ডাইনি ও অন্যান্য গল্প; দীপঙ্কর চৌধুরী; প্রথম প্রকাশ : রথযাত্রা। ১৭ আষাঢ় ১৪১৮, ৩ জুলাই ২০১১, দাশগুপ্ত এ্যাণ্ড কোম্পানী (প্রাঃ) লিমিটেড - কলকাতা, পৃষ্ঠাঃ ১৭০ ; ISBN : 978-81-8211-078-6
ষাট ও সত্তরের দশকে কলেজস্ট্রিট পাড়ায় প্রেসিডেন্সি কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাতে যে ক'টি গুরুগম্ভীর প্রকাশকের দোকান ঐ অঞ্চলের মর্যাদা ও চরিত্র বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধি করতো, ইউ.এন. ধর এবং দাশগুপ্ত কোম্পানির দোকানের কথা তাদের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে আছে স্মৃতিতে। প্রথমটির ভেতরে সাদা ধুতি-শার্টে সদা-স্মিত মুখচ্ছবির রাজেন ধর মশাইকে রাস্তা থেকেই দেখা যেত, দাশগুপ্তর অমূল্যবাবু বসতেন ভেতরে; দোকানে না ঢুকলে তাঁকে দেখা যেত না। দীর্ঘ চার দশক পরে গিয়ে স্বর্গীয় অমূল্যবাবুর আত্মজ অরবিন্দ বাবুর সঙ্গে কথা বলে, স্মৃতিচারণ করে তৃপ্ত হয়েছিলাম ২০০৮ সালে; আর এই মধ্য ২০১২ তে দাশগুপ্ত এণ্ড কোম্পানীর প্রকাশিত এই বইটি হাতে নিয়ে প্রথমে স্মৃতি-মেদুরতায় আক্রান্ত হলাম; এবং পরে, পড়ে মুগ্ধ হলাম।
কাগজের মান, বাঁধাই, ছাপা এবং প্রচ্ছদ সব মিলে চমৎকার এই উপহারটি বর্তমান বাংলা বই প্রকাশনার জগতে প্রায় ব্যতিক্রম বলেই চিহ্নিত করা যেতে পারে, বিশেষ করে মূল্যমানের কথা মনে রাখলে তো বটেই! বাংলা বইয়ের ভবিষ্যত সম্পর্কে এই স্নিগ্ধ আশ্বাসনের জন্য প্রকাশককে অভিনন্দন।
অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত কাহিনী বা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পাঠকের বিশেষ করে বাঙালি পাঠকের আগ্রহ ও দুর্বলতা সর্বজনবিদিত। ত্রৈলোক্যনাথের লুল্লু থেকে শুরু করে শীর্ষেন্দুর নরম সরম ভূতেরা আমাদের এখনও আনন্দ দেয়, কিন্তু সে সব গল্প অলৌকিকের পর্যায়ে পড়ে না। বিভূতিভূষণের 'দেবযান' বা 'দৃষ্টিপ্রদীপ'-এ যে জাতীয় ঘটনার ঘনঘটা, তা সবাইকে আকর্ষণ না ও করতে পারে। কিন্তু বিভূতিভূষণেরই 'মেঘমল্লার'-এ যে অতিলৌকিক স্পর্শ আমরা পাই, শরদিন্দুর একাধিক ছোটগল্পে তার একটা maturity বা সম্পূর্ণায়ন যেন আমরা দেখতে পাই — কখনও জ্যোতিষ চর্চার প্রয়োগে, কখনও জন্মান্তরের সম্পর্কে। তাঁর রচনাবলীর ৫ম খণ্ডে এ'রকম গল্পেরই ভূরিভোজ!
আবার সত্যজিৎ রায়েরও কিছু গল্পে অলৌকিকের যে 'subtle' ছায়াপাত ঘটে, তা আমাদের দেখা-না-দেখায় মেশা জগতের সঙ্গে সহজেই মিলিয়ে নিতে পারি। বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না, এমন কিছু কাহিনীতে আমাদের রোমকূপ শিহরিত হয়, অক্ষিগোলক বিস্ফারিত হয়, পড়ার পরেও তার রেশ যেতে চায় না বেশ কিছু সময়। 'খগম' গল্পে ইমলিবাবার অভিশাপের কথা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ জাতীয় গল্প আমাদের, অন্ততঃ আমাকে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যবর্তী অঞ্চলে নিক্ষেপ করে : রূপকথা বা কল্পবিজ্ঞানের কাহিনী যা করে না, বা করতেও পারে না।
দীপঙ্কর চৌধুরীর 'ডাইনি ও অন্যান্য গল্প' গ্রন্থটি অনেকটা এই ধরনেরই ছ'টি গল্প নিয়ে একটি সুখপাঠ্য কিশোর গল্প সঙ্কলন।
খুবই অদ্ভুত লাগে যে, যে ছোট্ট ক্রিয়া বা technique এর ওপর দ্বিতীয় গল্প 'কুম্ভক' গড়ে উঠেছে, তার উল্লেখ প্রাচীন যোগের গ্রন্থে এবং সম্ভবতঃ স্বামী নিগমানন্দের রচিত যোগ-সম্পর্কিত গ্রন্থে পাওয়া যায়। পূরক-কুম্ভক-রেচক নিয়ে যে শ্বাসক্রিয়াকে সংক্ষেপে প্রাণায়াম বলা হয়, তার নানান প্রকারভেদ আছে। রামকৃষ্ণ কথামৃত-তে পর্যন্ত পাচ্ছি ডিসেম্বর ১৮৮৩-র কথা-কাহিনীতে: এক যোগী জাদুকর-এর যোগের খেলা দেখাতে দেখাতে জিভের ডগা ঠেকে গেল আলজিভে। সমস্ত শরীর তার গেল স্থির হয়ে, আর সেভাবেই কেটে গেল সুদীর্ঘ সময় মাস/বছর! বহুকাল পরে যখন আচমকা তার সেই 'সমাধি' অবস্থা ভাঙলো, সে তার পুরোনো বুলিতে ফিরে গিয়ে চেঁচাতে লাগলো "লাগ্ ভেল্কি, লাগ্ ভেল্কি লাগ্"; অর্থাৎ মধ্যের সময়টুকু তার জীবনের স্থানাঙ্কে কোনও প্রভাবই ফেললো না। দীপঙ্করের ফকিরও এই হঠযোগ-ক্রিয়াতেই সিদ্ধ ছিলেন এমন মনে হয়।
শেষ গল্প 'সিদ্ধেশ্বরী'তে যে অপার্থিব কণ্ঠস্বর শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শোনায় সুমিত্রা-র গলায়, বা সমবেত জনকে মধ্যরাত্রে প্রায় সম্মোহিত করে যায়, তার আভাস কি আমরা পাইনি "Many Lives Many Masters" গ্রন্থে, সেই আমেরিকান চিকিৎসকের জবানবন্দিতে? দেহ লয় পাবার পরেও অবিনশ্বর আত্মা থেকে যায়, অজর, অমর, অদাহ্য — এমন এক নিবিড় বিশ্বাস নিয়ে আমরা অনেকেই বাঁচি। সেই spirit বা আত্মা হয়তো 'দেবযান'-এর আশা বা যতীনের মতো পুরোনো সংসার এর আশেপাশে ঘোরে না বা আসে না, বা ফটোতে ধরা দেয়না ধোঁয়া বা ছায়ার অবয়বে, কিন্তু তীব্র বাসনায় কখনো কখনো তাদের কিছু স্বাক্ষর রেখে যেতে চায়, বাস্তবে বা স্বপ্নে। বছর কুড়ি বা আরও পূর্বের সাপ্তাহিক 'দেশ' পত্রিকায় সম্ভবতঃ কণা বসুমিশ্রের লেখা একটি গল্পে এ জাতীয় সাক্ষ্য যে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক, তার স্মৃতি আছে।
তুলনামূলকভাবে 'ডাইনি' গল্পটি দুর্বল ঠেকে। পশ্চিমদেশে vampire-এর রক্ত খাবার পিপাসা ও প্রচেষ্টা নিয়ে অনেক গল্প, অনেক চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। ভয়-পিপাসু পাঠক ও দর্শকদের তা’ আজও নিশ্চয়ই আনন্দ দিয়ে থাকে। কিন্তু ডাইনিদের পায়ের পাতা উল্টোদিকে থাকে, বা জ্বালানি কাঠের বদলে তারা তাদের পা ঢুকিয়ে দেয় উনুনে, বা কাজের লোকের ছদ্মবেশে গৃহস্থবাড়িতে ঢুকে জিজ্ঞেস করে 'বাড়িতে বাচ্চা বা বেড়াল আছে' কিনা, এই দৃশ্যাবলীর অবাস্তবতার অনুপাত 'সিদ্ধেশ্বরী' বা 'কায়েন বায়েত' গল্পের আপাত-অবিশ্বাস্যতার থেকে বহুগুণে বেশি বলে 'ডাইনি' তেমন করে চমকায় না। তবে সেটা বেশি বয়সের বুড়ো বুদ্ধির দোষও হতে পারে।
'নখদর্পণ' এ বইয়ের তৃতীয় গল্প। কোনো বিষয় সম্পর্কে গভীর জ্ঞান বা তথ্যাবলির ওপর অগাধ দখল বোঝাতে এই বাক্যাংশের ব্যবহার আমরা প্রায়ই করে থাকি। কিন্তু কথাটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ধরলে চমকে যেতে হয়। একরাশ দামী জুতো চুরির কিনারা কিভাবে এই পদ্ধতিতে হয়েছিল এ গল্প সে বিবরণই দিয়েছে। অদ্ভুত সমাপতন এই যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনাসমগ্রের ৫ম খণ্ডে (প্রথম সংস্করণ / দশম মুদ্রণ) ১৬৪ পৃষ্ঠায় ঠিক একই নামের গল্পতেও আমরা চোর ধরারই এক লোমহর্ষক বিবরণ পাই। এবং আলোচ্য গ্রন্থে/গল্পের শেষাংশে যেমন এক সংশয়ী কণ্ঠে মন্তব্য দেখি ".... এই জুতোচুরি ও তার উদ্ধারের উপাখ্যান ..... সেটা সম্ভব হয়েছিল ক্যালকাটা পুলিশের অসাধারণ কনট্যাক্ট্স্ দ্বারা, কোনো আজগুবি জাদু দিয়ে নয়।" তেমনই শরদিন্দু-কাহিনীও শেষ হয় এমনই এক অবিশ্বাসের বাতাবরণে : ".... আদালতে বিচারকালে হাকিম পুলিশ-তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছিলেন। ... সাহেব হাকিম নখদর্পণ জাতীয় বর্বরোচিত কুসংস্কার বিশ্বাস করেন নাই।"
'কায়েন বায়েত' গল্পে তারকনাথ ব্রহ্মের যে মন্ত্রশক্তির প্রভাবে মহীদোল সত্যসাইয়ের পুরো গ্রাম পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়, সমধর্মী না হলেও প্রমথ চৌধুরীর ঈশ্বর লাঠিয়ালের কাছেও সেই সম্পদেরই অংশ ছিল, সন্দেহ নেই। চোখের দেখা, কানের শোনার বাইরে যে আর একটা জগতও থাকতে পারে, সাধনা ও একাগ্রতায় সে জগতের থেকেও শক্তি সঞ্চয় সম্ভব, এই গল্পটির নাটকীয়তা পরতে পরতে সেই 'সত্য' উন্মোচন করার প্রয়াস করে। এবং সফল হয়।
'কামাখ্যা' গল্পও মন্ত্রশক্তির ম্যাজিক নিয়ে, তবে তার পটভূমি ভারতবর্ষ থেকে জার্মানীতে সরে গেছে। গল্পটির নামকরণের যথার্থতা আমার কাছে সম্পূর্ণ গ্রাহ্য মনে হয়নি।
এতক্ষণ পর্যন্ত বইটির ছাপা, বাঁধাই, কাগজ, গল্প কথন এ'সব নিয়ে আলোচনা করা গেল। কিন্তু সমালোচকের কর্তব্য কিছু ত্রুটি, (বা বর্তমান management jargon-এ OFI), বা উন্নতির সুযোগ কিছু বলা, নাহলে তার মান থাকে কী প্রকারে? অতএব :
এক : লেখাটিতে, অর্থাৎ ছ-ছ'টি গল্পের ভাষাতেই এত অ-বাংলা (হিন্দি/উর্দু) শব্দ ব্যবহার কেন?— শুরুয়াৎ, শান, অচানক, অধুরা, ভরোসা, আওলাদ, ইন্তজাম, পুছি, ধুঁয়াধার, রওয়ানা - মাত্র দশটি উদ্ধৃত করলাম। পঁচিশ বছর হিন্দিভাষী রাজ্যে প্রবাসী থাকার কল্যাণে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি, কিন্তু এই কিঞ্চিৎ অন্যধরনের বাগ্ধারা ব্যবহার কি অনিবার্য ছিল? নাকি দীপঙ্করের দীর্ঘ গোরক্ষপুর বাসের 'অসর' পড়েছে তাঁর লেখাতে?
দুই : প্রেমেন্দ্র মিত্র-র ঘনাদার আদলে যে গল্প-বলিয়ে 'বিজুদা' চরিত্রের সৃষ্টি, আর তাঁর কিছু পরে পরেই যে অর্গ্যানিক চা, বা নানারকম খাবারের ফরমাশ, এমন কি মধ্যে মধ্যে শ্রোতা শিশু/কিশোরদের যে প্রশ্নবাণ বা অনুরোধ-উপরোধ, আমার মতে এই 'ক্লিশে'তে গল্পের বুনট দুর্বল করেছে। বোধহয় এই কারণেই কুলফি বরফের সঙ্গে একরাশ 'ফালুদা'র মর্মার্থ আমি আজও বুঝিনি।
তিন : এই আপত্তি বা অভিযোগ আদৌ মৃদু বা লঘু নয়, যদিও এতে গল্পাবলীর রসাস্বাদনে বিন্দুমাত্রও ব্যাঘাত ঘটেনি। পুরো বই জুড়ে লেখক নির্বিচারে এবং পরিপূর্ণ অসঙ্গতভাবে (consistently inconsistent) italics বা 'তেরচা' শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন : কখনও বিদেশী শব্দ বোঝাতে, কখনও ঝোঁক বা জোর বোঝাতে, কখনও বিশেষ বাক্যাংশ (phrase) বোঝাতে লেখক শব্দাবলী বেঁকিয়ে গিয়েছেন, যার কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না, বা নেই।
চার : প্রকাশক কি বইটি প্রকাশে কিঞ্চিৎ তাড়াহুড়ো করেছিলেন? না কি কোনো শিক্ষানবিশ প্রুফ-রিডারকে দিয়ে কোনো কোনো গল্প/অংশ দেখানো হয়েছে? বানানে অসঙ্গতি, হ্রস্ব ও দীর্ঘ 'ই'-কারের খেয়াল-খুশিমত ব্যবহার, আকার-একার বাদ যাওয়া, অকারণ ও-কারের প্রয়োগ (দরোজা, ভরোসা, নোতুন ...) লেখাটিকে সন্ধানী সমালোচকের সুখাদ্যে পরিণত করেছে। ভাষার ব্যবহারেও বোধহয় শ্রী চৌধুরী আরেকটু সাবধানী হতে পারতেন : 'তন্নিষ্ঠ প্রচেষ্টা' দিয়ে যে অনুচ্ছেদ শুরু (পৃ.-১৪০), সেখানেই পিতামহ হয়ে যান 'পিতোমো'। কিছু পরেই বাঘ হয়ে যায় 'ব্যাঘ্র' গাছ হয়ে যায় 'বৃক্ষ'! রেশমী জামাতেও যেমন সুতির তালি চলেনা, সুতির জামাতে রেশমী তালিও তেমনই বেমানান!
ছোটদের জন্য লেখা গল্পে তবু দু-চারটে ছবি রাখলে বোধহয় গল্পের আকর্ষণ বাড়ে, অন্ততঃ পাঠকের জন্য। বিমূর্ত কল্পনাকে ধরতে কি কিছু সাহায্য হয়? সুতরাং দেবসাহিত্য কুটিরের পূজাবার্ষিকীতে সেইসব মনে রাখার মতো ছবি যদি আজকের প্রজন্ম নাও দেখে থাকে, সত্যজিতের অলঙ্করণে সমৃদ্ধ শঙ্কু কাহিনী, বা অসংখ্য ছোট গল্পের অসামান্য সম্ভারের সঙ্গে বর্তমান আগ্রহী পাঠকদের পরিচয় তো আছে! সত্যজিৎ, লীলা মজুমদার, নলিনী দাশ সম্পাদিত 'সন্দেশ' এর স্বর্ণযুগে সত্যজিৎ নিজেই আঁকতেন কিছু রেখাচিত্র। পরে হাল ধরলেন শ্রী রাহুল মজুমদার। তাঁর শিল্পকৃতিতে দীর্ঘদেহী রায়ের ছায়া পড়বে - এটা প্রত্যাশিত। অনেকদিন পরে বর্তমান গ্রন্থটিতে শ্রীমজুমদারের স্বাক্ষর দেখে পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল। তবে প্রত্যাশা যেহেতু করমুক্ত, এই সমালোচক তাই দু'দশকের ব্যবধানে ছবিগুলিতে আরেকটু পরিণতি (maturity)র আশা করেছিল। ছবিগুলিতে perspective এর ব্যবহার চমৎকার, পৃ. ১২ তে 'ডাইনি', পৃ. ৫৩ তে 'কুম্ভক', পৃ. ৫৯ তে 'নখদর্পণ', পৃ. ৯৫ তে 'কামাখ্যা' গল্পের ছবি তার সাক্ষ্য বহন করছে। তবে একটি উদাহরণ দেবো - ১৬৮ পৃষ্ঠায় 'সিদ্ধেশ্বরী' গল্পে গানের আসরের ছবিটিতে গায়িকার শরীরের সঙ্গে মাথার অনুপাত চোখে ঠিক লাগলো না, যদিও তাতে গল্পের বিন্দুমাত্র মর্যাদাহানি হয়নি। রাহুল-দীপঙ্করের যুগলবন্দীর আরও উৎকৃষ্ট উদাহরণের জন্য আগ্রহী রইলাম।
কথা হচ্ছে মৃত ঘোড়াকে ছোটানোর জন্য কেউ চাবুক মারে না, খোঁচাও দেয় না। দীপঙ্করের ছ'টি গল্প সুপাঠ্য ও বেশ একটু অন্য ধরনের বলেই মনে হল। প্রতিমার চালচিত্রের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি শুধরে দিলে যদি সমগ্র প্রতিমার শোভা আরও বৃদ্ধি পায়, তত্র কো দোষঃ?
আশা করি লেখক / প্রকাশক এই সমালোচকের ওপর অভিমান করে লেখা / ছাপা কমিয়ে দেবেন না, বা বন্ধ করবেন না।
বিজুদাকে আমরা না পাই, এরকম virtual গল্পের আসর কি জমানো যায়না e-magazine-এর কল্যাণে?