• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫২ | অক্টোবর ২০১২ | লেখক
    Share
  • লেখক ও শিল্পী পরিচিতি (সংখ্যা ৫২) : Parabaas

    লেখক ও শিল্পী পরিচিতি





    অদিতির বড়ো হয়ে ওঠা কল্যাণী শহরে। স্ট্যাটিস্‌টিক্‌স-এর ছাত্রী অদিতির কাছে বই আর অক্সিজেন সমতুল্য। কর্মসূত্রে বছরখানেক আরবদেশে বসবাসের অভিজ্ঞতাও আছে। ভ্রমণ, ছবি তোলা, এমব্রয়ডারির পাশাপাশি ইদানীং লেখালিখিতেও সমান উৎসাহী।



    অমিতাভ (জন্ম ১৯৭৫) ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা এবং তুলনামূলক ভারতীয় সাহিত্য পড়ান। মুলত প্রাবন্ধিক। ইংরেজি এবং বাংলা দুটি ভাষাতেই কবিতা লিখছেন।



    পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)



    অনিন্দ্য বসুর পেশা সফট্‌ওয়্যার। নেশা গান আর বই। উত্তর কলকাতায় কেটেছে প্রথম জীবন। পড়াশুনো আই আই টি খড়গপুর ও পরে আমেরিকায়। গত উনিশ বছর ধরে কলোরাডো বাসী।



    অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।

    সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।




    ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্‌কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।



    বিভাস রায়চৌধুরী কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: শিমূলভাষা, পলাশভাষা, জীবনানন্দের মেয়ে, চণ্ডালিকাগাছ, পরজন্মের জন্য স্বীকারোক্তি ও যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল। সম্প্রতি 'বাইশে শ্রাবণ' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।



    বিশ্বদীপের জন্ম (১৯৮০) কলকাতায়। বাংলা সাহিত্যে এম. এ.। একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। একসময় গল্প-কবিতা দুই-ই লিখতেন। বর্তমানে মূলত গদ্যই লিখছেন। লেখা প্রকাশিত হয়েছে ভাষাবন্ধন, সানন্দা, খবর ৩৬৫ দিনের সাপ্তাহিকী রবি, বিজল্প প্রভৃতি পত্রিকায়। একটি লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। নাম 'মেঘজন্ম'। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - 'বিশ্বদীপ দে-র ছোটগল্প'।



    বিপ্লব সমাজদ্বার কলকাতায় থাকেন। একটি উন্নয়নমূলক ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি। আনন্দবাজার ও অন্যান্য পত্রিকায় লেখালেখি করে থাকেন।



    ব্রত চক্রবর্তীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'গাজনের মেলা' (১৯৭৯) থেকে শুরু করে আজ অবধি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫-র বেশি। তাঁর 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' দে'জ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ২০০২ সালে।



    ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্‌বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।



    ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম-এর পড়াশোনা বাংলা নিয়ে। বেসরকারি হাউসে চাকরি করেন, ঘুরে বেড়ান এদিক সেদিক, আর আন্তর্জালে কবিতা লেখেন মাঝে-সাঝে।



    দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই - ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্সজয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।



    দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।



    দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।



    ফারহানা আফরোজ ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন।



    জ্যোতির্ময় দাশ দীর্ঘকাল প্রবাসে কাটিয়েছেন। মুলত কবি কিন্তু প্রাবন্ধিক, রম্য রচনাকার, শিশু সাহিত্যিক এবং অনুবাদক হিসেবেও পরিচিত। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২। সাহিত্য অ্যাকাডেমি, ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর স্বীকৃত অনুবাদক ও নিরীক্ষক (রিভিউয়ার)। বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন কবিতা পাঠের আসরে কবি হিসেবে যোগদান করেছেন। বর্তমানে ‘পদক্ষেপ’ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত আছেন।



    কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।



    লুনা রুশদী অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে কিছুদিন কাজ করেছেন নিউ জিল্যাণ্ড-এ। এখন আবার অস্ট্রেলিয়াতে।



    নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।



    নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, যদিও ইদানীং কিছুদিনের জন্য তিনি প্রবাসে স্বেচ্ছানির্বাসিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।



    নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, ছবি আঁকা, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।



    রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র‍্যালফ্‌ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ও বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্‌ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।



    রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে: হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ



    ঋতব্রত মিত্রের জন্ম ১৯৭৭-এ। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা শহরে। মা-বাবা দুজনেই ছিলেন অধ্যাপক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে এখন 'চেস্ট-মেডিসিন'-এ স্পেশ্যালিস্ট। অবসর সময়ে কবিতার পাশাপাশি গদ্য চেষ্টাও চলে। তবে শখে নয়। শখ--গান শোনা, প্রাচীন মিসরীয় চিত্রলিপি পড়ার চেষ্টা করা। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ঘর আছে, ঘর নেই (বাক্‌প্রতিমা), মাটি ও মোহর (আনন্দ), এবং স্মৃতির ঘরে আলো (কৃত্তিবাস)।



    সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।



    সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্‌টিং নিয়ে স্নাতক-স্তরে পড়ছেন। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।



    সংহিতার লেখালেখি ছিলো নিজের খাতায়। প্রথম প্রকাশ "জয়ঢাক"--২০০৩'র পূজা সংখ্যায়। মাস্টারমশাই শ্রীদেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের প্রেরণায় ও প্রশ্রয়ে।



    শান্তনু চক্রবর্তী গত শতাব্দীর তৃতীয় পাদে, ১৯৭২ সালে, যাদবপুর থেকে মেকানিকাল এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি করে, বিলেত কিছু বছর কাটিয়ে (এবং নামের সামনে ডক্টরেট-এর আঁকশি লাগিয়ে) দেশে ফেরেন। ১৯৮৯ সাল থেকে টাটা স্টীল-এ, জামশেদপুর-এ। সম্প্রতি (২০১২) অবসর নিয়েছেন। নানান বিষয়ে আগ্রহ, তবে সবচেয়ে বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে।



    শোভন সান্যাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেনিশ, পর্তুগিস, ইতালিয়ান ও লাতিন বিভাগের অধ্যাপক।



    শ্রাবণী দাশগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-এ এম,এ। জন্ম, স্কুল-কলেজ-পড়াশোনা সব কোলকাতায়। এখন রাঁচিতে একটি স্কুলে পড়ান। গল্প লিখতে ভালোবাসেন। আনন্দবাজার (২০০৬) ও দেশ (২০১১)-এ তার দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়াও কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনে কয়েকবার বের হয়েছে লেখা।




    সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।



    স্বপন কুমার ঘোষ : জন্ম কাশীধাম (অগস্ত্যকুণ্ড) ৭ নভেম্বর, ১৯৫০। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' থেকে স্নাতকোত্তর উপাধি (১৯৭৩)।

    বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে 'চিন্তামণি মুখোপাধ্যায় এংলো বেঙ্গলী কলেজ' (বারাণসী)-তে যোগদান (১৯৭৩)। 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর 'বাংলা বিভাগ'-এর দায়িত্ব (১৯৮২-৮৩)। 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' এবং 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর একদা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের পরীক্ষক। ১৯৮৭ সাল থেকে কলকাতায় রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ আদালতের আদিভাগে ভাষান্তরণ আধিকারিক। অনুবাদ-সাহিত্যে প্রথম প্রেরণাদাতা এংলো বেঙ্গলী কলেজে তাঁর ইংরাজী ভাষাসাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অগ্রজ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় গোপালচন্দ্র দাস। যিনি 'রসিকবিহারী' ছদ্মনামে 'কেন্দ্রীয় সাহিত্য আকাদেমি'-র অনুবাদক ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় কাশীর হিন্দী সাপ্তাহিক 'অবকাশ'-এ প্রথম প্রকাশিত বাংলা থেকে হিন্দীতে অনূদিত গল্প 'নদী' (মূল রচনা বনফুল) ক্রমশ বাংলা, হিন্দী, ওড়িয়া, ইংরাজীতে পরস্পর অনুবাদ। সম্পাদনা ও প্রকাশনা 'স্বপনতরী' (শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকা)। প্রথম প্রকাশিত একক গল্পগ্রন্থ 'এই বইটা আমার'। 'অয়নান্ত' নামে একটি ওড়িয়া উপন্যাস বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন।




    স্বপ্নময় চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫২ সালে, কলকাতায়। রসায়নের ছাত্র। দেশলাইয়ের সেল্‌সম্যান, মেডিকেল রেপ্রেসেনটেটিভ, ল্যান্ড-রিফর্ম অফিসার, আবহাওয়া দপ্তরের রাডার চালনা, দূরদর্শনের ফ্লোর ম্যানেজারি, আকাশবাণীর অনুষ্ঠান প্রযোজনা ইত্যাদি অভিজ্ঞতা বিভিন্ন ধরনের লেখার রসদ জুগিয়েছে। প্রথম গল্প সংকলন ভূমিসূত্রঅষ্টচরণ ষোল হাঁটু, ভিডিও ভগবান নকুলদানা, জার্সি গরুর উলটো বাচ্চা, সতর্কতামূলক রূপকথা, ইত্যাদি প্রায় দশটি ছোটোগল্পের বই ও সংকলন; এবং চতুষ্পাঠী, নবম পর্ব, বাস্তুকথা, কম্পিউটার গেম্‌স, চলো দুবাই, অবন্তীনগর ইত্যাদি উপন্যাস লিখেছেন।




    উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।



    যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। প্রকাশিত কবিতার বই: পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬), পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮), রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯), চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯), আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১), মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫), ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।



    জাকিয়া আফরিন ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন।
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments