণ্ণ কর্পোরেট অফিসের একজিকিউটিভ মীনাক্ষীদি। পি আর ম্যানেজার।
আমার হাতেও দু তিনটে প্লাস্টিক ব্যাগ। ওর হাতেও তাই। অথচ ফাট মারছে দেখ, ও নাকি শপিং করতে আসেইনি। সময়ই পায়না।
বেশ রিপালসিভই লাগছে ওকে এখন আমার। ফ্যাকাশে এক মোটা মহিলা। সারাদিন কাচদেওয়া এয়ার কন্ডিশন করা ঘরে বসে থাকতে থাকতে রোদ না পাওয়া গাছের মত। কাঠ কাঠ ডামিগুলোর মত, ঠিক সামনেই একটা কাচের ভেতর যাদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি সহকারে চকচকে জামাকাপড় পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তফাৎ এই যে পুতুলগুলোর থোবড় তোমার যতই খারাপ লাগুক, ওরা চুপ, ওরা নীরব। কথা বলে বলে কানে ব্যথা ধরায়না। আর একজন পি আর একজিকিউটিভ তো বকরবকর করেই চলেছে, সেটার এফেক্ট পড়ে যায় তার গোটা ব্যক্তিত্বে। মীনাক্ষীদিকে দেখলেই মনে হয় কথা কথা কথারা ঘুরছে ওর চারপাশে, আর যেন অদৃশ্য চারটে টেলিফোন, সবসময় টিই টিই করে বেজে চলেছে। চোখ বুজলেই দেখে ফেলা যায় ওর সামনে একটা কমপিউটার।
হ্যাঁ, আমি হেসে বললাম: তোমার কাছে তো মেঘ আর রোদ সবই সমান। তোমার অফিসটা যা ঠাণ্ডা আর অন্ধকার! জানালায় নীল স্ক্রিন দেওয়া না! ব্লু ফিল্ম?
মীনাক্ষীদি গর্বিতভাবে ঘাড় বেঁকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ইয়ার্কি হচ্ছে?
ও সিরিয়াসলি ভাবছিল, হাসবে কিনা। না হাসাই মনস্থ করল।
কী কী কিনলি শুনি? খুব ইয়ে, না! অফিস কেটে শপিং করছ।
তুমি, তুমিও তো বাবা...
আমার অফিসটা এই, ঠিক এইখানেই। বুঝলি তো? তোদের মত মার্কেটিং করার জন্য আমাকে এখানে আসতে হয়না।
জানি বস। কী মজা তোমার। চলো একটু ভেলপুরি খাই।
মীনাক্ষীদি আমার এক্স কোলিগ। যে অফিসে চাকরি করতাম, দুজনেই ছেড়ে দিয়েছি। মীনাক্ষীদি আগে, আমি পরে। ওরা ভীষণ খাটাত আর বেজায় কম মাইনে দিত।
মীনাক্ষীদি অবশ্য সেই কম পয়সার চাকরিই এমন ফাটবাজির সঙ্গে করত যে মনে হত কী না কী বিশাল একজিকিউটিভ। কিছু কিছু মানুষই আছে এইরকম। কথায় বার্তায় চৌখশ। তাই প্রথমটা খারাপ লাগে না। বোর হলে, এদের সঙ্গে সময়ও কেটে যায় খানিক।
মীনাক্ষীদির ব্যক্তিগত জীবন তখন যতটুকু জানতাম, সুখের নয়। স্বামী খুব সন্দেহপ্রবণ ছিল। ও তো বয়সকালে আরও একটু সুন্দরী ছিল কিনা। তার ওপর চাকুরে। তখন আমার কাছে মাঝে মাঝে এসব দুঃখের কথা বলত। ওদের কোন ইস্যু নেই সেটাও বেশ একটা টেনশনের ব্যাপার। স্বামী বলত, ফল হবে না, তাই ফুলের পাপড়ি ঘাঁটতে দিচ্ছ সব্বাইকে। এঁটো ফুল আমি ছোঁব না। এইসব নোংরা কথা আর রাতের পর রাত দুদিকে মুখ করে জেগে কাটানো...
এমনিতে যেন নাটকের সিন টাঙানো থাকে ওর মুখের ওপর। ঝলমলে সূর্য। টানটান মেকাপ। নীল আকাশে যেন ফুরফুর করে মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। আচমকাই যদি সেই রোদ্দুর আঁকা সিন ফর্দাফাঁই হয়ে ঘুটঘুটে কালো ছেঁড়া চট বেরিয়ে পড়ে, কেমন লাগে?
মীনাক্ষীদির সেসব গল্প আমিও বেমালুম ভুলে মেরে দিয়েছিলাম। ও-ও, আমাকে যে শুনিয়েছে এসব কাহিনি, এতদিনে নিশ্চয়ই ভুলে গেছে। তাই এত রঙ নিয়ে কথা বলছে আবার। বলুক।
আমরা ভেলপুরি খেলাম। খেজুর-তেঁতুলের চাটনিটা কম দিয়েছে বলে দোকানদারের সঙ্গে ঝগড়া করল মীনাক্ষীদি। তারপর সিল্কের শাড়ির আঁচলটা প্রায় নর্দমায় লুটিয়ে ভেলপুরির পাতাটা রাস্তায় ফেলল।
এতদিন পর দেখা হল, আর কী কথা বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। ওকে তো আর বলতে পারিনা, কেমন আছো সত্যি সত্যি তুমি? তোমার হাজবেন্ড এখনো তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে?
ওর চোখে মুখে কেবল পড়তে চাইছিলাম ও কেমন আছে, সেই কথাটুকু। মনে মনে কেমন যেন আশঙ্কাও হচ্ছিল, হয়ত এতদিনে ও যেমন বলত, স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছে, একলা থাকে। ডিভোর্স নিয়ে নিয়েছে নাকি?
সত্যি মীনাক্ষীদি প্রায়ই বলত, বরুণের সঙ্গে আমাকে নিয়ে কুৎসিত কথা বলল কাল। অরুণের ফোন আসে কেন এত, জিগ্যেস করার গাটস পায় কোথায়? নিজে তো দুশ্চরিত্র, মেয়ে দেখলেই গলে পড়ো। ড্রিংক করলে তো কথাই নেই। ছেড়ে চলে যাব একদিন ঠিক, দেখে নিস।
আমার বেশ আশাই হচ্ছিল এ বিষয়ে। সারাক্ষণ মীনাক্ষীদি ওর অফিস আর কাজ নিয়ে কী সব বকছিল ভেলপুরি খেতে খেতে। ওফ, যা একটা বস জুটেছে না! দিনে রাতে সারাক্ষণ তার আমাকে চাই। আমার পুরোটা দখল করে নিচ্ছে বুঝলি। নাকে মুখে আর সময় পাচ্ছি না আমি।
এবারের ওর কাজটা নিশ্চয়ই বেশ ভাল। মাইনে টাইনেও ভাল। পদোন্নতিও হয়েছে। যাক বাবা, ভাল থাকুক। কাজে মন দিলে পারিবারিক জীবনের ব্যর্থতাগুলোকে একটু ভুলতে পারবে।
তবে আমাকে বার বার খোঁচা দিয়ে কথা বলাটা মোটেই ভাল না। “তোর তো দেখছি বেশ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। ভুঁড়িটা এবার কমা। খুব সুখের চাকরি, তাই না?
কোন চাকরিই কি আর খারাপ, বলো? হয় এদিকে নয় ওদিকে কোথাও তো সুখ আছেই। অ্যাটলিস্ট বাড়িতে বসে হাঁড়ি ঠেলার থেকে ঢের ভাল।
হ্যাঁ, ওটা তো আবার ইয়ে। টিভি দেখা আর রান্না করা ... যাচ্ছেতাই।
এবার চলি, বুঝলে তো। অফিসে ফিরে গিয়ে আবার মুখ দেখাতে হবে।
ইতিমধ্যে দুটো বাজে। আমাকে আবার ওদিকে ডি ব্লকে একটা ব্লাউজপিসের দোকানেও যেতে হবে।
একটু টান দিয়ে বললাম, যোগাযোগটা রেখো। এবার যাতে কথোপকথনটা শেষ হয়।
শিগগিরি এ চাকরিটা ছেড়ে দেব, বুঝলি।
মুস্কিল হল। কথোপকথন শেষ করতে চাইছে না মীনাক্ষীদি। আবার একটা নতুন প্রসঙ্গ তুলল।
তাই নাকি? কেন? ভুরু তুলে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নটা করলাম। ছেড়েই দেবার মতলব যদি, এত বসের গুণপনার ব্যাখ্যান শোনাল কেন? হয়ত ছাড়ছেই না, ওটাও একটা কায়দাবাজি, অনেকে নিজের দরবাড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে এরকম বলে, আমি আগেও দেখেছি। তাছাড়া মীনাক্ষীদি যা গুল মারে।
নাঃ, ভাল লাগছে না রে। আসলে কম্পিউটারে তাস আর দাবা খেলা ছাড়া তো এখানে আমার বিশেষ কোন কাজ নেই। অফিসটা অফিসের মত চলছে। বস মাসের মধ্যে আদ্ধেকদিন কলকাতায় থাকেই না।
মনে মনে বললাম, লাও ঠেলা। এই বললে চোখে হারায়। তা মন্দ কী। ভরদুপুরে নিউ মার্কেট ঘুরতে তো পারছ এর দৌলতে। মুখে বললাম, আমাদের সবারই তো আসলে সিউডো কাজকর্ম। আসলে কাজ নেই। আসলে আমাকে ছাড়াও চলে যাবে ওদের। এটা নিজেকে বিশ্বাস করতে দিতে চাই না অবশ্য!
মীনাক্ষীদি হঠাৎ করুণভাবে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, চাকরি ছেড়ে দেওয়াটা কি খুব লুজারের মত হয়ে যাবে?
না গো, তা কেন। চাকরি ছাড়তে খুব ক্যালি লাগে। আমার অত সাহস নেই। তা ছাড়া ছেলেটাও তো মানুষ হয়ে গেল শাশুড়ির হাতেই । আমার থাকা না থাকায় এখন আর বাড়ির কিচ্ছু এসে যায়না। এখন বাড়িতে বসে থাকলে করারই কিছু পাব না।
মীনাক্ষীদি হঠাৎ আমার হাতটা চেপে ধরল। মুখটা লালচে। খুব আপ্লুত। বলল, আমাকে কিন্তু তুই সেটা বলতে পারবি না, পলি। আমি আমার বাচ্চাকে প্রচুর সময় দিই, প্রচুর। তা ছাড়া হি নিডস স্পেশাল কেয়ার।
বাচ্চা! তোমার তো কোন বাচ্চা ছিল না, মীনাক্ষীদি!
কলকাতা, লিন্ডসে স্ট্রিট, নিউমার্কেট, ক্যাঁচরম্যাচর, অনেক কটকটে রোদ্দুর, ভাদ্র দুপুরের চাপা ভ্যাপসা ঘেমো, মাছির মত ভনভনে মানুষ, সব ফেড আউট হয়ে গেল এক নিমেষে।
আমি যখন ঐ এন জি ও-টা জয়েন করলাম তখনো বুঝিনি ওরা আমাকে ঐভাবে অ্যাফেক্ট করবে। ওই বাচ্চাগুলো। ডেফ অ্যান্ড ডাম। তারপর পূষণকে পেলাম। তখন ওর তিনবছর বয়স। টোটালি ডেফ। আমি ওকে অ্যাডপ্ট করার পর একটা একটা করে কথা শিখিয়েছি। জানিস পলি?
অ্যাডপ্ট? ডেফ অ্যান্ড ডাম্ব? তুমি... তুমি... কংগ্র্যাচুলেশনস, মী-মীনাক্ষীদি।
খুব লক্ষী ছেলে পূষণ। খুব পয়াও। আমার বরটার মনটা পুরো ঘুরিয়ে দিয়েছে রে। ওর জন্যই তো আমরা দুজনেই বেঁচে গেলাম রে। রক্তের সম্পর্ক নেই তো, কিন্তু মজার ব্যাপারটা কী জানিস? পূষণকে নাকি একদম পরিতোষের মত দেখতে। সবাই বলে। আর লোকটা আমার সঙ্গে যা করেছে করেছে। এখন পুরো চেঞ্জড পার্সন পরিতোষ। পূষণকে চোখের আড়াল করে না রে।
মীনাক্ষীদির চোখ ছলছল করছে। আমি হতভম্ব। এসব কী বলছে ও। গুল নয়ত!
মেঘের আড়াল থেকে রোদ চিকচিক করে ওঠার মত, আচমকাই ফিক করে হেসে ফেলে মীনাক্ষীদি। তোর সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা হল তো, লজ্জা লাগছিল বলতে। চাকরি, সেই প্রোডাকশন হাউজের চাকরি তো কবেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। এন জি ওর টাও ছেড়েছি শুধু পূষণেরই জন্য। বাচ্চাটা নেবার পর বুঝলাম, একটা বাচ্চাই তোমার পুরো জীবনের কাজ। এখানে এসেছিলাম আসলে ওরই কটা জিনিশ কিনতে।
নার্ভাস, নতুন মায়ের মত মীনাক্ষীদি একটা প্লাস্টিক প্যাকেট খুলে ছেলের জন্য কেনা শার্ট আর প্যান্টস দেখাতে শুরু করতেই, ধুপ করে প্যান্টটা নোংরা ফুটপাতে ফেলল। আমি নিচু হয়ে কুড়িয়ে দিলাম।
এহে। এতক্ষণ ধরে ভুলভাল কীসব ভাবছিলাম। আসলে সুখে আহ্লাদে ও গোলগাল হয়ে গেছে। আর প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে মানুষ করার পরিশ্রমেই মীনাক্ষীদির চোখের তলে কালি। চেহারাটা ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম। কী মিষ্টি, মা মা হয়েছে। একদম পালটে গেছে ও।
সারা লিন্ডসে স্ট্রিট নীরবতায় থম থম করছে তখন। হঠাৎ দেখলাম, প্রতিটি মানুষ সাইন ল্যাংগুয়েজে কথা বলছে। আর দুপুরটা সুরের মূর্চ্ছনার মত এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মীনাক্ষীদির ওপর।